পরানবায়ু | মাহীন হক
চোখ দুইটা ঘোলাটে, আধবোজা ও নিজের স্যান্ডেলজোড়ার উপর থিতু, যদিও আদৌ কিছু দেখতেছে কিনা কে জানে। সেই চোখে বাইরের কেউ প্রশান্তি কিংবা অবশতা, যেকোনোটাই কল্পনা
চোখ দুইটা ঘোলাটে, আধবোজা ও নিজের স্যান্ডেলজোড়ার উপর থিতু, যদিও আদৌ কিছু দেখতেছে কিনা কে জানে। সেই চোখে বাইরের কেউ প্রশান্তি কিংবা অবশতা, যেকোনোটাই কল্পনা
ভিড়ের ভেতর দাঁড়িয়েছিল হুমায়ুন। সাধারণত সে ভিড় ভাড়াক্কা এড়িয়ে চলে। এটা তার স্বভাব। অথচ আজকাল দিন এরকম যে ভিড়ের হাত এড়িয়ে চলা বড় মুশকিল। পুরো
সুলতান আহমদ দড়ির চৌপায়া ডিঙিয়ে ঘরে ঢোকে। সেই সাথে বৃদ্ধ দাদা রহমতুল্লাহকেও ডিঙিয়ে যায়। পুরা দুয়ারজুড়েই তো রহমতুল্লাহর শয্যা পাতা। তাঁর ছ ফুট দেহটা জোড়া-জাড়ি
হিজলফুল হিজলফুল তুমি আমার কানের দুল ভরযুবতী সে হয়ে উঠত ঝমঝমা বাদলার কালে। আর তার শিকড়-বাকড়ের ডানা-পাখনা জলমগ্ন করে দিয়ে খলবলিয়ে বয়ে যাওয়া যে খাল—
বাইরে দাঁড়িয়ে বিপুলা রাত্রিকে আমি উপভোগ করি। এই নিস্তব্ধতা ভেঙে এক অদ্ভুত স্বরে কেউ একজন বলে ওঠে, ‘আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই।’ তাকিয়ে দেখি
নীল বোনচায়নার পিরিচের একটা কোনা মনে হয় ধু’তে গিয়ে উঠে গিয়েছিল। আমার মাথায় আসছিল ‘চলতা ওঠা পিরিচ’। বিশাখা আস্তে করে বলল ‘চিপ্ড প্লেইট’। আমরা কেয়ারটেকারকে
“এই চামড়াপোড়া রোদে বেরোচ্ছিস তাহলে! ওসব কথা বলবার জন্য যেতেই হবে তোকে?” সন্তর্পণে দরজা খুলতে গিয়েও মায়ের কণ্ঠ শুনে থেমে যায় মণীন্দ্রা। বেশ অনেকদিন ধরেই
সোয়া আটটা বেজে গেলে এক্সিবিশন বন্ধের তোড়জোরে চারতলার গ্যালারি থেকে দর্শনার্থী হাওয়া। দর্শনার্থী না হোক, শরণার্থীর মতো এখানে কিছুক্ষণ আশ্রয় চাচ্ছি আমি। ভার্সিটির হলে না-ফেরার
একবার এক ইজরায়েলি মেয়ে করল কী, টেলিভিশন সেন্টারের নামে কেস করল। ঘটনা হইল আগের দিনের আবহাওয়া সংবাদে তারা বলছে রোদ আর গরম থাকবে। সে অল্প
সদ্য গোঁফের রেখা ওঠা কিশোর মতিন মায়ের আঁচল ধরে কান্দে, ছোট বোনের গালে গাল লাগিয়ে কান্দে, ছোট ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে, বাড়ির সামনের তালগাছের গা-ছুঁয়ে
©শিরিষের ডালপালা | ই-মেইল : shirisher.dalpala@gmail.com
লেখক বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত পুনঃপ্রকাশ নিষেধ।
www.shirisherdalpala.net কারিগরি সহযোগিতায় Karkhana