১৯৪৪ সালে, বাইশ বছর বয়সে, জোনাস মেকাস লিথুয়ানিয়ায় তার ছোট্ট গ্রামটি ত্যাগ করেন, এবং পরবর্তীতে, তার ভাই অ্যাডোলফাসের কোম্পানিতে নাৎসিদের দ্বারা অধিকৃত হন বলে জানা যায়। মেকাসের সাহিত্য জীবন শুরু হয় এক আঞ্চলিক সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে। তিনি একটি জার্মানবিরোধী বুলেটিন প্রকাশ করেন এবং স্টালিনের বিরুদ্ধে একটি কবিতাও লেখেন। এরপর জোনাস এবং অ্যাডোলফাস ভিয়েনার পথে যাত্রা শুরু করেন; যদিও তাদের উদ্দেশ্য ছিল সুইজারল্যান্ড। কিন্তু হ্যামবার্গের কাছে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং জোর করে নাৎসিদের এক শ্রমিক শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জোনাস মেকাস ডায়রি লিখতে শুরু করেন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি নিউ ইয়র্কে পৌঁছান, সেখানেই তিনি এবং অ্যাডোলফাস একটি বিখ্যাত পত্রিকা “ফিল্ম কালচার” প্রকাশ করেন। ১৯৪৪ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যবর্তী এক সময়ের কথা এই ডায়রির দুই মলাটে প্রকাশ পায়। মূলত যুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপ এবং মধ্য শতাব্দীর নিউ ইয়র্কের এক প্রবাসী চিত্র এখানে অঙ্কিত যেখানে অনিশ্চয়তাই ছিল একমাত্র অপরিবর্তণীয়। ১৯৮৫ সালে তিনি লেখেন, “যতবারই আমি নিজের এই ডায়েরিটি পড়ি, আমি ঠিক যেন চিনতে পারিনা, এটা কি আমারই লেখা, আদৌ কি বাস্তব ঘটনা নাকি কল্পনা..পাঠক হিসেবে যখন পড়ি তখন মনে হয়, এ যেন অন্য এক ব্যাক্তির জীবনকথা, এরকম দুঃখ-কষ্ট আমার জীবনের অংশ ছিল, তা বিশ্বাস হতে চায় না। কিভাবে এই যন্ত্রণা অতিক্রম করেছিলাম, শেষ পর্যন্ত? তখনই মনে হয়, হয়তো এই ব্যক্তি আমি নই, অন্য কেউ।” ১৯৯১ সালে ‘ব্ল্যাক থ্রিসল প্রেস’ থেকে প্রথম এই ডায়েরি প্রকাশ পায়, যার নাম ছিল “আই হ্যাড নোওয়্যার টু গো”।
নিম্নলিখিত যে তিনটি সংযোজন তুলে ধরা হল, সেখানে মেকাস এবং অ্যাডোলফাস-এর বাস্তুহারাদের এক শিবিরে কাটানো কিছু দিনের বর্ণনা দেয়। মেকাস এখন ঘরবাড়ি হারিয়ে অত্যন্ত বিষাদগ্রস্ত, কিন্তু ধৈর্য ধরছেন, এ ভয়াবহ সময় অতিক্রম করে, আবার সুস্থভাবে বাঁচার আশায়। – নিকোল রুডিক
৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৪৮
বসন্তকাল। বাসন্তী বায়ু। চারিদিক পিচ্ছিল এবং কর্দমাক্ত।
সকাল ১১:৩০
আজ ভ্লাদাস এলো। সঙ্গে ওর মায়ের হাতের কুকুলিয়াই-এর নিমন্ত্রণ, আজ সন্ধ্যায়।
আল্গিস, লিও, অ্যাডোলফাস এবং পরে পুজিনাস, আজ আমরা সবাই ভ্লাদাসের বাড়িতে। যদিও তার মা পরিষ্কার জানিয়েছেন যে তিনি কখনোই আমাদের জন্য রান্না করার কথা বলেন নি। অগত্যা, আমরাও বোকা বনে গিয়ে বেরিয়ে গেলাম।
তখন রাস্তায় দুই মদ্যপ যুগোস্লাভিয় একটি মোটরসাইকেল চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাদের ঘিরে একটা ভিড় জমা হয়েছিল, সকলেই কমবেশি হাসছিল তাদের দেখে।
হঠাৎই মোটরসাইকেলটি চলতে শুরু করে! নাহ্, পড়ে গেল লোক দুটো। আবার চেষ্টা চালালো তারা। এরপর একজন বেশ গাট্টাগোট্টা যুগোস্লাভিয় মহিলার আবির্ভাব ঘটে এবং তিনি ঐ দুই ব্যক্তির একজনকে প্রায় ঘাড় ধরেই হিচড়াতে হিচড়াতে নিয়ে যান- খুব সম্ভব বাড়ির পথে।
স্তানিস্লাভস্কি পড়া শেষ হল।
লিও এলোমেলো হাঁটছিল আজকে, ভীষণ মন খারাপ করে, ঠিক যেন একরাশ কালো মেঘ। বলছিল, ও ভয় পাচ্ছে ওর হয়তো টিবি হয়েছে। এবং পিঠে বেশ ব্যথাও, হয়তো ক্যানসারও হয়েছে। ওকে একবার ডাক্তার দেখাতেই হবে।
থেরেস। ও একদিন বলছিল, “আমি নিজেকে এক আধুনিক নারী বলে মনে করি। নতুন ভাবনা-চিন্তাকে গ্রহণ করি। আমি মনে করি আজকে যা প্রচলিত, তা নিশ্চয় কোনোভাবে প্রয়োজনীয় এবং আমি তা সমর্থনও করি, আমি এভাবেই জীবনটাকে দেখি।” “তুমি মূর্খ, আধুনিকা নও।” আমি বলি তাকে। ” তুমি কেবলই ভাগ্যকে পরিণতিরূপে মেনে নাও: যা আসে- তা আসে। এখন কোনোদিন কেউ যদি তোমার গলা কেটে দিতে চায়, তুমি কি তাও মেনে নেবে? জোসেফ তার স্ত্রী মেরী এবং সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সহজাতভাবেই আমাদের কিছু কর্মস্বাধীনতা এবং বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। আমাদের নিজেকে ‘ভাগ্যের’ কাছেই সমর্পণ করতে হবে, আপস করতে হবে- এই রকম ভাবনা যুক্তিযুক্ত নয়। সেহেতু, সমসাময়িক যা কিছু ঘটছে, সবটাই অন্ধভাবে গ্রহণ করার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই।”
এরপর তিনি বলেন যে, যেহেতু আমি একজন কবি এবং আদর্শবাদী, আমি কখনোই, কোনোভাবেই বাস্তবকে তার মতো করে গ্রহণ করতে পারবো না। এবং এখানেই আমি তার সঙ্গে আমার কথোপকথন শেষ করি।
ভাবোচ্ছ্বাস- আমরা যতভাবেই গোপন রাখতে চেষ্টা করি, শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশ পেয়েই যায়। একজন লিথুয়ানিয় যেমন কোনোভাবেই প্রকৃতিকে ছাড়া বাঁচতে পারে না। দিগন্ত প্রসারিত সবুজ মাঠ, নদ-নদী, শুভ্র তুষার থেকে, কিংবা সেপ্টেম্বরের প্রান্তে বাতাসে যে ধুলো মাখা, জীর্ণ মাকড়সার জালগুলো ওড়ে, বা আগাছা আর বুনো ফলের গন্ধমাখা জঙ্গলের বন্য সুবাস- কিছুতেই তাকে এই সকল অনুভূতি থেকে পৃথক করা যায় না।
সম্ভবত এই কারণেই তাদের হাতে যেসব কাঠের যীশুমূর্তি গড়ে ওঠে, সেগুলি তারা পথের ধারে রেখে যায়, তাদের স্বপ্নালু মুখগুলি সর্বদা ক্ষেতের দিকে রয়ে যায়। তাদের যীশু যেন এক স্বপ্নরাজ্যের বাসিন্দা। তাদের যীশু লিথুয়ানিয়, এক মিষ্টি পথশিশু।
কখনও কখনও শূন্যতার পথে এগিয়ে যেতে বেশ লাগে। অন্য এক সত্তা বা আলাদা এক ব্যক্তিত্ব বা একেবারেই এক ধ্বংসস্তুপ হয়ে।
শূন্যতা ভীষণভাবে এক আশীর্বাদ।
আমার জীবন যেন সর্বদা দ্যোদুল্যমান, শূন্যতায় এবং… এবং… যা কিছু এর বিপরীত।
এটি আর যা ই হোক, পূর্ণতা নয়।
লিথুয়ানিয় লেখকদের মধ্যে আধুনিকতা এবং সাহিত্য নিয়ে মূলত দুটি অভিমত।
মাজালাইত: “বহিঃর্জগত থেকে আমরা কি শিখবো?একজন লেখক বহির্জগত থেকে কেন এবং কি শিক্ষা গ্রহণ করেন? একজন লেখক, একজন শিল্পী হলেন ঠিক এক পাখির মতো। তাঁকে গান গাইতেই হয়, তা সে যেভাবেই হোক।”
আমি: হ্যাঁ, তা তো গাইতেই হয়। কিন্ত তুমি তোমার গানটা থামাও তো! অনেক হয়েছে। কি ভয়ংকর তোমার গান!
স্মৃতি
আমরা এখন জঙ্গলের পথে, সঙ্গে বাবা। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, চারদিক খানাখন্দে ভর্তি। আমি আবার গাড়ির পিছনের দিকে বসেছি। চাকার লাফালাফির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকবার, আমার ভিতরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গও যেন লাফিয়ে উঠছে।
একটি গল্প
শোনা যায় এক ব্যক্তিকে ঈশ্বর ছোট্ট এক কাজ করতে বলেন। কি কাজ তা যদিও আমি জানি না। তাকে বলা হয় যে সেই কাজটি সুসম্পন্ন হলেই এই পৃথিবী পুনরায় স্বর্গে পরিণত হবে। সেখানে কোনও রাজা থাকবে না, কাউকে কোনও কাজ করতে হবে না, সবাই খুব সুখে-শান্তিতে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে ইত্যাদি।
এবার সেই ব্যক্তি কাজটি করবেন নাকি করবেন না- এই দোলাচলে ভুগতে থাকেন। একসময় ওনার মনে হয় ওনার কাজটি করা উচিত, পরমুহূর্তেই মনে হয় উচিত নয়, তিনি কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারেন না। “আমাদের স্বর্গের কি প্রয়োজন? মানুষ যেমন কাজ করছে করুক না! সেটা খুব কি সমস্যার? বরং কাজ কর্ম করা অবশ্যই ভাল অভ্যাস।” পরের দিনই আবার তিনি চিন্তা করেন, “বোধ হয় একেবারেই কাজ করতে না হওয়া একদিক থেকে বেশ ভালোই।” এবং এভাবেই চলতে থাকে। তিনি কিছুতেই মনস্থির করতে পারেন না। এভাবেই একটার পর একটা দিন কেটে যেতে থাকে এবং একদিন তিনি মারা যান। আফসোস এই যে আমাদের পৃথিবী আর কোনদিনই স্বর্গে পরিণত হতে পারল না।
১০ই জানুয়ারি, ১৯৪৮
আপনি অবশ্য এই টুকরো টুকরো লেখাগুলি এক একটি অসম্পূর্ণ অংশ হিসেবেই পড়তে পারেন। অথবা নামহীন এক ব্যক্তির চিঠি হিসাবে, যার আজও বাড়ি ফেরার জন্য মন খারাপ করে। অথবা এক উপন্যাস হিসেবেও, যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমার জীবন, আমার বেড়ে ওঠা- এসবই এই ছোট ছোট টুকরোগুলিকে এক উপন্যাসের বিষয়বস্তুতে পরিবর্ধিত। আর এ গল্পের খলনায়ক? বিংশ শতাব্দী।
এ ঘরে এই মুহূর্তে যেন এক দুঃখের প্রবাহ। জানলার ধারে বসে আছি একা। বাইরে..প্রবল তুষারপাত। প্রচণ্ড হাওয়া দিচ্ছে। সেই প্রচণ্ড হাওয়া শূণ্য বিস্কুটের কৌটোগুলো তুবড়ে দিচ্ছে, আর জানলার পর্দাগুলো পাগলের মত উড়ছে। পথচারীরা রাস্তার একধার ঘেঁসে চলছে, তাদের ভীতসন্ত্রস্ত মুখ, বারেবারে পিছনে ফিরে তাকাচ্ছে এবং মেঘগুলো- আহা, মেঘগুলো কি ভীষণবেগে ছুটে চলেছে, তাদের গর্ভে শৈত্য। মেঘেদের দেখে ভীষণ লিথুয়ানিয়ার কথা মনে পড়ল। সেখানেও কি এখন মেঘেরা এভাবেই ভেসে বেড়াচ্ছে? মন খারাপ হয়ে গেল। তবে মন খারাপ হওয়ার হলে তো মন খারাপ হবেই। সেক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা করে, মন শক্ত করে হয়তো খানিকটা আশাবাদী হওয়া যায়, কিন্তু মনের কোণে কোথাও একটা জেদি বিষাদের সুর ফিরে ফিরে আসে। নিজের দেশে, নিজের বাড়ি ফেরার জন্য যে অমোঘ টান, তা কিছুতেই কাটিয়ে ওঠা যায় না। যতই তা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি বা যতই নিজের সঙ্গে এ বিষয়ে বারেবারে কথা বলে ভুলে থাকতে চেষ্টা করি না কেন, জাগরণে আমার ভাবনা-চিন্তা, এবং নিদ্রাকালে আমার স্বপ্ন- কোনকিছুই এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে না। তবে নিজের দেশে ফেরার আকুলতা বা আকর্ষণ যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ অন্তত অনুভব করি যে জীবনের গতি এখনও রূদ্ধ হয়নি।
২৮শে জানুয়ারি, ১৯৪৮
ঠিক কি ঘটছে, আর কিই বা লিখছি? এক শূন্যতা যেন আমাদের এই বাস্তুহারা সাহিত্যের আঙিনায় দাঁড়িয়ে আর্তনাদ করছে। জীবন যেন ধীরে ধীরে পাথরের ন্যায় ভারী এবং অসহনীয় হয়ে উঠছে, বস্তিতে আটকে যাওয়া জীবন যেন প্রতি মুহূর্তে দলিত হচ্ছে। সমস্ত দিন কিছু দুখী মানুষের পদধ্বনি শুনতে পাই, একই একঘেয়ে ছন্দে তাদের ওঠা-নামা।(এবং দিনের শেষে কেউ ঠিকই আসবেন, কাঁধে হাত রেখে ঠিকই জিজ্ঞাসা করবেন: দেশ থেকে নতুন কোনও খবর?- অতঃপর তিনি চলে যান, তারা চলে যায়, এই মানুষগুলির দৃষ্টি কোনও এক সুদূর অতীতে আবদ্ধ হয়ে রয়ে যায়।)
মাঝেমধ্যেই লেখার সময়ে, সবকিছু কেমন যেন হঠাৎ করেই থেমে যায়: কেন, কার জন্য আমি লিখতে বসেছি? কেনই বা এই লেখা যখন কেউ তা কখনও পড়বেই না। হয়তো এই ক্রমাগত বয়ে নিয়ে চলা অনুভূতিগুলি লেখা হয়ে জন্মানোর আগেই, মনের ভিতরেই তাদের জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে ফেলা ভালো যতক্ষণ না তারা সমূলে বিনষ্ট হচ্ছে। কারণ এই ভাবনা, এই অনুভূতিগুলিই ভিতরে ভিতরে আমায় একটু একটু করে, যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করছে। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ যেন রক্তমাখা হাতে আমার দিকে ধেয়ে আসছে। ওরা আমার নিজের, আমার কাছের মানুষগুলোকেও নির্মমভাবে হত্যা করতে চায়, তাদের জিভ টেনে উপড়ে ফেলতে চায়। কি লাভ তবে আমার লিখে? কাদের জন্যই বা লিখবো তবে?
আবার আমি টেবিলে এসে বসি, আমার বিষাদময় চোখ নেশাগ্রস্তের মতো সাদা পাতায় নিমজ্জিত। এবং আমি যা কিছুই লিখি তার মধ্যে সমসাময়িক বিকৃতমস্তিষ্কপ্রসূত নানা অপরাধ, উন্মত্ততা ফুটে ওঠে। আমরা এক অসুস্থ, বিকারগ্রস্ত সময়ে বাস করছি যেখানে কেবল এক অলীক অপেক্ষা আছে, আর কিছু নেই। এ সময় এমন যখন আমরা জানি যে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা ইচ্ছা করলে ফেলে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই করতে পারেন, যা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজন। এ সময় এমন যেখানে আমরা দেখতে পাই যে চাকা ঘুরছে, কিন্তু আমরা চাকার এতই নগন্য এক অংশ যে তার ঘূর্ণনে আমরা কোনওভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারি না,এই নরকে চাকা ঘোরে ঠিকই, কিন্তু কিছু বৃহত্তর ক্ষমতার অঙ্গুলি হেলনে।
তবে কতক্ষণ তারা আপনাকে ভেঙে গুড়িয়ে দেবে, সেই অপেক্ষায় বসে থাকাও মূর্খামি। তাদের কাজটা আরও কঠিন করে তোলার উদ্দেশ্যে আপনি উঠে দাঁড়ান, এবং শুধু তাই ই নয়, আত্মরক্ষায় একের পর এক অস্ত্র ছুঁড়তে থাকুন তাদের দিকে, তাদের ঘিরে ফেলুন। আসুন, এগিয়ে আসুন, গ্রাস করুন। গোলায়েথ-ও কিন্তু একসময় টলেছিল, অতঃপর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। যখন সমগ্র পৃথিবীকে দেখি, মনে হয় যে এখনও মানুষ নীরবে যা কিছু শুভ, তা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু তখনই, যখন তা তাকে পাইয়ে দেওয়া হবে- তা সে দৈনন্দিন আহারই হোক বা স্বাধীনতা। তবে, অশুভ শক্তির বিনাশকার্যের সূচনায় সর্বাপেক্ষা কার্যকরী উপাদান কি জানেন? শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনে প্রতিহিংসার সামান্য পরিমাণ বীজ বপন, সামান্য অশুভ হয়ে ওঠার ক্ষমতা এবং সাহস।
এরপর বাকিটা আমাদের উপর, কিভাবে আমরা আমাদের এই পৃথিবীকে রক্ষা করবো, বা আর কি লিখবো..।
পৌলমী সরকার
অনুবাদক