কথাপুষ্প: প্রজ্ঞাবানদের বলা গল্প | রিভিউ: সেঁজুতি জাহান

কথাপুষ্প: প্রজ্ঞাবানদের বলা গল্প

এটি মূলত একটি সংকলন গ্রন্থ। বইটির প্রণয়নকারী রায়হান রাইন বইটির নাম ‘কথামালা’ না বলে বলছেন কথাপুষ্প। অর্থাৎ কথাকে পুষ্পের সঙ্গে তিনি তুলনা করেছেন। তারমানে, পুষ্প কি এক অর্থে প্রজ্ঞার প্রতীক?

যুগে যুগে প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ মানুষের অভিজ্ঞতা, তাঁদের গভীর জীবন বোধের কথকতা কখনো অনূদিত কখনো সুসংকলিত হয়েছে গ্রন্থটিতে।

লেখক রায়হান রাইন বইটি সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন : “কিছু গল্প সবসময় মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। এসবের মধ্যে কিছু কিছু আছে যেগুলোর জন্ম প্রজ্ঞাবান মানুষের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির ভেতর। গভীর প্রজ্ঞাই এসব গল্পের মর্মবস্তু। এমন গল্পগুলোই সংকলিত হয়েছে ‘কথাপুষ্পে’।”

উপনিষদের ঋষি, ব্রাহ্মণগ্রন্থের রচয়িতা, সুফিসাধক কিংবা সাধারণ ও সরল মানুষ তাদের স্বাভাবিক চিন্তা, উপলব্ধিকে প্রকাশ করার জন্য চারপাশের নানা সাধারণ ও যুক্তিনিষ্ঠ অনুষঙ্গের আশ্রয় নিয়েছেন। সেইসব উপলব্ধি যুগে যুগে মানুষের মুখে মুখে যুগের প্রয়োজনে নানা সংযোজন, অভিযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে আছে।

রায়হান রাইন সেইসব প্রাজ্ঞজনের অভিজ্ঞতার কথা অনুবাদ ও সুসংযোজনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী জায়গায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন গ্রন্থ প্রণয়ন করে।

ভাবছেন এ আর কঠিন কী কাজ!

এই সংকলন তো যে কেউই করতে পারেন। কিন্তু না, গ্রন্থ অনুবাদ ও সংকলন করাই এই গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে হয়নি।

তিনি স্থান-কাল-পাত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির বেশ কিছু গল্পকে বাংলার পাঠকের মননের উপযোগী করে উপস্থাপন করেছেন। যে কাজটি তাঁকে গ্রন্থে বর্ণিত প্রজ্ঞানবানদের আর এক প্রস্থ গভীর উপলব্ধিরই স্মারক।

এই গ্রন্থের একটা অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, গল্পগুলো দারুণভাবে যুক্তি ও বুদ্ধি খচিত কিছু শাণিত মাণিক্য।

মানে, এগুলোকে যদি সাহিত্য ধরি, তো ছোটগল্পের একটি উজ্জ্বল শাখা অণুগল্প, সে শাখায় এগুলোকে অনায়াশেই রাখা যায়। যদি বলি এগুলো দর্শন-কাব্য, তা বললেও একেবারে নাকচ করা যাবে না। যদি বলি এগুলো ধর্ম-শ্লোক, মোটামুটিভাবে তাও বলা যায়।

যেহেতু এইসব প্রাজ্ঞজনের বলা গল্পগুলোর কোনো আদি রচয়িতার হদিছ মেলে না, সেহেতু এগুলোর নির্যাস মোটামুটিভাবে এক থেকেও এর স্বাদ সদা পরিবর্তনশীল। ‘কথাসরিৎসাগর’, ‘হিতোপদেশ’, ‘বৃহৎকথামঞ্জুরী’, ‘দ্বাত্রিংশৎ’ পুত্তলিকা’,’ বেতাল পঞ্চবিংশতি’, ‘বত্রিশ পুতুলের উপাখ্যান’ ‘ডেকামেরন’,ইত্যাদি গ্রন্থে এই গ্রন্থের অনেক গল্পের উৎসই রয়েছে।

প্রচ্ছদশিল্পী : মাসুক হেলাল

প্রায় প্রতিটি গল্পের শেষ বাক্যটিতে থাকে অভাবনীয় এক চমক। এই চমক কখনো কখনো পাঠককে গোটা গল্পটিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার পড়বার জন্য প্ররোচিত করে। এইসব চমক অনেক স্যাটায়ার বা স্কেচধর্মী লেখাতেও পাওয়া যায়। কিন্তু, এগুলোকে ঠিক ইশপের গল্প, বীরবল বা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্পের প্রকরণগত দিক দিয়ে মেলানো যাবে না।

লেখক দাবি করছেন এগুলো মোটামুটিভাবে জাপানের ‘জেন’ গল্পের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

স্যাটায়ার বা নকশাধর্মী গল্পগুলোতে বুদ্ধির ধার থাকে, তবে সেগুলো হাস্যরসের আনন্দ অশ্রুতে মিলিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই গ্রন্থে সংকলিত গল্পগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এগুলো মিলিয়ে যাবে না। বরং জীবন বোধের তলানিতে তীব্রভাবে সেঁটে থাকবে। মাঝে মাঝে বেজে উঠবে মানুষের যাপিত জীবনের ঘটনাপুঞ্জের সংশ্লিষ্টতায়।

‘তারামাছ’ থেকে ‘তুচ্ছকাজ’ পর্যন্ত ২১১টির মতো গল্প সংকলিত আছে গ্রন্থটিতে। এর মাঝখানে মাঝখানে কখনো চর্যাপদের পদকর্তারা, কখনো গুরু-শিষ্য, ঋষি, নারদ, সাধু, বিচ্ছু, চড়ুই, গাধা, কাঠুরে, রাজা, বৃদ্ধ ও যুবক, বলরাম, ভিক্ষুক, ইঁদুর, পেঁচা, চাণক্য, রাজা, কৃষক ও তার পরিবার, কাক, ব্যবসায়ী, চোর, সন্ন্যাসী, মূল্যবান বস্তু, রাজা, বুদ্ধ, প্রভৃতি চরিত্র তাদের সারল্য, কূট বা বুদ্ধিদীপ্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয়েছে।

এখানে যেমন এসেছে ‘পঞ্চতন্ত্রের’ মতো পশু পাখি, এসেছে হিন্দু ও বৌদ্ধ পুরাণ ও জীবনসংহিত, তেমনি এসেছে জ্ঞানতাপস সক্রেটিসের বাণী সংবলিত গল্প, এসেছে হযরত আলী(রা.) এর বাণী সংবলিত গল্প, এসেছে এমনকি ইরাকি সুফী নারী রাবেয়া আল বসরি চরিত্রও।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা আলোচনার প্রেক্ষিতে একজনে ‘চাণক্যের প্রদীপ’ গল্পের উদাহরণ দিলাম। সেখানে ভিনদেশি এক পরিব্রাজক চাণক্যের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। চাণক্যকে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে কাজ করতে দেখে তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। দেখলেন চাণক্য কাজ শেষ করে প্রদীপটি নিভিয়ে দিয়ে নতুন আর একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে পরিব্রাজকের সঙ্গে কথা শুরু করলেন। পরিব্রাজক বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন: ‘এটা কি একটা প্রথা?’

চাণক্য বলছেন :’কোনটা?’

পরিব্রাজক: এই যে একটা প্রদীপ নিভিয়ে আরেকটা প্রদীপ জ্বালানো।’

চাণক্য তখন হেসে বললেন: যে প্রদীপটি তিনি নিভিয়ে দিয়েছেন সে প্রদীপের সাহায্যে তিনি রাজকাজ করছিলেন এবং সেটার খরচ যাবে রাজকোষ থেকে। এবং যে প্রদীপটি তিনি জ্বালিয়ে রেখে পরিব্রাজকের সঙ্গে গল্প করছেন সেটি চাণক্যের ব্যক্তিগত।

গল্পটি আমি যাকে বলছিলাম তিনি হেসে বললেন এটা কেবলমাত্র রূপকথায় সম্ভব।

‘চাণক্যের প্রদীপ’ গল্পটি কিছুতেই রূপকথা নয়। কেননা, পরিব্রাজক তখনও চাণক্যের সততা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ অসততা যুগে যুগে সবকালেই ছিল। যেমন ‘এক পাউন্ড মাখন’ গল্পটিতে দেখা যায়। মাখন বিক্রেতার এক পাউন্ড ওজনের কোনো বাটখারা নাই। সে এক বেকারি থেকে এক পাউন্ড ওজনের পাউরুটি চুরি করে প্রতিদিন। সেই পাউরুটিই তার এক পাউন্ডের বাটখারা। রুটিতে ওজন কম মানে মাখনও কম। ফলে এক মাখনওয়ালার অসততা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রুটির বেকারিওয়ালার অসততাও ধরা পড়ে যায়।

এই সব অসততার কিচ্ছা যেমন মুখরোচক তেমনি যুগে যুগে প্রাসঙ্গিক।

এই গল্পটি হয়তো মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের কোনো গ্রামের গল্প, স্থান-কাল পেরিয়ে গল্পটি আজকের দিনেও খুব প্রাসঙ্গিক।

এইসব অসততা যেমন আছে, আছে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হবার দীক্ষা। গুরুরা প্রায় সবকালেই তাদের শিষ্যদেরকে যে দীক্ষাটি দিতে চান তা হলো নিজের পথের অনুসন্ধান। যেমন : ‘শিষ্যত্ব’ ‘অধিবিদ্যা’, ‘জ্ঞানপ্রদীপ’ বা ‘মানুষ হওয়া’ গল্পগুলোতে গুরুকে দেখা যাচ্ছে তিনি তাঁর শিষ্যকে জ্ঞানের প্রকৃত রাস্তার খোঁজ দিচ্ছেন, একই সঙ্গে গুরু-শিষ্যের রিস্তার রূপরেখাও ধরা পড়ছে গল্পগুলোতে।

‘তারা মাছ’ গল্পটিতে পরোপকারের সদিচ্ছার জয়গান এসেছে একেবারেই আজকের দিনের ইতি ও নেতিবাচক মনের নকশায়। ইতিবাচক মনগুলো যেকোনো পরিস্থিতিকেই ইতিবাচক করে তুলতে পারে, পক্ষান্তরে নেতিবাচক মন খুঁজে খুঁজে নেতিবাচককেই বরণ করে নেয়।

অকৃতজ্ঞতার এক দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত এসেছে ‘বৃশ্চিক ও ব্যাঙ’ গল্পে। এই গল্প রূপকথার আমলের, কিন্তু কালোত্তীর্ণ।

‘মুরগি ও ভুবনচিল’ গল্পটি আলোচনা করার জন্য আমি ১৯৪৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউডের একটা সিনেমা ‘গ্যাসলাইটিং’-এর নাম নিতে চাই।

‘গ্যাসলাইটিং’ মনোবিজ্ঞানের একটা টার্মোলজি। মানুষ মানুষকে তার নিজের সাপেক্ষে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এই প্রবণতা অধিক মাত্রায় দেখা দিলে যে নিয়ন্ত্রণ করে সেও অসুস্থ হয়ে যায় আর যাকে করা হয় সে তো হয়ই। মানুষের এটা একটা অতি গোপন রোগ। ভুবনচিলের বাচ্চাকে তার পরিচয় গোপন রেখে মুরগিরা এই বলে তাকে মুরগি বানিয়ে রাখে যে ভুবনচিলের বাচ্চাটা ভুবনচিলদের মতো উড়তে পারে না। মুরগিরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হয় মুরগির নিয়তিই ভুবনচিলের ওই বাচ্চাটার নিয়তি। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘মুরগি বানানো’, সম্ভবত এই গল্প থেকেই এসেছে।

‘সন্দেহ’, ‘দুই প্রতিবেশি’, ‘গিঁট’, ‘ভেতরের যুদ্ধ’ জাতীয় কিছু গল্প মানুষের মনোজগতের আদি প্রজ্ঞাবীজের গুণে ভরপুর।

যে যেমন তার মন, আচরণ, উচ্চারণ এবং নিয়তিও সেদিকে যায়। ‘সন্দেহ’ গল্পে অসৎ বালকটি সৎ বালিকাটিকে তার নিজের মনের দোষে সন্দেহ করে। ‘গিঁট’ গল্পে তাঁতির জগত কেবল সুতাময় হওয়ায় বিরাট জাহাজের সমুদয় সুতার ভাগ্যে যদি ‘গিঁট’ লেগে যায় তাহলে কী ঘটবে এই চিন্তায় তাঁতি অসুস্থ হয়ে যায়। সুস্থ হয় সুতা বোঝাই জাহাজে আগুন লাগার পর।

‘দুই প্রতিবেশি’ ও ‘ভেতরের যুদ্ধ’ গল্পে মানব-মনের দুইটি দিক উন্মোচিত হয়েছে। এক দিকে হিংসা, বিদ্বেষ পরশ্রীকাতরতা অন্য দিকে প্রেম ও মহানুভবতা। মনে হতে পারে ‘দুই প্রতিবেশি’ গল্পের তত্ত্বগত মীমাংসা হচ্ছে ‘ভেতরের যুদ্ধ’ গল্প।

‘হারানো সুই’ গল্পটি যেন রোকেয়া আল বসরিকে দিয়ে আত্মজ্ঞান বা স্বনির্ভরতার দর্শন পড়িয়ে নেওয়ার গল্প।

‘কথাপুষ্প’ এর লেখক একজন দর্শন শাস্ত্রের শিক্ষক। ফলে সক্রেটিসের প্রজ্ঞা-টিকা তাঁর সংকলনে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ‘তিন ছাঁকনির পরীক্ষা’ গল্পটি মূলত সক্রেটিসের বাণী।

এছাড়া হযরত আলী( রা.) এর প্রদর্শিত নির্দেশনামূলক বাণীর মধ্যে সৎ কর্মের অহংকারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সতর্ক বার্তাই যেন ‘ ভিক্ষু ও এক ছায়ামূর্তি’ গল্পে এসেছে।

‘নিহিত গল্প’ ও ‘এক লোক ও একটি বাঘ’ একেবারেই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির গল্প।

অন্ধ যুবার চোখের জ্যোতি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে পাখি, নীলাকাশ দেখে জীবনে প্রথম দেখার আনন্দ লুকাতে পারে না। উচ্ছ্বসিত সেই যুবার সেই আনন্দ উপভোগের দৃশ্য দেখে সাধারণের কাছে শিশুতোষ মনে হয়েছিল। অথচ, শিশুকাল ছেড়ে এলেও পাখি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশের মতো তার চোখ ছিল না। এই অন্তর্নিহিত বাস্তবতাকে সাধারণ কখনোই বুঝতে পারে না। মানুষ কেবল সত্যের বাহিরের আবরণ দেখতে পায়। অন্তর্দৃষ্টি প্রখর যাদের তারাই শুধু টের পায় ভেতরের সত্যকে, উপলব্ধি করে। ‘নিহিত গল্পে’ এই সত্যই নিহিত রয়েছে।

আবার মানুষের বীরত্ব-গাঁথা কেবল মানুষের ভাষাতেই শোভিত। অন্য প্রাণী বা জীবের ভাষাকে সে বুঝতে চেষ্টা করে না।

মৃত বাঘের যে শিকারি তার পক্ষেই মানুষ তাদের ইতিহাসের স্থাপত্য নির্মাণ করে। কিন্তু মৃত বাঘের করুণ নিয়তিকে মানুষের অনুভূতি ছুঁতে পারে না।

‘এক লোক ও একটি বাঘ’ একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম অনুভূতির গল্প। মনের ভেতরে এক অন্যরকমের নাড়া দিয়ে যায়।

মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপ, উচ্চারণ ও আচরণই তার নিয়তির পথকে সাজায়— এ জাতীয় নীতিবাক্য বা রূপকথার অলীক চরিত্রের মধ্যে আদর্শিক পরিণতি প্রতিস্থাপনই যেন বইটিতে গ্রন্থিত গল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য নয়। আপ্তবাক্যের অন্তরালে খেলা করে দর্শন ও বুদ্ধির এক ভিন্ন চমক।

‘কথাপুষ্প’ বইটি পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে হয়। যেখানে থাকবে কল্যাণ বা মঙ্গলের বার্তা, কিন্তু মীমাংসিত বা অমীমাংসিত জীবন দর্শনও থাকবে। থাকবে অভ্যাসগত জীবনের বাইরের একটি নির্ভার জগত।

সর্বোপরি বইটির নির্বাচিত গল্পগুলোর দিকে তাকিয়ে এ কথা দিব্যি বলা যায়, বইটি একটি ধ্বংসমান সমাজের মধ্যে খুব প্রাসঙ্গিক ও কেজো পারপাস সার্ভ করতে পারছে।

প্রকাশক: প্রথমা

প্রথম প্রকাশ: ২০২২ বইমেলা

শেয়ার