নতুন কবিতার সন্ধানে | হিম ঋতব্রত

অমানুষ 

 

এক সার্কাসকর্মী

ফাঁকা মাঠে তুলেছে একটা ঘর

আর চিৎকার করছে…

 

এই ঘরে অমানুষ আছে 

অমানুষ আছে 

অমানুষ…

 

তাকে কেন্দ্র করে অনেক লোকের ভিড়

একে একে ঢুকছে ঘরে সাক্ষাতের জন্য

ফিরছে কালিমুখে সকলেই। 

কৌতূহলবশত আমিও গেলাম;

ফাঁকা ঘর

চারপাশে আয়নার দেয়াল

আমি আমারই অবয়ব।

 

 

বধূটি তেঁতুল খায়

 

ঢেঁকির ঘরে বধূর দল ধান ভানছে

ঢেঁকির ফলা খাদের ভেতর 

উঠছে নামছে নামছে উঠছে…

 

পিঠা-পার্বণ শেষ হলে 

নতুন নধূটি তেঁতুল খায়। 

 

 

বকের মাংস 

 

দুপা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে আছে একটি বক

শাদা পালকে আবৃত বুকে

গেঁথে গেছে অজস্র মানুষের চোখ

পালকের পেছনে আরামদায়ক লেজ

ভেজা শরীর থেকে যৌবনজল ঝরছে…

 

ইচ্ছে হয় বকের মুখ থেকে তিতপুঁটি কেড়ে নিই

আর ঝলসে খাই…

 

 

ভূত

 

আজ রাতে আমরা দুজন ভূত হব

মাংস চিবিয়ে খাব

রক্ত চুষে খাব পরস্পর 

 

অমাবস্যার গাঢ় আঁধার চিরে

তীব্র আর্তনাদ, ভয়ানক গর্জন! 

অনেক ক্ষত-বিক্ষত হবার পর

আবার মানুষ হব

ভোর হয়ে আসবে তখন। 

 

 

তোমার মুখের দিকে

 

তোমার মুখের দিকে তাকিয়েই 

কাটিয়ে দিতে পারি পৃথিবীর মৃত্যু অবধি

 

এ শপথ নিয়ে শুরু হলো

সিংহের শিকার পদ্ধতি ও হরিণের ঘাসজীবন

ট্রেনের হুইসেল আর রেলক্রসিং রেলিঙের নামা-ওঠা

সূর্য মেঘ মেঘ সূর্য লুকোচুরি খেলা

 

অতঃপর একদিন

নীড়ে ফুরিয়ে এলো খড়কুটো 

থামলো ডানা ঝাপটানোর শব্দ

পুড়ল সমস্ত পালক…

শেয়ার