শীতের ডায়েরি
আহত পাখির চোখে দেখেছি ক্লান্তিময় প্রস্থান
সন্ধ্যার ডানাভাঙা ঘরগুলো যেখানে স্থিরায়ু, বুভুক্ষু-
কঠিন মাটির বুক ভেঙে আরো কঠিন উৎরত ছায়াতল
বীজের উত্থান; এই নরম শরীরেরগাঁট জুড়ে বালির গন্ধ
যেখানে ভেসে ভেসে আসে জলের বাতাস,
মাছের নামতা পড়া দুপুরে ঘুণপোকা আর পাঁচালির সুর।
দীর্ঘ বালিয়াড়ি পেরিয়ে ছায়েল দু’খানি ঘর আর
জ্যান্ত কই এর ঝাপ্টানো দেখি আষাঢ়ের উঠোন মেঘে
সরষে মেয়ের চোখে রোদের আদর- আঁচ লেগে
পুড়িয়ে আনে দৃশ্যের ঘের,আরো নিপাট করে আনে
ভাঁজের ঝালর।
মেয়ে, তুমি গল্পের দুপুর ভেঙে বৃষ্টি ডেকেছিলে
ভীষণ মেঘের কালো রঙ এঁকে বিদ্যুত সেজেছিল হাসি
যাহ!কল্পনার মৈথুনে বেডরুম ভিজে গেছে-
বৃষ্টি এসে ধুয়ে গেছে শীতের বিকেল যত ছিলো
জমানো কৌটোয় তুলে রাখা।
কার ঘুম এলো চোখে
গোধূলির চায়ের কাপে যে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়েছে,
তাকে ভালো লেগেছিল।
উড়ন্ত বকের সারি পাপড়িতে ছায়া ফেলে
নরম করেছে আরো শরীরের ভাঁজ-
মাটির গন্ধ তাকে টেনে নিয়েছিল।
দূরের পাহাড়ে আছে বিকেলের কফিক্ষেত,
শস্যভারে নত যার অমিত বেদনা
নরমানো চোখের আলোয় ই ভালোবেসেছিল
সে তো সন্ধ্যের মেঘে চিঠি পায় নি আর খুঁজে।
দুপুরের রোদ পড়ে এলে ফের
পোঁছে যাবো ট্রামে করে বাড়ির পথ
পকেটে ক’পয়সা কম পেলে ‘পর
চা’র বিল হাঁটা পথ মেপে দেবে কত-
সন্ধ্যের চিঠি যদি ডাকে না ফেরে-
চোখের পাতায় রেশ থেকে যায় আরো,
ভালো লাগা কাকে বলে হারিয়ে ফেলেছ
পুরোনো কয়েন জমানো বাক্সের কোণে,
জেনে গেছো মেয়ে তুমি ততোক্ষণে সেই-
চা’র কাপে ঘুমিয়েছি কতকাল জুড়ে।
১৭.০২.২০১৭
ইনসেপশন
ছায়ার পেছনে রাখা স্বপ্নময় প্রস্থান
তাকে চশমায় খুঁজে না পেলে
দেখো,মাকড়শার জালে বোনা ফাঁদের সকালে।
ওতে আছে ডাইনোসর, ম্যামথ আর লিলিপুটের গল্প,
দৃষ্টির ক্ষুধা নিয়ে হারিয়েছে যারা-
কিংবা কসমিক বনে, হেঁটে যেতে যেতে
ধূসর চোখে ডিঙিয়েছিল পামিরের ভূমি।
গুহার অন্ধকারে খননের কাল শেষে,
যাদের আকাশ নীলে ছোঁয় নি কখনো
দৃষ্টির ঝাঁজ-
শিরায় শিরায় গুম আদিম নেশা
পাতায় পাতায় গোপন সেই রক্তের ভাঁজ।
পাখনায় গুঁজে নিয়ে ছেঁড়া ছেঁড়া সুতো
খননের ডাকে ফেরে বিকেলের পাখি,
কসমিক বনে আছে শুকনো পাতার স্তুপ
ঠোঁটে নিয়ে নীড় বুনে চুপচাপ ওরা।
২২.০২.২০১৭
দুঃস্বপ্নের ডায়েরি– ১
লিওনার্দো, এবার তোমার গল্প বলো
মাঝরাতে বিশ্বাসঘাতী হয়ে তুমিও কি অনুশোচনায় আত্মঘাতী হয়েছিলে?বিছানায় পাশ ফিরতেই নরম মাংসের তাল…ওগুলো কি লোলার ছিল না? সেই স্তনের উষ্ণতায় যাকে তুমি খুঁজতে ভালোবাসার নাম দিয়ে,সেখানে কি আজ কেবল ক্লেদ আর দু:স্বপ্নের ভাঁজ?
সেই গল্প বলো না…. বরফের পাহাড়ে মায়ানেকড়েগুলো ক্ষুধার্ত হয়ে কাকে কাকে হত্যার অভিশাপ কাঁধে নিয়েছিল?তারপর কেমন করে পাতাল থেকে উঠে এলো নরকের রাজা?মায়ানেকড়েদেরও কি তোমার মতোই অনুশোচনা হয়েছিল?তাহলে তুমিও কেমন করে ডুবে যেতে যেতে চীৎকার করে উঠে বলেছিলে,
“ডিয়ার ম্যারি,আই অয়া’না ফাক ইউ ওয়ান মোর টাইম!”
মার্কেজের একশ‘ বছর চুরি গেল
নিঃসঙ্গতার বারুদ ফুরিয়ে এসেছে
রোদ উঠে এলে-
নীলরঙ ঢেউএর কাছে চলে যাই
ধোঁয়াটে বালুচর দেখি ডুবে যেতে যেতে।
তারপর, আরো একশ’ বছর কর্নেল!
১৬.০৩.১৭
বসন্ত পুরাণ
১.
“বেদনার গভীর থেকে গভীরতম নীল হয়ে যাওয়াকে ভালোবাসা বলে”
তারপর থেকে
অশোকের পাতায় লেগে থাকা সূর্যাস্তের রঙ চিনে
নির্বাসিত,
বহু বহু দুপুরের রোদ চোখে ভরে
কারো নামে বুঁদে গিয়েছি চৈতন্যের মেঘ-
২.
নীরবতা অসহ্য হলে মরে যাই বারবার,
আবছায় মনে পড়ে
কচি পাতার গন্ধে ডুবে যাওয়া কোন দুপুর।
শীতের পাতারা অমর হতে হতে ঝরে যায়
বসন্তের রঙ তাই হলুদ স্মরণে।
৩.
সন্ধ্যের নাম করে দরজায় ঘা দিতেই কেউ বলে উঠল-
“নরম ঘ্রাণের দিন বুক ভরে টেনে নিলে অমরত্ব পাওয়া যাবে!”
আমি এখন শীতের দিকে চলেছি!
১৯.০৩.১৭
তুমি যা দেখো,আমি তা দেখি না
তুমি দেখ, আমার জানলার খোপে চড়ই-এর বাসা,
চশমার পর্দা টেনে নিয়ে
কয়েক টুকরো চিঠির পোড়া গন্ধ-
আমি এসব এড়িয়ে গেছি সযত্নে
নম্রতার ভীড়ে ঘুমের ভান
অথবা জড় জীবের পার্থক্য
সব এড়িয়েছি।
বিবিধ স্বপ্নের ঘেরে তুমি দেখ জীবন,সবুজ আলো
প্রেমে ঝুঁকে পড়া বাবলা গাছের ছবি
আমি দেখি নি তা-
সিগনালে সিগারেট পুড়িয়ে দেখেছি,
পৃথিবী কতোটুকু প্রেম একটু একটু করে উড়ে যাচ্ছে-
বলা বারণ ছিল,তাই এড়িয়েছি
জীবনের সবুজ আলোয় ধরা দিই নি।
০৬.০৪.২০১৭
মিথ্যে হবে সবটা–ই
এরপর যদি নেমে পড়ো গাঢ় শীতল জলে
প্রবেশ করো নিষিদ্ধ কোন শহরের প্রান্তিক ঘন্টিতে
নিরন্তর ক্ষুধিত পাষাণে মাথা ঠুকে বলো
“মিথ্যে,সবকিছু মিথ্যে হবে…”
আমি শুধু মিশে যাবো খরায়।
শুধু জেনে যাবো, মৃত্যু ক্ষুধাতুরা
অতুল প্রেমময় সুধা-
নিছক ব্যক্তিগত গল্পের বাইরে
কিছুটা স্মৃতিধারী নেকাব।
আরেকটু এগিয়ে যদি ফের নেমে পড়ো
তৃষিত আত্মার খেদে, পৃথিবীর কোন পড়ন্ত গ্রামে-
এতোটুকু জল না মিলে কোথাও যদি,
নির্মেদ আকাশে রোদক্ষরা চাউনিকে ব্যঙ্গ করে বলো
“মিথ্যে,সবকিছু মিথ্যে হবে….”
আমি তার সবটুকু তৃষ্ণার জলপান লিখে নেবো
লিখে নেব হাহাকার যতো বাতাসের গায়,
এঁকে রেখে ফের যারা মিলিয়েছে শতাব্দীর ধূলায়;
নামগুলো অনুচ্চারিত থাক,বিচ্ছিন্ন জলকলায়।
সবকিছু মিথ্যে হলে ‘পর,
তোমার যতো গ্লানি আকণ্ঠ ডুবে যাবে।
ভুলের মিথগুলো জুড়ে স্টিকার জ্বলজ্বলে সিগনাল দেবে
আর,ক্ষান্ত হবে শহরের যতো ঘণ্টাধ্বনি।
তোমার নামের ক্ষুধা চুষে নিলে মানুষের শেষ রক্তবিন্দু
সবকিছু মিথ্যে হবে,সবটা-ই!
২৭.০৪.২০১৭
একলা বাতিঘর
রাতের পাখিরা উড়ে চলে মহাদেশ
ডানায় ভর করা মুচ্ছনার অভিশাপ।
ক্লান্ত জলছাপ পেরিয়ে আকাশ
বেলা নেই আর-
অকাট্য দুপুর ভীড় করে মেঘ জমার।
এ ছবিতে তুমি নেই,আমি নেই
শুধু সময়ের কিছুটা পথ চেয়ে থাকার
তুলো তুলো ঢেউ আদরে কাঁপছে
হাত বাড়িয়ে কাছে টানার অজুহাত।
আরো চাই, আরো আরো চাই
হাওয়ায় ভেসে ভেসে দূর খোঁজার অভিযান,
এই শহর একলা বাতিঘর এক
সঙ্গী নেই কেউ সঙ্গী হবার।
এ ছবিতে তুমি নেই,আমি নেই
শুধু সময়ের কিছুটা পথ চেয়ে থাকার।
সূর্যের গান
পৃথিবীর যতো নারী যতো ফুল
আহূত নদীর বুকে ঝরে পড়ে যাবে একদিন-
একদিন, এই ধুলোমাখা চাঁদ জীবনের স্তরে স্তরে
বিদায়ী সূর্যের গান গাইবে
মরুপথে ফুটে থাকে যে ফুল
তার শোভা বেশি লাগে চোখে।
আমরাও অন্ধ হবার আগে,
সমস্ত সুন্দর নি:শেষে পান করে মরে যাবো।
একদিন, বেলা পড়ে এলে
সমস্ত শিশু ঘুমিয়ে পড়বে
আমরা তাদের জোর করে ঘুমের শহরে পাঠাবো।
ঘুম যেখানে নিবিড় নিরাপদ,
কোমল অথবা সুডৌল আঙুল প্রশ্রয়
মায়াময় আধো বোলে ঠোঁটের বিনোদী সুর,
সেখানে তাদের স্থবির জনপদ
সেখানে শুধু শকুনের মুক্ত উড়ান।
০৫.০৫.২০১৭
মেঘেদের খিদে পেয়েছে
আমার আকাশে যদি প্রেম হয় গ্রীষ্মের গনগনে রোদ
বৃশ্চিক দহনে পোড়ায় পাকস্থলী
তাতে তোমার আকাশে কেন ভ্রুকুটি আসে অই-
মেঘগুলো জড়ো হয়ে ঝড়ের নামতা পড়ে সুরে সুরে
কেন বিমর্ষ মনচোরা পার্কের বেঞ্চিতে ভরদুপুরে একা
ক্ষুধাতুরা ঘুম বলো পেয়েছে কোথায় সে?
তোমার আকাশ জুড়ে একহাঁটু জল,
থই থই জলে ভাসে কই,পুঁটি,টেংরা
আমার জানলা জুড়ে মেঘেরা শুঁকে যায়
বর্ষায় আহ্লাদী খিচুড়ির গল্প।
তাতে তোমার আকাশে কেন ভ্রুকুটি আসে অই-
নিষ্পাপ জানলা তো কবে থেকে বোবা
আমি আর হাতীসোনা বসে বসে লুডু খেলি
অথবা খিচুড়িতে কানামাছি উড়ে আসে।
কানামাছি, কানামাছি
চোখে কি দেখো না তুমি?
শুঁকে শুঁকে দেখছো কি জানলায় কতো মেঘ
জমে জমে ক্ষুধার অই পাহাড় গড়েছে তারা
তোমার পাতের কই, সর্ষে ইলিশ দেখো
খোলা জানালার দিকে ছুটে ছুটে ধায়।
তোমার ভ্রুকুটি ভেঙে মেঘেদের খিদে মিটে
উড়ে চলে হাসি খুশি তোমার আকাশে, বেশ
মজাই তো হলো,বলো?
বর্ষার ভাতঘুম ক্ষুধার্ত জন।
আমি আর হাতীসোনা পার্কের বেঞ্চিতে লুডু খেলি
একদান,দুইদান;
সন্ধ্যে হয়ে আসে,হাতীসোনা ঘরে চলো
মা পথ চেয়ে আছে।
০৫/০৫/২০১৭
পুরোনো অসুখ
চুপচাপ ফিরে এলে ভালো লাগে।
রোদ হেলে পড়া গাছের ছায়ায়
নরম ঠোঁটের গন্ধ,
প্রাক্তন প্রেমিকের মতো-
পুরোনো অসুখ।
যেন দীর্ঘ ছায়ার শুশ্রূষা
পুরাকালের শরীর জুড়ে,গোপন বেদনায় স্থাণু;
এসব দৃশ্যপট কোন চলচ্চিত্রে
উড্ডীন লালরঙ বেলুন।
পুরোনো অসুখের মতো বিকেলে
তোমাকে ভাবতে ভালো লাগে,
জ্বর গায়ে রোদ এলে হলদে পাতার চিঠি
শুকোতে দিই আচার বয়ামে।
সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসে পাতার চোখে
ক্লান্তিতে আধবোজা যেন-
কালচে সবুজ রঙে
নিবিড় নাগপাশ।
এভাবে
চুপচাপ ফিরে এলে মনের ভেতরে-
ভালো লাগে।
একটি দীর্ঘতম দীর্ঘশ্বাস
একবার বৃষ্টিতে ভিজবার পর
পরিচিত দুঃখবোধেরা বারবার ভিজতে
আশঙ্কা করে।
আমি তাদের এই মুমূর্ষু চিন্তায় বাধা দিই নি।
একটি কিশোরের অবোধ আঙুল যেমন যৌবন ছুঁতে চায়,
অথবা,লবণাক্ত হতে চায় বিবশ ইস্পাত-
তেমনি দোষ ধরি নি,
কেন বারবার অশ্লীল প্রশ্রয়ে জলের টান হয়?
পাছে তারা দাসত্ব ভুলে মাথা তোলে-
নি:শব্দে বিদ্রোহী হয়-
বৃক্ষের সিক্ত শরীরে কামার্ত হয়ে পড়ে
অত:পর পৃথিবীর দীর্ঘতম দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে ছুটে চলে দিগ্বিদিক।
ছুটতে ছুটতে মাঠ পেরিয়ে বন,
আকাশপোকার ঘর ভেঙে চুরি হয়
শৈশব থেকে যৌবন
এবং
ক্লান্ত স্যান্ডেলের তল।
তাই,চুপচাপ জলের টানে ফিরে গেছে ওরা
বিসর্জনের নামতা গুণে গুণে।
সেদিনও এমনই ঘোর বৃষ্টি নেমেছিল,
থইথই উঠোনে একপাটি ছেঁড়া জুতো ভাসছিল
মালিকানা বিহীন।
০৮.০৭.১৭
ডুব– দ্বিতীয় পর্ব
এসো, বাতাসে সাঁতার কাটি
জল পায়ে দাঁড়াতে শিখি,
নরম আঙুল ধরে কাঁদতে শিখি।
আপাত দৃষ্টিতে একবার
তারপর, আবার এবং আবার।
এভাবে বারবার মেঘের ভেতর মেঘ
ঢুকে গেলে পরষ্পর
হাত,পা ছুঁড়ে
এগিয়ে যাই
কখনো ব্রেস্ট স্ট্রোক,
কখনো বা বাটারফ্লাই!
আমরাও এডাম পিটি হতে চেয়ে
ঠোঁটের খাতায় জলচক্র আঁকি,
কণাদের মতো খুঁটে নিয়ে পারদারিক নিয়ম।
শুধু ঘুড়ির বদলে কাটিয়েছি পয়ার
জলের বদলে কিনেছি বাতাসের গুণাগুণ-
সেসব জেনেও তো ডুবে গেছো চন্দ্রগ্রস্ত,
বাতাসের গায়ে সাঁতার শিখে।
০৫.০৮.২০১৭
নামতা
আমি দেখি,
সাপের মতো ক্রমশ কুণ্ডলী পাকিয়ে যাচ্ছি।
আমি দেখছি –
পাতার বসা গুটি পোকার শব ধাতস্থ মাকড়সার আহার।
নিশ্চিত ধ্যান ছেড়ে বেরিয়ে এসে
যার আট চোখে পড়ে থাকে আটটি নির্মোক।
তারা বিভ্রম আর বাস্তবসংখ্যায় ভুল করে
শৈশবে ঢুকে পড়ে।
এক এক্কে এক
দুই এক্কে দুই
তিন এক্কে তিন
নতজানু রোদ উষ্ণ আঙুলে গুনে রাখে নির্ভুল,
আট পায়ের ক্লান্ত দৃষ্টি উপেক্ষা করে
আমরাও গুনতে শিখি
শীতল নির্মোকের নামতা।
এক এক্কে এক
দুই এক্কে দুই
তিন এক্কে তিন
২২.০৭.২০১৭
জাদুকর পর্ব– চোখ
প্রিয় চোখদের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে
নরম করে সরে এলাম।
পৃথিবীর জোড়া জোড়া চোখ সুখী হোক!
তালগাছ বামে হেলে পড়লে
ব্যক্তিগত ধনুর্বিদ্যা চুরি হয়-
তুমি জানো,
আরো জেনে রেখো-
পৃথিবীর সবচে’ সুন্দর চোখ হয় জিরাফের।
তাতে বায়োস্কোপ আছে এক!
সীমানার ওপারে,
নিয়মিত দৃশ্যের বাক্সবদল হয়।
জাদুকর, জাদুকর!!!
আমি চিড়িয়াখানায় রোজ দেখতে যাই,
কাঁটাতারে ঝুলিয়ে প্রিয় চোখদের
নরম পায়ে সরে আসি,
পুরনো বাংলা ছবির শিস তুলে
ঠোঁটে।
পৃথিবীর সবচে’ সুন্দর চোখজোড়া
কাঁটাতারের ওপাশে।
আহা!!!
এই দৃশ্যেই স্থির থাকো জাদুকর!
আরেকবার দেখে নিই তাদের…
১৮.০৭.১৭
সুপ্তা সাবিত্রীর নাম- কর্ডেলিয়া বিশ্বাস, ধাম- নোয়াখালী জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে বাংলা সাহিত্যের প্রভাষক, বই এখন অব্দি হয় নি