তিনটি কবিতা ।। সঙ্ঘমিত্রা হালদার

যাহা কিছু ঘটে আছে  

এখন রাত্রি শেষ করে দিন, না দিন শেষে রাত্রি, এই চিন্তা

ফুঁ দিয়ে নামায়। আমার পরবর্তী তিরিশ দেখি হেসে খেলে

গড়িয়ে নেয়। মজা করে ও বুদ্বুদ ছড়িয়ে রাখে। কিছুতেই

সে পুরোটা মনে পড়তে দেবে না। মজাদের গা থেকে আঁশ-

ছাল ছাড়িয়ে নেয়। ও বৃহৎ দংশনের ছবিতে একটা দাঁড়কাক

কী অসম্ভব রতিময় দেখায়। ওহ্‌ কী গা-ভর্তি দাঁড় বাওয়া

 

ধরে নেয়া যায় এর ঠিক পক্ষকাল পরে পৃথিবীর ঈর্ষা পূরণ হবে। 

আমাদের মানুষের মতো সেও একটু একটু প্রলুব্ধ হবে। আর সে

রসনায় বাড়ি বয়ে চাঁদ আসবে পায়ে হেঁটে। বলবে চিমটি কেটে

দেখো— ও  দেহ সত্য কিনা!

 

 

সময়ঃ তাজমহল     

প্রচন্ড আশার পর আজ কিশোরের বাঁধ ভেঙেছে। তাকে কিশোরীও

বলা যায়। কোনও এক সাবালক আশা। তাকে পেরোলে এক পূর্ণ

দৈর্ঘ্য ছুটির রিল। নিজের মতো হতে পারা স্বাধীনতা, দমভরে বাঁশিতে

ফুঁ রাখা, একটা জীবন ভরে হেস্তনেস্ত

 

রেডিওর ভেতর সেই কবে থেকে ‘সন্ধান চাই’ ঘোষণা হচ্ছে।

কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যাচ্ছে-না-বলে তার সময়ও 

বরফ হয়ে গেছে। তাজমহল হয়ে গেছে তার সময়।

 

 

ফ্রেম

স্মরণযোগ্যতার কথা এলেই মনে হয় উবে যাচ্ছি আমি

এরপর কেউ ছোট করে টাঙাবে দেওয়ালে

লোকে যেভাবে চেটেপুটে নেয় গরল ও অমৃত

আমি কি তেমন কোনও স্বাদের জন্য বাঁচব 

 

বাঁচার কথা কিভাবে আসে, যখন জীবিত ও মৃত

কোনও সঙ্গমস্থলই আমার নয়

 

দেখি, হেঁচকি তোলে কাগজের ভূত, গা ছমছমে ঘরবাড়ি

জ্যোৎস্নার বরফে কেবল অনুপস্থিতির শব্দ ওড়ে  

 

মোট কথা শূন্যতা নিয়ে কিছু ভাবো-টাবো হে

শেয়ার