উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, মাত্র বিশ বছর পর ১৮৫৯ সালে নিজেরই লেখা ‘আ টেইল অব টু সিটিস’ এর মদের পিপার দৃশ্যটিতে ডিকেন্স যে সুক্ষ পর্যবেক্ষণ শক্তি দেখিয়েছেন, তা তার লেখনীর অন্য একটি কৌশলে পরিণত হয়েছে। তার এই কৌশলটি চমকপ্রদ, কিন্তু অলঙ্কারবহুল। বিশদ বর্ণনার গঠন প্রকৃতি অদ্ভুত ধরনের, যা  পাঠকের চোখের চাইতে মনে বেশি ছাপ ফেলে …

                                                   পর্ব ১২ আমরা যারা পরবর্তীকালের লেখক, তাদের লেখা মূলত উপন্যাসের তৈরি হয়ে যাওয়া কাঠামো থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। আমরা আর কখনোই এই ধারার সৃষ্টিকালের লেখক হতে পারবো না। হয়তো এই কাঠামোতে …

                                                  পর্ব ১১ ১৯৬১ সালে নারায়ণের সাথে লন্ডনে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি তখন ভারতে ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নারায়ণ আমাকে বললেন যে তিনি দেশে ফিরে যেতে চান। তিনি জোর দিয়ে বলেন …

                                                       পর্ব-১০ অস্পষ্টভাবে হলেও এই ইবনে বতুতার বর্ণনাতেই কেবল প্রাচীন ভারতের সাধারণ জনতার জীবনের গল্প পাওয়া যায়। যাদের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তারা ছিল, হয় তার ভূমিদাস অথবা ক্রীতদাস (শাসকের …

                                                                          পর্ব ৯ লেখক এবং ভারত ভারতবর্ষ যেন এক বিশাল ক্ষত। পুরো ভারত দেশটাই লেখার জন্য চমকপ্রদ একটি বিষয়। …

                                                  পর্ব-৮ স্কুল চত্বরের শামান গাছের নিচে যে যায়গাটায় দাঁড়িয়ে ওয়র্ম স্যারের ক্লাসের জন্য আমরা অপেক্ষা করতাম, কে বলতে পারে  হয়তো সেখানেই ১৮০৩ সালে ডমিনিক ডার্ট-এর বেল এয়ার নামের জমিদারী ছিল। …

                                                   (পর্ব ৭)   যা হোক, যাবতীয় ভুল-ভাল সত্বেও, প্রথম দিককার লেখা উপন্যাসগুলোর মতোই, এই বইটাও আমার জ্ঞান আর অনুভূতি বৃদ্ধির কাজে যথেষ্ঠ সাহায্য করেছে। বইটা লিখতে গিয়ে যা কিছু শিখেছি …

               পর্ব ৬ ৫. লেখক হবার কল্পনার যে জগতে আমি বাস করতাম সেখানে সত্যিকারের বই লেখার ব্যাপারে কী করতে হবে সেটা সম্পর্কে কোন ধারণাই আমার ছিলো না। তবে মনে হয়, আমি ভেবেছিলাম কোন রকমে প্রথম বইটা লিখে ফেলতে পারলেই পরেরগুলো আপনাতেই লেখা হয়ে যাবে।   কিন্তু বাস্তবে দেখলাম ব্যাপারটা …

অক্সফোর্ডের কষ্টার্জিত বৃত্তি পাবার পর আমার লেখালেখি করার সময় এসেছে বলে মনে হল। কিন্তু বাস্তবে আমার লেখার শূন্য থলিটা একেবারে ফাঁকাই রয়ে গেল। ফিকশন আর উপন্যাস লেখার কাঠামোটা আমার কাছে তখনও মস্ত ধাঁধার মতো, যেখানে উপন্যাসের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হচ্ছে এটি হলো একটি কল্পকাহিনী বা ফিকশন তৈরি করা ; অন্যদিকে আবার এই কাহিনী হতে হবে …

কনরাড এবং এই উপন্যাসের (আন্ডার ওয়েস্টার্ন আইজ) লেখক (কনরাডের বন্ধু) দু’জনের মতেই প্রতিটা গল্পের ভেতর শিক্ষামূলক কোন নীতি আবিষ্কার করা প্রয়োজন। আমি নিজেও এই একই মনোভাব পোষণ করি। আগেই বলেছি লেখালেখির শুরুতে ব্যাপারটা আমি নিজেও জানতাম না। কনরাডের মতো এই একই মনোভাব আমার ভেতর গড়ে ওঠার পেছনে কাজ করেছে আমার পড়া রামায়ন, ঈশপ, অ্যান্ডারসন এবং …