দশকপূর্তি সংখ্যা : ভাষানন্দিনী পর্ব | সম্পাদকীয় ও সূচি

ইতিহাস বলে পৃথিবীর প্রথম কবির নাম এনহেদুয়ান্না, যিনি একজন নারী, যাঁর আবির্ভাব হয়েছিলো আজ থেকে ৪ হাজার ২৮১ বছর আগে। তিনি প্রার্থনাসঙ্গীত ও স্তবগান লিখতেন।

চারটে ময়ূর | আনোয়ারা সৈয়দ হক

ভিড়ের ভেতর দাঁড়িয়েছিল হুমায়ুন। সাধারণত সে ভিড় ভাড়াক্কা এড়িয়ে চলে। এটা তার স্বভাব। অথচ আজকাল দিন এরকম যে ভিড়ের হাত এড়িয়ে চলা বড় মুশকিল। পুরো

সবুজ পাসপোর্ট | শাহীন আখতার

সুলতান আহমদ দড়ির চৌপায়া ডিঙিয়ে ঘরে ঢোকে। সেই সাথে বৃদ্ধ দাদা রহমতুল্লাহকেও ডিঙিয়ে যায়। পুরা দুয়ারজুড়েই তো রহমতুল্লাহর শয্যা পাতা। তাঁর ছ ফুট দেহটা জোড়া-জাড়ি

হিজল ও চন্দ্রপ্রভার সংহরণ | পাপড়ি রহমান

হিজলফুল হিজলফুল তুমি আমার কানের দুল ভরযুবতী সে হয়ে উঠত ঝমঝমা বাদলার কালে। আর তার শিকড়-বাকড়ের ডানা-পাখনা জলমগ্ন করে দিয়ে খলবলিয়ে বয়ে যাওয়া যে খাল—

পাখসাট । রাশিদা সুলতানা

বাইরে দাঁড়িয়ে বিপুলা রাত্রিকে আমি উপভোগ করি। এই নিস্তব্ধতা ভেঙে এক অদ্ভুত স্বরে কেউ একজন বলে ওঠে, ‘আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই।’ তাকিয়ে দেখি

বর্ণালী সাহার সাক্ষাৎকার | আলাপকারীঃ রুহুল মাহফুজ জয়

আমার সমসাময়িক যেসকল লেখক কথাসাহিত্য করছেন, তাদের মধ্যে আমি পাঠক হিসাবে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ বর্ণালী সাহা-তে; তাঁর লেখার বিষয়াবলি এবং অতি অবশ্যই লেখায় ক্রাফটের আভিজাত্যের

এমনে আমরা বিশদবসনা | বর্ণালী সাহা

নীল বোনচায়নার পিরিচের একটা কোনা মনে হয় ধু’তে গিয়ে উঠে গিয়েছিল। আমার মাথায় আসছিল ‘চলতা ওঠা পিরিচ’। বিশাখা আস্তে করে বলল ‘চিপ্ড প্লেইট’। আমরা কেয়ারটেকারকে

সঙ্গী | রওনক মিরাশদার

“এই চামড়াপোড়া রোদে বেরোচ্ছিস তাহলে! ওসব কথা বলবার জন্য যেতেই হবে তোকে?” সন্তর্পণে দরজা খুলতে গিয়েও মায়ের কণ্ঠ শুনে থেমে যায় মণীন্দ্রা। বেশ অনেকদিন ধরেই

রিমঝিম আহমেদের সাক্ষাৎকার । আলাপকারী : রনক জামান

এই সময়ের বাংলা কবিতায় পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ নাম রিমঝিম আহমেদ। নয়টি কবিতাগ্রন্থ ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে তাঁর এ পর্যন্ত। গত দশকের মাঝামাঝিতে সাহিত্যে আত্মপ্রকাশের

আমার অচিন আমি | রিফাত আনজুম পিয়া

সোয়া আটটা বেজে গেলে এক্সিবিশন বন্ধের তোড়জোরে চারতলার গ্যালারি থেকে দর্শনার্থী হাওয়া। দর্শনার্থী না হোক, শরণার্থীর মতো এখানে কিছুক্ষণ আশ্রয় চাচ্ছি আমি। ভার্সিটির হলে না-ফেরার