চিতায় ওঠার স্বাদ হৈল বিচ্ছেদ,
দু‘টি পরিবারও ভাঙে হাঁড়ির খোলার মতো
ভাঙনের এগ্রিমেন্ট পেপারে কাঁপছে
দু‘টি সাইন
অনিবার্য ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে—
একটি ম্যাজিক লম্ফ ভুলে দৌড়াচ্ছে নিউরনে…
ঘোরটা শেষ হলেই আফসোসের হা-ডুডু
ঘোরটা শেষ হলেই তিতিরপাখির তীক্ষ্ণ ডাক
ঘোরটা শেষ হলেই শালিকের বিষণ্ণ বিকেল
ঘোরটা শেষ হলেই বজ্র মেঘের শাওয়ারি রাগ
গৃহিনীর ঘর পর্যন্ত সবজির দৌড় শেষে
অভ্যস্ত হাতে না পৌঁছালে উভয়েই অসুখে পড়ে,
চোখের শ্বেতমণ্ডল তখন হলুদ।
অ্যাকুয়াস ফুল ফোটে জলভাঙার দুপুরে—
তখন জানালার পাশ দিয়ে কেউ গেলেই
ছায়া ছায়া পড়ে
ডুমুরের বুকে কান্না জাগে…
এগ্রিমেন্টের সাইন তখন নদী
বয়ে যাচ্ছে চিতার দিকে…
কলেজ লেক
সবে থার্টি ডিগ্রী এঙ্গেলে সূর্য হেলেছে পশ্চিমে—
পদ্মপাতায় জল ও মাছ দস্তুর হোলি খেলছে…
একটি ফিঙে পশ্চিমের ডাল থেকে
ঝাপিয়ে পড়ল জলে, উড়ে উঠল পূবেরই একটি ডালে,
পাখা ঝাপটাচ্ছে,
দুপুরের স্নানে ইশারা করছে ঈশ্বরকে—
জলে হিজলের ছায়ায় এক জোড়া তিলা ঘুঘু ;
ঠোঁট নাড়িয়ে নাড়িয়ে শেখাচ্ছে যমুনার জল-গর্জন
ছেঁড়া কাপড়ে উবে যাচ্ছিল পতনমুখী বৃদ্ধাটিও…
গোধূলি এলে
মানুষ কেন কবরের দিকে চেয়ে চেয়ে হাঁটে?
মরীচিকা
সংগ্রামের দিন শেষে—
কয়েকটি দম, কদম উড়ে যাচ্ছে সূর্যের পিছু পিছু…
বালিহাঁসের পাছা থেকে
খসে গেল নিমগ্ন এক ভ্রান্ত দোলক—
বাম না, বামন ঠাহর করা যায় না
মুখের ভাবে আলু সিদ্ধ শুধু…
ব্যর্থ নকশালের চশমা এখনো ফ্যাশনেবল
রসদ
কোনো মগ্ন মানুষের ঘ্রাণে
খেজুরগাছটি
লিরিক আঁকতে আঁকতে উঠে গেল আরশে—
তারপর জীবিকার টুপ টুপ সন্তরণ,
সারারাত…
‘কতগুলো গূঢ় গল্প হাতড়াবে রসের কলসিটি‘
মৌনিকা সারেন
তোমার ব্রণগুলো নক্ষত্রের মতো ফুঁটে থাকে—
নক্ষত্রগুলো আমারই স্পর্ধা, সন্তরণের স্বর
টুপ
টুপ
করে
ঝরে যাচ্ছে
কয়েকটি কামুক ময়ূর…
তখন বেপরোয়া কুমকুম হাওয়ায়
ইশক মেরা মাস্তানা ;
ক্রমশ বাড়ন্ত লাউ-ডগার দিকে ফোঁটে…
নিজেকে হত্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে
সংশয় ফোঁটাচ্ছে আজরাইলের ডানা…
উপযুক্ত অরণ্যের অভাবে সবুজ ময়ূর হওয়া হৈল না
তবু দুর্দান্ত সব মর্সিয়া তোমার নামে খেলছে বুকে—
খেলছে বুকে বেহালার শ্রান্ত অর্গাজম…
খেলুক !
ফুটুক !
ঝরুক!
শ্মশানে হচ্ছে বাজে খরচা ভেবে, দূরেই থাকো—
পাতা ঝরার খবর কে রাখে? তোমারই বা কি দরকার?