X = প্রেম ধইরা | হাসিন এহ্সাস লগ্ন

দুই ঠ্যাঙ ঝুলায়া মাছ খাইতে খাইতে মেছোভূত কইলো, ‘শুধুমাত্র মডেল সামনে রাইখা ছবি আঁকা শিল্পীমাত্রেই প্রকৃত শিল্পী।’
ক্যামনে তারে বোঝাই!
মডেল দেইখা কবিতা লিখতে গেলে আমার ভাগশেষ পাঁচ না হয়া এক হয়া যায়!

নিশ্চয়ই প্রতিদিন শনিবার না, যেমন না রবিবার।
সান-ট্যুইস-থার্সে ফরচুন টেলিং লেডির কাছে যাইতে ইচ্ছা করে।
এমন নিরুত্তাপ দিনে অপেরার ফ্যান্টম ফিরে পড়া প্রয়োজন।
আর বুধ থেকে শনির মাঝের যে পুলসিরাত, কী ভীষণভাবে পার করি আমি!
বিদ্যুত-বাতাস-ঘোড়া… কোনোকিছুর গতিতেই না।
না হামাগুড়ি কিংবা হেঁটে।
পেন হোল্ডারে পড়া আঠালো কালি শুকানোর সময়টুকু আমার লাগে।
অন্তিমে আসে শনিবার।
শনিকে তুষ্ট করতে প্রতি শনিবার সুন্দরখণ্ড পাঠ হয়।
বোধ করি, ষষ্ঠাহে ছয়দিন।
শনি-সোম-বুধ-শনি-সোম-বুধ।

দরজায় টোকা দাও একবার। কিছুক্ষণ থেমে আরেক।
তারপর একসাথে দুইবার, অতঃপর তিন, এবং পাঁচ।
‘ফিবোনাক্কি রাশিমালা শুধু গণিত নয়, প্রকৃতির রহস্যের উন্মোচন ঘটাতেও সক্ষম’, ইউ নো দ্যাট।
আমার শৈশবের পুকুরঘাট থেকে শ্যাওলা কুড়ায়ে শার্ট
বানায়ে পরো তুমি।
শ্যাওলায় মানায় তোমাকে।
হলুদ দেয়ালে ঝুলে থাকা পার্সিস্টেন্স অব মেমোরি উঁকি দ্যায়, গলে পড়ে সময়।
স্বয়ং সময় হবার পরও বারোশো সেকেন্ড ধরে রাখতে জানি না।
বাটারস্কচ খাও? একদিন বাটারস্কচ শার্ট পরে এসো।
তোমার মোদিলিয়ানির ছবি থেকে বের হয়ে আসা মুখ টেবিলের ওপর রাখো।
আর ‘for god sake, hold your tongue and let me love’.

এমনভাবে চইলা যাও, পরবর্তী জ্বরের ঘোরেও তোমার যাওয়াটাই দেখি।
তুমি আসো না, বৃষ্টি আসার প্রভূত সম্ভাবনা একলা ভিজতে থাকে। মরিচের সাদা ফুলরে ভিজায়ে দিয়ে যায়।
তুমি এলে লেমনগ্রাস টি’র ঝাঁঝ নিতে নিতে শোনাতাম,
‘I’ve been meek
And hard like an oak
I’ve seen pretty people disappear like smoke…’
ডিঙাভরা মাছসমেত পৌঁছাতাম চালতাফুলের দেশে।
গাড়িগুলো হাইওয়েতে তোমাকে জ্বালাচ্ছে।
তোমার ভালো লাগে না কিছু।
একতাড়া টিস্যু ফ্লাশ কইরা দাও।
যাবার সময় শুধু ‘থাকো’ বলেই যাও যদি, লাল লিটমাসের রঙ তো নীল হয়ে যাবে।
তুমি আসো, টেবিলে মাথা রাখো,
লে ডাউন ইয়োর উইরি ট্যুন…
জানো তো, ‘আমাদের স্বর্গ নেই, স্যারিডন আছে।’

প্রতি পিরিয়ডের আগে হেবি একটা ‘ভাব’ আসে।
মনে হয় এ-ই তো কবিতা আসার সময়।
মা, আমারে একটা কাওরে ধইরা দাও!
সব কবিতা দ্যাখো হারায়ে যায় কারোর অভাবে।
‘সে-ও এক অভিজ্ঞতা’।
কর্টেক্স-ফর্টেক্স সব ফাইটা যায়।
কেন সে মন্ত্রপূতের মতো বাইনারি-ডেসিমাল আওড়ায়ে চলে!
কপট হাইসা উদয়ন রাজীবীয় স্টাইলে বলতে ইচ্ছে করে, ‘তোমার বোঝা উচিত! কেন তোমাকে দেখলেই আমার অক্টাল হেক্সাডেসিমাল হয়ে যায়!’
ঘড়ির বিশাল ডায়ালে পাশাপাশি দুইটা বৃত্ত, যাওয়া যাক সেখানে।
আর কী? বৃত্তবন্দি বসে থাকা।
কিছু মাইনর কর্ড বাজাই। বলি, ‘ব্রিঙ্ ব্যাক মিমি চকলেট’!

হাসিন এহ্সাস লগ্ন
হাসিন এহ্সাস লগ্ন’র জন্ম পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে, ২০০৬’র মার্চে। কলেজপড়ুয়া।
আগ্রহের বিষয় কবিতা, গান, পুরাণ, প্রত্নতত্ত্ব। ভালো লাগে ভাবতে, আর ভনেগাটের কথামতো যেকোনো একটা আর্টের মধ্যে ডুইবা থাকতে।
শেয়ার