শস্য ও পশুপালনের স্মৃতি | বিজয় আহমেদ

দেখেছি শুধু সূর্য হেলে পড়ে;
উত্তুরে হাওয়ার ত্রাসে খুলে
যায়, আংটি ও রিবন তোমার।
এই যে নিখিল-বাথান নিয়েছো
কাঁধে তুলে, দেখো এই অভিশাপে
নিয়ত তোমাকে চাপ চাপ করে
কেটে, করা হবে কিমা— মাংসের।
তোমার হাড্ডি খুলে নেওয়া হবে
রজ্জু, খুলি দিয়ে বানানো তাঁতে
ঘটাং ঘটাং শিস তুলে তুলে
প্রদর্শিত হবে অপেরা কোনো।
তারপর তোমাকে ভ্রাতৃঘাতী
সংঘাতেও জড়ানো হবে জেনো।
একদিন সূর্যাস্তে হয়তো
দেখবে ব্যক্তিগত রমণীর
হাত খসে যাচ্ছে, তোমার হাত
থেকে। বৃষ্টির দিনে, বিহবল
মেঘ ভেসে যাবে, তোমাকে নেবে না।
তবুও, প্রতিটি ভোর, প্রতিদিন
নতুন, তোমার পাকানো পেশিতে
ঢেলে দেবে স্নেহ। ক্ষুধা থেকে খুঁজে
পাবে সাবলীল শর্করা আর
পশুর ক্ষুর এনে দেবে মায়া
প্রেম কোনো; এই তবে খতিয়ান
তোমার, অস্ত্রের সাথে গোপন
কথাগুলোও নাও সেরে, আড়ালে।
 
এইভাবে শস্যখেতের দিকে
মেরুন চরাঞ্চলে, তুমি যাও—
শুরু হোক পিলগ্রিমেজ তোমার।
 
(ভূমিকা কবিতা)
আমি ঘোড়া দাবড়াই মনে রেখো
দূর থেকে খাদ্য আনতে যাই
যব, ভুট্টা, কালাই, গম আর
ধানশিশুর সঙ্গী বনে যাই।
আমি ঘোড়া দাবড়াই মনে রেখো
আমি তোমার বীরপুত্র মাগো
শহর ছেড়ে গ্রাম-প্রান্ত ধরে
সূর্যাস্তের ময়ূরসহ
খাদ্যবোঝাই ক্যারেজ টেনেই
আসবো ফিরে, পেশি-সন্ত্রাসে।
 
যেন-বা উষ্ণ এ মণ্ডলের
খাদ্যাভাব ঘুচিয়ে দেবো একা।
যেন-বা চরের তরমুজ বেচে
তরুণীর কোমরে লাভের টাকা
ও অস্ত্র ঝুলিয়ে, উড়ু হাসির
মতো ফিরছি বাড়ি, ঘোড়া দাবড়ে।
দূর মানে কতো সুদূরতা, জানো?
ঘোড়া দাবড়ে আনবো কিরে, বলো
আকাশ থেকে মেরুনরঙ, হিরে?
দেবো কি বিঁধিয়ে, সূর্যের বুকে
ধারালো ফলা আর সূর্যমুখী?
গ্রামের প্রান্ত ধরে, আহা ঘোড়া
দাবড়িয়ে, খাদ্যবোঝাই আমি
ফিরছি বাড়ি। ধানের ঘ্রাণে আজ
তুমি ভুলবে পুরুষদেহ আর
খোঁপার ফুলের কাছে, স্নেহ চেয়ো।
 
তোমার পুরুষ আলুপোড়া খায়
দিনভর তাড়ায় পাখপাখালি
উজাড় জমির কোমর, গলায়
দাঁত-কামড়ে ফসল ফলে, আহা
তোমার পুরুষ। পাখির ডানায়
বীজ তুলে দেয়। সেই বীজে দেখো
গোপন ম্যাজিক, নৃত্য দারুণ
পাখা মেলে। পোষা ময়ূরের ঠোঁটে
তুমি পত্র দিয়ো, প্রেমিকাসনে।
 
দূরদূরান্তের মেয়েরা আসে
তাদের ঘাগরা রঙিন, হেঁয়ালি
খুব। তারা পোষে পিম্পল, খুব
যত্ন করে। বুকের খাঁজে দেখো
গোপন পুলিশ রাখে। ঠারেঠুরে
বজ্র ডাকে। ওগো হত্যা করে
 
এই যে বনবনানী, মাঠজুড়ে
থাকা ফসল ওগো, ময়ূরসহ
ফিরবোই আমি। দাবড়িয়ে ঘোড়া।
মায়ের কাছে করবী আছে জানি
সুবাসে উথাল, লাল-শাদা-লাল।
 
এসো না গোয়েন্দা, ধানের দিনে;
জানে সবে ক্রূর সূর্যশিকার,
পশুবধেও হাতপাকানো। রুহু
খুব জাফরান যেন। এক কোপে
ধড়, কেটেই নেবে এমন
তেজি। যব-ভুট্টায় প্রাণ বাজি।
 
ঘোড়া দাবড়ে যাই আবার ফিরি
প্রাণে বাজে মায়া আর তড়পানি
শস্যের শিয়রে নিয়ত থাকি
যেন এক বায়েজিদ বোস্তামি।
 
০২
আমার বুকের ছাতি ধরে দেখো
মা, পানিতেষ্টায় কেমন নীল
আমার চোখ ছুঁয়েই দেখো বালি
কেমন চিকচিক করে ফুটছে
আমার বুক কেটে দেখো গো তুমি
সজ্জিত ফালি ফালি তরমুজ
আমার জিব কাটে কুটুম পাখি
নাইওরি যায় বোবা হয়ে দেখি
আমাকে পুঁতে রেখো বকুলতলে
ফুলে ফুলে ছেয়ে থাকুক শরীর
আমাকে রাখো বুকে তোমার যেন
ভাটিয়ালি ধরে জনপদ জাগে।
আমি তোমার অর্জুনগাছের
ছায়া হতে পারি। ফিঙের সাহস
রেখে, ঘুরে দাঁড়াতে পারি নিমেষে
আমি রক্ত দিয়ে, সেচের জল
বানাতে পারি, পা কেটে দিতে জানি
মহিষটানার চাকায়। উপড়ে
চোখ দিতে জানি সূর্যের কাছে
যেন-বা মণি থেকে আলো ঠিকরে
এসে দেখাতে পারে পথ। নয়নে
যে প্রেম একা একা মরেছে আহা
তার কোথায় কবর, বুক ছাড়া?
আমার কণ্ঠনালি ছিঁড়ে তুমি
বানাও জলপ্রবাহ, যকৃতে
গড়ো জলমেশিন ফসল তলে।
 
তোমার গর্ভ ছেড়ে বের হয়ে
গেছি চরাঞ্চলে যেন এতিম
পরিবার-পরিজনহীন একা
নদীর পলিকে ডেকেছি রে বোন
বীজের কাছে নগ্ন পাগলের
মতো গিয়ে পেতে দিয়েছি গলা
বলেছি, যদি লাগে ছিন্ন করে
নাও, আমাকে গ্রহণ করো, শুষে
নাও আর জাগো মৃদু উদ্ভিদে
কেননা জেনেছি দেহ দিয়ে দেহ
জাগে আর প্রাণ ধরে বেহেশত…
 
বকরির দলে থাকি। ময়দানে
মধু রেখে দেখো উড়ছে মৌমাছি
যে ভোর নিয়ত ঘুঘুডাকা, সেই
ভোরে নদীর বুকে পালাবো ডুবে।
মা গো তুমি নদীতে গড়েছো চর
চরে দিয়েছো আদিম স্বর্ণরেখা
সূর্যাস্তে একা কৃষক আমি
পশুর দল তাড়িয়ে দিগন্তে
মিশে গেছি। দিগন্তব্যাপে শোনো
গড়েছি বাথান, শস্যের বনানী।
 
আমার বুকের ছাতি ধরে দেখো
কাঁধের ট্যাটু থেকে উদিত কোটি
কোটি বছরের তাগড়া সূর্য
ছুঁয়ে ছুঁঁয়ে দেখো গোপন ফসিল।
বুকে জড়িয়ে রেখো। কাঁকই
হয়ে মিশে থেকো ঘন কালো চুলে
বাস্তুসাপ মনে করে আমাকে
মা গো, শাড়ির আঁচলে বেঁধে রেখো।
আমার শিরা-উপশিরায় ছোটে
নদী, শিঙায় শস্যের ঈদ
না ফিরলে ঘরে ‘জিয়ারত’ শেষে
ভেবে নিয়ো মা গো আমাকে শহিদ।
 
০৩
ছোট্ট নদীর, ঝকমকে জল
এক লহমায়, আসে ছুটে দূর
থেকে সাপের মতন আঁকাবাঁকা।
নদীর পানি, স্বচ্ছতোয়া, মুখ
দেখা যায়। পানি টানার ছলেই
নদীর জলে, সোনা তোমায় দেখি।
তুমি মানে চোখের কাজল আর
সরিষা ফুল। আঁজলা ভরে খাই
জল আর দেখি তোমাকেই। হায়
পশুর পাল তাড়ানো ভাই এলে
লুকিয়ো মুখ, লাজুক লতা। আর
পাও যদি দূরে আলুপোড়া ঘ্রাণ
সোনা, একটুখানি আমায় ভেবো।
 
লাল মোরগের পিঠে তুলো শিশু
কন্যাটাকে। সূর্যটাকে দিয়ো
তার কপালে এঁকে। যত্ন করে
তার কানে দিয়ো ওড়ালের গান।
 
জানো দূর থেকে যেই হাওয়ারা
আসে, অমনি বুকে কাঁপন ধরে।
ধান-গমের শিষ লাফিয়ে ছুটে
প্রান্তরে বসে একা ঘোড়া, এই
দেখে মুচকি হাসে। রেডিও ছেড়ে
হাওয়ার এ গুনগুনানি নিয়ো
শুনে। পথের পানে, হাওয়া-যানে
আসবো আমি মনেই রেখো। আজ
যদি মেঘের পাহাড় ভেদ করে
নেমে আসে বৃষ্টি নামের নীল
দৈত্য-দানো, ভয় পেয়ো না, ওগো
সাহস রেখো। একলা পথে জেনো
অনেক ফুলেরই পাপড়ি থাকে।
 
আচমকা আজ যে ফুলের ঘুম
ভেঙে যাবে, তার চুলের কাঁটা
পিংক সুবাসের এ মালিকানা
তোমার হবে। চোরাকাঁটায় বুঝি
বিঁধলে মন রক্ত ঝরে, বলো?
 
পশুর পালে তুমি কি শোনো গান
কোনো? তারাও আমার লাগে ভাই।
সুই-সুতায় যত্ন করে পাখা
বুনো, হাওয়ার গ্রাম লিখে দিয়ো।
ধানের ডানায় রঙ লেগে যেই
দুপুর হাসে, অমনি বুকে পেতে
কান, শোনো গর্জে তুফান। ভয়ে
কি কাঁদে এভাবে প্রেমিক হৃদয়?
 
গমের ডানায় দোল ওঠে যেই
মনে হয় যেন, শত শত কোটি
ধাতব ডানায় এফোঁড়-ওফোঁড়
হয়ে যায়, এই তামাম দুনিয়া।
 
আমি ঘোড়া দাবড়াই, কান পাতি
হাওয়ায়। শঙ্কায়, ভয়ে কাঁপে
বুক। খুঁজে খুঁজে দেখে নিতে চাই
ধানশিশুদের উজ্জ্বল মুখ।
 
ডানা ভাঙা পাখির ঠোঁটে উড়ে
যায় যেমতে রক্তাক্ত মাছ
বালির দানা থেকে কুড়িয়ে আনি
তেমনি প্রস্ফুটিত শাদা নাচ।
 
তুমি এক উড়ুউড়ু যান জানি
কোথায় যে যাও পালিয়ে নিমেষে
পালাবার দিন আনারের কাছে
জমা রেখে জন্ম খুঁজেছি বিষে।
এই যে নদী বহিয়া যায় শুধু
নাইওরি তার ভাটিয়ালি বুকে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদো তুমি আজ
ভবপারে অসীম পুত্রশোকে।
 
হাওয়া উড়ে গেলেও হাত ধরি
শরীরজুড়ে থাকি গো অধিকারে
কে রে পাষাণ নদীর পথে ডাকো
কৃষিকাজ ফেলে খুন ও শিকারে।
 
শিখেছি আমি নদীকে বেঁধে রাখা
ভরদুপুরে হইহই কোনো ম্যাজিকে
বিশ্বাস করে মাথা রাখো সোনা
সূর্যমুখীর কসমিক বুকে।
 
শিখিনি ছল, জানি না প্রতারণা
আগলে রাখি নদী-বুকের পলি
রমণী তুমি পশুপালকের বুকে
দিয়ো লাজুক অ্যারোমা-অঞ্জলি।
 
চিরকাল আলো আসে, আলো ফিরে
যায়, তীর ছুড়ে দিই শাদা বকে
রাতভর তারারা গায়, গাইতে
গাইতে মরে, নিজ হনন-সুখে।
 
হাওয়ায় রুবি কুড়াতে এসেই
পাই তোমাকে প্রেমেতে উদ্বেল
সাপের জিহ্বার মতন আজ
আমাকে ছোঁয় তোমার পনিটেল।
 
০৪
সূর্যাস্তে লীন হয় পথেরা।
কাঁধের ময়ূর কাঁপে হিমে। আর
ষাঁড়গুলো বাধ্য সন্তানের
মতো, খামারের দিকে যায়। আমি
তাদের গাঢ় চোখের দিকে চোখ
রেখে পাই ভরসা। সাহসী হয়ে
উঠি। আসে বসন্ত। চলে যায়।
সন্তান যেভাবে লাফিয়ে বেড়ে
ওঠে, দেখি সে দৃঢ়তা ধানে-গমে।
হাওয়ায় দোল খায় বোনদের
মুখ, দুলে দুলে ওঠে ওই দূর।
ভাইয়েরা দেয় কাঁধ, পিঠ। যেন
পৃথিবীর এই প্রান্তরজুড়ে
জাদুর স্পর্শে, সবকিছু রুবি
হয়ে ওঠে। আমাকে রেখো না
মনে, প্ল্যানচেটে পাবে। চোখ রাখো
শুধু, কতো দূর থেকে গোছা গোছা
ধান ডেকে ওঠে, জোর চিৎকারে।
 
চরাঞ্চলে ঘোড়া দাবড়ে ফিরি
তুমিও আমার ভাই-বোন হতে
পারো। জিওল মাছের মতো নাকে
নোলকসহ লুকাতে পারো, দূরে।
তবুও জানি ফিরবে ফের ঘন
সন্ধ্যায়, গজারের পেটে আহা।
 
গাভীর সুনিপুণ চোখ এসব
জানে। পিউপা আর তাঁতিরা সুতা
বুনতে বুনতে এই সব বলে।
কামরাঙা ফুলও এমন জানে
বলে মৃদু কেঁপে ওঠে, গুঞ্জনে।
 
০৫
ইউএফও যেভাবে ছুঁয়ে দেয়
এই পৃথিবী, ঠিক সেভাবে আমি
শব্দহীন, ভুট্টা-ধানে লীন
হয়ে যাই। অগোচরে ওগো মাছ
তুমি সঞ্চারণশীল এভাবে।
 
চাকা অথবা খুরের দাগ ধরে
গানের সাথে আসে রোগজীবাণু।
পতঙ্গ ওড়ে, চেনা শব্দের
পর, আরো কোনো তরঙ্গ জানি
ছড়াতে থাকে, কিছুটা রহস্যে।
যেমন জেনেছো খোঁপাজুড়ে থাকা
লাজুক কোনো মৃদু হাসির ফুল,
সত্য বলে না কখনো যেমন
খেতে দাঁড়িয়ে দেখেছো, মৃদু ঢেউ
কোনো, ইঞ্জিন ছেড়ে ঘর্ঘর
করে ছড়াতেও তার মুহূর্ত
লাগে কিছু। যেভাবে আলুপোড়ার
সুবাস এসে লাগে প্রথমে, তার
পরেই তোমাকে নিঃশব্দে ভেসে
যেতে হবে, এসো মৃদু ঢেউ, এসো…
 
এক চূড়া থেকে অন্য চূড়ায়
তারপর কোনো খাদে, খাদ থেকে
আবার চূড়ায় উঠে, দুলে দুলে
দেখে নিয়ো প্রেম, সাইনওয়েভে
কীভাবে ছড়ায়, নিরীহের দিনে
গমের শিষে। এভাবেই তোমাকে
দিতে হবে জিব, ফালি তরমুজে।
 
আমি ঘোড়া দাবড়িয়ে যাই ওগো
তোমার হাসির কাছে, ঘন বনে।
আর খাদ্যবোঝাই ক্যারেজের
কাছে রাখি মন। জানি, প্রেম পরে
আসে একা। তার আগে কার্পাস
তুলো। তারও আগে রুবির খনি।
আর অলক্ষ্যে উজ্জ্বল কোনো
সূর্যমুখী, ট্যাটুতে ফুটে থাকে।
 
০৬
ঘোড়া দাবড়ানো ক্যারেজের পাশে
আলুপোড়ার ঘ্রাণ। করবী বন
গড়ে ওঠে এর পাশে। আনারের
গাছগুলোও দেখি। হাওয়া বয়
ফুলে-ফলে প্রান্তর ভরে ওঠে।
পোষ মানে ঝড়, ঝোড়ো দিন, বুনো
মহিষের পাল, নেমে আসে ওই
দিগন্তের পাহাড় থেকে। মা গো
তোমার সন্তান, ভরদুপুরে
নতজানু হয়। মাটি, তার বুকে
বুনে দেয় প্রেম, নাবিকের চোখ।
 
দাঁড়িয়ে থাকা ক্যারেজগুলো, ঘোড়া
দাবড়ানো যদিও, ধুলোমলিন
গ্রহের বুকে দেখো অবলীলায়
এঁকে দিচ্ছে জয়চিহ্ন তার।
 
যেন-বা বলছে, যদি ডাকো প্রেমে
হাওয়াও সাড়া দেবে, পোষ মেনে
হয়ে ওঠে শত শত সন্তান।
যদি ডাকো বুক খুলে, সোনাব্যাঙ
হয়ে যাবে দেখো সুপুরুষ কোনো।
 
আর আগুন, পরাক্রমশালী
সে-ও, নিঝুম প্রেমিক আজ স্নেহে।
আর জল, এই মহাব্যাপৃত
ফসলখেতে যেন অ্যারোমা-শিশু।
 
এই ঝোড়ো মহাশক্তির দিনে
সোনা, আমি ঘোড়া দাবড়াই দেখো
পশুপাল জড়ো করি, বীজ বুনি।
শস্যের ঢেউ আসে। চরাচর
ব্যাপে হেমন্তদিন খেলা করে।
 
আর এ খাদ্যবোঝাই ক্যারেজ
অলৌকিক ক্ষমতার আলোয়
ছুটে গ্রামের প্রান্ত ধরে, দ্রুত
শহরের দিকে। তোমার কাতর
মানুষছানা, ভেড়ার সাথে ছড়া
বাঁধে। হাসে গায় অফুরান নাচে।


শস্য ও পশুপালনের স্মৃতি
বিজয় আহমেদ
প্রকাশক: চৈতন্য
প্রচ্ছদ: আরফান আহমেদের আঁকা ‘টু রাইট টু অ্যা লেটার’ শীর্ষক প্রজেক্টের একটি ড্রয়িং অবলম্বনে রুদ্র আরিফ
দাম: ১৬০ টাকা

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading