সঙ্গমের মৌসুম ।। রুহুল মাহফুজ জয়

মনা আর মুতু ইশ্-কুল থেকে ফিরতেছিল। বগলে বই নিয়া দুই-দুই চার মাইল রাস্তা হন্টন কইরা প্রত্যেকদিন পড়তে যাইতে ভাল লাগে না। তার মধ্যে পড়া না পারলে মাস্টারের মাইর তো আছেই। মাইরেরও কোন ইস্টিশান নাই। একদিন বেত দিয়া পিটায়া পিঠে লাল লাল দাগ কইরা ফালায়, তো আরেকদিন কানে ধইরা এমন মোচড় মারে দুনিয়া আন্ধাইর মনে হয়। ক্লাসে সবার সামনে বেঞ্চের ওপরে উইঠা যখন কান ধইরা খাড়াই থাকতে হয়, মেয়েরা তা দেইখা মুখ লুকাইয়া মুচকি মুচকি হাসে, তখন কবরে ঢুইকা যাইতে ইচ্ছা হয়। এগুলাও মাইনা নেয়া যায়। পরীক্ষা ব্যাপারটা কিছুতেই মাইনা লওয়া যায় না। ওইটা আরেক অত্যাচার। এতো এতো নরক যন্ত্রণা যেইখানে গেলে হয়, ওইটারে মুতু ইশ্-কুল নাম না দিয়া পারে নাই। মনা ছাত্রী ভাল। তারপরেও মুতুর দেওয়া নামটা তার পছন্দ। ইশ্-কুল! দিনটা আছিল বিষুদবার। ঠ্যাডানি রইদ এমন ভাবে চামড়া পুড়াইয়া দিতেছিল, আসমানতে মনে হয় কেউ বিষ’ই ঢাইলা দিতেছিল। অংক পরীক্ষায় জ্যামিতি অংশে সম্পাদ্য-উপপাদ্যে কী লিখছে, কী আঁকছে উল্টাই-পাল্টাই তাই নিয়া গপ্পো করতে করতে দুই জনে বাড়ি ফিরতেছিল। প্রাইমারিতে ঐকিক নিয়ম আর সরল অংকে আটকায়া যাইতো। হাইস্কুলে আইসা বীজগণিতের সাথে মানাইয়া নিছে ঠিকই, জ্যামিতির মার-প্যাঁচ মুতুর মাথায় ঢোকে না। পীথাগোরাসরে পাইলে ক্লাস নাইনে পড়ুয়া মুতু মনে হয় শরীরের বল দেখায়া দিতো। সেভেনে যেদিন প্রথম বীজগণিতের ক্লাস শুরু হয়, মুতু মনে মনে কইছিল—বীজ থাকবো ক্ষেত-খামারে, অংক বইয়ে কী করে! তুলনায় মনা ছাত্রী ভালো। অংকের ব্যাপারে মুতুরে সহায়তা করে। পাশাপাশি বাড়িতে থাকে। সেই ক্লাস ওয়ান থেকে একসঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা। বন্ধু বলতে ওরা একে-অপরকেই বোঝে।

তো, মনা আর মুতু সেইদিন ইশ্-কুল থেকে ফিরতেছিল। ভাদ্র মাস। লাল মাটির রাস্তা। বৃষ্টি আসলে ভড়ভড়া প্যাঁকে ভইরা যায়। দুইদিন বৃষ্টি হয় নাই। তারপরও রাস্তা যে শুকনা, তা না। পা টিপা টিপা হাঁটা লাগতেছে। অসাবধান হইলে ঢ্যাৎ কইরা চিৎপটাং। কাপড়-চোপড় তো নষ্ট হবেই, কোমরও ভাইঙ্গা যাইতে পারে। আর এই তামশা যদি মাইনষে দেখে, হাসাহাসি করবো। গজারি চালার কাছে আসতেই জ্যামিতি বিষয়ক আলাপ থাইমা গেলো। চোখের দৃষ্টি চইলা গেলো মুন্সিবাড়ির গোয়াল ঘরের পেছনটায়। ওইখান থেকে কোঁ-কোঁ শব্দ আসতেছে।

বিরাট এক কাঁঠালগাছ। তারই ছায়াতলে দুইটা কুকুর। দুইটা কুকুরেরই পেছন দিকের একটা করে ঠ্যাঙ শূন্যে ভাসমান। এক ঠ্যাঙ অপরটার দিকে দিকে এমনভাবে তাক করা, যেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় দুইটা বন্দুক একটা অন্যটার দিকে তাক করা আছে। একটা কুকুর আরেকটার সঙ্গে আটকায়ে আছে। দুইটা কুকুরের মুখ দিয়াই কোঁ-কোঁ শব্দ বাইর হইতেছে। সারা পাড়ার ছেলেরা মুন্সিবাড়ির কাঁঠাল গাছতলার আশপাশে আইসা জড়ো হইছে। তারা ব্যাপক মজা পাইতেছে। মুন্সিবাড়ির মেয়ে-বউরা এই তামাশা দেইখা মুখে আঁচল দিয়া হাসিমুখ লুকানোর চেষ্টা করতেছে। সমানতালে লজ্জা লুকানোরও চেষ্টা চলতেছে। বাঙালি নারীর মতো এমন যুগপৎ আনন্দ আর লজ্জা পাওয়ার বিশেষ গুণ বুঝি আর কোন অঞ্চলের রমণীদের নাই। এক কুকুরের সাথে আরেক কুকুরের লাগালাগি দেখাও যে বিনোদন, তা এই মানুষগুলা খুব ভালভাবেই জানে। দৃশ্যটা দৃষ্টিগোচর হবার পরে মনা আর মুতুও দাঁড়ায়ে যায়। এহেন দৃশ্য দেইখা তারাও প্রভূত মজা পাইতেছে। মনা একটু একটু লজ্জাও পাইতেছে। তার নাক আর দুই গাল টসটসা লাল হইয়া তারই সাক্ষ্য দিতেছে। মনা তাকায়ে আছে মুন্সিবাড়ির কাঁঠাল গাছের নিচের কুকুরের দিকে, মুতু হাঁ কইরা মনার লাল মুখ দেখতেছে।

সঙ্গম করার সময় কুকুরের লজ্জা-টজ্জা থাকে না। পাবলিক প্লেসেই কুকুরেরা এসব কইরা বেড়ায়। সেক্স করবি তো কর! কাম সাইরা আলাদা হইয়া যা। তা না, এক হতে আরেকরে ছোটানো যায় না! ক্যামন লাফায়ে লাফায়ে এক শরীর হইতে আরেক শরীর  আলাদা হইতে চায়। এটা সঙ্গম না যন্ত্রণা, বোঝা দায়! সেক্স নিয়া বড়রাই প্রকাশ্যে আলাপ করে না। সেই ব্যাপারে ছোটরা তো আন্ধারেই থাকবো। ছোট থেকেই যে বিষয়টা ট্যাবু, তা চোখের সামনে ওইভাবে অবিচ্ছিন্নতাবাদী আচরণের মতো ঘটতে দেখলে সারা পাড়ার পোলাপান তা দেইখা মজা নেবে, কৌতুহলী হবে এইটাই স্বাভাবিক। কুকুরের সঙ্গম দেখতে দেখতে হঠাৎ দেখা গেলো, জয়নাল মাস্টার বাঁশের একটা লাঠি নিয়া কাঁঠাল গাছের নিচে গেলো। এই জয়নাল মাস্টারের কাছে মনা-মুতু দুইজনেই প্রাইভেট পড়ে। মাস্টারসাব লাঠিটা দিয়া কুকুরের আটকায়ে থাকা জায়গাটায় বাড়ি দিলো। এই ঘটনা যখন ঘটতেছিলো, লজ্জা-শরমের মাথা খাইয়া মনা মুতুরে জিগায়া ফেললো- করার সময় কুত্তারা এইরম লাইগা থাকে ক্যা? মানুষও কি এইবায়ই করে? মুতু উল্টা জিগায়, করার সময়? কী করার সময়? প্রশ্ন শেষ না হতেই মুতুর ডান গালে দশকেজি ওজনের সমান ভারী একটা চর আইসা পড়লো। সে পরিস্থিতি বোঝার আগেই খেয়াল করলো মনা বাড়ির দিকে হাঁটতেছে। ব্যথার চোটে মুতু গালে নিজের হাতের সান্ত্বনা স্পর্শ টের পায়। মুতু তখন সত্যি’ই জানতো না মনা কী করার কথা ওকে বলেছিল। কুকুরের এরকম দৃশ্য সে আগেও দেখেছে। ও ভেবেছে, এটা বুঝি এক প্রকার খেলা! যৌনানুভূতি যে মুতুর মধ্যেও জাগতো না, তা না। সে আসলে জানতো না বা বুঝতো না সারা শরীর শিরশিরে এক অবশ অনুভূতি কেন হয়। যৌনজ্ঞান বলতে তখনও কিছুই ছিলো না তার। তাই বোকার মতো প্রশ্ন করে মনার থাপ্পড় খাইয়া অবাক হওয়া ছাড়া তার কিছুই করার ছিল না। বড় হইয়া জানছে শুধু মানুষই না, অনেক প্রাণী’ই যৌনসঙ্গমে অভ্যস্ত। না হলে তো বাচ্চাকাচ্চা হইতো না। কুকুর জাতটা পুরাই সেক্সপাগলা। সারা বছর সঙ্গম না করলেও তার চলে। ভাদ্র-আশ্বিন মাস আসলে সে পাগল হইয়া যায়। যত্রতত্র সঙ্গম করতে দেখা যায় এ সময়। এ সময়টা কুকুরের সঙ্গমের মৌসুম। সারা বছরের যৌনতা কুকুর-কুকুরীরা যেন ব্যাংক ডিপোজিট কইরা রাখে, যাতে এই দুই মাস ইচ্ছামতো ভাঙ্গাইয়া খাইতে পারে। কুকুরমন যেখানে চায়, সেখানেই তারা সঙ্গমে লিপ্ত হয়। অন্য অনেক প্রাণীর মতো কুকুরও ইনসেসটুয়াস। রক্তের বা আত্মীয়ের সম্পর্কের বিধি-নিষেধ কুকুর সমাজে নাই। সঙ্গমের মৌসুম আসলে কুকুর পাগলা হইয়া যায়। ঘেউ ঘেউ করে। মানুষরে ভয় দেখায়। মুখে বিষাক্ত লালা নিয়া এ পাড়া থেকে ওপাড়া ঘুইরা বেড়ায়। শুধুই সঙ্গমের ধান্ধা। ধর্ষকামী পুরুষের মতো ছোঁক ছোঁক করে। ঘুরতে ঘুরতে যেখানেই সঙ্গী জোটে, সেখানেই জৈববাসনা পূরণ করে। পুরুষ বা স্ত্রী সব কুকুর’ই যৌনবাসনা বিষয়ে একই স্বভাবের হয়ে থাকে। আহা! গত কয়মাস যে সঙ্গী ছিল, যার সাথে সংসার ছিল, তার যেন আর পাত্তা নাই। কোন পাড়ায় কে আছে, নতুন রক্ত-মাংসের স্বাদ কোথায় পাওয়া যাবে, তারই ধান্দা কইরা বেড়ায়। সঙ্গমের মৌসুমে কুকুর সমাজ ব্যাপক র‌্যাডিকেল। ওরা পুরুষবাদ-নারীবাদ চর্চা করে না।

সঙ্গম শেষে কুকুর কেন সহজে সঙ্গীর কাছ থেকে আলাদা হইতে পারে না,তার কারণটা মুতু বড় হইয়া জানতে পারছে। কুকুরের লিঙ্গের শেষ অংশে এক ধরণের বিশেষ মাংসপেশী থাকে। যা কুকুরীর যোনিতে প্রবেশের সময় সংকুচিত অবস্থায় থাকে। যখনি লিঙ্গ কুকুরীর যোনিতে প্রবেশ করে তখন তা স্ফীত হইতে আরম্ভ করে। এইটারে নট (knot) বলে। নট স্ফীত হইলেই কুকুরের লিঙ্গ আটকায়া যায়। এই ব্যাপারটারে বলা হয় টাই (Tie)। এইটা তিরিশ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হইতে পারে। ব্যাপারটা মূলত কুকুরদের একটা অভিযোজন প্রক্রিয়া। যার সাহায্যে কুকুরের লিঙ্গ কুকুরীর যোনিতে ততটুকু সময় পর্যন্ত থাকে, যতটুকু তাদের সফল বংশবিস্তারে অপরিহার্য। তার মানে জয়নাল মাস্টার কুকুরের বংশবিস্তারের কাজে ব্যাঘাত ঘটাইছিল! সঙ্গমের মাসে সব পাড়াতেই হঠাৎ কুকুরের সংখ্যা বাইড়া যায়। অচেনা কুকুরে পাড়া ভরে যায়। জয়নাল মাস্টাররে চিরটা কাল মুতু কুকুরজ্ঞান কইরা আসতেছে। সঙ্গমের মৌসুমে কুকুরের জেল্লাও বাইড়া যায়। শরীরে থলথলে মাংসের বান ডাকে। স্ত্রী কুকুররাও নাদুস-নুদুস হইয়া যায়। প্রকৃতি আসলে ব্যালেন্স করতে ভালবাসে। গণ্ডায় গণ্ডায় পোলা-মাইয়া জন্ম দিতে হয়। কুকুরীর ডজনখানেকেরও বেশি ওলান। মাদি কুকুরের পেটে কার সন্তান, কোন পুরুষ কুকুর’ই তা জানে না। আসল বাবা যেই হোক বুকের ছাতি চওড়া কইরা পুরুষ কুকুর গর্ভবতী কুকুরীর পাশে হাঁটে, পোঁয়াতিরে আগলায়ে রাখে। বাচ্চা হবার পর বাপের দায়িত্ব পালন করে। কুকুরীকে একবারও জিগায় না- ওই, হাছা কইরা ক! তোর পোলা-মাইয়ার বাপ কেডা?

তো, সেইদিনের পর থেকে মুতুর সাথে মনা কথা বলে না। মুতুও মনার আশপাশে যায় না। কষ্ট পায় বটে, তারপরও মনার কাছে যায় না। ওই থাপ্পড় খাবার পর থেকে সে কুকুরকেও ভয় পায়। পরের আশ্বিন, ভরদুপুর বেলা। আসমানে এতো এতো মেঘ, যেন পাগলা কুকুরের দল দৌড়াইতেছে। মুতু কলেজ থেকে ফিরতেছে। সেই গজারি চালার কাছাকাছি আসতেই ঝমঝমায়ে বৃষ্টি নামলো। ওই চালার মাঝামাঝি একটা মাটির ঘর আছে। দেয়াল মাটির, টিনের চালা। এমন বৃষ্টি মুতু বাপের জন্মে দেখে নাই। বড় কোন গাছের তলায় গিয়া দাঁড়ানো যাইতো, মুন্সিবাড়ির দিকেও দৌড়ায়ে যাইতে পারতো। কিন্তু ওর মন কইলো ওই মাটির ঘরটার দিকে যাইতে। ওইখানে একটা সময় টানা দুই বছর আসতো। পড়তে। ওইটা একটা স্কুলঘর ছিল। একটা এনজিও স্কুলটা চালাইতো। ঘরটাও তারাই তুলছিল। মনার দেখাদেখি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ছাইড়া আসছিল মুতু,এই স্কুলে ভর্তি হইছিল। স্কুলঘরের দিকেই মুতু ভোঁ দৌড় দিলো। এনজিও বন্ধ হইয়া গেছে। স্কুলটাও। ভিজতে ভিজতে দৌড়ায়ে মাটির ঘরটার দিকে যায় মুতু, ওরফে মোতাহার আলী। কিন্তু ঘরটার ভেতরে যাওয়া হয় না। দরজাটা সব সময় খোলাই থাকে। আজকে বন্ধ। সন্তানাদিসহ কুকুর দম্পতি বৃষ্টি থেকে বাঁচার আশায় দরজা জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে। কুকুরগুলোর দিকে মুতু, মুতুর দিকে কুকুরগুলা ক্যামন অসহায় দৃষ্টি বিনিময় করলো। কুকুরকে বহুদিন পর মুতুর ভয় লাগলো না। কুকুরগুলোরে বিরক্ত না কইরা মাটির দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়াইলো মুতু, যাতে বৃষ্টির ছাট থেকে মাথাটা অন্তত বাঁচানো যায়। হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে মানুষের গোঙানির আওয়াজ তার কানে আসলো। বৃষ্টির ঝমঝম শব্দের মধ্যে সেই আওয়াজ কানে আইসা বাড়ি দিতেছে। কিছুক্ষণ পর হাসির শব্দ আর ফিসফাস আলাপন। হাসির শব্দটা মুতুর বুকে আইসা ছ্যাঁত কইরা ধাক্কা লাগে। পা টিপে টিপে সে স্কুলঘরের পেছন দিকটায় যেইখানে জানালা, ওইদিকে যায়। ভাঙা জানালার ফাঁক দিয়ে পশ্চিম দিকটার কোণায় যা দেখে, তা দুঃস্বপ্নেও সে ভাবে নাই। কুকুরের ভঙ্গিতে একে অপরের সাথে লাইগা থাকা কাপড়হীন শরীর দুইটা চিনতে কষ্ট হয় না। মনা! জয়নাল মাস্টার! আর যাই হোক, দুইটার বাপ জয়নাল মাস্টারের সাথে মনারে সে এই অবস্থায় ভাবতে পারে না। কবে শুরু হইল এই কাম! মুতুর মাথায় কিছুই ঢোকে না। বৃষ্টিমাথায় নিয়া সে বাড়ির দিকে দৌড়াইতে থাকে। এরই মধ্যে জ্বরে শরীর ভাইঙ্গা আসতেছে। ঠিক ওই সময়টায় রাজধানীতে রোদের প্রবল প্রতাপ। তিনতলার বারান্দায় দাঁড়ায়ে মুতুর কাজিন মিতু অনতিদূর রাস্তায় তাকায়ে কুকুরের সঙ্গমদৃশ্য দেখে হাইসা কুটিকুটি খাইতেছে। কুকুরীর ভেতরে আটকায়ে যাওয়া কুকুরের ক্ষ্যাপামি মহল্লার পোলারা মোবাইল ফোনে ভিডিও করতেছে। মুতু বাড়ির দিকে দৌড়াইতেছে, তিনশ’ মাইল দূরে মিতু খলবল কইরা হাসতেছে, মনা জয়নাল মাস্টারের সাথে কুকুর-কুকুরী খেলতেছে।

জ্বর সাইরা যাওয়ার পর মুতু শুনলো, জয়নাল মাস্টারের লগে মনা পালায়ে গেছে। সে আর গাঁয়ে থাকবে না। কই যাবে! মিতুদের ঢাকার বাড়িতে?

শেয়ার