বাংলা ভাষার একদম আদি সাহিত্য ওয়েবজিনের নাম নিলে ‘বাক্’ চলে আসে প্রথম দিকেই।ওয়েবজিনটি ১০০তম সংখ্যা প্রকাশ করলো ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬; যা নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। বাক্’র এই গর্বিত সাফল্যে বাংলাদেশের প্রথমদিকের ওয়েবজিন শিরিষের ডালপালার অভিনন্দন। আমরাও বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যের চর্চা, প্রকাশ ও বিকাশে ওয়েবজিনগুলো মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। বছর তিনেক আগে এ বিষয়ে শিমন রায়হান সম্পাদিত ‘সতীর্থ’ লিটলম্যাগে বাক্ সম্পাদক অনুপম মুখোপাধ্যায়ের একটি লেখা প্রকাশ হয়। বাক্ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
২০০৯, পূজোর ছুটি চলছিল। দুপুরে খেয়ে উঠে আমার মাথায় ধারণাটা আসে। তখন অর্কুটে খুব সময় কাটাতাম। শূন্য এবং পরবর্তী দশকের বেশ কিছু কবির সাথে অর্কুটে কথাবার্তা চলতো। কেন যেন মনে হলো আন্তর্জালে শুধুমাত্র আমার সমবয়সী কবিদের জন্য কোনো জায়গা তৈরি হয়নি। এই ভাবনা থেকেই ‘বাক’ জন্ম নিলো। আমি একটি ব্লগজিন চোখের সামনে দেখতে পেলাম যেখানে শুধুমাত্র ২০০০ পরবর্তী কবিরা লিখবে এবং সিনিয়র কবিরা সেখানে মন্তব্য করবেন, আলোচনায় অংশ নেবেন।
শুরু হলো ‘বাক’। প্রথম পোস্টে খুব সাড়া মিললো। প্রথম মন্তব্য করেছিলেন শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর ‘পদ্যচর্চা’ নামে একটি ব্লগ ছিল। তা পত্রিকা ছিল না। কিন্তু ‘বাক’ করার জন্য তা আমাকে অবশ্যই প্রাণিত করেছিল। চোখের সামনে ‘কৌরব অনলাইন’ এবং ‘নতুন কবিতা’র আদর্শ ছিল। আর্যনীল মুখোপাধ্যায় এবং বারীন ঘোষাল প্রথম থেকেই আমাদের পাশে ছিলেন। তখন নাম ‘বাক’ ছিল না; ছিল bangla poets after 2000। পরে নাম হয় ‘বাক’। তার আগে বেশ কয়েকটি পোস্ট হয়ে গেছে।
অনুপ্রেরণার কথা যদি হয়, তাহলে বলি অভিষেক মুখোপাধ্যায় না থাকলে আমি ‘বাক’ শুরু করার সাহস পেতাম না। সেই সঙ্গে নাম করতে হয় রঙ্গীত মিত্র, অস্তনির্জন দত্ত, ভাস্করজ্যোতি দাস, মানিক সাহা এবং অবশ্যই রমিত দে-র। এরা ‘বাক’- এর প্রথম ইনিংসের একেকজন স্তম্ভ। এরা অসম্ভব প্যাশনেট ছিল ‘বাক’- এর ব্যাপারে। সেই প্যাশন আমি আজ অবধি মিস করি। রমিত দে আজও ‘বাক’- এর সঙ্গে ওতপ্রোত। ভাস্কর বহু কবিতা এনে দিয়েছে ‘বাক’- এর জন্য। ‘হারানো জানালা’ বিভাগ তো পুরোপুরি রমিত দে-র অবদান।
একটা সময় নিজেদের মধ্যে অসম্ভব টান এবং নিজেদের প্রতি অতিরিক্ত চাহিদা ‘বাক’- এর চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় শুধু ভালোবাসার কারণেই ‘বাক’- এর চলা কিছুদিনের জন্য বন্ধও হয়ে যায়। একসঙ্গে একটি পত্রিকার কাজ করতে নেমে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে, ভালোবাসাকে মন্দবাসাকে যে কিছুটা আড়াল করতে হয় আমি সম্পাদক হিসেবে শিখে গেলাম এরপর। নাহলে সত্যিই সংঘ ভেঙে যায়।
২০১১, আবার শুরু হলো ‘বাক’- এর পথ চলা। এবার আমার লক্ষ্য ছিল ৫০তম পোস্ট করে ‘বাক’ বন্ধ করে দেওয়ার। যাওয়ার আগে রাজার মতো যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আর শুধু ২০০০ পরবর্তী কবিদের নয়, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সিনিয়র কবিরাও লিখবেন ‘বাক’- এ। শূন্য দশক শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটাই কাম্য মনে হয়েছিল। সিনিয়র কবিরা বিরাটভাবে সাড়া দিলেন। আলোক সরকার এবং সমীর রায়চৌধুরীর মতো কবিরা সঙ্গে সঙ্গে লেখা দিলেন। এ এক নতুন ইনিংস শুরু হলো। নতুন মরসুম।
কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম আমি এবারও একা নই। আমার সঙ্গে স্বপ্ন দেখার জন্য আবার কিছু মানুষ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ইন্দ্রনীল ঘোষ, সব্যসাচী হাজরা, নীলাব্জ চক্রবর্তী, অর্ক চট্টোপাধ্যায়, মৃগাংকশেখর গাঙ্গুলি, অমিত বিশ্বাস… রমিত দে। এবার শুধু কবিতা নয়, গদ্য, অনুগল্প (গল্পনা), অনুবাদ, চিত্রশিল্প, একাধিক ধারাবাহিক উপন্যাস। স্বয়ং মলয় রায়চৌধুরী অনুবাদ বিভাগের ভার নিলেন। এতদিনে একটা সম্পাদকমণ্ডলী ‘বাক’ পেয়েছে যারা কাজ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ককে জড়িয়ে ফেলে না। পারস্পরিক ভালোবাসা হয়তো আজ ভিত্তি নয়। আমরা জানি পারস্পরিক অপরিহার্যতা। আজ ‘বাক’ এমন এক পরিবার, যার প্রতি সদস্যের আলাদা আলাদা বাড়ি আছে, যাতায়াত আছে।
বোঝা গেল ‘বাক’ কে বন্ধ করার অধিকার আর আমার নেই। আজ এই ভূমিকা যখন লিখছি, ৫০তম পোস্টের পরেও ১৬-১৭ মাস পেরিয়ে গেছে। ‘বাক’ আজ আগের চেয়েও জমে উঠেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ওয়েবজিন এসেছে। তারা সুন্দর কাজও করতে চাইছে। তবে ‘বাক’ আজ সেই একমাত্র স্থান যেখানে বাংলা কবিতার কোনো গোষ্ঠীবাজ মাথা গলানোর সাহস পায় না। নাম দেখে কবিতা ছাপে না ‘বাক’। যে কোনো দলপতি আরেক দলপতির পাশে এসে বসেন এখানে। নোংরামির চেষ্টাকে শক্ত হাতে দমন করা হয়। একাধিক ব্যর্থ চেষ্টার উদাহরণ আছে।
অনলাইনে কবিতা চর্চার ব্যাপারে আমি নিজেই এখন সন্দিহান। কয়েকটি মাত্র স্থান আছে যেখানে নিজের কবিতা দিতে ইচ্ছে করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দিতে ইচ্ছে করে না। সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলিতে বাংলা কবিতাকে তরল থেকে অতিতরল করে তোলা হচ্ছে। মুড়ি এবং মিছরির ভেদ থাকছে না। ‘বাক’ সেই ভেদটুকু রাখতে চায়। ‘বাক’ কবিতার ব্যাপারে একটু অভিজাততন্ত্রের সাধনাই করে, জনগণেশের নয়। আশা করি এই কারণেই ‘বাক’ আজ ‘বাক’ থাকতে পেরেছে এবং পারবে।
আন্তর্জালে বাংলা কবিতা নিয়ে আমার অনেক আশা আছে, স্বপ্ন আছে। সেগুলো সহজে মরবার নয়। আবার কিছু হতাশাও পাকাপাকি হয়ে আছে। আন্তর্জাল একজন তরুণ কবির কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে, যদি তিনি সত্যি নিজের প্রতিভার দর্পণ হিসেবে তাকে ব্যবহার করেন, শুধু হাততালি কুড়োবার বাসনা তাঁর না থাকে। ফেসবুক এই কারণেই একটি ধারালো অস্ত্রের চেয়ে বিপজ্জনক, যেকোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কই তাই। খুব সহজেই আপনি হাজারখানেক ‘বন্ধু’ সংগ্রহ করে ফেলতে পারেন। আপনি যদি মেয়ে হন, ব্যাপারটা আরো সহজ। এবার যদি দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় সাইটটিতে দেন, আপনি অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। অনেকের কবিতায় লাইক দিলে বা ‘অসাধারণ’, ‘অসামান্য’ ইত্যাদি বললে, বিনিময়ে নিজে কবিতা পোস্ট করলেই ১০০-১৫০ লাইক আপনি পেয়ে যাবেন। তখন কী আপনি লক্ষ্য করবেন যে ২০০০ বন্ধুর মধ্যে মাত্র ১০০ জন কবিতাটি ছুঁয়েছেন, তা-ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে নয়! হয়তো সেটা ভাবতে ভালো লাগবে না। বরং এতে আপনার অহং এমন একটা স্তরে যেতে পারে, যা মঞ্চের সাফল্যও আপনাকে দেবে না। কবি হিসেবে অংকুরোদগমের আগেই মৃত্যু ঘটবে আপনার।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে জনপ্রিয় হয়ে উঠে একটা সময় হয়তো সমসাময়িক কবিতার দিকে না তাকিয়েই আপনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বেন। নিজের কবিতা নিজেই প্রকাশ করে, নিজের পাঠক সংগ্রহ করার সুযোগ আন্তর্জাল দেবে, কিন্তু তার আগে নিজেকে প্রস্তুত করা দরকার। সেই প্রস্তুতি আন্তর্জালের বাইরে হওয়াই ভালো। না হলে গলির ক্রিকেটকে টেস্ট ক্রিকেট ভাবার ভুল ঘটে যাবে। হ্যাঁ পাঠক, ফেসবুকে কবিতা পোস্টিংকে আমি ওই চোখেই দেখি, গলির ক্রিকেট। যেখানে সম্পাদক নামক আম্পায়ারটি নেই। আপনি আউট হলেন কিনা, ছয় মারলেন না চার মারলেন না কট হয়ে গেলেন… আপনি নিজেই বিচার করবেন, কারো মতামত অপছন্দ হলে তাকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন। আন্তর্জাল একজন তরুণ কবির কাছে অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে, যদি তিনি সম্পাদকের ভূমিকা মেনে না নেন।
এই মুহূর্তে ব্লগ এক অনিবার্য ব্যাপার একজন তরুণ কবির কাছে। যদি তিনি কাউকে খুশি না করে নিজের একটি জগত গড়ে তুলতে চান, ব্লগ তাঁর একমাত্র অপশন মনে হয়। নিজের ব্লগে তিনি নিজের সৃষ্টিসুখের উন্মাদনাকে যেমন খুশি উপস্থিত করতে পারেন। সেই ব্লগে তারপর তিনি আমন্ত্রণ জানাতে পারেন পাঠকদের। তাঁকে নিজের কবিতা নিয়ে প্রকাশক বা সম্পাদকের দরজায় দরজায় আর ঘুরে বেড়াতে হবে না। নিজের কবিতার দায়িত্ব এখন তিনি নিজে নিতে সক্ষম। দুই বাংলার বেশ কিছু তরুণ কবি আজ এই পথে হাঁটছেন। আজ তাঁরা খাদক নন, উৎপাদকের ভূমিকা আজ তাঁর। অবশ্য জবাগাছের পাশাপাশি বিছুটিও এক উৎপাদক, কারণ সেও ক্লোরোফিলের অধিকারী।
আলাদা করে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার কথাও আজ আর বলার দরকার নেই। প্রতিষ্ঠান- বিরোধিতা বলে কিছু হয় কিনা, সেই প্রশ্নে না গিয়েই বলি, নিজের কবিতা প্রকাশের ভার নিজে পেলে সেই কবি স্বয়ং এক প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে ওঠার সুযোগ পান। তবে এখানেও আসে স্ব-সম্পাদনার প্রশ্ন। ঠিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মতো ব্লগেও আগে নিজের কবিতার জায়গাটা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো বলে মনে হয়। কবিতা লিখতেই পারেন, কিন্তু সেই কবিতা প্রকাশের সময়ে একটা অধিকারের প্রশ্ন হয়তো আসে। লোককে নিজের কবিতা পড়ানোর অধিকার কি আপনি অর্জন করেছেন? সেটা যাচাই করছেন কী করে? এখানেই কবিতার আন্তর্জাল পত্রিকাগুলি অনিবার্য। সেখানে আপনার যোগ্যতার একরকম বিচার হয়। সেই বিচারকে গ্রহণ অথবা প্রত্যাখানের দ্বারা আপনি নিজের কবিতা সম্পর্কে একটা অবস্থানে আসতে পারেন। একটি আন্তর্জাল পত্রিকাকে কবিতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু শক্ত হাত রাখতেই হয়। নাহলে সে ব্যক্তিগত ব্লগ অথবা ফেসবুকের আরেক সংস্করণ বা মুক্তমঞ্চের মতো কোনো ফোরাম হয়ে যাবে। পত্রিকার গুণ তার থাকবে না।
‘বাক’ প্রথম থেকেই কবিতা নির্বাচনে নির্মম হতে চেয়েছে। একটি কবিতা নির্বাচিত হলে তিনটি কবিতা হয়তো বাতিল হয়েছে। একটি ওয়েবজিন বা ব্লগজিন সেটা করতে পারে। ফেসবুকে যে গ্রুপম্যাগগুলি আছে, তারাও পারে। কোনো ফোরামে সেই সুযোগ নেই। আবার একটি ফোরাম আপনাকে নিজেকে যাচাই করার অন্য সুযোগ দেবে। রাস্তায় পড়ে থাকা হীরকখন্ডকে লোকে চিনে নেবেই, এই আশা আপনাকে দেবে। সেটা খুব সহজ পরিসর নয়।
শুধু আত্মপ্রকাশ নয়। আন্তর্জালের সুবাদে অনেক সীমাবদ্ধতা, অনেক অভিশাপ দূর হবে। টাকার অভাবে অনেকে বই করতে পারেন না। আবার নিজের টাকায় (তা-ও প্রয়োজনের দ্বিগুণ মূল্যে… আপনার বই প্রকাশক বিক্রির জন্য মোটেই করছেন না) বই করে, নিজের টাকায় সেই বই নিজের বাড়িতে ট্রান্সপোর্টে আনিয়ে, খাটের তলায় রাখতে হয়। সেই বই তারপর নিজের টাকাতেই লোককে পাঠাতেও হয়, নিজেই ফোন করে জিজ্ঞেস করতে হয় তা কেমন লাগলো। সেই দিন থেকে কবিরা মুক্তি পেতে পারেন আজ। ‘প্রিন্ট অন ডিমান্ড’ পদ্ধতি এসে গেছে। আপনি নিজের পাণ্ডুলিপি নিজে কম্পোজ করে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটকে দিতে পারেন। তারা সেই বই আন্তর্জালে প্রকাশ করবে। কোনো পাঠক যদি বই হিসেবে পেতে চান, তারা অর্ডার পেলে মূল্যের বিনিময়ে পাঠিয়ে দেবে। আপনিও নিজের বই নিজে কিনে কাউকে দিতে পারেন, উপহার হিসেবে বা আলোচনার জন্য। এই পদ্ধতি সর্বাঙ্গসুন্দর হয়তো নয়, তবে অসাধু প্রকাশকের লোলুপতা থেকে ভবিষ্যতের কবির মুক্তির পথ অবশ্যই।
তবে যে কবি স্বয়ং প্রকাশকের কাছে টাকা নিয়ে বই দেন, এই পন্থা তার জন্য নয়। কিন্তু সেই কবির সংখ্যা কত? এবং বাংলা কবিতার ভবিষ্যত কি আদৌ তাদের মুখের দিকে চেয়ে আছে? বাণিজ্যিক কবিতা আর সাধারণ মানুষের কবিতাবিমুখতা দেখে এই ধারণাটাকে সোনার পাথরবাটি ছাড়া কিছু মনে হয় না। অথচ এই ধারণা আঁকড়ে থেকেই সামগ্রিকভাবে বাংলা কবিতা হাস্যকর এবং অবান্তর হয়ে পড়ে। একটা কথা স্পষ্ট করেই বলি- আন্তর্জাল যে বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ, এ নিয়ে খুব সন্দেহের সুযোগ আজ আর নেই বোধহয়। তালপাতার যুগ থেকে যেমন ছাপাখানা, লেটারপ্রেস থেকে যেমন ডিটিপি তেমনভাবেই এসেছে আন্তর্জাল। এ অনিবার্য বিবর্তন বলেই মনে করি। একে অস্বীকার করলে জীবনের এবং প্রাণের বিকাশের ধর্মকেই খারিজ করা হয়। শুধু ‘বাক’- এর সম্পাদক হিসেবে নয়, একজন নগণ্য কবিতালেখক হিসেবেও এটা আমার ধারণা।
প্রথম প্রকাশ: সতীর্থ, চতুর্থ সংখ্যা, মাঘ ১৪১৯, ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সম্পাদক: শিমন রায়হান