এ্যল্গরিদমিক্
এসো হে নতুন
প্রসন্ন মুক্ত রিদমিক্ —
এ্যল্গরিদমিক্— এসো হে নতুন নস্টাল্জিয়া
কুহু কোকিল কোয়ার্ক,
সিন্দুক বন্দুক লজিকাল
জৈব লজিকাল আমের মুকুল,
ভক্তি যাতনা ছহিহ্ যন্ত্র ঐকান্তিক আইডেন্টিটি
দেশ ধর্ম গলদঘর্ম হিতৈষী হরমোনবল্লভ নতুন নিশ্চিন্তে
এসো তোমার
গল্পগুলি
নতুন করে শিখবে…
দুনিয়ার যত ফকিরের পুত্ সাগরগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে
দুনিয়ার যত অপ্রাসঙ্গিক, অদরকারি, নিচু
ভুখা নাঙ্গা কনডমহীন মাম্বো জাম্বো
পূতিগন্ধময় কামলার প্রোটোপ্লাজম ক্বাথ—
তলিয়ে গিয়েছে সাগরগর্ভে
মহামারী আর নাই
বসন্ত এসেছে
ফাগুন এসেছে শান্তিসদনে সিলিকনতোয়া
সাইবর্গ এসে গেছে
তোমরা এবার বাঁচার মতো বাঁচবে
অবশেষে
হৃদয় সকাশে
গান
কবিতা
হাল্কা ব্যায়াম…
পরবর্তী দু’শো বছরের যুক্তিতক্কো
ন্যায়পরায়ণ নমো নমো নমো একটি ফুল’কে
যে নারীর মধু প্রেমে’তে তোমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসি’তে তোমার…
সো অন্ সো ফোর্থ
আরো স্বাদু, আরো পাপবোধহীন, ডিস্টিল্ড্
স্বতন্ত্র
সঙ্গত
প্রজ্ঞাময়
ওপেন-সোর্স
আধ্যাত্মিক ব্যক্তিবিশ্ব মিছরি বাতাসা
সত্যের ফিড্ হে নতুন!
হে প্রসন্ন!
মুক্ত রিদমিক্—
এ্যল্গরিদমিক্—
নতুন নিশ্চিন্তে এসো তোমার
গল্পগুলি
নতুন করে শিখবে
বোগেনভিলিয়া
তিনতলার চল্টা ওঠা গ্রিলের গায়ে
বিন্দু বিন্দু বোগেনভিলিয়া
হাওয়ায় দুলছে
ভোরবেলাকার মাড় শুকানো সুতির শাড়ি
বারান্দায় কাঠের চেয়ার ঠান্ডা মিষ্টি
বাতাস দিচ্ছে ঘিঞ্জি লোহার খাঁচার ভিতর
তিনতলার পাপড়ি সমেত পরাগ সমেত
তসবি হাতে ভাঙ্গা মানুষ তাকিয়ে রয়েছে
ভাঙ্গা রাস্তা – হেলতে দুলতে ফলের দোকান
গোলাপচারা ভর্তি রিকশা
আজান শেষে আস্তে আস্তে
গাউছিয়ার দিকে আগুয়ান –
চল্টা ওঠা গ্রিলের গায়ে বিন্দু বিন্দু পাখির শব্দ
বিন্দু বিন্দু বোগেনভিলিয়া হাওয়ায় দুলছে
মানুষ বসে আছে
মানুষ বসে আছে তার হিয়া
জাদুঘরে মমির স্মৃতির পাশে
তেরছা বিকাল
রোদের ভিতর দিয়া
জানালা বরাবর নিচে
সেক্সশপের ছাদে ভাঙ্গা
মদের বোতলে প্রতিফলিত কিছু
একটা বলতে পারা গ্যালো এমন
বাক্যভর্তি অনুবর্তী সুস্থ
টিভি পর্দা হিত অবহিত রাস্তা দোকান
বাজার সদাই চাবুক তালা চাবি
পুরাতন পিস্তলের গান …
যৌন প্রপাগান্ডা রেডিও …
মানুষ তার বসে আছে
একটা পৃথিবী
একটা পৃথিবী আছে বাজারে পাওয়া যায়
বাজার অনুমোদিত থলিতে
একটা পৃথিবী আছে টিভির ভিতর
যার বাইরে বসে অপ্রাসঙ্গিক
সিনেমার মতো আমি থাকি –
তুমি থাকো –
তোমার বাচ্চা স্কুলে যায় –
স্কুলের পাশে মাংসের ট্রাক
নিজেদের লুকিয়ে লুকিয়ে দেখাই
দেখা করি – যেন কত জন্মের
পার্কিঙে বৃষ্টিস্নাত ফুলগাছ
একটা পৃথিবী আছে বাজারে পাওয়া যায়
বিকালবেলা গরম গরম রুটির গন্ধ –
রুটির দোকানের গায়ে –
আকাশে ওড়া কবুতরের গায়ে
শুভ ওঁম
যার বাইরে কী আছে বলা যায় না
মাথার সেই ভিতরে শান্তি
স্বাগত ব্যাটারি শুভ কেরোসিন
দেশলাই মোম চুলা
সিস্টিন চ্যাপেলের গড বলতে
মানুষের মগজের মতো
ভরদুপুরের মতো
সিনেমা পর্দা চলন্ত গাড়ি
চলন্ত উইন্ডস্ক্রিনে চেনা মুখ
সরে যেতে থাকা উদোর পিণ্ডি
বুধোর মেরুদণ্ড ভারচুয়াল
করোটি কশেরুকা
ভাল থাকা সূক্ষ্ম ভৌত সাহিত্য ফুটপ্রিন্ট
লোকালি গ্রোন গোলালু
ফোঁটা ফোঁটা পাহাড় নদী ঝিল
চোখের ভিতর ওষুধবিন্দু
সিলেবাসবিন্দু
জনমত প্রতিবাদ অনশন
লিবারাল হেজিমন স্বাগত মিছিল
মিটিং স্বাগত
বিপ্লব
ওঁম …
মেশিন রিডেবল শুভ
ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার শুভ
মাটির তলায় বাঙ্কার
মুক্ত পায়রা ড্রোন
সিরিঞ্জের সূচ
ফোঁটা ফোঁটা ভোটাধিকার
বারকোড বিলবোর্ড শুভেচ্ছা নিরন্তর
ওনলি গুড ভাইবস্ –
নিজের মতো ভাল থাকা পোষা মাছের
সন্তান-সন্ততি নিরবধি পাউরুটি
শুভ ওঁম
শান্তি স্বাগত
মেসবা আলম অর্ঘ্য
জন্ম ১৯৮১ সালে, ঢাকায়। কবি, গদ্যকার।
প্রকাশিত গ্রন্থ-গ্রন্থিকা :
‘আমি কাল রাতে কোথাও যাই নাই ’ (কৌরব, ২০০৮) , ‘তোমার বন্ধুরা বনে চলে গেছে ’ (বাঙলায়ন, ২০১১), ‘মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা ’ (ফৃ, ২০১১), ‘তোমার সাথে আক্ষরিক’ (জনান্তিক, ২০১৬)।