চির উন্নত মম শির | জুলুমের শাসনবিরোধী কবিতা

কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন ‘আর্ট ফর আর্ট সেইক’ ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে ওঠে; আর্টকে তখন শোষণ-নিপীড়নের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হয়; কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীর কাছ থেকে গণমানুষ তাদের যন্ত্রণার কথা, চাপা কান্নার কথা শুনতে চায়; বুকের ভেতরে জমাট বাধা দলা-দলা কথাগুলি পড়তে চায়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সেই অবস্থা চলছে বহু বছর। গণপ্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ যেন প্রজা হয়ে আছে, কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরাধীন জীবন যাপন করছে। অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, দেশে জুলুমের শাসনব্যবস্থা, ভোটাধিকার ও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার না থাকা আর সীমাহীন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্নীতি চলমান থাকলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ কবি-সাহিত্যিক হয় পাথরের মত চুপ নাহয় ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে কাজ করছেন। এদের বাইরে সোজা মেরুদণ্ড নিয়ে, সকল ভয়-শঙ্কা, চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে অনেক কবিই গণমানুষের পক্ষে কলম ধরছেন, কথা বলে যাচ্ছেন। সময়ের অকুতোভয় কুড়িজন কবি’র বাইশটি কবিতা নিয়ে জুলুমের শাসনবিরোধী কবিতার এই আয়োজন। কবিতা হয়ত মানুষকে মুক্তি দেবে না, সাহসের বাণী নিয়ে পাশে রবে নিশ্চয়। আমাদের এই প্রচেষ্টা গণমানুষের অধিকারের পক্ষে থাকা সকল মানুষকে উৎসর্গ করা হলো।

বিঃদ্রঃ এই আয়োজনের কবিদের মধ্যে ক’জনের নিজস্ব বানানরীতি আছে। তাদের বানানরীতি অপরিবর্তিত রেখে কবিতাগুলি প্রকাশ করা হলো।

— রুহুল মাহফুজ জয়

সম্পাদক, শিরিষের ডালপালা

ফরহাদ মজহার

আ গা মি কা ল কি বৃ ষ্টি হ বে?

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে দেশ
আগামি কাল মে মাসের পাঁচ তারিখ

কাফন সাদা শাপলা-কুসুম,
আগামি কাল কি বৃষ্টি হবে?

আমি খুঁজছি সেই পাক্কা অভিনেতাদের
মাথায় টুপি, হাতে তসবি আর চিড়াগুড়ের পুঁটুলি
প্রধান মন্ত্রীর স্বরচিত নাটকে অভিনয়ের জন্য যারা
         রঙ মেখে শুয়ে ছিল গতবছর
               শাপলা চত্বরে।

বুট, বন্দুক ও সাঁজোয়া যানে ভারি মধ্যরাত্রির পালা
র‌্যাব, পুলিশ বিজিবির গুলি,
       বুলেট
               সাউন্ড গ্রেনেড এবং যৌথ অভিযান।

স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী মৃতের অভিনয়ে শুয়ে পড়লো সবাই
         অতঃপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর
                     কোমল করস্পর্শে
                                দৌড়ে পালালো নিখুঁত ভাবে
                                           প্রধানমন্ত্রীর পাণ্ডুলিপি মেনে
 অক্ষরে অক্ষরে।


আহ্‌, শহর মুক্ত

পড়ে থাকলো
       ছেঁড়া টুপি,
                তসবিহ
                        কাপড়ে বাঁধা
                                      চিড়াগুড়ের পুঁটুলি।


কিন্তু কোথায় কোথায়?
কোথায় সেই সকল অভিনেতা
             যাদের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল
                         হলুদ লাল টেলিভিশান?
                                  সাদাকালো পত্রিকা
                                                 রঙ বেরঙের ওয়েব পোর্টাল?

আর, কোথায় তোমরা সেইসব প্রতিভাবান বালক
পাক্কা একবছর তোমাদের খুঁজছি।
        খুঁজতে থাকব
                আজ
                         কাল
                                 পরশু
                                          এবং আবার
আজ কাল এবং
            পরশু।


বাংলাদেশ তোমাদের খুঁজছে
শীতলক্ষ্যায় ধলেশ্বরীতে
                   নদীর তলদেশে, সমুদ্রে ও গোরস্থানে
                               মিউনিসিপ্যালিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে।


কসম কবিতার
       কাল যদি বৃষ্টি হয়
               তবে সেটা হবে রক্তে ভেজা তসবিদানার
                         ঝরে পড়বে টুপি
                                  চিড়াগুড়ের পুঁটুলি …।

এবং কবিদের জন্য সাক্ষী হিশাবে
            একটি গুলিবিদ্ধ কোরান শরিফ।

মাবুদ! আমরা এমন এক জাহেলিয়া যুগে বাস করি
চতুর্দিকে শুধু ব্লাড ব্যাংকের ব্যবসা
কিন্তু কেউই রক্তের দাম শোধ করতে চায় না

ঋণ জমেছে বিস্তর।
        জমাট বেঁধে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিন
                  ইতিহাসের চিলেকোঠায়
কিন্তু প্রতিটি রক্তমাখা তসবিদানার
                           দাম শোধ দিতে হবে।

এই বছর
           কিম্বা আগামী বছর
                         কিম্বা তার পরের বছর
                                     কিম্বা তারও পরের বছর…

শাপলা-কুসুম,
         আগামি কাল কি বৃষ্টি হবে
                    শ হি দে র চ ত্ব রে?


কামরুজ্জামান কামু

রণরক্তমাতম

এ কি সন্ধ্যাতারা নাকি বাংলাদেশের বুকে যুদ্ধবিমান
ধেয়ে নামছে আকাশ তবু সঙ্গতিহীন হাহা হাসছে কেন
খাটো কালচে মানুষ? দিকশুন্যবুকের নিচে অন্ধপাথর
ফেটে চূর্ণ হয়ে দূরে ছিটকে পড়ে। রণরক্তমাতম!

কামে জর্জরিতের বুকে বীর্যপতনধ্বনি আছড়ে পড়ার
মত শব্দ হলো এই দীনদুনিয়ার মধুচন্দ্রিমাতে।
যেন ক্ষিপ্ত ঘোড়ার ক্ষুরে অশ্বারোহীর নাভিচিহ্ন ছিঁড়ে
দূরে ছিটকেপড়া কোনো রক্তজবা নাকি সন্ধ্যাতারা?

নাকি বাংলাদেশের বুকে যুদ্ধবিমান এসে হামলা করে?
নাকি শেলক্ষেপনের ধোঁয়াধ্বস্ত হৃদয় ফাটে আর্তনাদে?
নাকি বংশপরম্পরাছিন্ন মাতাল হাসে মধ্যরাতের
ঘন অন্ধকারের দিনে সন্ততিদের কথা চিন্তা করে?

ভুলে জাপটে ধরেই দূরে ছিটকে পড়ি। গাইবান্ধা থেকে
এই পাংশু সিটির বুকে মাংস কাটার মত ঐতিহাসিক
ঘোড়া দাবড়ে বেড়াই। কোনো চঞ্চলতার মদে মাতোয়ারা খুন
রগে রক্তমশাল হয়ে উঠছে জ্বলে। লোহা চাটছে আগুন।

লোহা তপ্ত করার কাজে ব্যাপ্ত কামারশালা গনগনে লাল
জাগো সন্দেহাতীতভাবে সর্বহারার বুকে ঢাল-তরোয়াল
রণরক্তমাতম! এই বাংলাদেশের বুকে যুদ্ধবিমান
আমি তৈরি করি। আমি বিশ্বজিতের বুকে রামদা কোপাই!


ইমরুল হাসান

শাহবাগের ছড়া

পুলিশ আমার ভাশুর লাগে
বাকশাল আমার বাপ
প্যার্টিয়ার্কির পুটকি চাটি
আমরা শাহবাগ!

**

প্রেমের কবিতা

আমি অসহায় পাবলিক হয়া
তোমার বুকের প’রে শুইয়া থাকবো,

তুমি শেখ হাসিনার মতন
আমার মাথায় হাত বুলায়া দিবা, বলবা:

“তোমার চিন্তায় আমার ঘুম আসে না!
আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পইড়া
তোমার লাগি দোয়া করি তো…”



আহমেদ স্বপন মাহমুদ

হাহাকার

হাহাকার শুয়ে আছে বিস্তীর্ণ জমিনে।
হাহাকার উড়ছে বাতাসে।
পাহাড়ের উচ্চতা হাহাকার করছে
গাছের পাতায় নাচছে হাহাকার।

নদী ও সমুদ্রের ঢেউয়ে বুদ্বুদ হয়ে ফুটছে হাহাকার।
শিশুর মুখে, তরুণের চুলের ডগায়, নারীর বুকে
খেলছে হাহাকার।

তোমার মুখের হাসিও হাহাকারে নির্বিকার।

হা হা করে হাসছে তিমিমাছের হাহাকার।
একদল দানব— কবি ও দালাল, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী
লুটেপুটে খাচ্ছে মানুষের রক্ত ও রাষ্ট্রীয় পুঁজ।

আর স্বাধীনতার গায়ে ধূলাবালি জমে
স্বৈরচেতনার হাহাকার হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে
পতাকায়।


রক মনু

শর্টফিলিম

দুধ দোয়াইতে একটু পিছলা হইতে হয় ওলান;
তাই বাছুরের মুখের ছ্যাপে
মানুশেরা পানাইয়া লয় গরুর ওলান।
ব্যাপারটা একটু নিঠুরিয়া,
কয় মাশের একটা বাছুরের
মুখ শরাইয়া দিতে হইতেছে
তারই মায়ের ওলান থিকা!
তবু গরুর দুধ দরকার মানুশের,
তাই ওলানের নিচে একটা বালতি থুইয়া
দুধ দোয়ায় মানুশ,
নারাজ বাছুর বাইন্ধা।
এমনই এক বালতি লইয়া
ইংরাজি জানা একদল বাংলাদেশি,
একটা বাছুর লইয়া জাইতেছে
একটা বলদা গরুর কাছে;
তারপর বাছুরেরে কয়,
এর ওলান পানাইয়া দে।
বাছুরটা খাড়াইয়া থাকে,
বহুত কোস্তাকুস্তি করবার পরেও
বলদা গরুর ওলান পানাইয়া দিলো না
বেয়াদব বাছুর!
নাখোশ মানুশেরা কইলো,
‘জাউগ্গা’, নারকেল তেল লইয়া আয় কেউ!
তারপর নিজেরাই পিছলা করতে গেল
বলদা গরুর ওলান;
বলদাটাও এমনই জাউরা,
কই জে লুকাইয়া রাখছে ওলান!
ইংরাজি জানা বাংলাদেশিরা আবারো কইলো,
‘জাউগ্গা’, মেজাজ হারাইলো না এইবারো;
তারপর বালতি ভইরা দুধ দোয়াইলো
বলদা গরুটার; খুবই মেহনতি কাম—
পানাইতে না পারা, ওলান ছাড়া একটা বলদা গরুর থিকা
এক বালতি দুধ বাইর করতে
খুবই বিজ্ঞানমনস্ক হইতে হয়,
কিছু ইংরাজিও লাগার কথা!
আজকে ওনাদের দুধ দরকার,
গরুর দুধে তাকত আছে বেশুমার।
কয়েক টুকরা শামুকের গোস্ত খাইয়া
মস্ত তাকতে
জেমন পানিতে ভাইশা থাকে হাশের ছানা,
রিদয়ের বেদম কশরতে
আজকে ঠিক তেমনই
বলদা গরুর দুধের তাকতে
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়াইয়া দিতে হবে
রঠার খুব শবুজ একটা গান—
হুল ভাংগা একটা ভিমরুলের মতো ভয়াল একটা গান!
আজকে ওনারা জেন
ছায়ানট থিকা কায়ানট হইয়া উঠতে পারেন
বলদের দুধের ফজিলতে আর
পানাইয়া দেবার খেদমত থিকা
রেহাই পাওয়া বাছুরের দোয়ায়…
আজকে একটা হুলাহুলি আছে,
কয়েকটা ব্যানার লইয়া
আজকে একটা মানববন্ধনে জাইবেন ওনারা,
আজকে ওনারা খুব খেইপা আছেন,
আজকে ওনারা আদায় কইরা ছাড়বেন,
তুমুল আবদারে;
হাতে হাতে থাকবে
লাল লাল হরফে লেখা ব্যানার—
জাস্টিস দে বাকশাল
নাইলে কিন্তু কাইন্দা দেবেন
আমাদের ডেপুটি এডিটর
আনিসুল হক বুয়েটিয়ান!



ফারুক ওয়াসিফ

রাষ্ট্র

মানুষ ঘুমিয়ে গেলে
জেগে ওঠে লাশ
মুছে যায় ঘাস
শয়নের ভাঁজ
কথাকলি জল
জড়াজড়ি হাত
বিধিরেখা সেতু
চেপে ধরে স্নায়ু
অপেক্ষারা থম
থরথর বট;
দাউদাউ রাতে
ফেরেনি তো কেউ।
বুক থেকে শ্বাস
শিশুর সুবাস
শুষে চেটে সারা
বিশ্বাসী বাতাস।
বোবা ধরা দিনে
নদী হয়ে মাতা
হাহাকার ভরা
বাঁকে আর বাঁকে
টেনে নিচ্ছে দীর্ঘ
শবের কাফেলা।

মানুষের মৃত্যু হলে জেগে ওঠে লাশ
নিজেরাই বের করে খাটিয়া মিছিল
পবিত্র চাদরে তারা বয়ে নিয়ে যায়
দুর্বহ পাপে গড়া সোনার আসন
তারা বয়ে চলে রাষ্ট্র হাড়ের মসনদ
তারা বয়ে চলে রাষ্ট্র; প্রিয় শবাধার
                                 —সর্বজনীন কফিন।

**

কুরুক্ষেত্রে মুখোমুখি

যখন কোথাও তুমি ফেলছ কারো লাশ
তখনই তারা উঠে বসে বুকের ভেতর,
সেইমাত্র বহুগুণ বেড়ে হই ক্রোধের পাথর
সেইমাত্র অগণিত জেগে ওঠে মানব শরীর।
যমঘোড়া কতদিকে ছোটাবে এখন
শুনেছি যখন মনে আয়ুর আজান?

নিজ দেশে নির্বাসিত আমরা কিছু লোক
এক চোখ জ্বালা ক’রে অন্য চোখে শোক
কথা বুজে আসে রক্তে, শ্বাসে চাপা দম
হত্যার লটারি আজ তুললো কার নাম?



হাসান রোবায়েত

বাকশালের হিংসার মতো বৃষ্টি পড়তেছে

বৃষ্টি পড়তেছে—শহরে নতুন আসা হাবা লোকটার মতো—বৃষ্টি একাই ঝরতেছে নীলক্ষেত মোড়ের ওই নির্জন শিমুল গাছটার হাওয়ায়—বাজসহ বৃষ্টিপাতের যে সম্ভাবনা খবরে প্রচারিত হয়েছিল গতকাল সেসব প্রকাশ্য সম্ভাবনা ছাড়াই বৃষ্টি পড়তেছে আজিমপুরে, লিমিটেড ছয়ের এই সরু রাস্তা জুড়ে—বৃষ্টি আসতেছে শহরে যেভাবে লাইন ধরে ঢুকে পড়ে ফকিরের দল—তুমি বললা, ‘আকাশ ব্যথিত আজ’—অথচ মেঘদূতমের কোনো ছিটাফোটাও নাই এই প্রকাণ্ড বর্ষার দিনে, এই বাকশাল শাসিত দেশে—কেন যে বৃষ্টিকে রাবীন্দ্রিক লাগে তোমার—বরং সহজেই বলতে পারতা, ‘বাকশালের হিংসার মতো চারদিকে বৃষ্টি পড়ছে’—কোথাও লাশ গুম হচ্ছে ধলেশ্বরীতে, পদ্মায়—সেভেন মাডার্সের মতো বৃষ্টি পড়ছে সারা শহরে—


রুহুল মাহফুজ জয়

নোংরা নোংরা বাতাস বহিছে ভবে

কান্নার বেপারি ওহে! তোমার বোতলে ভরে নাও
সমুদ্রের সেই বউ, মৃত্যুর ধীবর
আর যত আছে বিষাদের পারাপার।
নীল সমুদ্রকে লাল দেখা চোখ দু’টি তুমি দিয়ো
নাকো অন্ধ কোরে আর।

কত-শত ইলিয়াস
ফেলে দিলে অন্ধকারে, কূপে—
তারা ফিরে নাই অশ্রুবিভোর দেশের ফ্যাসিবাদে।
অথচ জ্যোতিকাবনে
ঠাট্টার অধিক খাট নড়ে, ন’তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে
সুবিনয় মাছি আলুথালু ত্বকে পেয়ারার ঘ্রাণ
শুকাবার চিহ্ন রাখে।
কোমরের বাঁকে বিছা নাভির পাহারাদার হোয়ে
আছে যেন সান্ধ্যঘুমে—
নীলাভ গোধূলি নেমে এসেছে দৈবিক স্তব্ধতায়।

রক্তিম দৃশ্যের জন্মে
ফের লাজ খুলে যাবে। অসতর্ক আলোর সঙ্গীত
তুমি শুনতে পাবে অই হারানো চোখের মর্মরিত
আঙিনায়— দৃশ্য থেকে দৃশ্য বদলে নেবে সদাগর—
বাণিজ্যের এই রীতি
শায়ার আগল থেকে শাড়ি খুলে নেবার ভঙ্গিমা—
জগতের চারিপাশে পোশাকীয় সেই কু-কৌতুক
ন্যাংটারূপে তালি দিচ্ছে।

অথচ বাণিজ্য শেষে
আমাদের কান্নাগুলি নুনের প্রতিমা হোয়ে আছে।


মোহাম্মদ রোমেল

গুলি কর ! শূয়রের বাচ্চা পাগলের মত গুলি কর !

আমি মানুষ ! আমার মান আছে ! লজ্জা আছে ! বিবেক এখনো মরেনি !
মানুষ নিয়ে পুতুল খেলার সামাজিক অধর্ম শৈশবে বুঝে গেছি !
আমাদের মত আগামীর শিশুরাও সব বুঝে গেছে !
সারা শরিলে খাদ্য বিষের লগে আর আর কত কি তুমি ঢুকিয়ে দিচ্ছ
রোজনামচায় সব লেখা হয়ে আছে !
প্রতিদিন নাগিনী সাপের বিষধর ছোবল হয়ে তোমার হাকডাক আমাকে বিষাক্ত করে ফেলেছে ।
এমন বিষাক্ত শরিল নিয়েও আমি কিচ্ছু বলি না; মাঝে মাঝে বিষের যন্ত্রণায় কেঁদে কেঁদে উঠি !
বিবেক নাই বুঝেও আমি তোমার কাছেই ফরিয়াদ করি; একটু যদি তোমার দয়া হয় !
সকলের মত আমিও বুঝে গেছি আসলে তুমি “জল্লাদ”সম তোমার খায়েশের দাস !
দাওয়া নয়, দয়া নয়; সব কিছু চাপা দিতে জল্লাদ তুমি পাগলের মত গুলি চালাও ।
গুলির আঘাতে শত শত শরিল ছিঁড়ে রক্তের নহর ছুটে সারা বাংলা ভিজে গেছে !
এত পিপাসা তোমার ! রক্তে তোমার এত প্রেম !
৭১’র হানাদারের মত বিজাতি-বেদেশি মন নিয়া, তুমি ১৬ কোটি লোকের লগে যুদ্ধে
নামতে চাওয়ার মত করে; নিজের মনে-মতে আইন বানাও-মান-বদলাও !

লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্র কি পুতুল খেলার জিনিস ?
ক্ষমতা পাগল একলা স্বার্থের আইন আদালত ! আহা আদালত ! কোটি জনতার লগে তুমিও তোমার প্রতিপক্ষ !
শহিদের রক্তে জন্ম নেয়া মেয়েটি আজ আবার শহিদ হইছে কালিহাতীতে !
লক্ষ মুক্তিযুদ্ধার চোখের পানি-আহাজারিতে সারাবাংলা কেপে উঠছে !
শান সৈকত, লুটপাট এবং অবৈধ ক্ষমতার পাটাতন বিস্তারের বাসনায় উন্মাদ তুমি ইহকাল-পরকাল ভুলে আছ !
উন্মাদ তুমি তিলে তিলে মারছ আমাকে; নাই করে দেয়া দেশের মত !
যেই দেশে-দেশ নাই; সেই দেশে ত তুমিও নাই উন্মাদ !
নাই দেশের প্রজাতন্ত্রে তোমার গুম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়, তোমাকে বাঁচাব বলে আমি রাস্তায় নামব !
মা কালীর দিব্যি,
নাই দেশের রানী তুমি রাজ্য উদ্ধারে নিজেকে ভ্যাট দিয়ে, জনতার সাথে রাস্তায় নামো !
অপারেশন থিয়েটারে আমাকে হত্যা করতে পিস্তল-ছুরি হাতে তোমার লেলিয়ে দেয়া খুনিদের প্রত্যাহার কর প্লিজ !
দেখ আমাকে বাঁচাবে বলে রাস্তায় লক্ষ প্লাকার্ড হাতে, জনতা তোমার লেলিয়ে দেয়া গুণ্ডাদের ঘেরাও করে রেখেছে !
রাস্তায় নাম ! পাগল রাস্তায় নাম !
লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার জন্য জনতার সাথে রাস্তায় নাম !
খোদার কসম
বেদখল হয়ে যাওয়া জনতার ক্ষমতা, না দখল করে কেউ ফিরছে না !

আমার শরিল প্রতিরোধের দেয়াল বানিয়ে সারা বাংলায় বিছিয়ে দিলাম !

গুলি কর ! রাজাকারের বাচ্চার মত গুলি কর !
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায়,
পদ্মা-মেঘনা-যমুনায়
কোটি কোটি শরিল
প্রতিরোধের বুলেট হয়ে
আজ মাঠে নামবে
এক শরিল হয়ে !
গুলি কর ! শূয়রের বাচ্চার মত গুলি কর উন্মাদ !


শামশাম তাজিল

মৃত্যুঋণ

জেনেছি অনেক কিছু? জানা তাও বাকি;
ক্ষমতা দখল করে ইতিহাস ঢাকি।
আরও যদি জেনে যাও পাখিহীন ডানা,
চুপ চুপ একদম, কথা বলা মানা।
ঢেকে রেখে খুন আর রক্তের স্মৃতি,
অঙ্ক মেলানো যেন রবীন্দ্রগীতি।
সবকিছু লেখা আছে ছন্দের মাপে,
বাঘের রাজ্যে তাই হরিণীরা কাঁপে।
বাকশালি ধান বুনে দিয়েছে খেতে,
আরও আরও জমি দাও জমিদার পেতে।
দিনে ঘটে কতকিছু, রাতে পুরোপুরি
ভুলে যাই, ভুলচুক দ্বিধা-সঞ্চারী।
ভুলে গিয়ে ভালো থাকি, চুমুতে মাতাল—
যৌবন ক্ষয়ে গেলো এমনি কপাল!
কামে নজর ছিলো, তারও বেশি রাতে
পাজরের হাড় কাটে ফ্যাসিস্ট করাতে।
আওয়ামীলীগের দেশে জন্মের ঋণ,
মৃত্যুতে শোধ করি সদা প্রতিদিন।


আবু তাহের তারেক

আপনার বাংলাত আমি জামাত শিবির

ছাগল দাঁড়ি
বকরি টুব্বি
ঘাস খাই না
ঘাসর তলাত
থাকি দেশর তলাত


বায়েজিদ বোস্তামী

বিকল্প নাই

তখতে আসীন ফিরাউনেরে
দেও দরাজ হায়াত, খোদা!

তারে তখতে দেখিই মরতে চাই আমরা
মানে, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা তো বটেই, এই
দলে আছি যারা যুবক ও যুবতী তারাও

জানি একই চাওয়া চাইবে
আমাদের পুত্রকন্যারা
এবং তাদের পুত্রকন্যারাও

(হেই ডিয়ার, খোদা
সব থাকি ভালো হইতো
যদি তারে দিতা অমরতা
তুমি তো সব পারো
এটাও পারবা, পারবা না?)

যদি এ দোয়া কবুল না করো
যদি সে মরে সবার মতো
সত্তুরেই, সাততাড়াতাড়ি
ভাবছো হাল ছাড়বো!
কভভি ছাড়বো না!

তারে মমি বানায়ে
বসায়ে রাখবো তবু তখতেই!

সে ছাড়া আর কে আছে আমাদের?

বিকল্প নাই
বিকল্প নাই
বিকল্প নাই

আমরা চোদ্দো দ্যাড়ে একুশ গুষ্টি
মরতে রাজি ফিরাউনের শাসনেই



সৈকত আমীন

ফ্যাসিবাদ

শীতের রাতে ওরা আপনার
পোশাক ছিনিয়ে নিয়ে বলবে—
সুখী মানুষের জামা থাকতে নেই।

মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে বলবে—
ক্ষুধা’ই পরম সত্য।
বাস্তুহারা করার পর ফতোয়া জারি করবে—
সন্ন্যাসের নাম’ই প্রকৃত জীবন
আর সকল সুখ কেড়ে নিয়ে বলবে—
জগতে দুঃখ’ই চিরন্তন।

এভাবে সব কিছু হারাবার পর
আপনার থেকে যাবে কেবলই আপনার ভাষা,
যা দিয়ে যায়না করা চিৎকার ছাড়া আর কিছুই।

মানে চিৎকার করাই এখানে
নির্মম নিয়তির শেষ আশ্রম।

সুতরাং চিৎকার করুন
সব কিছু হারাবার আগেই।

যেহেতু ফাঁকা রাস্তায় একা চিৎকারে
নিজের প্রতিধ্বনি ছাড়া
ফিরে আসবে না আর কিছুই।


লাবিব ওয়াহিদ

আমরা তোমাদের দিকে আসবো

ধনুক থেকে ছুইড়া দেয়া তীরের মতো
আমরা তোমাদের দিকে ছুইটা আসবো

তোমাদের মাথার উপরের আকাশ
আবাবিল পাখির মতো ঢাইকা ফেলবো

তোমরা অন্ধের মতো হাত পা ছুড়তে ছুড়তে
খুঁজতে থাকবা সূর্যের আলো, চান্দের আভা

তোমাদের নিঃশ্বাসের বাতাসকেও
আমরা দখল কইরা নিবো

কোটি কোটি পঙ্গপালের মতো
আমরা আসবো

দশদিক দিয়া তোমাদের
ঘিরা ফেলবো আমরা

আমাদের দাঁতের ঘায়ে
তোমাদের চোখ তুইলা নিবো

তোমাদের পায়ের তল থেকে মাটি
সরাইয়া দিবো আমরা

তোমাদের সিংহাসন উল্টাইয়া দিতে
আমরা আসবো

আমরা বানের পানির মতো ছড়াইয়া যাবো
রাস্তা থেকে রাস্তায়, গ্রাম থেকে শহরে,
বানের পানিতে আমরা তোমাদের
ডুবাইয়া মারবো

তোমরা অন্ধ হইয়া যাবা
তোমরা বয়রা হইয়া যাবা

তোমাদের দুই ঠ্যাং কাঁপবে থরথর করে
পালাইতেও পারবা না তোমরা

আমাদের সামনে তোমরা
ল্যাংড়া হইয়া যাবা

তোমাদেরকে পাড়াইয়া যাইতে
আমরা আসবো

আর যখন আমরা চইলা যাবো,
চিবাইয়া ফালায়ে দেয়া ঘাসের মতো
তোমরা রাস্তায় পইড়া থাকবা

তোমাদের দেমাগী যত হুংকার আছে
বাংলাদেশের ধুলাবালির তলে তাদের কবর হবে ,
চিরতরে হারাইয়া যাবে তোমাদের নাম নিশানা

ধনুক থেকে ছুইড়া দেয়া তীরের মতো
আমরা তোমাদের দিকে আসবো



হাসান জামিল

গুম হবার আগে

যদি নাই ফিরি আর ঘরে
টেবিলে ছড়ানো কাগজ
টুকটাক বই
গোপন কিছু দেরাজ খুলে পাবে
তার ছবি, একটা কোথাও

কতিপয় কাজ
কবিতা লেখা খাতা
গোপন সংসারের মৌলিক দ্রব্যাদি
কয়েকটা জমানো পোস্টার-লিফলেট

যদি আর নাই ফিরি
দুইটা কাপড়
তাতে লেগে থাকা ঘাম
টুপিতে ডিএনএর শেষ চিহ্ন
একটা কি দুইটা চুল!

‘কমরেড আমাদের দলের…’
‘হারামজাদাটা হাড়ে হাড়ে বজ্জাত…’
‘আমরা তো শুধু লাশটা চাই…’
‘প্রেমে ব্যর্থ ছিল বোধ হয়…’

যদি আর নাই ফিরি ঘরে
আম্মা….
আব্বা…

তারে বলি, তুমি সামলে নিয়ো
যদি নাই ফিরি আর!


মাসিয়াত জাহিন

আমার শহর

শান্তিতে ঘুমাবে আব্বা, একটা কুকুর কাঁদবে, শান্তিতে ঘুমাবে পোলাটা, ছাত্র, মাস্টার, ব্যাংকার, একটা বেজি দৌড়ায় যাবে, একটা ইন্দুর আটকাবে ট্র‍্যাপে, টাশ! শান্তিতে ঘুমাবে বাবু, বেবি, ঘুমাবে আম্মু, মাম্মা, ব্যবসায়ী, বিজনেসওম্যান। মডেল, র‍্যাব, পার্সিয়ান ক্যাট। একটা কুত্তা কানবে, কানবে। শান্তিতে ঘুমাবা তুমি, ছাত্র, মাস্টার, মন্ত্রী। প্রফেসর।

একটা কুত্তা কানবে। আমি স্বপ্নে বলব ঘেউ ঘেউ ঘেউ। বাপ আমারে বাসা থেকে বাইর করে দিবে?

সকলের মৃত্যুর পর সকলে এখানে শান্তিতে ঘুমাবে।


বিপ্লব রায়

অতিরিক্ত

একজন অতিরিক্ত সচিব এক রিপোর্টারের গলা চেপে ধরেছেন।

এ বড় সামান্য বিষয়— নিতান্ত জঞ্জাল
লকডাউনে বেকার জনগণ সেটাকে করেছে ভাইরাল।

ভাইরাস অথবা ভাইরাল।
পত্রিকার পাতা ভরাতে কেন এত ছাইপাশ?

পাশ ও ফেল।
একজন অতিরিক্ত জেলার সিটি মেরে খোলেন সেন্ট্রাল জেল
আর জেলের ভিতর কয়েদি নাচায় বাইজী।

এ বিষয়ে কথা বলতে পারতেন একজন অতিরিক্ত আইজি,
একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার—

এইসব বিশাল ব্যাপার দেখে-শুনে, ছুঁয়ে-ছেনে, চেপে-পুটে
অতিরিক্ত দায়রা জজ ঠিকঠাক রায় দিলেন:

সঠিক অথবা বেঠিক— সব কথাই বলা বারণ
কেননা, একটি অতিরিক্ত দেশের অতিরিক্ত জনগণই
সব সমস্যার কারণ।


শেখ সাদ্দাম হোসেন

আজান দিয়া নাইমা পড়ো

আজান দিয়া নাইমা পড়ো ভাই ও বোনেরা
জমায়েতের ডাক দাও ঢাকায়
গলা ছাইড়া গণতন্ত্রের গান গাও
অলি-গলি ভইরা দাঁড়ায়া যাও জামাতে
যেন নামাজে দাঁড়াইছ
কপালে অস্ত্র ঠেকাইলেও হাতের বাঁধন ছাড়বা না
ঈমান ঠিক না থাকলে
আত্মসচেতনতা ও আত্মমর্যাদা না থাকলে
সে বাঁইচা থাকার কোন গুরুত্ব নাই
গুরুত্বহীন বাঁচা বাঁচা জাইতে পারে অবশ্য
কিন্তু তাদের লগে আমার কথা নাই।

আসো বিপ্লবী ভাইয়েরা ও বইনেরা আমার
তোমরা যে যেখানে ছড়ায়া ছিটায়া আছো
এক হও, লড়াই করো
আসো ঢাকা ঘেরাও করো
নো ভায়োলেন্স
নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর মতো কেবল দাড়াও
আর পড়
তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবিউঁ ওয়া তাব্বা
মা আগনা ‘আনহু মা-লুহূ ওয়া মা কাসাব।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যেও না
ঘরে অজগর সাপ শুয়ে আছে
দাবি আদায় না করে ফিরে গেলে
তোমার সন্তানদের গিলে খেয়ে ফেলবে
ওপরওয়ালার নামে নাইমা পড় রাজপথে
সকল ফেরাউনই নীল নদে ডুইবা মরে
জালেমদের খোদা ডুবায়ে মারেন
যুগে যুগে
আর তোমাদের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন
নিশ্চয়ই তোমাদের মাঝেই রয়েছে কল্যাণ।


ইরফানুর রহমান রাফিন

তলোয়ারের সাথে গর্দানের কোন সংলাপ হয় না।”

(উদ্ধৃত অংশটি ফিলিস্তিনের কবি শহিদ হাসান ঘানাপানি’র লেখা)

একদিন আমাদের মানুষেরাও
দা বটি হাতে দেশি সেটেলার কলোনিগুলায় ঢুকবে
যাদের বেহেশত অন্যের জমি কেড়ে নিয়ে বানানো।
অন্যের মুখ থেকে যারা হাসি কেড়ে নিয়েছে
জল, জমি, জঙ্গল সব দুনিয়াবি জাহান্নাম বানিয়েছে
তারা শান্তি চাইবে
তারা অগ্নিবৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতেই সংলাপে বসতে বলবে

ওদের জানিয়ে দাও:

“তলোয়ারের সাথে গর্দানের কোন সংলাপ হয় না।”



কাজী শোয়েব শাবাব

ট্র‍্যাজিক হিরো

তথ্য তথ্য
কোনটা মিথ্যা, কোনটা সত্য
কেউ জানে না, সেও জানে না
যার আয়ত্তে সব উপাত্ত।
পিডিয়া, মিডিয়া খুঁজে হয়রান
গুজবের আছে ইয়া বড় মুখ
লম্বা দু’কান।
মধ্যবিত্ত কষ্টে পিষ্ট
দিশাহারা গোটা সুশীল সমাজ
কোকিল সমাজ।
হতাশার ঘা লুকায় বেকার
চাকরিজীবীর বিষণ্নতা
ব্যাবসাদারের ক্ষতিক্ষত মুখ
লেখকের হাহাকার…

না খেয়েও তো যায়-যায় দিন
দিনশেষে বাড়ে মাথাপিছু ঋণ।
জয় জয় গুরু তথ্যসূত্র!
বালিতে কত যে ঢেলেছি মূত্র
কী লাভ ওসব হিসাব কষে
যা কিছু হারায় ভাগ্যদোষে
পদ্মা নদীর কিনারে বসে
হা-হুতাশ বারোমাস

মুণ্ডুভর্তি তত্ত্ব সবার
যন্ত্রণা তুমি পেয়েছ ক’বার, দিয়েছ ক’বার
চিন্তা করলে মানসিক রোগী
মুখ খুলো না ভুক্তভোগী
পশ্চাতে বাঁশ, শ্রীঘর আবাস
প্রাণ সংশয়, গলা কাটা লাশ
মুখস্থ করো, মুখস্থ করো
অন্তর্জালে ঘুরঘুর করো
মরো আর বাঁচো, বাঁচো আর মরো
ট্র‍্যাজিক হিরো, ট্র‍্যাজিক হিরো…


চির উন্নত মম শির | সময়ের সাহসী পংক্তিমালা

শেয়ার