কবি জীবনানন্দ দাশ যখন চিত্রকল্পকে কবিতা বলেন—তখন সমকালীন রসবাদি কবিরা উপস্থিত হন নানান যুক্তিতর্ক নিয়ে। আল মাহমুদ সে চিত্রকল্পের পাশে রখলেন উপমা। বললেন উপমাই কবিতা। পূর্বজ কবিগণের ভাবনাকে মেনে নিয়ে যোগ ও বিয়োগের সূত্র ধরে নূতন নূতন চিন্তার সারবত্তায়; এমন করেই পরিবর্তিত হয় কবিতা। আবার পূর্বজকবিগণের দেখানো পথকে অস্বীকার করে গড়ে উঠতে পারে কবিতার নূতন নূতন দর্শন এবং কবিতা কাঠামো। এর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ।
ভাবনা আমার কাছে দোদুল্যমানতা বা সংশয়। সংশয় ধরে নিলে বলা যায়—ভাবনা জ্ঞানের প্রথম দরোজা। নানান যুক্তি-তর্কের ভিতর দিয়ে তা ক্রমশ পরিবর্তিত হয়; হচ্ছে এবং হবে। দর্শন ও বিজ্ঞানে নজর দিলে তার সত্যতা প্রতীয়মান। কিন্তু কবিতা? —তারও বিবর্তন ঘটে দেহ-কাঠামোর মতোই। মানসিক গঠনের সাথে সাথে বদলাতে থাকে প্রবহমান নদীর মতো। কালচক্রের নানান বাঁকে নোঙর ফেলে। কবিতার যাত্রি সেখানে নতুন এক পৃথিবীর দেখা পায় আপন গরজে। তাই ‘কবিতা ভাবনা’ এ নিয়ে বলতে গেলে তা হবে খুব ক্ষণস্থায়ী মূল্যহীনের কথা—যা কিছু সময় পর বদলে যেতে পারে নতুন কোনো অজানাকে আবিষ্কারের মাধ্যমে। অথবা জন্মদিতে পারে বিতর্কের। কবি জীবনানন্দ দাশ যখন চিত্রকল্পকে কবিতা বলেন—তখন সমকালীন রসবাদি কবিরা উপস্থিত হন নানান যুক্তিতর্ক নিয়ে। আল মাহমুদ সে চিত্রকল্পের পাশে রখলেন উপমা। বললেন উপমাই কবিতা। পূর্বজ কবিগণের ভাবনাকে মেনে নিয়ে যোগ ও বিয়োগের সূত্র ধরে নূতন নূতন চিন্তার সারবত্তায়; এমন করেই পরিবর্তিত হয় কবিতা। আবার পূর্বজকবিগণের দেখানো পথকে অস্বীকার করে গড়ে উঠতে পারে কবিতার নূতন নূতন দর্শন এবং কবিতা কাঠামো। এর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ। তাঁর জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছের মাত্র এগারোটি কবিতা দিয়ে বদলে দিয়েছেন আমাদের কবিতা ভাবনার জগৎ ও কাল পরিক্রমা। আড়াই হাজার বছরের সাহিত্যে এটি ছিল নূতন এক বাঁক। কবিতা ভাবনার কথা বলতে গেলে অনেক কথা বলা যায়। যেহেতু কবিতা নিয়ে নানান রকম এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে এবং নানান ধরণের ভাষা-কাঠামো গড়ে উঠেছে এখন পর্যন্ত। কিন্তু সব কথার সাড়কথা আমি শব্দের ছলনা; ভাব-কল্পের ষড়যন্ত্র এবং কারুভাষার পৈশাচিক আনন্দকে কবিতা বলে মনে করছি আপাতত। কিন্তু এই সমস্ত লেখা কখনোবা হয়ে যেতে পারে জরার্জীণ শব্দ কাঠামো। কিংবা তরল ও সহজবোধ্য— কিন্তু এই সহজ সমীরণে যেই কল্পনার সননাগার চোখে লাগে তাকে বলাযায় ড্রিমন্যাস। যা এক্সপ্রেশনিজমকে বিকৃত করে নিজেকে প্রকাশ করে। আর একটু বাড়ালে বলা যায়— নিজের অন্তরগত হওয়া; মনকে প্রশ্ন করা! —এবং তার অনুলিখন করে যাওয়া। এই আত্মজিজ্ঞাসাই কবিকে কবিতা রচনা করতে সাহায্যকরে। কিন্তু যিনি কবি তিনি কবিতা লিখেন না—ষড়যন্ত্র করেন। কবি মূলত একটি ভ্রমর ফুলকে আঘাত করে—করে পাখির সাথে পরকীয়া। প্রকৃত সত্য হলো কবিতা যতটা না অধ্যায়নের বিষয়, বুঝার বিষয়; তার চেয়েও বেশি অধ্যায়ন, অনুভব ও উপলব্ধির বিষয়। কিন্তু তার আগে কবিতাকে চেনা খুব বেশি প্রয়োজন—যেহেতু সব রচনাই কবিতার মানদণ্ডে নয়। আমাদের পাঠক বা সমালোচক সমাজের লোকেরা কবিতার একটি Pattern দাঁড় করিয়ে কবিতাকে চেনার চেষ্টা-ফিকির করেন। কিন্তু এই চিরচারিত আঙ্গিককৌশলের বাইরেও কবিতা উপস্থিত। যে কারণে এই খণ্ডিত দৃষ্টি কবিতার বিশাল এক জগতকে দেখার আড়ালে রেখে দেয়। পিকাসো বলেছিলেন— ‘Everyone wants to understand art. Why not try to understand the songs of a bird? Why does one the night, flowers, everyone around one, without try to understand them?’
পিকাসোর এই বক্তব্য কেবল চিত্রশিল্প নয় কবিতার জন্যেও যথার্থ। যে কারণে কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করে তার পরিপার্শ্ব বুঝার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। Samuel Taylor Coleridge; William Wordsworth এর কবিতা ভাবনাকে এক করে বলা যায়—বহির্জগতের আলোড়ন এবং অভিজ্ঞতার মূর্ছনা যখন কবির অন্তরগত তাড়নার সংরাগে মিশ্রণ হয় হৃদয়াবেগ; তখন সুতীব্র অনুভূতির হিন্দোল ব্যঞ্জনায় এবং অনিবার্য শব্দদ্যোতনায় যেই রূপ লাভ করে তাই কবিতা। প্রাচীন ভারতীয় অলংকারিকদের বিশাল একটি অংশ কবিতা নিয়ে নানান রমক সংজ্ঞা দাঁড় করিয়ে কবিতাকে মার্জিন করতে চেয়েছেন। কিন্তু কবিতা শেষ পর্যন্ত মুক্ত। ধরাবাঁধা কোন নিয়মে তাকে যেমন আটকে রাখা যায় না তেম্নি কবিতা বিষয়ক ভাবনাও চিরায়ত নয়—বরং তা বহু ভঙ্গিল। বদলে যেতে থাকে। যেমন গোলাপের গাছটিতে ফুল ঝরে আবারও কলি ফুটে; কোনোটি হয়তো প্রস্ফুটিত হয় কোনোটি বা নষ্ট হয় অকালে। কবিতার প্রধান বাহক হলো ভাষা—আবার ভাষাকে বহন করে বা প্রকাশ করে শব্দ। একটি উদাহরণ এখানে উল্লেখ করা যায়—
বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
কবি জীবনানন্দ দাশ ‘নীড়’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ‘বাসা’ বা ‘নিলয়’ বা অনুরূপ ভিন্ন কিছু ব্যবহার করতে পারতেন। এতে শব্দের আভিধানিক অর্থে কোনো তারতম্য হতো না। কেননা পাখি শব্দের পরে ‘বাসা’ ব্যবহার ‘নীড়’-কেই অর্থ দ্যোতিত করতো নিঃসন্দেহে। কিন্তু ‘বাসা’ শব্দ প্রয়োগে কবির উচ্চমার্গ শিল্পমান না থেকে তা বরং গৌণ কবিদের মতোই হতো। এখানে সংস্থাপিত ‘নীড়’ শব্দের যে ব্যঞ্জনা-‘বাসা’ বা অনুরূপ প্রতিশব্দে সেই ব্যঞ্জনা বা শব্দাতিরিক্ত দোলা অনুপস্থিত। ‘নীড়’ শব্দের ব্যবহার শব্দের কমনীয়তা, লালিত্য, ও দৃশ্যমান চক্ষু-শীতলতা যেমন বর্তমান তেম্নি ক্লান্ত পাখির অর্থাৎ মানুষের বা কবির ঘরে ফিরার ঠিকানারও সন্ধান মিলে। কবিতায় যেই মোহনিয়া শব্দের কথা বলা হয় এখানে ‘নীড়’ শব্দটি তারই প্রতিনিধিত্ব করছে। অবশ্য কবিতা এই মোহনিয় শব্দের অতিরিক্ত কিছু। একই কবিতায় জীবনানন্দ দাশ ‘চোখ’ শব্দ প্রযুক্ত করেন তা শুধু চোখের আভিধানিক অর্থেই সীমাবদ্ধ নয়—বরং সেই পাখির নীড়ের মতো চোখ—হাজার বছরের ক্লান্ত—অনিকেত নাবিকের দু’দণ্ড শান্তি প্রার্থনা ও আশ্রয়ের প্রতীক; প্রিয়তমা নারীর প্রেমের আকাঙ্ক্ষা নিভৃতলোক হয়ে ওঠে। অনেকেই ভাব—অর্থাৎ বিষয়বস্তুকে আবার অনেকে ভাষা—অর্থাৎ শব্দকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ক্ষেত্রত দু’টোই গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। ভাব কখনো ভাষাকে ছাড়া যেমন দাঁড়াতে পারে না তেম্নি ভাষা—ভাব অবলম্বন করেই নিজের শক্তিকে বিকশিত করে।
একটি কবিতা লেখার পর তা যখন পাঠকের কাছে চলে আসে সেখানে নিজের বলে কিছু আসলে থাকে কি? আবুল হাসান যখন বলেন ‘মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবে না’ তা পাঠক মহলে এসে হয়ে উঠে বিশ্বজনতার।
অনেকে বলে থাকেন কবিতার কোনো মানে হয় না। এই বিষয়টি প্রায় আমাকে ভাবিত করে তুলে। প্রশ্ন হয় ভাষা কি তবে অস্পূর্ণ কোনো কিছু? নাকি ভাষা অর্থ প্রধানে অক্ষম? যদি কবিতাকে আইডিয়োলজির অংশ ধরে নিই তাহলে কোথাও না কোথাও তার নিজস¦ একটি ভাষা আছে—তার কোথাও না কোথাও একটি মানে আছে। তবে এটা আমি মানি যে কবিতা কোনো কোনো সময় সুনির্র্ধারিত অর্থ প্রধান করে না। শুধু কবিতা নয় শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রই এমন। তাহলে কবিতার মানে খুঁজতে যাবার অর্থ কি? কিংবা কেনই বা কবিতার কোনো মানে হয় না? মার্লামে ভাবতেন ভাষা অস্পূর্র্ণ, ভাষা অক্ষম। কিন্তু মার্লামের এই কথায় বিশ্বাস রেখে জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়া যায় না। পাঠকের কাছে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় যে দর্শন, আবেগের তাপ থাকে তা খুব একটা অস্পষ্ট থাকে না। তবে তার কিছু কবিতা আছে যা কেবল একটি অস্পষ্ট ধারণাকে প্রকাশ করে। যেমন তারঁ ঘোড়া কবিতাটি। শেষ পর্যন্ত তাও কি অস্পষ্ট? প্রশ্ন হতে পারে। মালার্মে শব্দের যে ঝলকের কথা বলতেন হয়তো সে কারণেই নিজের কবিতার লাইন বুঝতে চেয়েছিলেন অন্যের কাছে। তার মানে হলো গোপনে কোথাও একটু হলেও তিনি বিশ্বাস করতেন ভাষা অক্ষম বা অসম্পূর্ণ কিছু নয়। তাহলে এসব প্রশ্নের কেন উদ্ভব হয়? ধারণা করি চৈতন্যের তন্ময়তা থেকে কবিরা কল্পনার যে শব্দ অবয়ব দেন, তা অধিকাংশে পাঠক কল্পনার বাহিরে লিপিবদ্ধ হয়। যে কারণে কবিকে তার কবিতার অর্থ জিজ্ঞাস করলে অভিমান করেন। তারা সব সময় একজন অনুসন্ধানী পাঠকের কামনা করেন। নেরুদার একটি লেখায় লোর্কা প্রসজ্ঞে লেখেন লোর্কার কাছে তার কবিতার মানে জিজ্ঞেস করায় তিনি একজনকে উত্তর দেন ‘কোনো কবির কাছে তার কবিতার মানে জানতে চাওয়া আর কোনো মহিলাকে তাঁর বয়স জিজ্ঞেস করা একই রকম অসভ্যতা’। তার মানে হলো কবিতার মানে আছে এটা সত্য। অনেক কবি আছেন যারা নিজের কবিতার বিষয়ে বলে থাকেন ‘আমি আমার নিজের জন্য লিখি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার গীতাঞ্জলি নিয়েও এমন কথা বলতেন। তিনি বলতেন ‘নিজের মনে কথা বলা’। এসব কথা আপেক্ষিক সত্য ও বাস্তবতা ভিন্ন কিছুর ইশারা করে। নিজের মনের কথা তো সকল কবিই বলেন। একটি কবিতা লেখার পর তা যখন পাঠকের কাছে চলে আসে সেখানে নিজের বলে কিছু আসলে থাকে কি? আবুল হাসান যখন বলেন ‘মৃত্যু আমাকে নেবে, জাতিসংঘ আমাকে নেবে না’ তা পাঠক মহলে এসে হয়ে উঠে বিশ্বজনতার। তার এই ‘জন্ম মৃত্যু জীবনযাপন’ কবিতাটি হয়ে উঠে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের প্রতিটি দেশের। সব বির্তকের পর কবিতার দুটি দিক থাকে। এক বাহির মুখ যা আমার কাছে শব্দ জগৎ দ্বীতিয়ত ভিতর মুখ যাকে আমি কাব্য জগৎ বা অসীমতা বলে থাকি। এবং এই অসীমতা বা কাব্য জগৎ থেকেই কবিতার মানে পাওয়া সম্ভব। যেমন আমি পড়লাম ‘গাঢ় নিঃশ্বাসের ভিতর একবার মৃত্যুকে ভুলে গেলে আকাশে লেগে যায় চুম্বনের দাগ।’ এই কবিতার লাইনটি সুনির্ধারিত কোনো অর্থ প্রধান করছে না। কিন্তু এক ধরণের ইমাজিনেশন তৈরী করছে ফলে এক ধরণের তন্ময়তা আমরা পাই। তাহলে এবার পুরো কবিতাটি পড়ে নেয়া যাক—
শীতের বাতাস, তুমিও ঘুম যাও। গাঢ় নিশ্বাসের ভিতর একবার মৃত্যুকে ভুলে গেলে আকাশে লেগে যায় চুম্বনের দাগ। তুমি ওষ্ঠাধরের ধারে এসো না। আমাদের শিরা বেয়ে রক্ত বয়ে যাচ্ছে পূর্বের সকল আকাশে। ভোর ভেঙে গেলেই তুমি দেখো আমরা দিগন্তের রং হয়ে গেছি।
(চুম্বনের দাগ – নির্ঝর নৈঃশব্দ্য)
এই কবিতাটি কোনো আইডিয়া নির্র্ভর কবিতা নয়। তার শব্দে শব্দে কল্পনার ছোট ছোট চিত্র দেখতে পাই। সহজ করে বলা যায় চিত্রকল্প। যা একটি বিমূর্ত ভাষা নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে। এই ভাষার কারুকাজে এক ধরণের পরাবাস্তবতাও লক্ষ করি। মূলত এই পরাবাস্তবতা এই কবিতার প্রধান শিল্প। অনুভবের জায়গা থেকে আমারা এখানে যেমন প্রেমের আনন্দ পাই। যা কবিতার ভিতর মুখ। এবং এটি অর্থময়তার দিক থেকে শূন্য। তার কারণ হলো কবিতাটি বাস্তব ও বিভ্রমের একই সঙ্গে সংযোগকারী ও চূূর্র্ণকারী। চিত্রশিল্পে রেনে ম্যাগ্রিৎ তার চিত্রকলায় এমনটি করতেন। তার মানে এই কবিতা রেনে ম্যাগ্রিৎ দ্বারা প্রভাবিত? এমনটি মোটেও নয়। এটি একটি ফিউশনাল বাস্তবতা। এখন এই কবিতাকে প্রভাবিত কবিতা বললে পৃথিবীতে মৌলিক বলতে কিছুই থাকে না। ফিউশন নিয়ে এখানে আমি কোনো কথা বলবো না। যেহেতু অন্য একটি প্রবন্ধে তার আলোচনা করেছি। ‘আমাদের শিরা বেয়ে রক্ত বয়ে যাচ্ছে পূর্বের সকল আকাশে।’ এখানে যতটানা পরাবাস্তবতা আছে তার চেয়ে আরো ঘনিষ্ঠাভাবে আছে ম্যাজিক রিয়ালিজম। ম্যাজিক রিয়ালিজম সুররিয়ালিজমেরই একটি অংশ। অন্য সব সুররিয়ালিস্ট কবিরা পাঠককে যেমন Hallucination করে এই কবিতা আমাদের তা করছে না বরং একটি স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কবিতাটি পড়তে পড়তে তার আবহে আমরা যেই প্রেমের অনুভূতি পাই এটিই এই কবিতার মানে। আবহ সৃষ্টি করাই আমার কাছে কবিতা এই আবহের ভিতরেই প্রোথিত থাকে ইশারা ভাষা। সুতরাং সুনির্ধারিত কোনো অর্থ প্রধান করা কবিতার কাজ নয়—কবিতা আমাদের অস্তিত্বের অন্তরগত রহস্যের চিত্ররূপদাতা।
জাকারিয়া প্রীণন
১৫ জুন ১৯৯৭ ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত বই: কুম্ভ ও বিহঙ্গ মৌরিন (কবিতা)