ক্যাপিটালিজম অ্যা গোস্ট স্টোরি (অন্তিম পর্ব) ।। অরুন্ধতী রায় ।। অনুবাদ: মূর্তালা রামাত ও শারমিন শিমুল

কিন্তু পুরোনো দিনের রাজনীতি এখন কিছুটা সমস্যায় আছে। গত কয়েকটি উত্তাল ঘটনাবহুল মাসের পর কেবল প্রধান রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তিই যে নষ্ট হয়েছে তা নয়, বরং আমাদের পরিচিত রাজনীতির ধারণাটাই ধ্বসে পড়েছে। কারণটা-  দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, অথবা ধর্ষণ এবং নারীর বিরুদ্ধে হিংস্রতা বৃদ্ধি যাই হোক না কেন, নতুনভাবে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেই পুলিশ ব্যারিকেডে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে। এদের উপর লাঠি চার্জ বা পানি কামানের হামলা চালানো যায়। কিন্তু কয়েক হাজার মানুষকে তো আর গুলি করে বা গরাদে পুরে রাখা যায় না। যদিও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ, দলিত, আদিবাসী, মুসলিম, কাশ্মিরী, নাগা, এবং মনিপুরীদের ওপর অবলীলায় এসব অত্যাচার চালানো গেছে। তবে, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো জানে যে সম্পূর্ণ ধ্বংসলীলা এড়াতে চাইলে, এই আগ্রাসী আন্দোলনের মাথা কেটে ফেলে একে অন্য পথে চালাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জানে যে রাজনীতিকে তার আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে হলে তাদের সবাইকে অবশ্যই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক দাবানল ছড়ানোর চাইতে ভাল উপায় আর কি হতে পারে? (এসব করা ছাড়া আর কিভাবেই বা সেক্যুলারেরা সেক্যুলার হবার ভান করবে এবং সাম্প্রদায়িকরা আরো সাম্প্রদায়িক হবে?) অথবা হয়তো ছোটখাটো কোন যুদ্ধ ঘটাতে হবে যাতে আমরা সবাই নতুন করে বাজপাখি আর পায়রা’র খেলা শুরু থেকে খেলতে পারি।

কাশ্মীর নামক সেই পুরোনো, বহু ব্যবহৃত, এবং বিশ্বস্ত ফুটবলে লাথি মারার চাইতে ভালো সমাধান আর কি হতে পারে? আসলে আফজাল গুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় জন্য যে নির্লজ্জতা দেখানো হয়েছে, যে সময়কাল বেছে নেয়া হয়েছে তার সবই ইচ্ছাকৃত। এই ঘটনা কাশ্মীরের রাস্তায় রাজনীতি এবং ক্ষোভ ফিরিয়ে এনেছে।

ভারত আশা করে, বরাবরের মতোই সে তার বর্বর সামরিক শক্তির সাথে বিষাক্ত ম্যাকিয়াভিলিয়ান ম্যানিপুলেশনের সমন্বয় ঘটিয়ে জনগণকে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে।

পুরো বিশ্বের সামনে কাশ্মীরের যুদ্ধকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে মনে হয় যে যুদ্ধটি সমগ্র সেক্যুলার গণতন্ত্র এবং চরমপন্থী ইসলামবাদীদের মধ্যে ঘটছে। সেক্ষেত্রে, মুফতি বশিরউদ্দিন- কাশ্মীরের তথাকথিত প্রধান মুফতির (তার পদটি সম্পূর্ণভাবে একটি ভুতূড়ে পদ) ব্যাপারটি থেকে আমরা কি বুঝে নেব? মুফতি বশিরউদ্দিন জঘন্যতম ঘৃণা সৃষ্টিকারী বক্তব্য প্রদান করেছেন এবং একটার পর একটা ফতোয়া জারি করে কাশ্মীরকে একটি পৈশাচিক, অপরিবর্তনীয় কট্টর ওহাবি সমাজ হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ তিনি সরকারিভাবে নিয়োগকৃত একজন ধর্মযাজক। এ থেকে আমরা কি বুঝে নেবো? ফেসবুকের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা গ্রেপ্তার হবে কিন্তু বশিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হবে না। ভারতীয় সরকারের চোখের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের অপরিবর্তনীয় অংশীদার রাষ্ট্র সৌদি আরব থেকে  যে কাশ্মীরের মাদ্রাসাগুলোতে বন্যার তোড়ের মতো টাকাপয়সা এসে জমা হচ্ছে সে ব্যাপারটিই বা আমরা কিভাবে গ্রহণ করবো? বহু বছর আগে সিআইএ আফগানস্থানে যা করেছিল তার সাথে কাশ্মীরের এই পরিস্থিতির পার্থক্য কি? আফগানস্থানের সেই দুঃখজনক পরিস্থিতির কারণেই ওসামা বিন লাদেন, আল-কায়েদা, এবং তালিবান গোষ্ঠির সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই আফগানস্থান এবং পাকিস্তানে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছে। কাশ্মীরের এই পরিস্থিতি কি ধরণের প্রেতাত্মার বাঁধন খুলে দিতে পারে, সে ব্যাপারে আদৌ কারো কোন ধারণা আছে কি?

পুরোনো সেই রাজনৈতিক খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করাটা এখন আর অতো সহজ নয়। এই খেলা এখন তেজস্ক্রিয়ভাবে ক্রিয়াশীল। “নব্য পরিস্থিতিতে” তৈরি হওয়া হুমকির বিরুদ্ধে যাতে নিজেদের রক্ষা করা যায় সেজন্য কিছুদিন আগেই পাকিস্তান একটি স্বল্প পাল্লার যুদ্ধ-মিসাইল পরীক্ষা করেছে। অন্যদিকে দু’সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের পুলিশ সেখানকার জনগণের জন্য পারমাণবিক যুদ্ধের সময় কাজে লাগবে এমন “জীবনরক্ষাকারী পরামর্শ” প্রকাশ করেছে। এতে পুরো পরিবারসহ দু’সপ্তাহের জন্য আশ্রয় নেয়ার উপযোগী করে মাটির নিচে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ বোমা নিরোধক ঘর বানানোর উপদেশ দেয়া হয়েছে। পরামর্শে আরো বলা হয়েছে: “পরমাণবিক আক্রমণ চলাকালে গাড়ি থেকে চালকদের লাফিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে লাফটা যেন যেদিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেদিকেই হয়। এতে করে খানিক বাদে উল্টে পড়া গাড়ি নিচে চাপা পড়ার হাত থেকে তারা বেঁচে যাবে।” এছাড়াও এ পরামর্শ পত্রে প্রত্যেককে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “প্রাথমিক কিছু বিশৃঙ্খলার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকুন। কারণ বিস্ফোরণের ঢেউ হয়ত বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিত কিছুর অংশবিশেষ উড়িয়ে আনবে।”

হয়তো গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিত কিছুর অংশবিশেষ ইতোমধ্যেই উড়ে গেছে। হয়তো একটু পরেই গাড়ি উল্টে যাবে আর আমাদেরকে এখনই লাফ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।

 

শেষ কথা

পিপল’স ইউনিভার্সিটিতে দেয়া বক্তব্য

গতকাল সকালে পুলিশ  জুক্কুটি পার্ক খালি করে দিয়েছে। কিন্তু আজকেই আবার সব মানুষ ফিরে এসেছে। একথাটা পুলিশের জানা প্রয়োজন যে এই প্রতিবাদ কোন জায়গা দখলের যুদ্ধ নয়। আমরা এখানে সেখানে কোন পার্ক দখলের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি না। আমরা সুবিচারের জন্য যুদ্ধ করছি। সুবিচার, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের জন্য নয়, বরং সবার জন্য। ১৭ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে “অকুপাই মুভমেন্ট” আন্দোলন শুরু হবার পর থেকে আপনারা যা যা অর্জন করেছেন তা হলো সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে নতুন এক কল্পনা, আপনারা এক নতুন রাজনৈতিক ভাষার সূচনা করেছেন। আপনারা নতুন করে স্বপ্ন দেখার অধিকারের সূচনা করেছেন। এ স্বপ্নের অধিকার এমন একটি ব্যবস্থার ভিতর সূচিত হয়েছে যে ব্যবস্থায় সবাই অন্তঃসারশূন্য এক বস্তুবাদে নিমজ্জিত হয়ে এই বস্তুবাদকেই সুখ এবং পরিপূর্ণতা বলে ভাবছে। একজন লেখক হিসেবে আমি আপনাদের বলতে চাই যে, এটি বিশাল এক অর্জন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাবার ভাষা আমার জানা নেই।

আমরা সুবিচারের কথা বলছিলাম। আজ যখন আমরা এখানে কথা বলছি, তখন ইরাক এবং আফগানিস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা দখলদারিত্বের যুদ্ধ চালাচ্ছে। পাকিস্তান এবং অন্যস্থানে মার্কিনি ড্রোন বেসামরিক জনগণকে মেরে ফেলছে। হাজার হাজার মার্কিন সেনা  এবং ডেথ স্কোয়াড এগিয়ে চলছে আফ্রিকার দিকে। যদি আপনাদের টাকা থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে ইরাক এবং আফগানস্থানে দখলের অভিযান চালানোটা যথেষ্ঠ না হয় থাকে তবে জেনে রাখুন, ইরানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। গ্রেট ডিপ্রেশন এর পর থেকেই যেসব উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে চলছে তার মধ্যে অন্যতম হলো যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করা এবং যুদ্ধ রপ্তানি করা। খুবই সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার শাসনামলেই, যুক্তরাষ্ট্র সৗদি আরবের সাথে ছয় বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন করছে। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তারা হাজার হাজার বাঙ্কার বিধ্বংসী গোলা বিক্রি করতে পারবে। আমার দেশ ভারত যার কীনা আফ্রিকার সবগুলো দেশের দরিদ্র জনসংখ্যার চেয়েও বেশি গরিব জনগণ আছে তার কাছেও দেশটি পাঁচ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিমান বিক্রি করেছে। হিরোশিমা আর নাগাসাকির ওপর বোমা বর্ষণ থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম, কোরিয়া, লাতিন আমেরিকা অবধি এ পর্যন্ত যতো যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে তাতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে- এবং এরা সবাই “আমেরিকার জীবন যাত্রা” রক্ষা করতেই যুদ্ধে জড়িয়েছিল।

এখন আমরা জানি যে, “আমেরিকান জীবন যাত্রা”- যেটিকে মডেল হিসেবে নিয়ে অন্যান্য সব জাতিকে তা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালানো উচিৎ বলে মনে করা হয়- তার ফলাফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক মানুষের কাছে যে সম্পদ থাকার কথা ছিল আজ তার মালিক মাত্র চারশো জন। এর অর্থ হচ্ছে, একদিকে যখন হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘর আর চাকরি হারিয়েছে অন্যদিকে তখন মার্কিন সরকার ব্যাংক এবং কর্পোরেশনগুলোকে জামিনে মুক্ত করছে- শুধু আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ (এআইজি)কেই সেসময় ১৮২ বিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে।

ভারতীয় সরকার মার্কিন অর্থনৈতিক পন্থাকে পূজা করে। বিশ বছরের মুক্তবাজার অর্থনীতির ফসল হিসেবে, আজ ভারতের একশ ধনী ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ দেশের সমগ্র জিডিপি’র এক চতুর্থাংশের সমান। অথচ, ভারতে শতকরা আশি ভাগেরও বেশি মানুষ দৈনিক পঞ্চাশ সেন্টেরও কম আয়ে জীবন যাপন করছে। দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কৃষক এক মৃত্যুচক্রের ভেতর ধাবিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এটাকে প্রগতি বলে ডাকি আর নিজেদেরকে আজ সুপার পাওয়ার বলে মনে করি। আমরা মনে করি, আমরা তোমার মতোই (যুক্তরাষ্ট্রের মতোই) সক্ষম, তোমার মতোই আমাদের পারমাণবিক বোমা আছে, আছে দেশজুড়ে অনৈতিক অসমতা।

সুসংবাদ হলো, মানুষ অনেক সহ্য করেছে এবং এসব তারা আর মেনে নেবে না। পুরো বিশ্বের অন্যান্য আরো হাজার হাজার প্রতিরোধ আন্দোলন, যেগুলোর মাধ্যমে দরিদ্রতম মানুষেরা উঠে দাঁড়িয়েছে এবং সবচেয়ে ধনী কর্পোরেশনগুলোর এগিয়ে চলার পথ বন্ধ করে দিয়েছে- “অকুপাই মুভমেন্ট” আন্দোলন তাদের সাথে এসে যোগ দিয়েছে। আমাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল যে, আমরা আপনাদের অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে, আমাদের পক্ষে দেখতে পাবো;  সাম্রাজ্যের একেবারে কেন্দ্রে বসে আপনারা আমাদের পক্ষাবলম্বন করার সাহস দেখাবেন।  আমি জানি না, আপনারা যা করেছেন কীভাবে সেই কাজের বিরাট অর্থবহতা আপনাদের কাছে প্রকাশ করবো।

ওরা (ঐ ১%) বলে যে, আমাদের কোন দাবী নেই….ওরা জানে না যে, সম্ভবত, কেবল আমাদের ক্রোধই ওদেরকে ধ্বংস করে দেবার জন্য যথেষ্ঠ। তারপরও এখানে কিছু বিষয়- আমাদের নিজেদের জন্য আমার কিছু “প্রাক-বিপ্লব” চিন্তাভাবনা- আমরা তা একসাথে ভেবে দেখতে পারি।

 

*যে পদ্ধতি অসাম্য তৈরি করে আমরা তার উপর ঢাকনা বা লিড আটকে দিতে চাই।

 *ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অবারিত ধন সম্পত্তি সঞ্চয়ের উপর আমরা  লিড বসিয়ে দিতে চাই।

 # ক্যাপ-ইস্টস এবং লিড-আইটস হিসেবে আমাদের দাবী দাওয়া হলো:

এক:  একই মালিকের  ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। যেমন: অস্ত্র উৎপাদনকারীরা টিভি স্টেশনের মালিক হতে পারবে না, খনির মালিকেরা সংবাদপত্র চালাতে পারবে না, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তহবিল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

দুই: প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো- পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, এবং শিক্ষা- ব্যক্তি মালিকানাধীন হতে পারবে না।

 তিন: সকলেরই আশ্রয়, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য রক্ষার অধিকার থাকবে।

 চার: ধনীর সন্তানেরা তাদের বাবা-মায়ের সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না।

এই সংগ্রাম আমাদের কল্পনাকে আবার জাগিয়ে তুলেছে। চলার পথে কোন এক জায়গায় পুঁজিবাদ ন্যায়পরায়ণতার ধারণাকে কাঁটছাট করে শুধু “মানবাধিকার” এর পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, এবং মানুষে মানুষে সমতার স্বপ্ন হয়ে উঠেছে ঈশ্বরে অবাধ্য হবার মতো অপরাধ। সুতরাং, যে ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অপসারণ করা দরকার তাকে আনাড়ির মতো সংস্কার সাধনের জন্য আমরা যুদ্ধ করছি না।

একজন ক্যাপ-ইস্ট এবং লিড-আইট হিসেবে আমি আপনাদের সংগ্রামকে শ্রদ্ধা জানাই।

সালাম এবং জিন্দাবাদ।

(সমাপ্ত)

 

 

শেয়ার