তোমাকে মনে করার
তোমাকে মনে করার সব হেতু ছাড়িয়ে ঘটনার এক প্রান্তে জিরাফ এসে ঢেকেছে, আলোকুসুমের কোথাও পৌঁছানোর পরে আটকে যাওয়ার মতোন এই সেই ঘটনা পুনঃ হেতু হয়ে ফিরেছে আবার ম্যালওয়্যারজনিত সমস্যায় চিঠি পৌঁছানো আটকে আটকাবে চুম্বন। লম্বা পাইনের সারির হাওয়া আটকানোর কোশিশের ভিতর চুপিচুপি বেরিয়ে আসা একটা হাওয়া এসে জানায় এসব— কেমন ঘাটখোলার মতন পানি আটকাচ্ছে না ফিরফির করে উঠছে, সীমান্তে শত্রুরাষ্ট্রের উৎপাত, ভিতরে সামুরাইকোন্দল, কেমন পলাশীর পাড়ে এসে ঠেকেছে আমার সামা—ই মাহফিল?
দন্তডাকাত ঠুকরে খাচ্ছে যেন পুরো বাগদাদ।
ইরা
সেখানে ঝাপসা থাকে
কালোজাম থেকে রস চুঁইয়া পড়ে
দ্যাখো ইরা— কিছু প্রাণী তো থাকেই
তোমার কৌতুহলগুলাও ছিলো একদিন
তারা আজ নেই
সেখানে
ছোট হরিণের বাচ্চা কী করে?
দ্যাখো ইরা—
সে খুড়াইয়া হাঁটে, তার হাঁটু ভাঙা
বাঘ যখন আসে কিংবা চিতা, সে দৌড়ায় প্রচুর দৌড়ায়—কল্পনায়।
পাতা
কতটুকু পাতা জুড়ে লেগে থাকে স্মৃতি? এই সবুজ শস্যক্ষেতের ‘পর— বসে শুধু ভাবি কতটুকু মেঘপনা এই আকাশের সম্বল? টিনের চালের নিচে তোমার যে চোখ এলায়িত ঘুম নিয়ে জেগে থাকে তার-ই বা কতটুকু গোলাপজল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মরার মতো পড়ে থাকা আমার উপর। তোমার যে ভেলকি, যে টোল আমার জামার ফাঁকে হাওয়া হয়ে ওড়ে তার—ই বা- তার—ই বা কতটুকু সিনেমা? সিথানে বসে কি পাতা উড়াইয়াছ? কভু কারো পাশে বসে কি উড়াও নাই গাছ থেকে ঝরে পড়া শুকনো পাতা? তবে আসো পাতা উড়াও- পাতা উড়াও। আমি দেখি তো ঝরে পড়া পাতা কতটুকু ওড়াতে পারো তুমি।
শোক/সুখ
পুরনো দফতরখানায়
শোক/সুখ শোকাতে ভিজে যাই,
পত্র খুলে দ্যাখি—তৃণ
“আড়ত ফেলে যাওয়া লাল কবুতর
ফেলে যাচ্ছ, যাও
সুখেরও স্থায়িত্ব থাকে
যেমন শোকের”— লিখেছি একদিন।
অনুকরণ
শান্ত হয়ে শুয়ে আছো
এই শুয়ে থাকা
পুরনো এবং প্রত্যাখ্যাত বাড়ির ভেতর
আমি প্রত্যক্ষ করি
অনাদিকালের ছাঁচে
ভেসে যাওয়া হাওয়ার প্রবাহ
প্রবল হচ্ছে ক্রমশ
তুমিও কি ভেবেছিলে—
এই তেড়ে আসা হাওয়ার দিনে
শূন্যে ঝাপ দেওয়ার কথা?
পুরনো এবং প্রত্যাখ্যাত বিল্ডিং থেকে
চৌহাটা রোডের উপর,
ধপাস করে পড়ে যাওয়া
সেই মেয়ের মতন।
রেদওয়ান আহমদ
জন্ম : ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬ ; সিলেটে৷
শিক্ষা : দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়।