ডোনাল্ড বার্থেলমি’র গল্প— মার্জিন | ভাষান্তর : দিলশাদ চৌধুরী

ডোনাল্ড বার্থেলমি (১৯৩১-১৯৮৯) একজন আমেরিকান গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক। যিনি কিনা উত্তরাধুনিকধারায় লেখালেখির ক্ষেত্রে জনপ্রিয়। ‘মার্জিন’ গল্পটি তার “কাম ব্যাক ডঃ ক্যালিগরি “(১৯৬৪) বইটি থেকে সংগৃহীত এবং অনুদিত।


এডওয়ার্ড কার্লকে মার্জিনের ব্যাপারে বলছিল।

“মার্জিনের ধরন থেকে রুচি, নান্দনিকতা, মূল্যবোধ অথবা মূল্যবোধের অভাব বোঝা যায়,” সে বলল। “একটা খুব বেশি প্রশস্ত মার্জিন এমন এক মানসিকতাকে নির্দেশ করে যেখানে অবাস্তব রুচি এবং সংস্কারের সাথে শ্রেষ্ঠ শিল্প এবং সংগীতের গভীর বোধ হাতে হাত রেখে চলে,” এডওয়ার্ড তার হাতে থাকা হাতের লেখা বিশ্লেষণের বই থেকে পড়ে শোনায়, “পক্ষান্তরে সরু মার্জিন একেবারে উলটো চিত্র দেখায়। একদম মার্জিন না রাখাটা বাস্তববাদী প্রকৃতি বোঝায়, আরও বোঝায় স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক অবস্থা এবং শিল্পে সাধারণ রুচিহীনতা। ডানদিকে প্রশস্ত মার্জিন রাখা ব্যক্তি বাস্তবের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, ভবিষ্যতের ব্যাপারে অতিমাত্রায় সংবেদনশীল এবং সাধারণত অন্তর্মুখী চরিত্রের হয়।”

 

“আমি এসবে বিশ্বাস করি না,” কার্ল বলল।

“এখন.. ” এডওয়ার্ড বলেই চলে, “তোমার এখানে করা সই দেখে বোঝা যায় যে তোমার লেখার চতুর্দিকে প্রশস্ত মার্জিন থাকে যা রঙ এবং রূপের ব্যাপারে চরম সূক্ষ্ম সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে। এমন মানুষ ভিড়েও নির্লিপ্ত থাকে এবং নিজের এক আলাদারকম সুন্দর আর রুচিশীল স্বপ্নের দুনিয়ায় বাস করে।”

 

“তুমি নিশ্চিত যে তুমি ঠিকঠাক বুঝেছ?”

“আমি বুঝতে চেষ্টা করছি,” এডওয়ার্ড বলল, “অজ্ঞানতা এবং অন্ধকারের এক বিশাল বাঁধা অতিক্রম করে।”

“অন্ধকারটা আমিই নিয়ে এসেছি, এটাই বলতে চাচ্ছ?” কার্ল জিজ্ঞেস করল।

 

“একশবার! তুমিই নিয়ে এসেছ, শয়তান কোথাকার,” এডওয়ার্ড বলল, “ভীতুর ডিম…”

 

“এডওয়ার্ড”, কার্ল বলল, “ঈশ্বরের দোহাই।”

“তুমি তোমার স্বাক্ষরের ওপর ওই বাজে কথাগুলো কেন লিখেছ, কার্ল? কেন? ওগুলো সত্য নয়, তাই না?”

“ওগুলো মোটামুটি সত্যিই”, কার্ল বলল। সে ঝুঁকে তাকিয়ে তার খয়েরি স্যান্ডউইচ বোর্ডটাকে দেখল। সেখানে লেখা ছিলঃ

* আমাকে দেড় ডলার চুরি করার অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য সেলবি কাউন্টি আলবামার জেলে দেয়া হয়, কিন্তু চুরিটা আমি করিনি। যখন আমি জেলে ছিলাম, আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয় এবং আমি ছোট থাকতেই আমার মা পালিয়ে গিয়েছিল। জেলে আমি ধর্মপ্রচার করতে শুরু করলাম। আমি যেখানে যতটা পারলাম পরকাল এবং ঈশ্বরপ্রেমের বাণী প্রচার করতে লাগলাম। চাকরির চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউ আমাকে চাকরি দিতে চায় না। কারণ আমি জেলে ছিলাম। পেপসি কোলার মতই বিষণ্ণ পুরো ব্যাপারটা। আমার খাবারের জন্য আপনাদের দান প্রয়োজন। সরকারের বিশেষ সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ঈশ্বর আমাদের অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন।*

 

“এটা সত্যি”, কার্ল বলল, “বাড়িতে যা হয়েছিল এটা সেই বাস্তবের হালকা একটা অংশ হয়ে একটু বোকা ধরনের মুখরোচক আলগা সত্যির মত আসল ঘটনাকে ঢেকেঢুকে রাখে।”

“এখন দেখো, ওখানে তুমি ‘m’ আর ‘n’ কিভাবে লিখেছ”, এডওয়ার্ড বলল, “ওপরের দিকটা সূচালো, গোল হওয়ার বদলে। ওটা নির্দেশ করে হিংস্রতা এবং শক্তি। নিচের দিকেও একইরকম, গোলের বদলে সূচালো। এটা নির্দেশ করে একটা ব্যাঙ্গাত্মক, জেদি এবং খিটখিটে প্রকৃতি। বুঝলে কি বললাম?”

 

“তুমি যখন বললে, হবে হয়ত”, কার্ল বলল।

“তোমার বড় হাতের অক্ষরগুলো বেশ ছোট। এ থেকে নম্রতা প্রকাশ পায়”, এডওয়ার্ড বলল।

“আমার মা জানলে খুশি হয়ে যেত”, কার্ল বলল।

 

“অন্যদিকে তোমার লেখা ‘y’ এবং ‘g’ দুটি অক্ষরের গোল্লাই অত্যাধিক বড় যা অতিশয়োক্তি এবং দম্ভ প্রকাশ করে।”

“হ্যাঁ, এগুলো সবসময়ই আমার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে”, কার্ল বলল।

 

“তোমার পুরো নাম কি?”, একটা বিল্ডিংয়ের গায়ে হেলান দিয়ে এডওয়ার্ড জিজ্ঞেস করল। তারা দাঁড়িয়ে ছিল ব্রডওয়ে স্ট্রিটের কাছে, ১৪ নম্বর রাস্তায়।

“কার্ল মারিয়া ভন ওয়েবার”, কার্ল জবাব দিলো।

“তুমি কি মাদকাসক্ত?”

“এডওয়ার্ড “, কার্ল বিরক্তস্বরে বলল, “তুমি একটা ফাউল লোক”।

“তুমি কি মুসলিম?”

 

কার্ল তার লম্বা চুলে কিছুক্ষণ হাত বোলাল। তারপর বলল, “তুমি কি গ্যাব্রিয়েল মার্সেলের দ্যা মিস্ট্রি অফ বিয়িং পড়েছিলে? আমার খুব ভালো লেগেছিল বইটা, বেশ ভালোই মনে হচ্ছিল।”

 

“কথা ঘুরিও না কার্ল, উত্তর দাও।” এডওয়ার্ড জোর করল, “সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে নিজেদের ব্যাপারে অসঙ্কোচ আর সততা থাকা প্রয়োজন। বলো, তুমি কি মুসলিম? “

 

“আমার মনে হয় একটা থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে এবং তার জন্য এই মুহূর্তে যা যা করা যায়, সরকার সবই করছে”, কার্ল বলল, “আমি মনে করি প্রশ্নের সবদিকেই বলার মত উত্তর থাকে। এটা কাজ করার পক্ষে ভালো জায়গা নয়, বুঝেছ? সারা সকালে দুজন মাত্র দান করল।”

 

“মানুষ তাদেরই দান করতে পছন্দ করে যারা পরিচ্ছন্ন, তোমাকে বেশ নোংরা লাগে। বললাম বলে আবার কিছু মনে করো না।” এডওয়ার্ড বলল।

 

কার্ল চুলে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “এগুলো কি খুব বেশি বড় লাগছে?”

 

“তোমার কি আমার গায়ের রঙ খুব ভালো মনে হয়? তোমার কি হিংসে হয়?” এডওয়ার্ড বলল।

 

“না”, কার্ল বলল, “হিংসে হয় না।”

“দেখেছ, নিজেকে বড় ভাবা এবং অহংকার, যেমনটা আমি বলেছিলাম।”

“সত্যি কথা বলতে তোমার কোন রসকষ নেই, এডওয়ার্ড। “

 

এডওয়ার্ড এ ব্যাপারে কিছুক্ষণ ভাবল। তারপর বলল, “তাতে কি? আমি তো সাদা চামড়ার লোক।”

“এটা সবার পছন্দের রঙ”, কার্ল বলল, “আমি রঙের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত যদিও। তারচেয়ে চলো, মূল্যবোধ বা অন্যকিছু নিয়ে কথা বলি।”

“কার্ল, আমি বোকা।” এডওয়ার্ড হঠাৎ বলল।

“হ্যাঁ”, কার্ল বলল।

“কিন্তু আমি একজন সাদা চামড়ার বোকা”, এডওয়ার্ড বলল, ” আর সেটাই আমাকে আলাদা করে তোলে।”

 

“তুমি সুন্দর এডওয়ার্ড,” কার্ল বলল, “এটা সত্যি, তোমার চেহারা সুন্দর, তোমার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর।”

 

“আরেহ, তোমার বাচনভঙ্গি বেশ সুন্দর যা দেখলাম”, এডওয়ার্ড হতাশভাবে বলল।

 

“তার কারণ আমি পড়ি”, কার্ল বলল, “তুমি জন হক্সের দ্যা ক্যানিবল পড়েছ? আমার মনে হয় ওটা একটা সেরা বই।”

 

“চুলে একটা কাট দিয়ে ফেলো, কার্ল”, এডওয়ার্ড বলল, “ওই নতুন ইতালিয়ান স্যুটগুলো নিতে পারো আঁটসাঁট কোটওয়ালা। তুমি সমাজের উপরের দিকে উঠতে পারবে জানো, যদি একবার বেশভূষা বদলে ফেলতে পারো।”

“তুমি এত চিন্তা করছ কেন, এডওয়ার্ড? আমার এই অবস্থা তোমাকে এত ভাবাচ্ছে কেন? তুমি আমাকে এড়িয়ে গিয়ে অন্য কারো সাথে কথা বলো না কেন?”

“তুমি আমাকে ভাবাচ্ছ,” এডওয়ার্ড স্বীকার করে। “আমি তোমার ভেতরের বাস্তবতার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করছি সেটাকে জানার জন্য। অদ্ভুত না!?”

“জন হক্সও দ্যা বিটেল লেগসহ আরও কিছু বই লিখেছিলেন যার সবগুলোর নাম আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।” কার্ল বলল, “আমার মনে হয় আমাদের শ্রেষ্ঠ তরুণ আমেরিকান লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম।”

“কার্ল,” এডওয়ার্ড বলল, “তোমার ভেতরের সত্যিটা কি? বলে ফেলো, সোনা।”

“সেটা সম্পূর্ণই আমার নিজের” কার্ল তার জুতোর দিকে তাকিয়ে বলল। জুতোজোড়া দেখতে একজোড়া খয়েরি মরা পাখির মত দেখাচ্ছিল।

“তুমি নিশ্চিত তুমি তোমার স্বাক্ষরের ওপর লেখায় উল্লেখিত ওই দেড় ডলার চুরি করোনি?”

“এডওয়ার্ড, আমি তোমাকে বলেছি আমি চুরি করিনি।” স্যান্ডউইচ বোর্ডটিকে পা দিয়ে উপর-নিচে ধাক্কা দিয়ে কার্ল বলল। “এই চৌদ্দ নাম্বার রাস্তাটা আসলেই অনেক ঠান্ডা। “

“ওটা তোমার কল্পনা, কার্ল” এডওয়ার্ড বলল। “এই রাস্তাটা পাঁচ নাম্বার বা লেক্সের চেয়ে বেশি ঠান্ডা নয়। তোমার এখানে ঠান্ডা লাগা ব্যাপারটার উৎপত্তি বোধহয় আমাদের সমাজের তোমার মত প্রান্তিক অবস্থানের মানুষদের প্রতি অবমাননাকর ব্যবহার থেকে।”

“হতে পারে” কার্ল বলে, তার চেহারায় একটা ভঙ্গি ছিল। ” তুমি জানো, আমি সরকারের কাছে গিয়ে তাদের বললাম আমাকে মেরিন ব্যান্ডে একটা চাকরি দিতে, তারা সেটা দেবে না…”

“তুমি কি বায়ুপ্রবাহের কাজ ভালো জানো? তা তোমার কুড়াল কোথায়?”

“তারা আমাকে তুলা তোলার চাকরিটাও দেবে না। তুমি সেই ব্যাপারে কি বলবে?” কার্ল বলল।

 

“এই যে শেষ বিচার সম্পর্কিত প্রেম, এটা কী ধরনের প্রেম আসলে?” এডওয়ার্ড বলল।

“ওটা পরকালের প্রেম। আমি এককথায় তাই বলি কিছুক্ষেত্রে। জর্ডান নদীর অপর পাশে পাওয়া যায়। ব্যাপারটা কিছু শর্তের ওপর নির্ভর করে যেগুলো…. এটা আসলে এক ধরনের গল্প যা আমরা, কালো মানুষেরা নিজেদের সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বলি”, কার্ল বলল।

“আরে আমিও না!”, এডওয়ার্ড বলে, “কিছুই জানি না, অন্ধকারে ঘেরা পুরো”।

 

“এডওয়ার্ড, তুমি আমায় পছন্দ করো না”, কার্ল বলল।

“আমি তোমাকে পছন্দ করি, কার্ল। তুমি তোমার বইগুলো বেশিরভাগ কোথা থেকে চুরি কর?”, এডওয়ার্ড বলল।

“বেশিরভাগই ড্রাগস্টোর থেকে। আমি ওখান থেকে নিতেই পছন্দ করি কারণ জায়গাগুলো বেশিরভাগ লম্বা এবং ঘিঞ্জি। দোকান সহকারীগুলো প্রেসক্রিপশন কাউন্টারের কাছে থাকতেই পছন্দ করে, দোকানের পেছন দিকটায় আরকি। বইগুলো থাকে দোকানের সামনের দিকে, ঘোরানো যায় এমন শেলফগুলোতে। দুই একটা বই ওখান থেকে তুলে ওভারকোটের পকেটে ভরে ফেলা বেশ সহজ, যদি তুমি একটা ওভারকোট পরে থাকো তাহলে।”

“কিন্তু…”

“হ্যাঁ”, কার্ল বলল, “আমি জানি তুমি কি ভাবছ। যদি আমি বই চুরি করতে পারি, আমি অন্য জিনিসও চুরি করতে পারি। কিন্তু বই চুরি করা টাকা চুরির থেকে ‘রূপক অর্থে’ আলাদা। ভিলনের এই ব্যাপারে ভালো কিছু মতামত আছে বলে আমার বিশ্বাস।”

 

“সেটা কি ‘আমি যদি রাজা হতাম’ বইয়ের মধ্যে?”

“তাছাড়া, তুমি কি কখনো কিচ্ছু চুরি করোনি? তোমার জীবনের কোনো পর্যায়ে?” কার্ল যোগ করে।

“আমার আর জীবন”, এডওয়ার্ড বলে, “তুমি আমাকে এই ব্যাপারটা মনে করাও কেন?”

“এডওয়ার্ড! তুমি তোমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নও? আমি ভাবতাম সাদা মানুষের জীবন অনেক সুন্দর হয়!” কার্ল বিস্মিতভাবে বলল, “আমি ‘সুন্দর’ শব্দটি ভালোবাসি, শব্দটি শুনলে খুশি হই।”

“শোনো কার্ল, তুমি নিজের হাতের লেখা সুন্দর করার ব্যাপারে মনোযোগী হও না কেন?” এডওয়ার্ড বলে।

“আমার স্বভাব বোঝাতে চাইছ?” কার্ল বলল।

“না, স্বভাব পরিবর্তনের দরকার নেই। শুধু হাতের লেখা ঠিক করলেই চলবে। বড় হাতের অক্ষরগুলো বড় করে লেখো, y আর g এর বৃত্তগুলো ছোট রাখো ৷শব্দগুলোর মাঝে ফাঁকা রাখো যাতে তোমার মনের বিশৃঙ্খল অবস্থা বোঝা না যায়। আর সাথে মার্জিনের দিকে খেয়াল রেখো”, এডওয়ার্ড বলল।

“বুদ্ধিটা ভালো। কিন্তু সমস্যার ক্ষেত্রে তো এটা একটা ভাসা-ভাসা সমাধান, নয় কি?”

এডওয়ার্ড বলেই চলল, “লাইনের মধ্যকার ফাঁকা জায়গার ব্যাপারে সাবধান। ফাঁকা জায়গা পরিস্কার চিন্তা নির্দেশ করে। লেখার শেষের ব্যাপারে নজর রাখবে। বাইশ ভাবে লেখা শেষ করা যায় এবং প্রত্যেকটি সেই মানুষের ব্যাপারে আলাদা আলাদা ইঙ্গিত দেয়। আমি তোমাকে বইটা ধার দেব। ভালো হাতের লেখা উন্নতির চাবিকাঠি, চাবিকাঠি যদি নাও হয় চাবি তো বটেই। তোমার গোষ্ঠীর মধ্যে তুমিই হয়ত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারো।”

“হ্যাঁ, তার জন্য অবশ্য কষ্ট করা যেতেই পারে।”

“তাহলে বইটা নিয়ে আসব?”

“নাহ থাক, বাদ দাও। এমন নয় যে আমার তোমার ওপর বিশ্বাস নেই। আসলে আমি একটু টয়লেটে যাব। তুমি কি আমার বোর্ডটা একটু ধরবে?”

“হ্যাঁ অবশ্যই”, বলে সাথে সাথেই কার্লের স্যান্ডউইচ বোর্ডটা নিজের কাঁধে তুলে নিল এডওয়ার্ড।

“আহ! এটা বেশ ভারী।”

“হ্যাঁ, তোমাকে একটু সহ্য করতে হবে”, কার্ল একটু হেসে বলল, “আমি ওই ছেলেদের দোকানটা থেকে এখনি আসছি।”

 

কার্ল ফেরত এলে দুজন দুজনকে হাতের উল্টোপাশ দিয়ে সপাটে চড় মারল, সেই অংশ দিয়ে যেখানে হাতের গিঁটগুলো থাকে।


দিলশাদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৯৯ সালের ২৭ এপ্রিল, বরিশালে। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেছেন বরিশালেই। বর্তমানে পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগে, সম্মান তৃতীয় বর্ষে। বাংলা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই কিন্তু বিশ্বসাহিত্যের চাবিকাঠির সন্ধান পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়। কাজ করছেন অণুগল্প, ছোটগল্প এবং অনুবাদ নিয়ে। লেখালেখি নিয়েই ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা। 

শেয়ার