হিজল জোবায়েরের কবিতা
আদিম পুস্তকে এইরূপে লেখা হয়েছিল বজ্র-বৃষ্টির দিনে— বহুপুরাতন জল ভেদ করে তুমি এলে— পত্রমোচীর নিচে পুদিনা ও মাছ— দরবেশ, তোমার বাসিমুখ তুমি শালপাতায় মুছে আসো—
আদিম পুস্তকে এইরূপে লেখা হয়েছিল বজ্র-বৃষ্টির দিনে— বহুপুরাতন জল ভেদ করে তুমি এলে— পত্রমোচীর নিচে পুদিনা ও মাছ— দরবেশ, তোমার বাসিমুখ তুমি শালপাতায় মুছে আসো—
রোহক সবজি বাজার সবজি বাজার এহেন লোমশ— রোহক, তোমাকে বোঝাবার আশ্লেষে যাতায়াত করি শীত ঋতুর গহীনে ওম পরবশ টাটকা ও যথাযথ তার রঙ প্রকট এখানে…
সাদা-কালো তাকিয়ে থাকাকেই প্রার্থনার ভঙ্গি করে নিয়েছি। জানালার বাইরে চিরচেনা দিনগুলি; গোধূলি ঘনছাই— বোবা ও বধির হতে হতে সহসা যার দেখা মিলেছিল, সে তো
দুখী আমরা আমরা দুজন দুইটা ভিন্ন দ্বীপের মধ্যে আটকা আছি চিরস্থায়ী দুখের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যা টাটকা আছি পৃথক পৃথক অপ্রাপ্তিযোগ এই জীবনকে ব্যাকুল করে রাখলো
ডিম ফাটার মুহূর্ত ফাটবে ফাটবে ক’রেও ফাটতে না পারার যন্ত্রণায় ভিতরে ভিতরে লাল হয়ে ওঠে যে ডালিম তার বেদনার্ত বোঁটায় সে চায়— একটা
অব্যক্ত সন্ধির দিকে ১. অভেদ আগুন যেন, যেন উড়ন্ত মিথুন শূন্যে উড়ছে—উড়ছে হাওয়া আর জলের ভেতর দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে— ক্রমাাগত উথাল-পাথাল, ধুম অন্ধকার শাখায়
আদম পাহাড় আদম হাওয়ার কাছে ফেরত চেয়েছিল বুকের হারানো পাঁজর হাওয়া দিয়েছে গোপন বিদ্যা শিকারের: ছুড়েছে পাথর সেই থেকে পাথর চুম্বন, হাজরে-আসওয়াদ স্মৃতি হয়ে
কথার জোনাক বিনা বাতাসে ভেতর থেকে এত এলোমেলো হই! এত কথার জোনাক! নিজেকে পুড়িয়ে ভস্ম হয়– শেষ করে আয়ু! আশৈশব ছায়া ফেলেছিল বুকে প্রগাঢ় জঙ্গল,
পারফিউম যে-কোনো সময় রিক্সায় উঠতে ভালো লাগে খুব, পৃথিবীর সবচে’ আরামদায়ক বাহন বলে মনে হয়। ট্রেনও প্রিয়। জরুরি প্রয়োজন হলেও বাসে চড়তে পারি না আমি,
©শিরিষের ডালপালা | ই-মেইল : shirisher.dalpala@gmail.com
লেখক বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত পুনঃপ্রকাশ নিষেধ।
www.shirisherdalpala.net কারিগরি সহযোগিতায় Karkhana