গ্রাফিতি শিল্পী ইনভেডরের সাক্ষাৎকার | ভাষান্তর : মারুফ আদনান

‘ইনভেডর’(Invader) কে? উনি ছদ্মনামের আড়ালে একজন গ্রাফিতি আর্টিস্ট, ফ্রান্সের। স্ট্রিট আর্টিস্টও বলা যায়। গ্রাফিতির ক্ষেত্র বিস্তৃত, স্টেনসিল-স্প্রে ক্যান বা শুধু রঙ দিয়ে কিছু করে দিয়ে আসার মাঝে সীমাবদ্ধ নাই।  নানান মিডিয়াম ও কর্মকাণ্ড গ্রাফিতি হয়ে উঠতে পারে। পোস্টার-লিফলেট যেমন হতে পারে, তেমনি গ্যালারির কোথাও কোনো অবজেক্ট রেখে আসাও হইতে পারে অথবা কোন ভাস্কর্য বা এমন কিছু আপনি গিয়ে ভেঙ্গে দিলেন, কোন একটা চিন্তার জায়গার থেকে (এক্সিডেন্টলি ভাঙ্গা না) বা আরো অনেক কিছু। তেমনই ইনভেডর কাজ করেন টাইলস দিয়ে। উনি টাইলস দিয়ে বিভিন্ন জনপ্রিয় গেমসের ক্যারেক্টার বা এমন কিছু দেয়ালে করে চলে আসেন। তবে যা করেন, তার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, সবগুলাই পিক্সেলে করা। যে পিক্সেল আমরা ইমেজ জুম করলে পাই। প্রথম দিকে ‘Taito’ গেইমসের চরিত্র দেখা গেলেও পরে আরো নিজস্ব চরিত্র তৈরি করেন, যা তিনি আমাদের বিনা আয়াসে দেখার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে পর্দার অন্তরাল থেকে এই কর্মকাণ্ড করেন।এসব আপনারা ইন্টারভিউটা পড়লেই জানবেন। এই ইন্টারভিউটা আর্টিস্টের সাইট থেকে নেয়া। অনুবাদ করেছেন মারুফ আদনান। 


‘ইনভেডর’(Invader)আপনি কে? আপনি আসলেন কোথা থেকে?

আমি নিজেরে UFA (Unidentified Free Artist-অজ্ঞাত-স্বশাসিত শিল্পী) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করি। ‘Invader’ আমার ছদ্মনাম এবং আমি সবসময় মুখোশ পরে থাকি। এতে করে, কোনো উৎপাত ছাড়াই দর্শকের কয়েক কদম তফাতে দাঁড়িয়ে নিজের প্রদর্শনী দেখতে পারি। ১৯৯৮ থেকে  ‘স্পেস ইনভেডর’ (Space Invader) নামে বেশ বড় একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি।

‘Space Invader’ প্রজেক্ট নিয়ে কী বলবেন?

প্রথমত, এর উদ্দেশ্য মিউজিয়াম আর একাডেমির কবল থেকে শিল্পকে উদ্ধার করা। এর আরেকটা লক্ষ্য, স্পেস ইনভেডরদেরকে ভিডিও গেমস ও টিভি স্ক্রিন থেকে মুক্ত করা এবং আমাদের বাস্তব জগতে নিয়ে আসা। একদিন কাজ শুরু করে দিলাম, সিদ্ধান্ত নিলাম পিক্সেলাইজেশন (Pixelization)কে সিরামিক টাইলসের মাধ্যমে বাস্তবিক আকার দেয়া যাক। তবে শুরুতে আমি চেয়েছিলাম ‘ক্যানভাস’ (Canvas) দিয়ে একটা সিরিজ তৈরি করতে, পরে বুঝলাম দেয়ালে সরাসরি আটকানোর জন্য টাইলসই বেশি উপযোগী। তখন আমার কাজ প্যারিসের দেয়ালে এবং শীঘ্রই পৃথিবীর নানা শহরে স্থাপনের আইডিয়া পেয়ে গেলাম। প্রতিটা অনন্য টুকরাই এই ধারাবাহিক কাজের অংশ হয়ে উঠে।

এখানে আক্রমণের কৌশল কী? এই খেলার নিয়মই বা কী?

ধীরে ধীরে, আমি খুব সুক্ষ্ম প্রসেসের ভেতর দিয়ে যাই তারপর বিশ্বময় ভীষণ জনারণ্য কিছু শহর খুঁজে বার করে তাদের ‘ইনভেডর’ময় করে তুলি। সাধারণত, প্রতিটা শহরে ২০ থেকে ৫০টা কাজ করার চেষ্টা করি আর এতেই প্রচুর কাজ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এমনও হয়েছে, আরেকটি ‘ইনভেশন ওয়েব’ (‘invasion waves’–এ নামে ডাকতে ভালো লাগে ) স্থাপন করার জন্য একই শহরে ফিরে এসেছি। আমার উদ্দেশ্য হলো নতুন কাজের মাধ্যমে নিয়মিত ও লাগাতার আক্রমণ করা। ‘যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায়’ হলো আমার দর্শন। যখন ঠিক এবং গুরুত্বপূর্ণ নান্দনিক ‘ইনভেশন প্রজেক্ট’ নিয়ে কাজ করি তখন আমি নিজেরে গেজাই আর নিজেরে নতুন করে আবিস্কারের চেষ্টা করি।

আপনি আপনার কাজকে কি ‘কনটেম্পোরারি আর্ট’ বলবেন? নাকি ‘খেলা’? নাকি ‘গ্রাফিতি’? নাকি ‘স্ট্রিট আর্ট’?

উপরের সবগুলোই, এবং আরো কিছু থাকলে তাও।

এই প্রজেক্টে কতজন লোক জড়িত আছে?

স্টুডিওতে আমি একটা ছোট টিম নিয়ে কাজ করি, এটা খুবই গোপনীয় অপারেশন। আমি জানি এটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন কিন্তু ‘স্পেস ইনভেডর প্রজেক্ট’ একজন আর্টিস্টের প্রজেক্ট। প্যারিসে কিংবা অন্য কোথাও আরো যারা আছে, তারা তাদের নিজস্ব পথই অনুসরণ করে, নিজেদের শহরে মোজাইক ইন্সটল করে। এই স্বাধীন উদ্যোগগুলো সম্পূর্ণরূপে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তবে এটা ভেবে ভালো লাগে যে, একটা নির্দিষ্ট উপায়ে এই আন্দোলন আমিই শুরু করেছিলাম।

আপনার প্রজেক্টের মূল বিষয় হিসেবে কেনো ‘স্পেস ইনভেডরস’কে বেছে নিলেন?

যেখানে পৃথিবীর হৃদস্পন্দনই হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি, সেখানে তারাই আমাদের সময়ের সঠিক আইকন (Icon) বলে আমি মনে করি। যেহেতু এই শিল্পকর্মগুলো পিক্সেল প্রসেসে হয়ে ওঠে, সেহেতু টাইলসে প্রস্তুতকরণের জন্য তারা কয়েকটি ধাপে ভাগ হয়। অবশেষে, তাদের নাম বরাবরের মতো আগেই ঠিক হয়ে যায়; এই প্রজেক্টের নামের প্রবর্তক আমি, এবং তাদের নাম দিলাম ‘স্পেস ইনভেডর’ (Space Invaders)!

এই গেইম চরিত্রের আবিষ্কারক ও মালিক ‘টাইটো’ (Taito) কি আপনার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছে?

তারা নানা সময় আমার সাথে যোগাযোগ করেছে তবে অগ্রিম কোন বিচার-বিবেচনা ছাড়াই। একদিক থেকে আমার কাজ তো তাদের পক্ষে, বিপক্ষে না। বলা যায়, আমার অনুপ্রেরণার প্রাথমিক উৎস ছিলো ‘স্পেস ইনভেডর’ এবং আরো কিছু ভিডিও গেইমস তবে আমি দ্রুতই নতুন ধরন গড়ে তুলেছি এবং মৌলিক কিছু আইকন তৈরি করেছি। চারটা মূল টাইটো (Taito) চরিত্র থেকে আমার সৃষ্ট চরিত্রগুলো অনেক আলাদা এখন। আমার জগৎ এখন অন্য চরিত্রে ভরপুর যা আমার রঙ্গমঞ্চকে সাজিয়ে তুলছে অন্যরূপে। উদাহরণ হিসেবে বলি, সম্প্রতি আমি সৃষ্টি করেছি ‘পিঙ্ক প্যানথার’ (Pink Panthar), ‘মোনালিসা'(Monalisa) এবং ‘পিটার পেন’ (Peter Pan)। এই ক্রমবিকাশটা ধারাবাহিকভাবে সারা বছর ধরে হয়েছে।

মোজাইকগুলোর স্থান নির্ধারণ কীভাবে করেন?

আক্রমণের জন্য এটা খুবই দরকারি বিষয় এবং এটা ভীষণ বাস্তবিক সিদ্ধান্ত। আমার চিহ্নিত শহরের  স্নায়বিক পরিস্থিতিটা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। লম্বা স্কাউটিং প্রসেস’র (scouting process) মতো এতেও প্রচুর সময় লাগে। প্রায়শই এটাকে আমার শহুরে ‘আকুপাংচার’-এর (Acupuncture) মতো লাগে।

রাস্তায় গিয়ে কিভাবে কাজ সম্পাদন করেন? মোজাইকগুলো কি সাঁটানোর আগে তৈরি করা হয়?

এটা নির্ভর করে। আমি কিছু কৌশল গড়ে তুলেছি যা নানান পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে, যেমন–আক্রমণকারীদের সময় এবং স্থান, মোজাইকের সাইজ, দেয়ালের উচ্চতা; মূল বিষয়–যতটা দ্রুত আর স্বতন্ত্রভাবে কাজটা শেষ করা যায়।

টুকরোগুলো কিভাবে দেয়ালে সাঁটানো হয়? বাড়ির মালিকেরা কেমন প্রতিক্রিয়া করে?

সিমেন্ট ব্যবহার করি অথবা অত্যন্ত কার্যকরী কোন গ্লু। বিরক্ত কোন বাড়ির মালিক কিছু কাজ সরিয়ে দেয় অথবা ক্লিনিং কোম্পানিরা পরিস্কার করে ফেলে তবে তা খুব একটা ঘটে না।

পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয় না আপনাকে?

সব সময় না। এমনো হইছে কয়েকজন পুলিশ অফিসার চিনতে পেরে আমার কাজ করা দেখে মজা পেয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এমন ঘটনাও হয় যেখানে আমারে কাজ করতে দেয়া হয় না। একবার তো আমাকে সাপোর্ট করার কারণে এক গ্যালারির মালিককে দুই সপ্তাহ জেল খাটতে হইছিলো। কিছু দেশে তো আমি আর ঢুকতেই পারবো না, সে জন্য অভিযোগও করেছি। সৌভাগ্যবশত, এটা শুধুই আর্ট এবং তার জন্য কোনো ‘ডেথ-পেনাল্টি’র মুখামুখি হতে হবে না, যেটি একমাত্র দণ্ড হতো যা আমারে আমার এই প্রজেক্ট থেকে বিরত রাখতে পারে।

আপনার প্রজেক্টের কী কোনো বার্তা আছে? থাকলে তা কী রাজনৈতিক?

পৃথিবীকে দেয়ার মতো আমার কোনো বার্তা নাই আর আমি সরাসরি রাজনৈতিকও না। যে পদ্ধতিতে আমি কাজ করি তা এমনিতেই রাজনৈতিক; যেহেতু ৯৯% ভাগ কাজেই অবৈধভাবে আমি হস্তক্ষেপ করি। রাজনৈতিক বিরুদ্ধতার চাইতেও আমি মূলত আর্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর আছি। প্রতিনিয়ত নতুন কোনো কাজ রাস্তায় ইনস্টল করা কিংবা রোজকার মানুষদের অবাক করার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক শিল্পের ধারণাই আমার পছন্দ। আশা করি, আমার প্রজেক্টের একটা ছাপ শুধু বাইরে নয় মানুষের মনেও থাকবে।

আপনার মোজাইক কী কখনো সরিয়ে দেয়া হয়েছে বা চুরি হয়েছে?

সম্প্রতি এই বিষয়টার মুখামুখি হতে হয়েছে। যারা পুনরায় বিক্রি করবে বলে আমার কাজ তালাশ করছে তারা  বেশকিছু কাজ সরায় ফেলছে, ক্ষতি ও ধ্বংস করেছে। এখানে দেয়া ছবির কাজগুলোতে যে টাইলস ব্যবহার করেছি তা চুরি করা সম্ভব নয়। যারা টাইলস চুরি করবে তারা নিজেরা কাজ করতে চাইলে নতুন করে মোজাইক কিনে করা বা বানিয়ে করা ছাড়া উপায় নাই। এমনকি কাজের মধ্যে পুরানা লুক দেয়ার জন্য তারা Pantian (একধরনের রাসায়নিক ফাইবার) ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারে। তারপর এই খারাপ রেপ্লিকাগুলো বিক্রির চেষ্টা করে তারা। এটা বিশ্বাস করতে খারাপ লাগছে যে কেউ বাছবিচারহীনভাবে কাজ কিনতে পারে, লোকজনের কাছে এটা রোজকার পানি ভাত খাওয়ার মতো হয়ে গেছে। আমি শুধু এটাই আশা করবো, চুরি যাওয়া কাজ যেনো কেউ কিনতে আগ্রহ না দেখায়। তাহলেই এই বিশ্রী ও হীনকাজটা বন্ধ হবে।

ইনস্টল করা আপনার সমস্ত কাজের কী তথ্য-উপাত্ত আছে?

অবশ্যই, আমার প্রতিটা কাজেরই ডেটা-বেইস তৈরি করেছি–কাজের  ছবি, করার দিন, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্যসহ। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এসব এখন অনেক সহজ। শুরুতে আমি প্রচুর ছবি তুলে রাখতাম, শহরের ম্যাপ আর নোটবুকে হাতে সব লিখে রাখতাম।

নাম্বার কীভাবে দেন? প্রতিটা শহরের জন্য কী আলাদা নাম্বার আছে?

ইনস্টল করা প্রতিটা কাজকে ১০-১০০ এর মধ্যে একটা নাম্বার দিই। ফলে প্রতিটা শহরের একটা নিজস্ব নাম্বার  থাকে যা সমস্ত স্পেস ইনভেড‘সরা পেয়েছে।

সব চাইতে উঁচুতে করা কাজটার (স্পেস ইনভেডরের) উচ্চতা কতো?

২৩৬২ মিটারের কাছাকাছি (৭০০০ফিট), এটা  আছে সুইজারল্যান্ডের Anzere গ্রামের স্কি লিপ্টের কাছে। ‘স্পেসওয়ান'(Spaceone) মানে আরেকটা মোজাইক ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫ কিলোমিটার উপরে উড়তেছে। এছাড়াও সবচেয়ে  উঁচুতে আছে ‘স্পেসটু’ (SPACE 2), যা ২০১৫ সালে ISS ( International Sapce Station) এ স্থাপন করা হয়েছে।

আর কোন কাজটা সবচেয়ে নিচে?

এরকম দুইটা আছে। শুধু অভিজ্ঞ ডুবুরিরাই এ কাজগুলো দেখতে পারে যেহেতু এগুলো মেক্সিকোর ক্যানকুন (Cancun) সাগরের গভীর তলদেশে অবস্থিত। আর্টিস্ট Jason de Caires এর সাহায্যে তার ভাস্কর্যের সাথে ইনস্টল করা হয়েছে।

স্পেস শপ (Sapce Shop)-টা কী?

এটা একটা অনলাইন স্টোর, যেটা শুরুর দিকে খুলেছিলাম, যাতে করে পৃষ্ঠপোষকেরা আমার কাজ কিনতে পারে। আজ স্পেস শপ আমার কাজগুলো ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিছে, তা না হলে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে লোকজনের জন্য আমার কাজ পাওয়া দুঃসাধ্য  হয়ে যেতো।

‘স্পেস ইনভেডর’র মালিক হওয়া কী সম্ভব? লোকজন কীভাবে আপনার শিল্পকর্ম কিনবে?

সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো ঘরে টাইলস কিনে নিজে একটা শিল্পকর্ম নির্মাণ করে ফেলা। টাইলসগুলো সাজানো খুব কঠিন কিছু নয়। আমি যে ধরনের টাইলস ব্যবহার করি তা বাজারে অহরহ। দ্বিতীয় সমাধান হলো পুরা একটা রেডি কাজ কেনা। অল্প কিছু কাজ বিক্রির জন্য আছে। এগুলো স্টুডিওতে বানানো এবং স্পেস শপে বিক্রি করা হয়। একই সাথে এগুলো খুব কনসেপচুয়াল ও ফ্যাংশনাল। শেষ পর্যন্ত, যারা ইউনিক শিল্পকর্ম চায় যেটা রাস্তার আসল কাজটার মতো তারা একটা ছদ্মনাম খুঁজে নিতে পারে। রাস্তার নতুন ও পুরাতন কাজগুলোর একটিমাত্র প্রচলিত ছদ্মনাম থাকে। প্রতিটা ছদ্মনাম দেয়া হয় নির্ভেজাল সাক্ষরিত সার্টিফিকেটের মাধ্যমে। শিল্প-সংগ্রাহকগণের উচিৎ আমার দেখাদেখিতে করা কাজগুলো বর্জন করা।

আপনি কী আন্তর্জাতিক কিংবা মিউজিয়ামও গ্যালারির প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণ করেন?

হ্যাঁ, শহরের নানা জায়গায় আমি প্রায় সময়ই কাজ শো করি এবং গ্যালারি ও মিউজিয়ামের মতো জায়গাতেও শো করি। একটা থেকে আরেকটায় যাওয়া-আসা করতে আমার ভালই লাগে। এই দুইটা জায়গাই আমার জন্য সম্মানজনক শক্তির উৎস।

‘স্পেস ইনভেডর মোজাইক টাইলস’ ছাড়া আপনার অন্য কোনো শিল্পকর্ম করেছেন? মানে অন্যভাব ধারার কোনো কাজ কি আছে?

ওয়েবসাইটে  ‘more objects’  নামে একটা সেকশন তো দেখতেই পাচ্ছেন, আসলে আমি নিজেকে নানা ভাবধারায় নানাভাবে নিয়োগ করতে পছন্দ করি। আমি বই প্রকাশ করেছি, রুবিকস কিউবস (Rubik’s Cubes) নিয়ে কাজ করছি, সিনেমা বানাই, ভাস্কর্য ও ইনস্টলেশন করছি। জুতা উৎপাদন করেছি, বাজারে স্টাম্প ছাড়ছি, স্মার্টফোন এ্যাপস বানাইছি, এছাড়া কেক বানানোর যন্ত্রও বানাইছি। সবগুলো প্রজেক্টই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং এরা আমার শৈল্পিক জগতের অখণ্ড অংশ।

আপনি কী এখনো রাস্তাঘাটে পুরাপুরি এক্টিভ আছেন?

সম্পূর্ণরূপে, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত খুব কম সপ্তাহই গেছে যে সপ্তাহে আমার নতুন কোনো কাজ ইনস্টল হয়নি।

শেষ কথা হিসেবে কিছু বলেন।

খেলা শেষ হয় নাই!

লেখা সম্পর্কে মন্তব্য

টি মন্তব্য

%d bloggers like this: