মীর হাবীব আল মানজুর-এর কবিতা

বসন্ত বা বইমেলা নিয়ে

 

কোনো বসন্ত নাই কোনো ফাল্গুন নাই

খালি বইমেলা বইমেলা লাগে

 

তোমার কাছে গেলে এলাচের ঘ্রাণ,

 

জয়ফল আর জায়ত্রি কেনার কথা একসাথে মনে পড়ে

 

তোমাকে দেখব বলে সারাটা সকাল শীত-শীত লেগে গেল

মায়ের দুধের মতো তোমার কোনো বিকল্প নাই পিথিবীতে

 

আমি খুব তরুণ বয়সে মারা যাব,

এ কথা আমার নার্ভ খুব বিশ্বাস করে আছে

 

কে আমার রক্তের স্বাদ নিয়ে হরফ অনুভব করতে আসে!

 

আমি কারো খিমার ঠিক করে দিই সারাটা জীবন ধরে

 

কত যে সিদ্ধপুরুষ, হাঁটা দেখে চিনলাম ওকে!

অল্প জাহেল হয়ে মানুষের কথা আজ শুনে যেতে হবে!

 

ফাল্গুন আসতেছে দেখো, রুহ

বসন্তের হাওয়ায় আমি চাই কিছু লাইন রেখে যেতে

 

 

 

আ মেটাফরিক ক্যাওয়াজ

 

হাত থিরথির

পা থিরথির

শুধু কাঁপছে, খালি কাঁপছে

 

তিনকাপ চায়ে বড্ড ক্যাফেইন

হার্টে উইকনেস কেন হাপছে!

 

গুড মর্নিং, এসেছেন নাকি! গুড মর্নিং

ফ্রম প্রিভিয়াস নাইট

আমি ভাবছি

আপনার চোখ

এসটন্ডিং

ফলসেস সিন

 

আমি দেখছি, চোখে চশমা

আমি আপনার হাতে হাত রেখে

শুধু কাঁপছি, খালি কাঁপছি

 

শেষ রাত্তিরে

গজলের হ্রদে

শুধু মগ্ন, খালি বুদ হয়ে

আরো এককাপ ঠোঁটে চা রেখে

হার্ট দুর্বল, হাত উইকনেসে

খালি কাঁপছে, শুধু কাঁপছে

 

ঢাক-গুড় গুড়

ঢাক-গুড় গুড়

সাদা অন্ত্রে লাগে উত্তেজ

কোন ভেষজে হবো নিস্তেজ!

স্কোল্ডিশ

হৃদয়ের

কথা

শুধু ভাবছেন? খালি ভাবছেন?

 

জাস্ট স্মাইল, ঠোঁটে ঠোঁট

চেপে

জাস্ট লাফিং, কালো মাড়িতে

মাড়ি মাড়িয়ে

ইফ উয়িংকিং, খুব বুকে

লাগে!

খালি এলিজি, শুধু এলিজি

ভেবে চলেছেন? লিখে চলেছেন?

 

এতো মিশতে, খালি মিলতে

এতো ফাস্টেস্ট, শুধু ফাস্টেস্ট

চারদিক থেকে এতো দূরে গিয়ে

খালি হাসছেন? জাস্ট স্মাইল?

 

প্রিভিয়াস নাইট অর্কের গান

বব মার্লে, শুধু আনুশেহ

শুধু অনাদিল

শুধু শুনছেন? খালি শুনছেন?

 

তিন কাপ চায়ে বড্ড ক্যাফেইন

হার্ট দুর্বল, হাত উইকনেসে খালি হাপছে

 

 

 

আমার নন্দন থেকে

 

কোনো মনন স্পর্শ করতে পারে নাই

কোনো ফুল পাখি লতাগুল্মও না

হলুদ লাইটকে চাঁদ ভাবতে হয়েছে

 

আজও জানি না হিজলের ডাল কী!

শিরিষের পাতা কোন ধার নিয়ে আছে!

শিরিশ কাগজ কোন গাছ থেকে হয়?

কাঠকে রাদা দিয়ে কী সুন্দর সবুজ বার্নিশ হলো!

 

কেন আমাকে কবিতা লিখতে সেরেফ চানতারার বর্ণনা দিতে হবে!

এটা জানার আগেই আমার হাতে চলে এসেছিল নলখাগড়া আর বাঁশের দোয়াত

 

শুধু কাঠের পাশে বসে বইগুলা দেখেছি

আর কলম ভেবেছে তাকে পশ্চিমে সফর করতে হবে

 

চন্দ্রবিন্দুকে দূরে সরাতে পেরেছি

আস্তে আস্তে বিসর্গ আর যতিচিহ্নের দুই নাম্বারিও ধরতে পারব

 

পাকা পিচের পথে আলকাতরার আতর শোকার সুখ এসেছে আমার শৈশব থেকে,

তার সাথে মার্কারের কালি আর হোয়াইট বোর্ড

 

আমাকে কেন ভাবতে হবে শৈশব শুধু পুকুরের পাড় আর লম্বা শ্বাস নেয়া বানানো প্রকৃতি!

 

কেন পড়া বইগুলা নিজের উপর এত চাপ!

কেন বিষণ্ণতা লাগবে আমার পিরিতির রেওয়ায়েতে!

 

যা আমি না

আর অনেক বানানো স্মৃতি দিয়েছে কনজিউম করা জ্ঞান

 

শহরের সুরভি, হর্নকেই মিউজিক ভাবি

আর যা রাঁধতে পারি সেগুলা মোঘলেরা শিখায়েছে

সেখানের গুড়াগাড়া উপাদান আমার লিখাতে নিয়াসতে পারি

 

আমার লিখার ইট কেন গ্রামকে ভাববো আমি!

আর যদি তা না পারি কেন গলত কেওয়াজ করব!

 

বলতে চাই, লোহার রডকে প্রসিদ্ধ ভাবি

আর সিমেন্টের উতলা মিকচার আমার জগতকে গ্রাম থেকে মুক্তি দিয়েছে

 

তবু দেখো কী সুন্দর কবিতা লিখি,

এভাবে ঢাকায় থেকে সবকিছু পোয়েটিক ভাবা যাবে,

গ্রামের দোহাই আমাকে দিতে যে হবে না

 

 

 

আমার রক্ত

 

কেউ জিজ্ঞেস করেনি তবু আমাদের কেউ কেউ বলে,

আমার পিতারা ইয়েমেন থেকে এসেছিল

আর তা আমার নাকের দিকে তাকায়ে নিশ্চিত করা যেতে পারে

 

আমার ত্বক থেকে এক আরবী গন্ধ আসছে বলে লোকেরা বলতে থাকে

 

আমি মীরদের ওয়ালিদ

আর তা নিয়ে আমাদের পিতারা খুব নাক উচা

মোহের বিস্তারে সাজে

 

আমার নামের শুরুতে মীর দেখলেই লোকেরা শিয়াদের নিয়ে ফিকির শুরু করে

মীর জাফরের কথা বলে লোকেরা আমার দিকে হাসে

আর যে মীর মদন ছিল, মীর জুমলা

আর আরো আরো আরবী ব্যকরণ লিখিয়ে

মীরদের নসলী ফখরের কথা,

তাদের বেমালুমে থাকে

 

আমি মীরদের ওয়ারেছ

রাস্তার হার কদমের ভিতর পিথিবি সফর করা

আমার পিতাদের ইতিহাসের বালির ভার

পায়ে পায়ে টের পাই

 

আমার পিতাদের পিতা মীর বখশ আলী কি ইরানে গিয়েছিল!

তার নামে ফার্সি প্রভাব কেন!

তার সন্তান ভূমিপুত্রদের উপর কখনো জুলুম করেছিল,

এ কথা মা কীভাবে যেন লুকাতে শিখেছে

 

আমি মীরদের থেকে হওয়া বীজ

এ ভূমি আমাকে দেহ দিয়েছে

আমার রুহে কবিতার ভূমি থেকে দম নিতে বলেছে

আর আতরাফদের পক্ষে লিখতে এসরাজে ক্যাওয়াজ তুলেছে

 

আমার পূর্বপুরুষ ইয়েমেন না ইরান থেকে এসেছিল,

আমি ঠিক তা জানি না

 

তারা এখানের মেয়েদের ভালোবেসে তরতর করে তাদের বাগানে মীরদের ফুল ফুটাতে চাইলেন

 

অথচ মেয়েদের বাগানে কীভাবে ফুটবে মীরদের ফুল,

মীরেরা ত নিতে পারে কেবল মালির নেয়ামত!

 

আর কতদিন পর

মীরেদের যৌনহাওয়ায় সমস্ত মেয়ে ফুল গাভিন হয়ে গেল

 

দীর্ঘ সময় কেটে গেছে,

অনেক পথ মীরদের চেনা হলে তারা এক প্রশান্ত কলব নিয়ে গেছে অসীমে

 

আর আমরা যারা আছি,

মিথ্যা গরিমা আর কবিতা দিয়ে পিথিবিতে আরো কতদিন বেচে থাকার খাহেশ করতেসি

 

 

 

উমানজু, তোমাকে দিলাম

 

ভাবো, এক স্মৃতি দোদুল্যতা নেমে গেছে অবশ স্টুপিডি বেয়ে,

এক দৃষ্টিমূলক উস্কানি, এক সাংঘাতিক উভলিঙ্গী অনুরাগ।

 

কিছুর এক্সপ্লোর হচ্ছে- ধীরে, স্ফূটন্মুখ আলস্যে

 

একটা স্পেস কন্ডিশন, জাস্ট ফ্লুয়েন্ট পজিশন,

আমি বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছি জারজ আড়ষ্টতার পাশে

 

লেইম, ভেরি লেইম আ্যফেয়ার, ইটস নট আর্যতা

 

আমার প্রচণ্ড পিপাশা,

আমার সংহারি মনোক্ষুধা,

উহিব্বুকা, ইয়া যাল জামাল

 

হে কালো মাড়িবিশিষ্ট অহংকার, আমি আপনাকে ভালোবাসি

 

ফিরোশাস হিপোক্রিসি,

মাজনুনিয়্যাতুন আমিকুন,

দরজাহীন মিস্ট্রি,

আমি ধাঁধাতে হারিয়ে ফেলছি পথ

 

এক চৈতন্যহীন অভিসারী খাহেশাত,

অসম উল্লাসে নেমে যেতে দেখি এ কোন গলতের বিস্ফার!

 

“ইন্নামা আশকু বাচ্ছি ওয়া হুজনি ইলাল্লাহ”

 

ফেঁটে যাচ্ছে আত্মা আমার, ক্রিমের গভীর ডেকচি থেকে এ কেমন বলক!

 

আমার চোখ ছিঁড়ে যায় জ্বলনে,

আমার হাত নিশপিশ করে আত্মপীড়নে,

আমার আরো অঙ্গজ অঙ্গগণ মরমিয়া আত্মবিলোপের মর্সিয়ায়

 

এইবার শান্ত-নির্বাত হয়ে যাই,

এইবার একবারে থেমে যাই,

বিমর্ষ ছায়াধ্বনি আনে দাতাল মনোবিচ্ছিন্নতা

 

বিকলতা তুলনারহিত,

অনর্গল নেমে আসে মিথ্যা আলো

আহা! শীৎকারী সুনিপুণ বাচাল!

 

ইচ্ছার চলোতসারে-বিম্বায়নে হারায়েগেছি,

আর কোনোদিন নিজেকে পাবো না বুঝি!

 

 

 

এন এপলিটিক্যাল পোয়েট্রি

 

আমাদের পিতার জন্ম হয়েছিল ১৯২০-এ

আর আমাদের মাতা আমাদের পিতার ফ্লুইড থেকে

 

আমাদের মাতা আমাদের ভাইদের সাথে যৌনলিপ্সা মিটায়

আমাদের মাতার যৌনগোস্বায় তোমার দিকে উড়ালরাস্তা তৈরি হয়

আর আমাদের উপর তার স্প্যান বিরাট শব্দে ভেঙে পড়ে

 

আল্লাহ!

আমাদের যে পিতা দিলে,

তার তর্জনী থেকে যে সালতানাত দিলে আমাদের

তার তরিকার উপর আজ মুতে দিতে তলপেটে শিরশির করে

 

হায় জান তৈয়ারকারী,

এ কোন মাতা দিলে আমাদের পিতা থেকে!

আমাদের পিতা কেন নির্বীয হলো না!

 

আমাদের মাতার নাম কোথাও আওয়াজীয়ো নয়

 

আর কোনো ছবি আঁকা যদি হয় আমাদের মাতার কোনো কামপুরুষের

 

সে আকার ভিতর কানের পর্দা ফেটে যায়

 

আঙুলের গিঁটে হেলমেট রিফ্লেক্ট করে

 

পায়ের গোড়ালি ভেঙে চুরমার

 

তোমার নখগুলা কৃষ্ণচূড়াকে ভাবাবে

 

আল্লাহ, ওগো সুলতানুস সুলতান

আমাদের আজ এতিম হবার বাসনা জাগে

 

সুলতানা মাতার অর্গাজমে আজ আমরা বন্যাপ্লাবিত

আমাদের চোখে ব্লেইড শিরশির করে কামনার রগগুলা কেটে দিতে

 

আমাদের মাতার দিকে আজ আমাদের কালাশনিকভ

আমাদের রুহ ভেঙেচুরে এনার্কি হয়েছে

 

ওগো মাতা,

ওগো সুলতানা,

একটু ভাবো ত আমাদের পিতা কেন খুন হয়েছিল!

আর আমাদের পথে পথে মিছিল হয়েছিল পড়শি বিরোধী?

 

আজরাইল,

তুমি কি দেখো না আমাদের মাতার ছায়ার নীচে

শুধু পরমাণু চুলা টগবগ করে!

আমরা আজ মাতার ছায়া মুছে রোদ চাই

 

এমন আশ্চর্য পিতা-মাতা পেয়েছি গো,

কেবল এতিম হওয়ার বাসনা উতলে উঠে

 

 

 

কুকুর বিষয়ে

 

বাস জ্যাম খুলতে খুলতে যতগুলা লাইন কাছে  এলো

ইতিহাস ধরে নেক কুকুরের ততগুলা ডাক ঘুরেফিরে আসে

 

কুকুরের সাথে সকাল সকাল কিছু মীমাংসা করে নিই

 

আমি তোমাকে আমার হাড়ের মজক দিব,

তুমি শুধু গন্ধ শোঁকার ইন্দ্রিয় আমাকে দিয়ে যাও

 

আমার মাশুকা বহুদূরে

শুধু পিরিতির লোহাতে ঝালাই দিতে গিয়ে

যে ঘ্রাণের হাওয়া আকাশে উড়ালো

ওগো কুকুর, সেসব শুঁকে শুঁকে তোমার নাক সবচেয়ে কাছে চলে যেতে পারে

 

আবু হানিফাকে কে যেন সুওয়াল করেছিল,

কুকুর নাকি হানিফার অস্মিতা,

নসিবের সোহাগে কোনটা বেশি লেগে আছে!

 

লোকমান হাকিমকে চেনো,

যে দশটা গুণ বলেছিল কুকুরের স্মৃতি ধরে!

 

আসহাবে কাহাফের কুকুর,

ওগো জান্নাতি কুত্তা আমার,

তোমার ভাগ্যকে আজ লাভ বাইট দিয়ে যাই

 

কুকুরের পায়ে পায়ে চলি

তোমার বাসার ঠিকানা আমি নজানি

শুধু মহল্লার নামটা জানাও, বাবুশকা

আমি ত কুকুরের সাথে আঁতাত করেছি

মহল্লার মোড়ে গিয়ে সে ইন্দ্রিয় তোমাকে খুঁজে নিবে

 

মজনুর কথা মনে পড়ে তোমার,

যে কুকুরের পায়ে চুমু খেয়েছিল তোমার পথের দিকে গিয়েছে বলে!

 

কোনো আতর মাইখো না, জান

ঘাইমা গেলে যে গন্ধ তা আমার আপন লাগে

আমার অর্গানিক নাক হবে যদি তা কুকুর থেকে নিই,

খুশবুর গন্ধে সে আর কোনো পথ ত পাবে না

 

 

 

পাখির নাম আলটপকা

 

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাই

আভিজাত্য, তোমাকে চুদি না

 

মন চায়,

কেবল তিড়িংবিড়িং করি

ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চারে খুব ফলো করি

এগুলা পারি না বলে

তোমার হৃদয় নিয়া সাইকোপ্যাথের মতো কাবজাব করি

 

এসরাজ! এসরাজ! এসরাজ!

এসরাজ বাজাতে বাজাতে আজ ফেরেশতা মিকাঈলকে গ্যাঞ্জামে ফেলে দিব

 

কতটুক বিকাল হলো কতটুক মন খারাপ হলো

মেঘের জন্য কিছুই বোঝা ত যাবে না

 

হাতিরঝিলের নাম শুনে এলিফ্যান্ট রোডে গেলাম হাতি দেখতে,

শিশুরা যদি হরফের ভিতর দিয়ে সত্য দেখতে চায়,

তাদের এসব ভুজুংভাজুং দিয়ে কাজ হবে বলো!

 

পশ্চিমদিকহীন একটা রুমে কেবল ঝড় হইতেসে

আজ সেজদা দিতে হবে কোনাকাইঞ্চা দিয়ে

আমাদের দেখা হওয়া ত্বক শীতের পর প্রথম বিষ্টি আটকেছিল

 

যতই বিষ্টি হোক, পরের স্টপেজেই নেমে যেতে হবে

তরিকা এমন চারদিকে, নিজেকে বড় মজলুম লাগে

 

আমার লেখার কাছে আসলে খালি হাতে কেউ ফেরত যাবে না!

 

 

 

শৈশব ও বন্ধুত্ব নিয়ে

 

শৈশব আমাকে যতটুকু দিয়েছে,

আজ বিকালে বাকিটুক মনে পড়ছে পাহাড় ও সমুদ্রে

 

পাহাড় ও সমুদ্র এখন কেমন আছে!

সেখান কি ভরে গেছে শতায়ু কাছিমের হাইয়ের বাতাসে!

 

দেখো এমন কাল,

কিছু মানুষ মারা যাচ্ছে আর পিথিবীর শ্বাস বিশুদ্ধ হয়ে উঠছে

 

শূন্য থেকে তোমাকে তৈয়ার করছি আর আমাদের ওমগুলো পাখির শিস হয়ে যাচ্ছে

 

এমন দুপুর রেখে এমন বিকালে এসেছি,

ম্যাউ ম্যাউ ডেকে এক বিড়ালকে সংশয়ে ফেলেছি

 

এমন বিকালে তোমার শাসনগুলো পড়ি,

যেগুলো করেছো ছোটো ছোটো চিঠির হাওয়াতে

 

প্রতিবার আমি যখন সবুজ স্তেপে নিজেকে হারাতে আসি

দেখি,

আমার ভাল্লাগা একেবারে নতুন বৃষ্টির ঘ্রাণ হয়ে যায়

আমার ভাল্লাগা তৃপ্ত ঘুমের পর সবুজ শ্বান্তশ্বাস তৈরি করে

 

আমি এক ছোট্ট বুক নিয়ে তোমার দরগায় এসেছি

যার ভেতর এক কাচের এসরাজ চুরচুর করে ভেঙে পড়ছে

 

এক নাশকতামূলক বন্ধুত্ব তুমি দিয়েছো আমাকে

 

বন্ধুত্ব এমন স্মৃতি, প্রেম যার জৈবপিপাসা

বন্ধুত্ব বুঝি বানানো মিথকে ভালোবাসা!

 

বন্ধুত্ব এক দীর্ঘ সাঁতারুর শ্বাসে রয়েছে,

আহা কবিতা! তোমার মফস্বলী হৃদয় আমাকে ছুঁয়েছে

 

ইশকের এমন ইশারা, আজ সারারাত নার্ভের ভিতর যার হুল আমাকে ভোগাবে

শেয়ার