জীবনের পরিপূর্ণ সংকটে
যদি শরীর দামে কিছুটা কম,হৃদয় বিশেষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
অতটা জাগে না বেদনা,সহসা ফুরায়ে যায়।
পাথরতা ভালোবাসি নি
যদি আর এসব প্রাসঙ্গিক নয়—, হৃদয়,প্রেম— কোথায় আর ভালোবাসা!
ব্যস্ততা খুঁজি ব’লে মনে হয়,পাই না
স্ট্রেইঞ্জারের মতো,এসে গেলে বুঝি— অবসরই আমার।
এখানে দৈহিকতা গৌণ
তাই বিপরীত মানুষের কাতরতায়
প্রেমই কেবল কার্যকর বড়শি।
যদি আর এসব প্রাসঙ্গিক নয়,— হৃদয়,প্রেম— কোথায় আর ভালোবাসা!
জীবনের পরিপূর্ণ সংকটে
হৃদয় তো নিষ্কাম,শরীর তবুও অতটা না।
সার্ভাইভাল
তোমাকে ভেবে—, খুঁজে পেতে থাকি জীবনের মাদকতা
তবুও বেঁচে থাকা সহজ নয়।
তোমাকে ভেবে—, খুঁজে পেতে থাকি জীবনের ঘাতকতাও
বিশ্রাম নেই
দিন নেই
রাত নেই
তেড়ে আসে আঘাত।
আঘাতপ্রাপ্ত হই রোজ
তবুও তোমাকে না ভেবে
বেঁচে থাকা সহজ নয়।
তোমাকে ভেবে,— খুঁজে পেতে থাকি জীবনের অস্থিরতা
যেন কোথাও আশ্রয় নেই
নিজেকে সাশ্রয়ের জো নেই
কেউ নেই,কিছু নেই
তবুও তোমাকে ভেবে
বেঁচে থাকা কঠিন নয়।
তোমাকে ভেবে,— খুঁজে পেতে থাকি জীবনে নিজেস্বতা
ভিতরে ভিতরে এখনোও কিছুটা আমি র’য়ে গেছি যেন।
তবুও তোমাকে ভেবে
বেঁচে থাকা সহজ— এমনও নয়।
পয়লা সেক্সের তরে
বহুদিন পরের একদিনের কথা,সেক্স করার পক্ষে সম্মতি পাওয়া গেল তারও।
আর আমার সম্মতি তো আগে থিকাই ছিল।
জিন্দেগীর পয়লা সেক্স;
কই করব
কহন করব
ক্যাম্নে করব
কি কি করব
কই কই করব
কয়বার করব
কন্ডম পরবো
নাকি পিল খাওয়াবো
কেম্নে না-কন্ডমে করা যায়— এইসব চিন্তায়
মাথা পুরাই আউলায়া যায় যেন।
কি যে উত্তেজনাকর এক ঘটনা তখন!
উত্তেজনা সব গ্লানি গ্লানি হয়া গেল
নিরাপদ সেক্সের প্লেস খুঁজতে যায়া।
যারেই কই
যেম্নেই কই
কোন রুম পাই না।
কোথাও নাকি রুম নাই!
অরা কই সেক্স করে,তা জিগাইলে নানা এক্সকিউজ—,
আগের বাসায় সেক্স করা যাইত,এখনকার বাসায় যায় না।
সেক্স বিরোধী বাড়িওয়ালা।
তারপর,তাদের বাসায় কই কই থিকা যানি বন্ধু-বান্ধব আসছে,তারা হাল্কা মদ-টদ খাবে,তাই তাদের বাসায় এখন এক্টুও চোদাচুদি করা যাবে না।
পরে কোনো একদিন হয়তো করা যাবে।
কেউ কেউ আবার পরিবারের লগে থাকে—
বাপ-মা,ভাই-টাই,ছাওয়াল-মাইয়া ইত্যাদি।
এইরকম পারিবারিক বাসায় গিয়া তো আর মনের সুখে সেক্স করা যায় না।যায় কি?
আর,সুখের চিন্তা বাদ দিয়াও যদি করতে যাই,
তা-ও তো আমারে করতে দিবে না।
এইসব ফ্যামিলি ম্যান/ওম্যানগুলারে তাই জিগাইতে মন চায় যে,তারা কই সেক্স করে।
কিন্তু জিগাই না।
বুঝে গেছি,এরা কই সেক্স করে তা আমারে বলবে না।
যেন,এরা কই সেক্স করে তা বলা ওস্তাদের নিষেধ আছে।
আর,হোটেল-মোটেলে তো যাওয়া যায় না।
সেইফ না একটুও।
কই কই থিকা যে মাম্মোর বেটা পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করতে আসবে,তার তো ঠিক নাই।
নিউজপেপারের হেডলাইনও ভালো রসালো—,
অমুক হোটেলের এত নম্বর রুম থেকে নগ্ন অবস্থায় তরুণ-তরুণী আটক!
আরে ভাই,সেক্স করতেছিলাম,নগ্নই তো থাকব,তাই না?
নাকি তোমরা জামা-কাপুড় পিন্দাই সেক্স করো?
আমি তো জানি না।আগে করি নাই।
বলো,জামা-কাপুড় পিন্দাই যদি করো,তাইলে আমিও জামা-কাপুড় পিন্দাই সেক্স করব।
তাছাড়া আছে আরও—
হোটেলের পার্ভার্ট বয়গুলা এদিক-সেদিক ক্যামেরা ফিট কইরা রাখে— কি এক ঝামেলা!
সেক্সের ফুটেজ-মুটেজ বাইর হয়া ছড়ায়া যাবে ইন্টারনেটে।
আর,লোকে হয়তো আমারেই আইসা কবে,— ভাই,লিংকটা একটু…
আমার পার্টনার কইরা ফালাইতে পারে সুইসাইডও।
সেই দায়ও ঘুইরা-ফিরা আমার ঘাড়ে বর্তাবে।
উফফফ!
হোটেলে তো আর গেলাম না,পয়সা কিছু বাঁচলো।
আবার,কোনও রুম-টুমও পাইলাম না।
যাদের আগে চুদিরভাই ভাবতাম,তাদের আর চুদিরভাই ভাববো কি না,এইটা আবার ভাবতে হবে।
এ সফর সাফারের
কার্পন্য নেই আমাদের বিষন্নতায়
আর,অঘোষিত নিয়ম—, আমরা আক্রান্ত হই রাতে।
যাদের ঘুমাবার কথা,তারা ঘুমিয়ে গেলে
জেগে ওঠে বেদনার উৎসব।
উৎসব ফুরিয়ে গেলে,শুরু করি ভাতের সন্ধান।
ফিরতি গানে,ক্লান্তিতে
আমাদের গলা ধরে আসে,
মুহূর্তেই গিলে ফেলি চিৎকার।
প্রতিদিন,চিৎকার জমে জমে
এত ভারী লাগে শরীর—, ডুবে যাই যেন আরও— নিজের ভিতর।
পৃথিবী সফরে এসে
যতটা সফর,তারচে’ বেশি সাফার
এবং তবুও,আকড়ে থাকি জীবনের মাদকতা।
আনলাভ করতে করতে
বন্ধু-বান্ধবের সাথে যখন মদ-গাজা খাব,ইভেন,বিড়িও— তোমারে খানকি-মাগি,বেশ্যা বইলা গালি দিব কয়েকবার— কয়েকদিন।এইগুলার ফাকে ফাকে— ফাকিউ বিচ,অথবা ডার্টি ফাকিং বিচ বইলা গালি দিব।গালিতেও শ্রেণি পার্থক্য আছে,যেহেতু জানি— এইগুলাও রাখতে হবে মাথায়।
আরও নোংড়া কথা বলব,ইংরেজি নোংড়া যদিও কম নোংড়া,তাও ইংরেজি গালিই দিব,বলব— ওর্থলেস হোর,সাক মাই ডিক,কিস মাই অ্যাস-সহ আরও,যেইগুলা মনে আসতেছে না— অইগুলাও।
গালি দিতে দিতে ভাবাবো,আর ভাববো যে খুব ভুইলা যাইতেছি,খুব আনলাভ করতে পারলাম তোমারে।
তারপর,নেশা-পাতি শেষ হইলে,যখন কেউ নাই আর— কোথাও,তখন?তখন বুঝি,আরও ক্লিয়ার,— তোমারে ভুইলা যাইতে যাইতে আরও বেশি মনে রাখতেছি,আনলাভ করতে করতে আরও বেশি লাভ করতেছি।