পাঁচটি কবিতা | পলিয়ার ওয়াহিদ


পাকা টমেটো কতটা সেক্সি


এক.

প্রমাণিত সত্য, খানিকটা খর্বকৃতি ও কম সুন্দরী মেয়েরাই
বিদ্রোহী ও প্রতিবাদী জীবনের মোহে শহীদ হয়ে যায়

ঠিক যেভাবে অনেক সুঠাম দেহের অধিকারী মহিলা
রোমান্স তো দূরের কথা কামনার ভাষাও বোঝে না

রসালো ও মোহনীয় রমণীরা তাবৎ ছলাকলা ফুরিয়ে ফেলে
ইশারা আর ডাটের সামগ্রী শরীরে বুলাতে বুলাতে

কেবল মিষ্টি আর লাজুক ফুলের সঙ্গে আমার মিলন হয়
তাদের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে ফেলার সুযোগ মেলে

বাসনার কাছে যারা নতজানু তাদের দিকে ফিরে যান
আর নিজের মুখোমুখি হতে হতে অন্যকে চাটুন

 

দুই.

যে মেয়েদের নোখ লম্বা
তাদের নাক ও নাভি সুন্দর

যে মেয়েদের নাক বাঁশির মতো
তাদের হাসি ঝরঝরে

যে মেয়েদের হাসি উজ্জ্বল
তাদের জীবন বড় মলিন

যে মেয়েদের চলা ধীর
তারা বড় দয়ালু আর মায়াময়

মায়ার জড়ানো দুনিয়াতে
মেয়েরা সব উজাড় উজাড়

 

তিন.

যে মানুষ বেশি কথা বলে
বিরক্তি জন্ম দিলেও সে
বড্ড ভালো লোক।

যে লোকে বেশি কম কথা বলে
তাকে বিশ্বাস ও সন্দেহ করা উচিত

যে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না
তাকে সহ্য করা সত্যিই কঠিন

 

চার.

একটা মেয়েকে আমি চিনতাম
যার প্রেমিক গরীব এবং ময়লা রঙের
তবু সুন্দরী মেয়েটির ভালোবাসায় পাগলামী ছিল
কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল প্রেমিকটি তাকে সুখ দিতে পারিনি
একদিন ঠিক-ই প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়।

একজন মহিলাকে চিনি
অনেক দৈহিক চাহিদা থাকার পরও
সে সুযোগ পেলেও কোনো পুরুষের সঙ্গ নেয়নি
কিন্তু স্বামীটা তার চাচাতো বোনের সঙ্গে
ফস্টি-নষ্টি করতে গিয়ে ধরা পড়ে।

বউটি একদিন শীতের রাতে
নিম গাছে গলায় দড়ি দেয়।

 

পাঁচ.

নিতম্বভারি মেয়েরা স্বার্থপর ও মেজাজী হয়
হিংসুটে সব নারীর কোমর পুরুষের মতন
চিকন ঠোঁটের মেয়েরা সবকিছু তুচ্ছ ভাবে
কিন্তু সরু চিবুকের রমণীরা সত্যি মধুর

বেটে পুরুষগুলো বড্ড বদমেজাজী
বয়স হলে অবশ্য তাদের মেদ কমে
লম্বা পুরুষেরা বেশির ভাগই আহম্মের ঢেঁকি
মাঝারি সাইজের মালগুলো কর্মঠ ও সুনিপুণ।


পলিয়ার ওয়াহিদ
জন্ম: ২৬ ফাল্গুন (২০ মে ১৯৮৬ সাল) যশোর।
পেশা: সাংবাদিকতা

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: পৃথিবী পাপের পালকি-২০১৫, সিদ্ধ ধানের ওম-২০১৬, হাওয়া আবৃত্তি-২০১৭, সময়গুলো ঘুমন্ত সিংহের-২০১৮, মানুষ হবো আগে-২০১৯ (কিশোর কবিতা) দোআঁশ মাটির কোকিল-২০২০, সঙ অফ সয়েল-২০২২ (ইংরেজি অনুবাদ) ব্ল্যাকহোক পাবলিকেশন্স, ইন্ডিয়া। আলিফ লাম মীম ও মহুয়ার মরমী গম-২০২৪।

পুরস্কার: কৃত্তিবাস, তারাপদ রায় সম্মাননা-২০১৯, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

 

 

 

শেয়ার