ফিলিস্তিন এমন এক ভূখণ্ড, যেখানে দিন নাই, রাত নাই, সকল সময়ই অন্ধকার—সকল সময়েই এখানে ওৎ পেতে থাকে মৃত্যু, শত্রুর বোমা আর গুলির শব্দ এখানকার মানুষের শোনা একমাত্র মিউজিক, এখানকার শিশুরা জন্ম নেয় বটে, কিন্তু কখনো বড়ো হয় না। এভাবেই, গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে মৃত্যুর সাথে বসবাস করছে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে, স্বভূমি হারিয়ে ওদের অনেকে বেছে নিয়ে শরণার্থীর জীবন। যুগ যুগ ধরে ওরা লাখ লাখ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে কেবল স্বাধীনতা চেয়ে, মানুষের মৌল-মানবিক অধিকার চেয়ে। কিন্তু ওদের পক্ষে কোনো রাষ্ট্রসংঘ নেই – নেই কোনো বিশ্বমোড়ল, কারণ ওরা ক্ষমতাবলয়ের বাইরে। দুই হাজার তেইশে এসে ওরা হাসপাতালেও হামলা করেছে, ফিলিস্তিনের মায়েরা এখন সন্তানের হাতে-পায়ে অমোচনীয় কালিতে ওদের নাম লিখে দিচ্ছে যেন দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে মরলেও লাশ শনাক্ত করা যায়—এমন নিঠুর সময় কবে এসেছিলো আর! ফিলিস্তিনের মায়েদের মতন যন্ত্রণা বোধহয় এই মুহূর্তে প্রাণীজগতের আর কোনো মায়েদের সহ্য করতে হচ্ছে না, দুই হাজার তেইশের অক্টোবর-নভেম্বরেই সেখানে ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় প্রায় সাত হাজার শিশু প্রাণ দিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে মায়ের কোল থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে ১১৬ জন! অবৈধ অনুপ্রবেশ করে প্রতিদিনই ভূমিপুত্রদের ধরে নিয়ে নিক্ষেপ করছে অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে। আমরা এই নৃশংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই কেননা আমরা ফিলিস্তিন ও পৃথিবীর সকল প্রাণের মুক্তির পক্ষে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ ও শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
— রুহুল মাহফুজ জয়
মাহমুদ দারবিশের দীর্ঘ কবিতা ‘গাজার লাগি নীরবতা’ | ভূমিকা ও ভাষান্তরঃ জহির হাসান
মোসাব আবু তোহা’র কবিতা | ভূমিকা ও ভাষান্তরঃ রাফসান গালিব
কবি ও বিপ্লবী গাসান কানাফানির সাক্ষাৎকার | ভাষান্তরঃ তানজিনা নূর-ই সিদ্দিকী
গাসান কানাফানির রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার | ভাষান্তরঃ মাসিয়াত জাহিন
হানযালা কে? | ভাষান্তরঃ লাবিব ওয়াহিদ
এক যে আছে তরমুজ রঙের দেশ | হাসনাত শোয়েব
ফিলিস্তিনকে নিয়ে কিছু লেখা যায় না আসলে | মীর হুযাইফা আল মামদূহ