মুজিব কোট / মূর্তালা রামাত
উৎসর্গ: মাহবুবুল হক শাকিল
১.
জীবনে প্রথমবারের মতো কালো রঙয়ের হাতাবিহীন কোটটা পরে বদিউজ্জামানের মনে হয়, আহামরি তেমন কিছু না! বরং নতুন কাপড়ের চকচকে কালো কোটটার ভেতর নিজেকে তার জেলখানায় বন্দী কয়েদীর মতো লাগে। কিছুটা হাঁসফাঁস লাগায় গলার কাছের বোতামটা খুলে দেয় সে। পুরোপুরি না গেলেও তার অস্বস্তি কিছুটা কমে। ঘুরে সে আবার আয়নার দিকে দাঁড়ায়। শরীরটা একবার এপাশে, একবার ওপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে। নাহ্, দেখতে খারাপ লাগছে না। শুধু গায়ের ভেতর একটু কুটকুট করছে। মনে হচ্ছে কেউ তাকে নেড়েচেড়ে মনে করিয়ে দিচ্ছে— যে লোকটাকে সে দুই চোখে দেখতে পারতো না, সারাজীবন শুধু যার গালমন্দ করেছে, আজ তার পোশাকই সে পরতে বাধ্য হয়েছে! ব্যাপারটা চিন্তা করে বদিউজ্জামানের মনের ভেতরটা খচখচ করে ওঠে। সেটা কাটাতে সে সামনের কথা চিন্তা করে।
নির্বাচনে সে নমিনেশন পেয়ে গেছে। ‘পেয়ে গেছে’- কথাটা তার পছন্দ হয় না। এর চেয়ে ‘আদায় করেছে’ বলা ভালো। অনেক ঘাটে অনেক খরচ অবশ্য হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছাপূরণের কাছে এইসব খরচ-টরচ কিছু না। এই কোট যে তাকে নির্বাচনে জিতিয়ে আনবে তাতে তার কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যা ছিল তা হলো, এলাকায় উড়ে এসে জুড়ে বসায় দলের পুরোনোদের ভেতর না জানি কী কঠোর প্রতিক্রিয়া হয়! দু’একজন যে প্রতিক্রয়া দেখায়নি তা নয়, তবে হাই কমান্ড তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করেছে। অর্থাৎ, সোজা বহিষ্কার। বাকিরা আপসে চুপ মেরে গেছে। দল ক্ষমতায়, এই সুসময়ে দলের বাইরে ছিটকে যাওয়া মানে ক্ষমতার রাজভোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া—পাগলেও এটা বোঝে। তাই মাঠে বদিউজ্জামানের প্রতিদ্বন্দী বদিউজ্জামান নিজেই। তাকে এখন নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। নেতার কোটের সাথে আত্মস্থ হওয়ার মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
ব্যাপারটা খুব কঠিন কিছু না। গত কয়েকদিন ধরেই বদিউজ্জামান নিজেকে সেভাবে তৈরি করছে। নেতার মতো গোফ রেখেছে, চুল ব্যাকব্রাশ করে আঁচড়াচ্ছে, পাইপও যোগাড় করেছে একটা। সেই সাথে আছে নেতার মতো তর্জনী তুলে ভাষণের চেষ্টা। সামনে হাজার হাজার জনগণকে কল্পনা করে সে মনে মনে শব্দ সাজায়— ভাইয়েরা আমার, আপনারা জানেন আমার নেতা গণমানুষের নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আপনাদের দুঃখ-দুর্দশায় তিনি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলেন। আমিও সেইরকম আপনাদের পাশে থাকার জন্য এসেছি। নেতার সংগ্রাম আন্দোলন দুঃসময়ের সাক্ষী, তার বুকের সাথে সবসময়ের জন্য লেপ্টে থাকা কালো কোট এখন আমার গায়ে। এই কোট আদর্শের কোট। এই কোট ভোগ-বিলাস, আরাম আয়েশের জন্য নয়। এই কোট আপনাদের মতো মানুষের মাথায় ছাউনি, এই কোট আপনাদের ঘর, আপনাদের আপনজন। এই কোট এমনি এমনি আসে না। আপনারা জানেন, এই কোট অর্জন করতে হয়। ভাইয়েরা আমার, আজকাল অনেককেই দেখি এই কোট পরে বড় নেতাদরদী সেজেছে! তারা এই কোটের কর্তব্য সম্বন্ধে জানে না, এরা সুসময়ের পাখি….নতুন চকচকে কোট দেখলেই তাই সাবধান হয়ে যাও ভাইয়েরা… বলতে বলতে তিনি নেতার কণ্ঠস্বরে ঢুকে পড়েন— মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি…রক্ত আরো দেবো বলতে গিয়ে তার খেয়াল হয় তিনি ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছেন। আয়নার দিকে মাথা ঝাঁকিয়ে তিনি নিজেকে শুধরে নেন। সামনে থাকা হাজার হাজার জনতার দিকে নেতার ভঙ্গিতে হাত বাড়িয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আমার ওপর আপনাদের বিশ্বাস আছে তো?
কল্পনার জনতা সমস্বরে শ্লোগান দেয়, ‘বদি ভাইয়ের দুই নয়ন, তোমার আমার উন্নয়ন’…… বদিউজ্জামান নিজেকে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বিজয়ীর বেশে এগিয়ে যেতে দেখে। তারপর আর কোন পিছু ফেরা নাই। চোখ বন্ধ করে কোটের পকেটে হাত দিয়ে সে অনুভব করে, সেখানে যেমন খুশি তেমন সাজোর বহুল প্রতীক্ষিত সুইচ। সেই সুইচ টিপে সে একবার রাজা হয়, একবার পুলিশ, একবার শিল্পপতি, একবার প্রেসিডেন্ট, একবার মহান নেতা….এইভাবে যা যা ইচ্ছা হতে হতে বদিউজ্জামান একসময় কোটাটাকে ভালোবেসে ফেলে। তার মনে হয়, কোটটা খুললেই সে তার সমস্ত সম্পদ হারিয়ে ফেলবে। ভয়ে ভয়ে সন্তপর্ণে সে এদিকে ওদিকে তাকায়। দুই হাতে কোট খামচে ধরে অদৃশ্য কোটলোভীদের উদ্দেশ্যে বলে, খবরদার আমার কোটের দিকে নজর দিবি না, খবরদার….
২.
কোট ভেবেছিল সে এমন কারো হতে যাচ্ছে যে কৃষকের কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরবে, শ্রমিকের কাঁধে বন্ধুর হাত রাখবে, শোষিতের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটবে, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, নেতা যেভাবে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন ঠিক সেভাবে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজের জীবন বিলিয়ে দেবে। কিন্তু বদিউজ্জামানকে দেখার সাথেসাথেই সে বুঝে যায় লোকটা নেতাকে বেঁচে নিজের আখের গোছাতে এসেছে।
দিব্য চোখে কোট তার ভবিষ্যত দেখতে পায়: নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে বদিউজ্জামান রাতারাতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ভুঁড়িটা বেরসিকের মতো বেড়ে যাওয়ায় এখন সে আর কোটের বোতাম লাগায় না। চাইলে সে নুতন আরেকটা কোট বানাতে পারে। কিন্তু সে জানে, পুরোনো কোটের আলাদা একটা মাহাত্ম্য আছে। পুরোনো কোট পরলে একটা সাধারণ সাধারণ ভাব আসে। মনে হয়, অনেকদিন ধরে সে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। পুরোনো রংচটা কোট যে ধরনের ত্যাগী নেতার প্রতিকৃতি তৈরি করে, নতুন কোটে সেভাবে হয় না।
বোতামগুলো অবশ্য সে বদলে নিয়েছে। আগে প্লাস্টিকের ছিল, এখন ব্ল্যাক ডায়মন্ডের। ওপরে ছোট ছোট মুক্তো বসানো। দূর থেকে বোঝা যায় না, তবে আলো পড়লে ঝকমক করে ওঠে। রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে বিদেশীরা তার কোটের দিকে বেশ সম্ভ্রমের চোখে তাকায়, তার ভালো লাগে।
শুধু তাই নয়, কোটের তলায় সে সিল্কের দামী কাপড়ও লাগিয়েছে। ওটা ছাড়া নিজেকে কেমন যেন ফকির ফকির মনে হতো । কোটের ভেতর পকেটে সোনার চেনে ইদানীং একটা ঘড়ি ঝুলিয়ে রাখে সে। ঘড়িটা বের করে সময় দেখে, সোনালি কলম দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সবাই যে মনে মনে তার আভিজাত্যের তারিফ করে তা টের পেয়ে তার খুব গর্ব হয়।
গেলোবার বিদেশে গিয়ে বদিউজ্জামান কোটটার ভেতরে নতুন প্রযুক্তি লাগিয়ে এনেছে; অনেকটা ইন্টারনাল এয়ারকনের মতো ব্যাপার। গরমে এখন সে আর এখন আগের মতো ঘামে না। ঠাণ্ডা শরীরে সে মন খুলে আবেগঘন বক্তৃতা দেয়, নেতার আদর্শের স্মৃতিচারণ করে— ভবিষ্যতের ওইসব দৃশ্যের সাথে নিজেকে অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকতে দেখে কোটের বমি পায়। তাই বদিউজ্জামান যখন তাকে পরে আরাম পাচ্ছিল না, তখন সে মনেপ্রাণে চাচ্ছিল যে বদিউজ্জামান বিরক্ত হয়ে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিক। সেজন্য নিজেকে যতোটা পারা যায় ততোটা সংকুচিত করে সে বদিউজ্জামানের জন্য অস্বস্তির অনুভূতি তৈরি করছিল। কিন্তু শেষে, বদিউজ্জামান যখন তাকে লোভীর মতো আঁকড়ে ধরলো তখন সে বুঝতে পারলো যে তার মুক্তি নেই! সেটা বুঝতে পেরেই আস্তে আস্তে একসময় বাধ্য হয়ে সে একটা মরা লাশের মতো নিষ্প্রাণ হয়ে বদিউজ্জামানের দেহের সাথে ঝুলতে লাগলো!
৩.
গাছের ডালে বাঁধা দড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আলতাফ মৃধা কোটটাকে আরেকবার ভালো করে দেখেন: জায়গায় জায়গায় রঙ চটে গেছে, সুতো বেরিয়ে এসেছে, ছেঁড়া জায়গাগুলোতে আনাড়ি হাতে রিপু করার দাগ স্পষ্ট। কোটটাকে তার নিজের চামড়ার মতোই মনে হয়, হাতের পাশে রেখে তিনি মিলিয়ে দেখেন— একই রকম মেহনতের ছাপ!
নিজের শরীর আর এই কোটকে ঘিরে তার কত্তো কত্তো স্মৃতি। বৃষ্টি বৃষ্টি অন্ধকারে সেইসব একঝাঁক জোনাকির মতো জ্বলে ওঠে: কতো আন্দোলন, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ফেরারি জীবন— শরীরের সাথে সাথে সবকিছুর স্বাক্ষী এই কোট। কতো কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের ঘাম তার ঘামের সাথে মিশে এই কোটের সুতোর সাথে জড়িয়ে আছে! আলতাফ মৃধা কোটের কাছে নাক নিয়ে শেষবারের মতো সেই স্মৃতিময় ঘামের ঘ্রাণ নেন। ঘ্রাণের ভেতর তার তিল তিল শ্রমে শক্ত মাটি পাওয়া দলের ছায়া পড়ে। তিনি সেই ছায়ার দিকে বিষ চোখে তাকান।
তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিরিয়ানির প্যাকেটের বদিউজ্জামানের হাসি-হাসি মুখ, গায়ে নেতার কালো কোট। বদিউজ্জামানে বিশাল ছবির নিচে এক কোণে পড়ে আছেন তার নেতা— যেন নাই। ভাবতেই তার বুকটা হু হু করে ওঠে। আমার নেতা এতো ছোট না, তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে নিজেকে শোনান। কীভাবে তার দল তার নেতার আদর্শ জলাঞ্জলী দিয়ে বদিউজ্জামানের মতো চিহ্নিত প্রতিক্রিয়াশীল লুটেরাকে আপন করে নিলো, তা তিনি ভেবে পান না!
নেতা কি এই শিখিয়েছিলেন? অবশ্যই না, তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের জবাব দেন— নেতা সবসময় সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শিখিয়েছেন। অথচ বদিউজ্জামানকে দলে নেয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে তার দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হলো! কেন! আলতাফ আলী কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন না যে তার নিজের শ্রম, ঘাম, রক্তে বড় হওয়া দল তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে তিনি ছোট্ট শিশুর মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন।
কাঁপা কাঁপা হাতে তিনি তার বহু ব্যবহারে জরাজীর্ণ কোটটাকে আদর করে বিদায় জানান। আলতো করে স্নেহের চুমু খেয়ে তিনি কোটটাকে সদ্য খোঁড়া গর্তে শুইয়ে দেন— যেন আপন কারো মৃতদেহ কবরে নামাচ্ছেন। কোটটাকে মাটি চাপা দিয়ে পা বাড়াতেই তার মনে হয় নিজের শরীরে কিছু একটা নেই! যা নেই তার অভাবে তিনি হাঁসফাঁস করে ওঠেন। তার দম বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয়, তিনি বেঁচে আছেন কিন্তু মৃত! এমন কষ্ট সহ্য করে থাকতে না পেরে শেষে তিনি কবরের কাছে ছুটে যান, ‘আমার নেতা, আমার নেতা’— বলতে বলতে পাগলের মতো দুই হাতে মাটি খুঁড়ে কোটটাকে টেনে বের করে আনেন । কোটটাকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই তার মনে হয়, তিনি তার শরীরের হারানো অংশ ফিরে পেয়েছেন। নিজের দেহে তিনি আর কোন বিচ্ছেদের তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন না। এক অনাবিল আনন্দে তিনি কোটটাকে জড়িয়ে দুঃখী মানুষের মতো বুক ভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দূর থেকে মনে হয়, কালো কোট পরে স্বয়ং নেতা আলতাফ মৃধার বুকে মাথা রেখে কাঁদছেন।
৪.
কাহিনী এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু কবর থেকে কোটটা উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরার পর আলতাফ মৃধা টের পেলেন, তার ভেতর যেন নতুন এক শক্তি ফিরে এসেছে। দূরন্ত যৌবনে তিনি যেমন নেতার জন্য জান বাজি রেখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেন, তার মনে হলো, এখনও তার ভেতর কেউ অমন করে বলছে— রুখে দাঁড়া আলতাফ, রুখে দাঁড়া।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গেলেন। নির্বাচনে তিনি জিততেন কী জিততেন না সেটা পরের কথা, তবে তার আগেই তিনি মারা গেলেন। পুলিশ রিপোর্টের বরাত দিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বললে, আত্মহত্যা করলেন। শোনা যায়, আসন্ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে হেরে যাওয়ার লজ্জাজনিত আগাম দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন!
তার এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় কানাঘুঁষা থাকলেও, নানারকম ভয়ে কেউ এই প্রশ্ন তুললো না যে, ছোট্ট একটা ছেঁড়া ফাটা কোট গলায় জড়িয়ে মানুষ কীভাবে আত্মহত্যা করে বা বিছানায় শুয়ে শুয়ে মানুষ কীভাবে গলায় ফাঁস লাগায়— বরং শোকসভায় আলতাফ মৃধার কথা স্মরণ করতে গিয়ে বদিউজ্জামান যখন চকচকে কোট গায়ে বুক চাপড়ে ‘আমার নেতা, আমার নেতা’ বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠলো, তখন তারা সমস্বরে আওয়াজ তুললো—
‘এক মৃধা লোকান্তরে
লক্ষ বদি ঘরে ঘরে।’
রচনাকাল- (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর), ২০১৬।
গল্পকারের নোট
ফেসবুকে শাকিল ভাই একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতাদের কর্মকাণ্ডে হতাশা ব্যক্ত করে নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তার ওই হতাশার কথা পড়ে আমি এই গল্পটি লিখি। ১৮ নভেম্বর ২০১৬ তে গল্পটি আমার ফেসবুকে নোট আকারে প্রকাশিত হয়। এর কিছুদিন বাদে ৬ ডিসেম্বর ঢাকার একটি রেস্তোঁরায় ঘুমের ভেতর শাকিল ভাই মারা যান।