কবিতার কাজ এমন নয় যে তা বাজিমাত করতে এসেছে, তার একটা অন্তশ্চারী যাতায়াত আছে, তা কোথাও নীরব তীক্ষ্ণ সংবেদী কোনো প্রান্তবাসী মনের সমর্থন খুঁজে ফিরছে মাত্র, আর এই জন্যে তার মধ্যে দিশেহারা হওয়ার কোনো ব্যগ্রতা নাই। অ্যাপেলেসের আঁকা মাদি ঘোড়ার ছবি দেখে বাস্তব জগতের একটা ঘোড়া সঙ্গমোদ্যত হয়েছিল, রসানুসন্ধানীর তরফে, কবিতা কখনো কখনো সেইরূপ যুক্তিহীন …
অগ্রন্থিত ভাড়াটে নতুন ভাড়াটে এল পাশের বাড়িতে মালামাল সব উঠছে ওপরে ট্রাকভর্তি অনেক প্যাকেট আসবাবের সাথে একটা বিষাদ উঠছে হাঁড়িপাতিলের সাথে একটা কান্না পালঙ্কের সাথে একটা দীর্ঘশ্বাস ওয়ার্ডরোবের সাথে একটা অভিমান …
মুজিব ইরম সাং নালিহুরী নিজ নামে ডাক দিলে কেঁপে ওঠে অতলান্ত পথের গরিমা। যা কিছু জন্মে পাওয়া…যা কিছু নালিহুরী…যা কিছু নিজনাম…নিজদেশ…নিজস্ব নিয়ম…জেগে ওঠে নিজ কোলাহল। মানুষ কেবলি হাঁটে সীমাবদ্ধ জলে। যদিও বা কেউ কেউ হেঁটে আসে গ্রিস। আরো দূর ছুঁয়ে আসে মাথুউজেলা গাছের বয়স। আমাজান হ্রদের শরীর। অতঃপর স্ট্রবেরি ক্ষেতের পাশে একটু জিরিয়ে নিয়ে …
সহোদরা ও প্রেমিকার মৃত্যু যে বাতাসে ভেসে তোমাদের দেশে আসি কিছু মদ আর বিষাদ জমিয়ে রাখি বাতাস ঝড় হবে না বলে আমাকে ভাসায় আমি উদ্ভ্রান্ত দিনের পেটে ঘুমিয়ে থাকি কাঁথার ভিতর জেগে থাকে রোদের পাথর তার উত্তরে ছিলো দীর্ঘ রাতের নিশ্বাস তোমাদের দরোজায় ডাকে শাদা রাজহাঁস এই ভেবে আমি জেগেছিলাম চারশোবছর ঘুম ভেঙে …
প্রিয় পিয়ক্কড় কাব্যগ্রন্থ থেকে ১. প্রিয় সম্পাদক, “আমাকে বুঝতে গেলে জটিলতা অর্জন কর। সারল্য তোমাকে সারাতে পারত, সেই সব দিন চলে গেছে”—এ’ভাবে বলতে পারতাম, গানের লাইন হিসেবেও মন্দ নয়—তবে বিনয়ে বাধে। বরং এ’ভাবে বলি, আমার কবিতার একমাত্র কাজ আমার একাকীত্বকে সন্দেহ করা। আত্মপক্ষের বাঁট ঘুরিয়ে দিয়ে অন্ত্রে ঢুকিয়ে দেওয়া ফলা। রেটরিক বলতে প্লেটোর কথা মনে …
ফিতা_____________________ মাদারিপুরের স্তনের দিকে ধাবমান সিদ্ধিরগঞ্জ… বাতাসে ব্লেড উড়ছে বাতাসে ব্লেড উড়ছে… কেওড়ার ডালে মৃত ময়ূরীর চুল দেখা যায়… … এ ছায়া কর্দমাক্ত ঠিক মানুষ নয়, মানুষের মতো অবয়ব। শূন্য পাকস্থলী ফুঁড়ে জন্ম নিচ্ছে অজগর দিদিরা যমুনামুখী অভ্যন্তর ফেলে দিতে জরায়ন পরিত্যাগ করি… আমি আর কেউটে সাপ অভিযাত্রী পরস্পর। সু-প্রভাত নামে …
মন অনেকটা ঝিঁঝি পোকার মতো দেখা যায় না ডাক শোনা যায় ধর্ম খুচরো–ও আছে,নোট-ও আছে আর মাসের শেষে ট্রেনের কিছু ফুরিয়ে যাওয়া মান্থলি দুটো একটা ভাঁজে ভাঁজে ছিঁড়ে যাওয়া চিঠি আর হয়তো একটা শুকনো জুঁই ফুল একটা কোনো ভিজিটিং কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো —এই সব ঈশ্বরেরই আর এক নাম মানিব্যাগ তিনি সকলের জানে বলেই …
গৌতম চৌধুরীর জন্ম ২রা মার্চ, ১৯৫২। প্রথম জীবনে সম্পাদনা করেছেন একটি কবিতাপত্রিকা ‘অভিমান’ (১৯৭৪-৯০)। প্রথম কবিতার বই ‘কলম্বাসের জাহাজ’ প্রকাশ হয় ১৯৭৭ সালে। সম্প্রতি বইটির পুনঃমুদ্রণ করেছে রাবণ। সর্বশেষ কবিতার বই ‘কে বলে ঈশ্বরগুপ্ত’ কলকাতার ধানসিঁড়ি থেকে বের হয়েছে অল্প কিছুদিন হলো। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার সংবেদ থেকে প্রকাশ হয় ‘বনপর্ব’। ‘ধ্যানী ও রঙ্গিলা’ প্রকাশ …
আজ পহেলা অক্টোবর। বাংলা ভাষার কবি আন্দালীব-এর জন্মদিন। কবির জন্মদিনে শিরিষের ডালপালার শুভেচ্ছা। পড়ুন কবির স্বনির্বাচিত ২৫টি কবিতা। একটা রঙিন ফুলের পাশে তিনি দেখছেন একটা রঙিন ফুলের পাশে লেখা আছে এবারের বসন্ত বিথোভেনের সকল প্রজাপতি চাপল্য নিয়ে উড়ে গেছে এক অফুরান হর্ষের দিকে তিনি দেখছেন খানিক ঢলায়িত কোন মালিনীর হাসি বাগানবিলাস আহা লাস্যের রীতিনীতি …
পরবর্তী পাণ্ডুলিপি থেকে আমাদের জার্নি অনেক বছর ধরে আছি ইনসমনিয়ায়। আর তুমি রিকশায় যেতে যেতে ঘুমিয়ে পড়ো, কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ো, সঙ্গম করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ো। আর আমার পাশ দিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছে একটা অতনু ঘোড়া। ধূলি উড়িয়ে কোথায় চলেছে সে? কী অদ্ভুত জার্নি আমাদের— হে সড়ক হে ছায়ামূর্তি! আয়নার দিকে (২০১৫) নগেন …