আল ইমরান সিদ্দিকীর কবিতা

সাদা-কালো তাকিয়ে থাকাকেই প্রার্থনার ভঙ্গি করে নিয়েছি। জানালার বাইরে চিরচেনা দিনগুলি; গোধূলি ঘনছাই—   বোবা ও বধির হতে হতে সহসা যার দেখা মিলেছিল, সে তো

তানিম কবিরের কবিতা

দুখী আমরা আমরা দুজন দুইটা ভিন্ন দ্বীপের মধ্যে আটকা আছি চিরস্থায়ী দুখের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যা টাটকা আছি পৃথক পৃথক অপ্রাপ্তিযোগ এই জীবনকে ব্যাকুল করে রাখলো

অস্ট্রিক ঋষির কবিতা

ডিম ফাটার মুহূর্ত ফাটবে ফাটবে ক’রেও ফাটতে না পারার যন্ত্রণায় ভিতরে ভিতরে লাল হয়ে ওঠে যে ডালিম তার বেদনার্ত বোঁটায়                              সে চায়—                              একটা

বিধান সাহার কবিতা

অব্যক্ত সন্ধির দিকে   ১. অভেদ আগুন যেন, যেন উড়ন্ত মিথুন শূন্যে উড়ছে—উড়ছে হাওয়া আর জলের ভেতর দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে—   ক্রমাাগত উথাল-পাথাল, ধুম অন্ধকার শাখায়

শামশাম তাজিলের কবিতা

আদম পাহাড়  আদম হাওয়ার কাছে ফেরত চেয়েছিল বুকের হারানো পাঁজর হাওয়া দিয়েছে গোপন বিদ্যা শিকারের: ছুড়েছে পাথর   সেই থেকে পাথর চুম্বন, হাজরে-আসওয়াদ স্মৃতি হয়ে

রিমঝিম আহমেদের কবিতা

কথার জোনাক বিনা বাতাসে ভেতর থেকে এত এলোমেলো হই! এত কথার জোনাক! নিজেকে পুড়িয়ে ভস্ম হয়– শেষ করে আয়ু! আশৈশব ছায়া ফেলেছিল বুকে প্রগাঢ় জঙ্গল,

বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ এবং সুফি-পীর আব্দুস কদ্দুস হাওলাপুরী : একটি সম্পর্কের অনুসন্ধান | সরোজ মোস্তফা

১৯৩০ সালে জালাল খাঁর বয়স ছত্রিশ বছর। এই বয়সে তিনি মানবিক বিবাগী হয়ে, জীবন জিজ্ঞাসার অভিমুখী হয়ে বাড়ি ছাড়লেন। বাড়িতে তিনি ফিরেছেন, তবে সেটা গৃহীর

মাহমুদুল হক : গদ্যের জাদু কোথায় | আবু হেনা মোস্তফা এনাম

এসব উপন্যাস সম্পূর্ণার্থে কাহিনিরিক্ত নয় বটে, কিন্তু তা এখানে নিতান্তই গৌণ, যা বিদ্যমান তাও অনেকক্ষেত্রে ঘনসন্নিবদ্ধ নয়; বরং কাহিনির ধারাবর্ণনার পরিবর্তে তিনি উন্মেষিত ঘটনা পূর্ণ