এ জখম একলা ছলাৎ
এ জখম একলা ছলাৎ
এতকাল নৈঃশব্দ্যে ভেজা যে মন।
মৌন পাখির ঢেউ খুটে খায় শষ্যদানা
ঠোঁটের পাড় ভেঙে অতল বিভোর।
অপেক্ষা ছিল না যে কোন ব্রহ্মাণ্ডের,
বিস্ময়কর এক সভ্যতা সলতের মুখ ছুঁয়ে দিলে
নরম আলোর রেখা পেরিয়ে যায় সীমানা হঠাৎ
দুফোটা ক্ষত আর মোমের কৃপায়
পেয়ালা ভরে যায় ভালোবাসায় ।
খুজিস্তা
ভাষার কিনারে নুপুর তোমার
আলগোছে রেখে যায় শোক
বিমূঢ় হও তুমি খুজিস্তা
বেঁচে থাকো একা
বর্ষা মেদুরও সন্ধ্যায়
লেবুফুলের ঝরে যাওয়া দেখে তুমি ডুকরে কাঁদো
খুজিস্তা, কোন বুধবার তোমার নামের মানে বোঝে না
এক্রোপলিস
ঊর্মিয়া হ্রদের ছেলে , কোন সে পারসিক তুমি
কতকটা কফির দাগ নিশ্চিহ্ন করে
তুমি চুম্বনের ক্ষত রেখে গেছো!
ছায়াপথে উঠে দাড়াবার আড়াই বছর
জিতে যাওয়া গ্রামে আমার
দূর্গ রেখে নিদ্রা গেছেন দেবতা সকল
ফরাজিকান্দির কসম
তুষে নেভা আগুনে কি দ্বিধা তোমার?
থাকোনা অল্প শ্বাসেই,
এভাবেই বেঁচে থাকো ঘ্রাণ
ভাতের আদলে স্বাদ , যদি দাও
তুমি যদি শাদা হও
ছেঁড়া মেঘ
আমাকে ঠিক নুন অব্দি থামিয়ে নাও
জোছনায়—
অতলে—
ভুলে—
কে যেনো গানের মাঝেই থেমে যায় রোজ
তারপর, যেতে যেতে
এক আলোকবর্ষ পর আবার কোথাও
এখানে, এইখানে তোমার দুর্বাঘাসের ডগায়
এটুকু হয় না বুঝি রহম ?
কে দেয় তোমায়
ফরাজিকান্দির কসম।
দোলাচল
লব্ধ কোনো টিলার চেয়ে সত্য এ স্তন! কি আছে দায়ভার খয়েরি পোকার? তবুও কোথাও বালুর সংসার ক্ষয়ে যায়। অবিরাম ছুটে চলে বিরহকাল, যে কেবল ভাঙ্গনের কথা বলে। নিবিড় বর্ষায় না পেলে জলের মুখ আরশিতে সমকামী হাতের দোলাচল। ইশারায় খুলে দেয়া দ্বীপ, গুহায় কী খোঁজে আলো, যতটা গভীরে চোখ যায়! পুরোনো অভিসারে পিঠ ফেরালে কি পাও তুমি? তপ্ত এ ভূতলে হারিয়ে যাওয়া চাবি জুড়ে শুধু মায়ার ছোবল, ফেনার আশকারা ভেদ করে চলে যায় অনন্তকাল। এ সন্ধিক্ষণে শীতকে এগিয়ে দাও, আরো গভীরে, অগ্নিবর্ণে।
ফারাহ্ সাঈদ
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় সরকারি প্রসাশনে কর্মরত। লেখালেখির শুরু ঢাকায় স্কুলজীবনে। কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করেছেন ইংল্যান্ড থেকে।
প্রকাশিত বই
একগোছা নদী (গল্প ২০১১)
ফ্রেঞ্চ খোঁপায় শ্বাসরুদ্ধ চুলের জোছনা (কবিতা ২০১৩)
পৃথিবীর নিচুছাদ প্রেম ( কবিতা ২০১৬)
মিনারে কাটা ঘা ( কবিতা ২০১৯)
ফারিচকা ( গল্পগ্রন্থ ২০২০ )