নতুন কবিতার সন্ধানে | মিসবাহ জামিল

চলো বহুদূর

 

তার বক্তৃতা শ্রেণি বিভাজন ভাঙার হাতুড়ি

দেশ ও জনতাকে নিয়েই ভাবনা

যেন দেশ-জনতা একটি গ্রহ

উপগ্রহ হিশেবে তার আবর্তন

বলছি, আমার বান্ধবী ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মনীষা পালের কথা

ভাঁপ ওঠা ভাতের মতো যার যৌবন

কাঁধে হাত রেখে যে আমাকে বলে, দোস্ত আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে চলো বহুদূর

 

আমি ও মনীষা যেন যোগ অংকের দুটি সংখ্যা। আমাদের যোগফল বন্ধুত্ব। মনীষাকে নারকেলের সাথে তুলনা করা যায়। তার হৃদয় শাঁসের মতই ধবধবে শাদা। হিংসা-অহংকার নামের কোনো ময়লা নেই। মানুষের কল্যাণ ছাড়া কিছুই বোঝে না সে। আন্দোলন-সংগ্রামকে ফলগাছ ভাবে। আর মানুষের অধিকারকে ভাবে ফল। সহকর্মীদের নিয়ে গাছ লাগানোই তার কাছে ইদ-পূজোর আনন্দ।

 

মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছি বিপ্লবীর ভূমিকায়। বাধা শব্দটি মাকড়শার জালের মতো ঘিরে রেখেছে আমাদের। আমরা থামছি না।

গাড়ির গ্লাস থেকে কুয়াশা সরানোর মতো বাধা সরিয়ে এগিয়ে চলছি…। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে শোষককে বুঝিয়ে দিচ্ছি—আমরা স্থিরচিত্র নই। আমরা থেমে থাকব না।

 

আমাদের কর্মকাণ্ডে সরকার বকের ভূমিকা নিয়েছে। যেভাবে ঘাপটি মেরে মাছ ধরে বক। সেভাবেই আমাদের ধরতে চাইছে। তবু অনিয়ম রুখে দিতে আমাদের আন্দোলন চলমান। শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। জেল-জুলুম বিন্দুমাত্র ভয় পাই না। জেল-জুলুম আমাদের কাছে পুরস্কারস্বরূপ। যেহেতু আন্দোলন করি।

 

ময়লার বিরুদ্ধে সাবান যেমন ভূমিকা রাখে— অন্যায় অবিচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদেরও ভূমিকা তেমন। আমরা চাই ধবধবে পরিষ্কার জামার মতো সমাজব্যবস্থা। আমরা চাই সমাজতন্ত্র। মানুষ মানুষের প্রতিপক্ষ নয়, আমরা চাই মানুষের মাঝে ভালোবাসা যোগচিহ্ন হয়ে বসুক। আর যোগফল দাঁড়াক ভ্রাতৃত্ব।

শেয়ার