সম্পাদকীয় ।। বাংলাদেশের সমকালীন ছোটগল্প সংখ্যা ।। মোজাফ্ফর হোসেন

মুক্তিযুদ্ধের আগে-পরে বাংলাদেশের সাহিত্যের একটা বিরাট অংশ লেখা হয়েছে সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে। দেশভাগের পরপরই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রধানত শিল্পসাহিত্যের ভেতর মূর্ত হতে শুরু করেছিল।

পাশা খেললেন ঈশ্বর ।। অদ্বয় দত্ত

বেশ ঝোড়ো হাওয়া দিচ্ছে। ব্রহ্মপিতা খুব নিবিড়ভাবে দেখলেন আদি মানুষটিকে, একটি পাথুরে গুহার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে। সেই নিভু নিভু আগুনের উত্তাপ

সাপ আর হিসহিসের গল্প ।। অলাত এহ্সান

আসাদ গেটে পৌঁছে আমরা সাপটাকে দেখলাম। সুরসুর করে ফুটপাত থেকে নেমে যাচ্ছে। এমনকি পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারীকে কিছু না বলে। তারপর রাস্তার ওপর ফণা তুলে

ইলিশ মাছের ঝোলের মত জোছনা রাতে জন্ম নেয়া গল্প ।। আনিফ রুবেদ

[একটা শিশু এবং আরো একটা শিশু, দু’জন বসে বসে কাঁদছিল মোড়ের উপর দোকানটার পাশে। সেখান দিয়ে একটা লোক হেঁটে যাচ্ছিল। হেঁটে যাবার সময় শিশু দু’টিকে

আচমকা ।। আফসানা বেগম

ভরা সন্ধ্যায় সোফায় শুয়ে ছিলাম। পাশ ফিরতে গিয়ে মনে হলো দরজায় কেউ। ঘাড়টা যে বেতের ওপরে পড়েছিল, খেয়াল করিনি, ঘাড়ে মালিশ করতে করতে উঠলাম। দরজা

ব্ল্যাক মিউজিয়াম ।। তানিম কবির

একটা বিষণ্ন পৃথিবীর কথা ভাবি আমি, যেখানে দিনরাত বলে কিছু নেই; — আছে এক অনড় সন্ধ্যা আর অনন্ত টেক্সটাইল মিল। ফিরোজা রঙের টানা আকাশজুড়ে অজস্র

সই ।। তামান্না সেতু

দুপুর থেকেই মেঘ ছিল সেদিন। মেঘের সাথে ছিল ঠাণ্ডা বাতাস। আশেপাশে কোথাও বৃষ্টি হয়েছিল নিশ্চয়ই। জ্যৈষ্ঠ মাসের ভ্যাপসা গরম, রোদের তাপ একটানা চলছিল দু-সপ্তাহ ধরে।

নগর ঢাকায় জনৈক জীবনানন্দ ।। পিয়াস মজিদ

নগর ঢাকায় প্রতিদিন কত আজব লোকের যে দেখা মেলে তার ইয়ত্তা নেই। এই যেমন গত পরশু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়ে উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটছিলেন রোগামতো কালোবরণ একটা

গল্পের খোঁজে ।। নুসরাত নীলা

ডাক্তারকে দেখে সবিশেষ ভক্তির এক হাসি দিলাম। তিনি প্রত্যুত্তরে দিলেন- ‘ইহারে পাইয়াছি মর্মের’ এক ব্যক্তিগত হাসি! খুব ভালো এই ডাক্তার। তাঁর শ্রোতাকুলের মধ্যে বোধকরি আমিই