বাইন্ধা দিলে বান্ধা আর্টই হয়, বেশি ভালো কিছু হয় না। হুমায়ূন আহমেদ এটা ফিল করছিলেন। আর ধ্রুব এষ এই ফ্রিডমের মোক্ষম ইউজ করছিলেন।
ধ্রুব এষ।এ লোকটারে কিভাবে চিনলাম প্রথম? মনে করে দেখলাম। ময়ূরাক্ষী’র প্রচ্ছদ দিয়ে। ময়ূরাক্ষী হুমায়ূন আহমেদের বই। অই প্রচ্ছদে কী ছিল, এখন আর মনে নাই, তবে মনে আছে, আমাদের গ্রামের লাইব্রেরীতে (আদতে বইয়ের দোকান), যেখানে পপি গাইড-টেকনিক গাইড জাতীয় আরও নানাবিধ গাইড, খাতা-কলম এবং সাথে ফটোকপির ব্যবসা চলতো, তার ভিতরেই কতিপয় আউটবইও থাকতো। আউটবই মানে যাহা পাঠ্য নয়। পাঠ্য নয় মানে যাহা স্কুল কলেজের সিলেবাসের অপাঠ্য। আউটবই বলতে যা যা, তাও মোটাদাগে সবগুলাকে আউট অব সিলেবাস ধরা হতো না। একাডেমির সিলেবাসে অপাঠ্য থাকলেও পড়া উচিত এ তালিকায় ছিল এসব বই। যেমন: বিষাদসিন্ধু বাই মীর মোশারফ হোসেন। হ্যাঁ, মশাররফ না, মোশারফই ছাপা হইতো। এরকম আরও কিছু ধর্মীয় বইয়ের সাথে থাকতো, শিশুর সুন্দর নাম, ফুটন্ত গোলাপ বা বোরকা পড়া সেই মেয়েটি। দেখেছি, আমাদের ক্লাসমেট মেয়েরা (ছেলেদের পড়তে দেখতাম সাইমুম সিরিজ) এসব বই পড়তো। এসব পড়াও খুব একটা অপাঠ্য ছিল না। এসবের সাথেই থাকতো দুয়েকটা হুমায়ূন আহমেদ বা ইমদাদুল হক মিলন। মিলন-হুমায়ূন আহমেদদের পার্সেন্টিজ ছিল অনেকটা নব্বই আর কুড়ি। এ কুড়িটার মাঝে কলকাতার সুনীল-সমরেশও থাকতো। পাইরেট হয়ে। এমন কি পাইরেসির কারণেই মীর মশাররফ মোশারফ হয়ে যেতেন। তো এসকল পাইরেটেড বইয়ের ভিড়েও অপাইরেটেড থাকতেন হুমায়ূন-মিলনরা। দরকার হতো না মে বি। হতো না বলতেছি। তার মানে এখন কি হয়? মনে হয়, হয়। এ মুহূর্তে শিওর হইতে পারতেছি না ভালো। তো যেটা বলতেছিলাম (ধান ভানতে গিয়ে রবীন্দ্রসংগীতে পৌঁছায় গেছি) অই লাইব্রেরিতে হুমায়ূন আহমেদ তুলতে গিয়েই ধ্রুব এষরে চিনি।

বইটার নাম মনে আছে। ময়ূরাক্ষী। ভিতরে উল্টাইলাম। দেখলাম প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ। নামটা গতানুগতিক না। অন্যরকম। মনে হচ্ছে, বাপ-মা রাখে নাই। নিজে বানাইছে। কবিরা যেমন বানায়। তো শুধু নামের কারণে ধ্রুব এষরে মনে রেখে দিলাম এমন না। মনে রাখার আরও একটা কারণ ছিল এবং বড়ই সেটা, বোরকা পড়া সেই মেয়েটির কাভার যেমন, বা ফুটন্ত গোলাপের, মলাটের উপর বোরখা পরা একটা মেয়ে বা লাল টকটকে গোলাপ ফুল। এই বইয়ের প্রচ্ছদ এমন না। বইয়ের নাম ময়ূরাক্ষী বটে, কিন্তু ময়ূরাক্ষী শুনলে যা মনে আসে, তার ছিটেফোঁটাও নাই। সম্পূর্ণই অন্যরকম। এই অন্যরকম মনে করাইতে পারাটা ধ্রুব এষ পারছিলেন। এটাই তার গুণ। তার পরে যতবার হুমায়ূন আহমেদ হাতে নিছি, আগে কাভার উল্টায় দেখে নিতাম ধ্রুব এষ কিনা। দেখতাম ধ্রুব এষই। হুমায়ূন আহমেদ যেখানে, ধ্রুব এষ সেখানে; এরকমই দাঁড়ায় গেছিল বিষয়টা। আর এইভাবেই হুমায়ূন আহমেদের সাথে সাথে বাংলাদেশি পাঠকদের অন্দরমহলে ঢুকে গেছিলেন ধ্রুব এষ। হুমায়ূন আহমেদের সাথে সাথে ধ্রুব এষ, তার মানে কিন্তু এমন না; ধ্রুব এষের নিজস্বতা ছিল না বলেই হুমায়ূনে ভর করতে হয়েছে, বলা উচিত প্যারালালই আগাইছে। হুমায়ূন তার টেক্সট দিয়ে পাঠককে আছড় করতেন, আর ধ্রুব এষ ইমেজ দিয়ে।
বলা যায় বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদ, না বাংলা বলাটা ঠিক হবে না অইভাবে, বলা ভালো বাংলাদেশের বইয়ের প্রচ্ছদ ধ্রুব এষের আগে আর পরে আলাদা। বেশি বাড়াবাড়ি শোনাচ্ছে বা অনেক জাজমেন্টাল? ভেবে দেখলাম, মোটা দাগে কথাটা মিথ্যা বলি নাই
ধ্রুব এষরই কোন লেখা বা ইন্টারভিউতে পড়ছিলাম মে বি, ধ্রুব এষরে এক প্রকাশক এসে বললেন হুমায়ূন আহমেদের এ বইটার কাভার করে দিতে হবে। ধ্রুব এষ করলেন। কিন্তু রাইটারের পছন্দ হয় না।আরেকটা করলেন, অইটাও পছন্দ হয় না। এরকম বেশ কয়েকটা। তাও কাজ হয় না। শেষে লেখক ডেকে পাঠাইলেন আর্টিস্টকে; বললেন: তুমি তোমার পুরা স্বাধীনতা নিয়ে আঁকো। উপন্যাস বলে এক দুইটা ফিগার এঁকে দিতে হবে এমন না। ধরো ফিগারই থাকার দরকার নাই। এই যে ফ্রিডমটা দিলেন, একজন সৃজনশীল শিল্পীই দিতে পারেন। তিনি জানেন আর্টিস্টের স্বাধীনতার দরকার আছে। বাইন্ধা দিলে বান্ধা আর্টই হয়, বেশি ভালো কিছু হয় না। হুমায়ূন আহমেদ এটা ফিল করছিলেন। আর ধ্রুব এষ এই ফ্রিডমের মোক্ষম ইউজ করছিলেন।তিনি প্রিয়তমা (এ নামে মে বি কোন বই নাই। কথার কথা) বইয়ে সুন্দরী নারীর মুখ বা যুগল দিয়ে প্রচ্ছদ বানান না।(কলকাতার বইগুলাতে যেমন, মোটা দাগে)। অন্য কিছু করেন। এমন কিছু হয়তো, কোনো মানুষই নাই ছবিতে, কোন পাখি বা গাছ, এমন কিছু একটা; যেটা কনভেনশনাল নাই আর। এমনভাবে বসানো অন্য একটা মানে তৈরি হয়। ধরা যাক তিনি একটা চশমার ডাটের উপর একটা শালিক বসায়া দিলেন, যেন আবিদ আজাদের চশমা ডাটরে শালিকের ঠ্যাংয়ের সাথে দেয়া সেই উপমা, বা একটা হ্যাঙ্গারে ঝুলানো জামার মাঝখানে চাঁদ বা এমন কিছু একটা, যেটা একটা মন্তাজ নিয়ে আসে বা অন্য একটা বাস্তবতা। যা পুরাই অভিনব, অন্তত প্রচ্ছদে। এভাবে যিনি পাঠক তার ইমাজিনেশনের দিগন্তকে তিনি লেখকের সহযোগী হয়ে আরো বিস্তৃত করে ফেলেন। নির্দিষ্ট করে দেন না। এটা ভালো। কারণ, এর কারণ এজ এ ভিউয়ার, ব্রিদিং স্পেস পাওয়া যায়। এটা জরুরি।

ওয়েট, এর পক্ষে আরেকটা উদাহরণ দিই। আপনারা যারা হুমায়ূন আহমেদ পড়েছেন, তারা জানেন হুমায়ূন আহমেদ তার চরিত্রদের চেহারার বর্ণনা দেন না। বলেন না, হিমু দেখতে কালো, দাড়িঅলা বা একটা চোখ ট্যারা। বা বলেন না রূপার চোখ পটলচেরা, টানা টানা, গালে তিল আছে, দীঘল কালো চুল। বলেন শুধু এটুকুই রূপা রূপবতী। এই রূপবতী বলা দিয়ে আপনি কী বোঝেন? অনেক কিছুই। এ অনেক কিছু আবার আরেকজনের অনেককিছুর মতন না। আলাদা। আপনি যেইভাবে একজন রূপবতীরে ভাবতে চান অইরকম। এটা ঘটেছে হুমায়ূন আহমেদ খালি রূপবতী বলে আর আগান নাই বলে। আরো বললে আপনার আর ভাববার কিছু থাকতো না। হুমায়ূন আহমেদের এ বিষয়টা ধ্রুব এষেও আছে। দেখা যাচ্ছে, ধ্রুব এষ কাভারে কোন ফিগার দিলেও, হয়তো সেটা কোন বালক বা বালিকা, কোন নর বা নারী, কিন্তু তার কোন চেহারা নাই। চেহারা ছাড়া তো মানুষ হয় না। বলতে চাচ্ছি আসলে, সেই চেহারাটা আড়াল করা। মানুষটা দেখতে কেমন তা আপনি দেখতে পারতেছেন না। আপনি যদি আন্দাজ করতে চান, সে কেমন, তাকে আপনারে আপনার নিজের কল্পনার উপরই ঠেস দিয়ে দাঁড়াইতে হবে। ধ্রুব এষ এখানে আপনারে কোন হেল্প করবেন না। এ অসহযোগিতা ইচ্ছাকৃতই। আর এটা দিনশেষে দর্শকের জন্য ভালোই। দর্শক লায়েক হইয়া উঠেন।

বলা যায় বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদ, না বাংলা বলাটা ঠিক হবে না অইভাবে, বলা ভালো বাংলাদেশের বইয়ের প্রচ্ছদ ধ্রুব এষের আগে আর পরে আলাদা। বেশি বাড়াবাড়ি শোনাচ্ছে বা অনেক জাজমেন্টাল? ভেবে দেখলাম, মোটা দাগে কথাটা মিথ্যা বলি নাই। এইটা আপনি ধ্রুব এষের প্রচ্ছদ খেয়াল করলেই টের পাবেন। আগে যেমনটা ছিল শুধু হাতে আঁকা, এইটার বদল শুরু ধ্রুব এষদের দিয়ে। লক্ষ্য করুন ধ্রুব এষদের বললাম। কারণ, কতটুক সত্য জানি না, শুনছিলাম এখন যিনি অভিনেতা আফজাল হোসেন, যখন তিনি আর্টিস্ট, বইয়ের কাভার আঁকতেন, তখন তিনি পোড়া কাগজের ইমেজ বইয়ের প্রচ্ছদে ইউজ করা শুরু করেন, তো তিনি যদি প্রথম হন, বলা যায় বইয়ের প্রচ্ছদে হাতে আঁকা ছবির বাইরে গিয়ে আরো নানান কিছু, নানান অবজেক্ট প্রচ্ছদে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে একটা বিপ্লব, হ্যাঁ বিপ্লবই শুরু হয়ে গেল। আর এটারে আগায় নিয়া গেলেন একজন ধ্রুব এষ। আরো অনেকেই, যেমন এখন সমর মজুমদারের নাম মনে আসতেছে, তিনিও নানান অবজেক্ট ইউজ করতেন। কিন্তু এটারে যে ধারাবাহিকভাবে আগায় নিয়ে যাওয়া, এটা ধ্রুব এষ বাদে আর কেউই করেন নাই। একা তিনিই কত্তো কিছু কাভারে ঢুকায় দিলেন, তার হিসেব নাই। তিনি সুতার গোল্লার উপর চোখ বসায় দিয়া ভূতের ইমেজ বানাইলেন, গাছের পাতা কেটেকুটে বা ডিরেক্ট বসায় দিয়ে, গাছের ডালপালা ভেঙে-বসায় দিয়ে, কাগজ ভাঁজ করে, ছিঁড়ে (ছিঁড়ে কলকাতার হিরণ মিত্রও করেন। কিন্তু দুজন আলাদা) বসায় দিয়ে মেঘ-পাখি-মানুষ বানাইলেন, কিংবা বইটা ধরেন কোনো রচনাসমগ্র, যেমন আবুল হাসানেরটা, তার উপর তিনি বসায় দিলেন, অনেকগুলা রঙিন হাতের ছবি।


আমাদের চালু যে শিল্পচর্চার ধারা,প্রাতিষ্ঠানিক, যেটা চারুকলা নামে পরিচিত, তার সরকারী একাডেমীগুলাতে মেলাদিন পর্যন্ত ফটোগ্রাফি স্বীকৃত ছিল না। এ অস্বীকৃতি নানানভাবে এখনও ছড়ায় ছিটায় আছে। আপনি হাতে আঁকলে বেটার, ফটোশপ-ইলাস্ট্রেটরও ওকে, কিন্তু যখনই ফটোগ্রাফ বসাইতে যাবেন, নানান আপত্তি আসবে। ধরা হয়, তোলা ছবি বসাইলে যেন আপনি কষ্ট করেন নাই একটুও, মাইন্ড করে বসবে অনেক। তো ধ্রুব এষ এইটা ভেঙে দিলেন। তিনি নিজেরেও বারবার ভাঙছেন। কাইয়ুম চৌধুরীর প্রচ্ছদ দেখলেই বুঝবেন এটা ওনার। বইয়ের নামের লেখার ধরনের কারণে, আঁকার স্টাইলের কারণে। দেখেই কার করা বুঝতে পারাটা একটা নিজস্বতা বটে। কিন্তু মুদ্রাদোষও। যেন বারবার নিজেরে কপি করা। ধ্রুব এষ এ মুদ্রাদোষ নানানভাবে উতরায় গেছেন। উতরাইতে গিয়ে নানানরকম লেখার স্টাইল নিয়ে আসছেন। প্রচলিত ছাপা ফন্ট যেমন ইউজ করেছেন, তেমনি রঙের ড্রিপিং দিয়ে, খোদাই করে, কাঠের ব্লকের লেটার ইউজ করে, ছোটদের বইয়ে বাচ্চাদের মতোন লিখে বা নানান আনকনভেনশনালে উপায়ে লিখে নানানভাবে বৈচিত্র্য ধরার চেষ্টা করেছেন। এ যে বাউন্ডারি ক্রস করার রিস্ক, এটা সকলে নেন না, বা নিতে পারেন না। ধ্রুব এষ একটু একটু এইটা তৈরি করেছেন।

শিবুদা মানে শিবুকুমার শীল একবার কথায় কথায় বলতেছিলেন, ধ্রুব এষ প্রচ্ছদের ইন্ড্রাস্ট্রি একরকম। আর আমরা জাস্ট ক্ষুদ্র কুটির শিল্প। কথা সত্য। একজন ধ্রুব এষ যদি কোন এক বইমেলায় প্রচ্ছদ করা বন্ধ করে দেন, প্রকাশকদের মাঝে হাহাকার পড়ে যাবে। কে করবে এতগুলা প্রচ্ছদ? এত আর্টিস্টতো নাই। না থাকাই নানান কারণে স্বাভাবিক। তার একটা বড় কারণ, এইখানে বইয়ের প্রচ্ছদ করে খাইতে পারাটা এখনও অসম্ভব। হ্যাঁ, যদি আপনি খাইতে পারাটারে লিটারারি না নেন। একজন আর্টিস্ট একটা এড ফার্মে বা অন্য কোথাও কাজ করে যে টাকা কামাবে এইখানে যদি তার অর্ধেকও না কামাইতে পারে, এ কাজ করবে কেন সে? আপনি একটা পেইন্টিং কিনতে যান, দাম কতো? যে দাম, তার কতভাগ আপনি একটা প্রচ্ছদের জন্য দিতে রাজি আছেন? অথচ আপিনই কিন্তু পেইন্টিংয়ের মতন মৌলিকতা দাবি করতেছেন একটা প্রচ্ছদের কাছে। একটা পেইন্টিংএর মালিক যেমন খালি একজন, একটা কাভারও খালি একটা বইয়ের জন্যই। দুইবার ব্যবহারের কোন স্কোপ (রচনাবলীতে অনেকসময় রিপিট হয়) এইখানে নাই। কিন্তু পারিশ্রমিকটা? বিশাল গ্যাপ। বাংলাদেশে এখনো প্রকাশনা জিনিসটাই দাঁড়ায় নাই। এ না দাঁড়ানো একটা সিস্টেমে একজন ধ্রুব এষ নিছক ভালোবাসার জায়গা থেকে এটাকে প্রথম পেশা হিসেবে নেন। সেই থেকে কাজ করে যাচ্ছেন, এথন এ সময়ে এসে যতটুক স্বাধীনতা-সুযোগ একজন নতুন আর্টিস্ট পাচ্ছেন, তার পিছনে ধ্রুব এষের এতদিনের কাজ করে যাবার একটা ফজিলত তো আছেই।

যে লোকটা প্রতি বছর কয়েক হাজার প্রচ্ছদ করে আসতেছেন, তার কি সম্ভব নতুন নতুন জিনিস দেয়া? ধ্রুব এষ এটা করে যাচ্ছেন। এখন অনেক মনোটোনাস লাগলেও, তার ভিতরই ইউনিক কাজটা ধ্রুব এষই করে ফেলতেছেন। বা এখন যারা অন্যরকম কিছু করার চেষ্টা করতেছেন, নানান দেশের নানান শিল্পীর এত এত কাজ দেখতে পারার স্কোপের পরও, তাদের সবার পিছনেই ভূতের মতোন একজন ধ্রুব এষই এখনও দাঁড়ায়ে আছেন। নানানভাবে আছড় করার জন্য আগায়া আছেন তিনি। করতেছেনও। করবেনও। নতুন শিল্পীরে নতুন কিছু করতে গেলে এই একজন ধ্রুব এষরে পার হইয়াই আগাইতে হবে। নতুন শিল্পীর সামনে একসাথে তিনি বাঁধা ও পথ। তারে সাথে নিয়েই আমারে-আপনারে আগাইতে হবে।
রাজীব দত্ত
কবি, আর্টিস্ট