মূলত গল্পহীনতার যে সম্ভবনা নিজের গল্পে জহির আমাদের জন্য রেখে যান তার প্রলম্বিত অংশ আমরা আসলে পরবর্তী সময়ে বয়ে বেড়াই। কারণ গল্পগুলোর হিসাব আমরা কখনোই মিলাতে পারি না।
গল্পের কাছ থেকে আমরা কী প্রত্যাশা করি? একটা গল্পই তো! যা আমাদের কানে কানে কিছু কথা বলে যাবে। টেলড্রপ হওয়ার পরও যার রেশ থেকে যাবে আরও অনেক দিন পর্যন্ত। আরব্য রজনীর গল্পের কথাই যদি বলি, সেখানে বোধহয় গল্প বলার ইতিহাস তার চরম উৎকর্ষতা স্পর্শ করেছিল। এরপর পৃথিবীজুড়ে নানা ধরনের গল্প আমাদের শোনানো হলো। সেটা জেমস জয়েসের ডাবলিনের গল্প হোক কিংবা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঢাকার গল্প।
আবার হোর্হে লুইস বোর্হেসের প্যারাবোল হতে পারে, কিংবা পিটার বিকসেল নামের একজনের অদ্ভুত সব গল্পের কথাও আমরা বলতে পারি। এমন বহু বহু গল্প আমরা এ যাবত শুনেছি এবং পড়েছি। গল্পহীন গল্পের কথাও আমরা বলতে পারি। এমন গল্পের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে আমার প্রিয়তম চলচ্চিত্রকার আব্বাস কিয়েরোস্তামি বলেছিলেন, ‘শেহেরজাদে এবং সুলতানের দিন গত হয়েছে।’
কিয়েরোস্তামি অবশ্য সিনেমায় গল্প বলার জায়গা থেকে সরে আসার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ কথা বলেছিলেন। গল্প বলা না বলার এ ধারাতেই আমরা পাই একজন শহীদুল জহিরকে। যিনি আমাদের গল্প শোনান ঠিকই, কিন্তু সেটা ঠিক গল্প বলার মতো করে না। মানে গল্প বলার চিরায়ত ধারার সঙ্গে গল্পহীনতার একটা সম্ভাবনাকে জুড়ে দিয়ে নিজের গল্পগুলো সাজিয়েছেন এ গল্পকার। তাই এই গল্পগুলো প্রথম পাঠে আমরা মুখোমুখি হই অবিশ্বাস্য এক চমকে। যেমনটা মনে হয় তা হলো, ‘ওহ, গল্প তাইলে এমনও হতে পারে। এভাবেও তাইলে গল্প বলা যায়?’ শুধু এটুকুই নয়। এসব গল্প আপনি যখন অনেক বছর পর আবার পড়তে বসবেন, আপনি লক্ষ্য করবেন সেই চমক ও বিস্ময়টুকু পুরোপুরি অবিকৃত রয়ে গেছে। মূলত গল্পহীনতার যে সম্ভবনা নিজের গল্পে জহির আমাদের জন্য রেখে যান তার প্রলম্বিত অংশ আমরা আসলে পরবর্তী সময়ে বয়ে বেড়াই। কারণ গল্পগুলোর হিসাব আমরা কখনোই মিলাতে পারি না। ফলে জহিরীয় ভাষা-বিশ্বের ভেতর ছোট ছোট ইগলু গড়ে আমরা গল্পগুলোকে একবার জোড়া দেই এবং একটু পর আবার ভেঙে ফেলি। আর এই নিয়ত ভাঙা-গড়ার ভেতর দিয়েই আমরা বাঁচিয়ে রাখি শেফালি বেগম কিংবা আবদুল মজিদদের।
দক্ষিণ মৈসুন্দি, ভূতের গলি, সুহাসিনী, লক্ষ্মীবাজার কিংবা আগারগাঁও কলোনির মানুষদের গল্পগুলো প্রথম পড়ি আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে। এরপর অবশ্য ছিন্ন-বিচ্ছিন্নভাবে আরও অনেকবার এই গল্পগুলো পড়েছি। প্রথমবার এই গল্পগুলো পড়ে যে একটা ধাক্কার মতো লেগেছিল তা তো আগেই বলেছি, এমনকি এখনও এইসব গল্প বা গল্পাংশগুলো পড়তে গেলে একই ধাক্কা নতুন করে লাগে। অনুভূতির খুব একটা অদল-বদল হয়নি। শহীদুল জহির পড়ে তাঁর মতো করে একটা গল্পও লেখার চেষ্টা করেছিলাম মনে পড়ে। আমার ধারণা, শহীদুল জহির পড়ার পর তাঁর মতো করে লেখার চেষ্টা নিশ্চয় অনেকেই করেছেন। যদিও আমার যখন শহীদুল জহিরের সঙ্গে পরিচয়, তখন পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তা আজকের মতো ছিল না। মূলত ২০১২-১৩ সালের পর থেকে কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহিরের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েছে এবং তা এক পর্যায়ে ‘কাল্ট’ আর এখন রীতিমতো ক্ল্যাসিকে পরিণত হয়েছে। নানা বয়সী পাঠকদের কাছে শহীদুল জহির প্রতিনিয়ত পছন্দের গল্পকার হয়ে উঠছেন। তিনি নিজে অবশ্য এই জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে পারেননি। তার আগেই যে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।
শহীদুল জহিরের জনপ্রিয়তা নিয়ে আরও দুই-একটা কথা বলা যায়। মার্কেজীয় জাদুবাস্তবতাকে অবলম্বন করে শহীদুল জহির অনেক গল্প লিখেছেন, লিখেছেন উপন্যাসও। তাঁর ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ উপন্যাসে ১৪টি চিরকুটে ‘তুমি কিছু কও না কেন’ কিংবা টানা ৫৫ বারের মতো যৌন সম্পর্ক জড়ানোর ঘটনার সঙ্গে মার্কেজের ‘নিঃসঙ্গতার এক শ বছর’-এর গরুর গায়ে গরু লিখে রাখার ব্যাপারগুলোর যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া গল্পগুলোতে পুনরাবৃত্তিও কম নয়। মোটামুটি নির্দিষ্ট কিছু বৃত্তের ভেতরই গল্পগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে।
এরপরও প্রতিনিয়ত এর পাঠকপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সম্ভবত তাঁর টেক্সট বা লেখার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ঘোর। এই ঘোর একেবারেই মৌলিক যা আমাদের সামনে প্যারালাল একটি জগতকে উন্মোচিত করে। যার খোলস আমরা যতই ভাঙতে থাকি একটা বিহ্বলতা আমাদের চারপাশকে অক্টোপাসের মতো আকঁড়ে ধরে এবং সেটি আরও বিস্তৃত হতে থাকে। একইসঙ্গে নৈব্যর্ত্তিক একটা মেলানকোলিতে আমরা জড়িয়ে পড়ি। যার আবেশ থেকে আমরা কখনোই মুক্ত হতে পারি না। যে কারণে ফেলে যাওয়া রেশটুকু কুড়িয়ে নিতে আমরা আবার গল্পগুলোর শরণাপন্ন হই। কিন্তু প্রতিবারই পুরোনোটুকু ফিরিয়ে নেওয়ার বদলে আরও নতুন কিছু রেখে যাই, অনেকটা সেই আরব্য রজনীর গল্পের মতোই। এইসব ভাঁড়ার যেন তাই আর কখনোই পূর্ণ বা শূন্য হওয়ার মতো নয়। অগত্যা আমাদের গল্পগুলোর সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসতেই হয়। আমরা নিজেদের মুগ্ধতাটুকু রেখে নিজেদের মুক্ত করি এবং নিয়মিত বিরতিতে নিজেদের জগত থেকে জহিরীয় জগতে উঁকি দিয়ে দেখি। চেষ্টা করি ফেলে যাওয়া চিহ্নটুকু কুড়িয়ে নেওয়ার। কিন্তু জহিরের মুনশিয়ানা এমন যে, আমাদের সেই উঁকি দেওয়াই হয় নিজেদের কাল। ফলে আমরা আসলে কিছুই নিতে পারি না। এভাবেই তার গল্পগুলোর সঙ্গে আমরা একটা ‘ইন্দুর-বিলাই’ খেলাতে জড়িয়ে পড়ি এবং সেটা চলতেই থাকে।
জহিরের তৈরি করা এই ঘোরের জগতকে ডিকটেট করে মূলত তাঁর ভাষা। তিনি বিচিত্র ও স্বতন্ত্র এক গদ্যভাষায় গল্পগুলো লিখেছেন। এ ভাষা আমাদের সাহিত্যে অভিনব। তার আগে এবং পরেও এই ভাষাভঙ্গিতে কেউ তেমনভাবে গল্প-উপন্যাস লেখেননি। এ ক্ষেত্রে যদিও তাঁর পূর্বসূরি হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বা সৈয়দ শামসুল হকের নাম নেওয়া যায়। তবু এটা বলতে হবে যে তাঁদের কাছ থেকে বিষয়গতভাবে কিছু উপাদান গ্রহণ করলেও লিখনভঙ্গির জায়গায় শহীদুল জহির ছিলেন একদমই স্বতন্ত্র, অনেকটা নিঃসঙ্গ শেরপার মতো। ভাষাই তাই শেষ পর্যন্ত শহিদুল জহিরের গল্পের আধার। যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পগুলোর সঙ্গে পাঠকের সাঁকো তৈরির কাজ করে।
আমার ধারণা জহিরীয় দুনিয়ার সামগ্রিক উন্মোচন কখনো সম্ভব নয়। কারণ সেই ইন্দুর-বিলাই খেলা। আপনি যখনই আসবেন জেনেশুনে একটা ফাঁদে পা দেবেন। ফলে আপনাকে আবার আসতে হবে এবং আপনি আসতেই থাকবেন।
এক সাক্ষাৎকারে ভাষা নিয়ে তাঁর অবস্থানকে এখানে ফুটনোট আকারে রাখা যেতে পারে। কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জহির বলেছিলেন:
‘ভাষা শুধু ব্যবহার নয়, ভাষায় অংশগ্রহণের অধিকার আমার আছে। তোরে একটা ভাষা দিলাম ব্যবহার কর, কিন্তু খবরদার নষ্ট করবি না, ব্যাপারটা এই রকম হইতে পারে না, কেউ কেউ এরকম ভাবে হয়তো, ফলে তারা পাহারা দেওয়ার চেষ্টা করে। আলাদা হওয়ার চেষ্টা বা প্রয়োজনীয়তা নয়, বাংলা ভাষার প্রবহমানতার স্বার্থেই ভাষায় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
শহিদুল জহিরের গল্প-উপন্যাসের ভাষা এতই ‘ইউনিক’ যে, এটা অনুকরণ ও অনুসরণ অসম্ভব। বরং নবীন লিখিয়েদের জন্য তা এক মস্ত ফাঁদেও পরিণত হয়েছে; যে ফাঁদে পড়ে অনেককেই লেখালেখির পথ হারিয়ে ফেলতে দেখা গেছে। তবে এসবের মধ্য দিয়েই নিজেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন শহীদুল জহির।
শহীদুল জহির তাঁর চরিত্রগুলো নির্মাণ করেন প্রগাঢ় মায়া দিয়ে। আবদুল করিম, শেপালি বেগম, চাঁন মিয়া, আবদুল হালিম, আবদুল মজিদের জন্য আপনি এক ধরনের মায়া অনুভব করবেন। এমনকি আকাশের দিকে মানুষের মাংস ছুড়ে দেওয়া বদু মওলানার মতো নেতিবাচক চরিত্রগুলোও বহুমাত্রিকতা বা ‘ডায়নামিক’ আকার নিয়ে হাজির হয়। এই চরিত্রগুলো তাই যখন আপনার সামনে আসবে, যখন তাদের সঙ্গে আপনার পরিচয় ঘটবে, আপনি তাদের আর ভুলতে পারবেন না। যে কারণে ময়মনসিংহে যেতে চাওয়া আবদুল করিম কিংবা কখনো উন্মোচিত না হওয়া শেপালি অথবা বান্দরের দুধ খাওয়া পোলারা তাদের উদ্ভট কার্যকলাপের ভেতর দিয়ে বইয়ের পাতা থেকে আমাদের সামনে চলে আসে। এমনকি বিভিন্ন গল্পে একই নামের চরিত্র রিপিট করেও বিভ্রম তৈরি করেছেন তিনি। নিজের এই রিপিটিশন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শহীদুল জহির বলেছিলেন:
‘আপনি যখন ছবি দেখতে যান তখন একই লোক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে। যেমন ফেরদৌস ও রিয়াজ একই লোক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে। আপনি তাকে ওই বিভিন্ন চরিত্রেই ডাইলপুরির মইদ্দে গ্রহণ করেন।’
শহীদুল জহির জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আরেকটি বড় কারণ চরিত্রগুলো বইয়ের পাতা থেকে সাধারণ পাঠকের মুখে জায়গা করে নেওয়া। বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে পড়লে যাকে আমরা বলতে পারি মিমযোগ্য হয়ে উঠতে পারা। যেমন, ‘ডাইল নাইকা, হুদা আলু।’ বা ‘হালারা আলু দিয়া ডাইল পুরি বানায়।’জহিরের ডায়লগের এই মিম হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ও জগত নিয়ে অবশ্য আলাদা একটা লেখাও লিখে ফেলা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এসব ছোট ছোট বিষয়গুলোও শহীদুল জহিরের চরিত্র ও টেক্সটকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।
অবশ্য শুধু চরিত্র বা ডায়লগ দিয়েই নয়, স্থান-কালও নিজেদের ‘ইউনিকনেস’ নিয়ে আমাদের পপ-কালচার ও ভাইরাল দুনিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জাদুকে বাস্তবতায় রূপান্তরের কাজটা শহীদুল জহির করেছেন বেশ নিখুঁতভাবে। পাশাপাশি এসব জাদুকর কার্যকলাপের বিশ্বাসযোগ্যতাও তাঁর জনপ্রিয়তাকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর জহিরের জাদুর অংশটা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে রিপিটিশনের মতো বিরক্তকর বিষয়গুলোও তার লেখায় হয়ে উঠেছে অনন্যসাধারণ।
শহীদুল জহিরের সমসামিয়কতাও তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। তিনি যখন মুক্তিযুদ্ধের গল্প লিখেছেন, তা তিনি বর্তমানের ভেতর বসেই লিখেছেন। আর সেগুলো এতটাই জীবন্ত হয়ে পাঠকের সামনে এসেছে, এগুলোকে কখনো ধার করা বা আরোপিত মনে হয়নি। জাদুবাস্তবতাকে আশ্রয় করে যে গল্পটা তিনি বলতে চেয়েছেন, তা আমাদের চারপাশের জীবনেরই গল্প।
এবার শুরুর কথাগুলোয় আরেকবার ফিরে যাওয়া যাক। গল্প ও গল্পহীনতার সম্ভাবনার কথা। আগেই বলেছি, শহীদুল দুটোকে এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। ফলে সব এগিয়েছে সমান্তরালে। যেখানে পড়তে বসে গল্প খুঁজতে চাওয়া পাঠককে আলাদা করে কসরত করতে হয় না। ফলে শহীদুল জহিরের যেসব গল্পকে আপাত গল্পহীন মনে হয়, সেগুলোও শেষ পর্যন্ত পরিপূর্ণ গল্প আকারে আমাদের সামনে হাজির থাকে। এতে করে যারা গল্পে গল্প না পেয়ে মুখ গোমড়া করে বসে থাকেন, তারাও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মলাট বন্ধ করতে পারেন।
এই লেখক সম্পর্কে আরেকটা কথা বলে শেষ করা যাক। পাঠক না থাকা কিংবা গড়ে না ওঠা নিয়ে আমাদের যে আক্ষেপ, জহির সম্ভবত তার জবাবও। পাঠক যে নতুন সাহিত্য পড়তে চায়, নতুন কিছুর অপেক্ষায় থাকে, তার সার্থক উদাহরণও সম্ভবত শহীদুল জহিরের জনপ্রিয়তা।
আর জনপ্রিয়তাকে যাঁরা ভালো-খারাপ সাহিত্যের মানদণ্ড হিসেবে ধরে বসে থাকেন, তাঁদের জন্যও বড় দৃষ্টান্ত তিনি নিজে এবং তাঁর সাহিত্য। এত এত ইউনিকনেস নিয়েও শহীদুল জহির বড়সড় একটি পাঠকগোষ্ঠী তৈরি করতে পেরেছেন। যদিও সেটি হতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে সেটা যতটা না টেক্সটের কারণে তারচেয়ে বেশি প্রচারের অভাবের কারণে। আর এখন প্রচারযন্ত্র যখন পাঠকের হাতে, তখন শহীদুল জহির আরও বেশি স্বমহিমায় আবির্ভূত হয়েছেন। তবে আমার ধারণা জহিরীয় দুনিয়ার সামগ্রিক উন্মোচন কখনো সম্ভব নয়। কারণ সেই ইন্দুর-বিলাই খেলা। আপনি যখনই আসবেন জেনেশুনে একটা ফাঁদে পা দেবেন। ফলে আপনাকে আবার আসতে হবে এবং আপনি আসতেই থাকবেন।
হাসনাত শোয়েব
জন্ম: চট্টগ্রাম
পড়াশোনা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক
পেশা : স্পোর্টস জার্নালিস্ট
বই :
সূর্যাস্তগামী মাছ (কবিতা)
ব্রায়ান অ্যাডামস ও মারমেইড বিষ্যুদবার (কবিতা)
শেফালি কি জানে (মেটাফিকশন)
দ্য রেইনি সিজন (কবিতা)
ক্ল্যাপস ক্ল্যাপস (কবিতা)
প্রিয় দাঁতব্যথা (কবিতা)
বিষাদের মা কান্তারা (মেটাফিকশন)
সন্তান প্রসবকালীন গান (কবিতা)
সন্ধ্যায় ভুল পথে আহির ভৈরব (নভেলা)
স্যাডনেস উইল লাস্ট ফরএভার (কবিতা)
soyeb69@yahoo.com