বাসন্তীর প্রতি এত লোক অনুরক্ত কেন? সবাই ওকে চায়। বাসন্তী চায় না, যায় তবু। ওদের সঙ্গে এখানে ওখানে। ফিরে এসে আছলামকে ওয়াকিবহাল করে। গোপন রাখে না কিছু। যদিও আছলামের সাথে কোথাও যায় না সে। যায় না যে কেন! নানান গুণীর কথা বাসন্তী বলে। ডাক্তার, টক-শো হোস্ট, ব্যবসায়ী, প্রফেসর। এত প্রচণ্ড সব পুরুষদের ভিড়ে, বাসন্তীকে প্রায় প্রায় হারিয়ে ফেলে আছলাম। যদিও বাসন্তী বকবক করে, টেলিফোনে। বলে— আপনাকে অন্য সবার মতো ভাবা যায় না তো! ব্যতিক্রম আপনি। অসাধারণ। আছলাম, আমাকে বিবাহ করবেন? আমি জানি, সর্বক্ষণ গায়ে গায়ে লেপ্টে থাকা প্রেম আপনার ধাতে সবে না। আমারো না। এরচে চলেন জায়গা নিয়ে প্রেম করি আমরা! ঘর সংসার করি? এ জীবন ভাল লাগে না….
আছলাম বাসন্তীকে বলতে পারে না যে বিবাহপ্রস্তাব নয়, সে চায় নৈবেদ্য। বাসন্তীকে তার বলা হয়ে ওঠে না যে, শুধুমাত্র ওর ওই কটিদেশটির আহ্বানে যেসব পুরুষ ওর সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে জটিল প্রেমের অভিনয় করে যেতে সক্ষম হবে অন্তত তিন-চার মাস, কেন বাসন্তীর আছলামকে তাদের থেকে ভিন্ন বলে মনে হয়।
পিতা-মাতা বিদেশ গেলে বাসন্তী একদিন আছলামকে তার ফ্ল্যাটে নিমন্ত্রণ করে। কাজের মেয়ে তন্দুরি-চিকেন আনতে বাইরে যায়। বাসন্তী তার শোবার ঘরে, খাটে, আছলামকে নিয়ে বসে। অতঃপর মোবাইল ফোনে অধুনাসম্পন্ন থাইল্যান্ড ভ্রমণের ফটো বার করে দেখাতে শুরু করে— সাগর সৈকতে দু-পিছ্ বাসন্তী, পাহাড়ে চূড়াময় বাসন্তী, রেস্তোঁরার বারান্দায় ব্লাডিমেরি পানরতা— ইত্যাদি, আছলাম দেখে। দেখতে দেখতে টের পায়, ফটো’র বাসন্তীগুলোর অবসরে— চার ইঞ্চি দূরত্বে উপবিষ্ট জলজ্যান্ত বাসন্তীটির মেহেদী দেয়া চুলের একাংশ, ফ্যানের হাওয়ায় উড়ে এসে লেপ্টে যাচ্ছে আছলামের থুতনিতে। মেঘ ডাকছে কোথায় যেন বা। আকাশে? বৃষ্টির ছাঁট আসছে জানালা দিয়ে। সহজ ভঙ্গিতে আছলাম বাসন্তীর হাতে ধরা মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকে। ইস্কাটনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে, বাসন্তীর মেদুর বিছানায়, বাসন্তীর খুব কাছে, রাত ন’ ঘটিকায়, শিশ্নটি তার অনেক গভীরে ভাঁজ করে রাখে আছলাম। শিরদাঁড়া সোজা।
* * *
ওই স্মরণীয় ঘটনাহীনতার সপ্তাখানেক পর টেলিফোন এলো একদিন—
— বাসায় আছেন?
— আছি।
— আসি?
— কেন?
— এমনি! আমি কি বেড়াতে আসতে পারি না?
— আরে তা কেন! চলে আসো…
এই প্রথম বেড়াতে আসছে বাসন্তী আছলামের ফ্ল্যাটে। বাসন্তীর দেহখানি আসছে বেড়াতে; আছলাম ভাবে— কী নিয়ে কথা বলবে ওর সাথে? কিছু বলার নাই। উত্তেজনায় শরীর ঝন্ঝন্ করে বাজছে।
গোসল করা দরকার। ঘরটাও গোছানো দরকার।
ফোন রেখে কাপড়জামা খুলে আছলাম বাথরুমে ঢোকে। বাথটাবের পর্দা টেনে সোজা হয়ে দাঁড়ায় এবং ছিট্কে পেছনের দেয়ালে বাড়ি খায়।
শাওয়ার-কার্টেনের কুচিতে, আছলামের বুক বরাবর, একটি সবুজ ঘাসফড়িং— ত্রিভঙ্গে পা বিছিয়ে শুঁড় নাড়ছে।
আছলামের ‘এন্টমোফোবিয়া’ আছে। ক’দিন আগে স্বপ্ন দেখেছে। হলুদাভ শাদা একটা বালিশে মাথা চুবিয়ে ঘুমাচ্ছে সে। মাথার নিচের বালিশটা বালিশ নয়, বৃহৎ একটি মাকড়শার ডিম। আছলাম সেটা জানে না।
আচমকা বেলুন ফাটার মতো ডিমটা ফেটে যায়। আছলামের মাথা ডিমের ভিতর, হাজার হাজার মাকড়শার বাচ্চার সমাবেশে, প্রবিষ্ট হয়ে পড়ে; এবং স্বপ্নের মধ্যে ঘুমন্ত আছলামের ঘুম, ভেঙে যায়। আছলাম দেখে— মাথা, কপাল, গাল, থুতনি ইত্যাদিতে, একখানা মাদি মাকড়শার ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ নিয়ে বিছানায় উঠে বসেছে সে। সারা গায়ে পিল্পিলিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে সদ্যজাত বাচ্চা মাকড়শার দল।
এই পর্যায়ে আছলামের ঘুম প্রকৃতপ্রস্তাবে ভাঙে। সে মুখ হা করে উঠে বসে। গা খাউজায়।
২.
গভীর পোকাভীতির কারণে সুতরাং, সূতাহীন নগ্নগাত্রে, ভয়ঙ্কর নিকটে, আড়াই ইঞ্চি বিঘত এক ঘাসফড়িং যখন আবিষ্কার করলো, পা ও পাছার মাংসের সহজাত রিফ্লেক্স, আছলামকে পেছনদিকে ছিটকে দিলো। দেয়ালে সে বাড়ি খেলো। বাড়ি খেয়ে জমে গেল। জমে গিয়ে গেল গলে। গলে গলে, দু’দিকে হাত-পা ছড়িয়ে, কাঁকড়ার ভঙ্গিতে ডানে সরে, সুচারু ঝটিক্ এক লাফে বেরিয়ে এলো বাথটাব থেকে।
বেরিয়ে কাঁপতে লাগলো।
কিন্তু আছলামের এখন কাঁপার সময় নাই। গোসল সেরে ভদ্র হতে হবে। একটু পর বাসন্তী আসবে।
এই কুৎসিত পোকাটা একুশতলায় ঢুকলো কিভাবে? পর্দা সরালে তেড়ে আসবে নিশ্চয়ই। গায়ের উপর হামলে পড়বে। কী ভয়ানক!
ঘাসফড়িঙের ইংরেজি নাম ‘গ্রাস্হপার’। গ্রাস্হপার ওড়ে। আছলাম তাকে উড়তে দিতে পারে না। কিছুতেই না। আছলাম তাকে মেরে ফেলবে।
কিন্তু মারবে কী উপায়ে?
বাসন্তী আসন্ন। আছলামের দ্রুত গোসল সারতে হবে। তারচেয়েও দ্রুত চিন্তা করতে হবে। ঘাসপোকা ঘাপটি মেরে বসে আছে শাওয়ার-কার্টেনের ভিতরের চিপায়।
আছলাম একটা কাঠের খুন্তি হাতে নেয়। চিকন ও মোক্ষম।
এতেই হবে।
হবে?
ধীর পদক্ষেপে বাথরুমের দিকে আগাতে শুরু করে। পর্দা দিয়ে ঘেরা বাথটাবের সামনে দাঁড়ায়। প্রথম কাজ পোকাটিকে পর্দা থেকে উৎখাত। দ্বিতীয় কাজ হত্যা।
আছলাম এক পা সামনে ফেলে কুং-ফু কায়দায় পজিশন নেয়, খুন্তি উঁচিয়ে থপ্ করে একটা বাড়ি বসিয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যাঙের মতো পেছনদিকে লাফ দেয়।
কপালের দুইপাশে শিরার দপদপানি স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।
পোকাটি কি আক্রান্ত হয়েছে?
সরেছে?
মরেছে?
উড়ে গেছে?
শুয়রের বাচ্চা কই?
আছলাম সাবধানে বাথরুমে ঢোকে পুনরায়। পা টিপে টিপে। দম নেয়। পর্দার বাম-কোণা সামান্য ডানে সরিয়ে চেক্ করে।
বাথটাবের মেঝে শূন্য! গেল কই?
আছলাম দ্বিতীয় আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়।
পর্দায় বাড়ি দেয়, লাফ দেয়।… বাড়ি দেয়, লাফ দেয়।… বাড়ি দেয়, লাফ দেয়।
পরপর তিনবার।
নো রেজাল্ট। খুন্তি প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না! যথেষ্ট বলিষ্ঠ আঘাত কি হানা হচ্ছে না? পর্দা পুরাটা সরিয়ে দেখবে?
আছলাম সাহস পায় না। তবে মারণাস্ত্র বদলানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
কাউচের উপর একটা মোটা গামছা। আগেকার দিনে বাংলাদেশের ‘ঠগীরা’ মানুষ মারতো গামছা দিয়ে। দড়ির মতো পাকিয়ে, চাবুকের মতো ছুঁড়ে গলায় প্যাচ মেরে হত্যা। খুন্তির চাইতে গামছা উত্তম।
আছলাম উত্তেজিত হয়। পাকানো গামছা দুই হাতে টান টান করে ধরে। আবার পজিশন নেয়। কাঁধের পেছন থেকে ঘুরিয়ে, শপাং করে পর্দায় বসিয়ে দেয় গামছার মাথা। পর্দায় আলোড়ন ওঠে। তবে ঘাসফড়িংটির নাম গন্ধ নাই।
আছলাম ঘামতে শুরু করে। চোয়াল শক্ত। ভয় কমছে না। মাত্রা ছেড়ে যাচ্ছে ক্রোধ।
পুনরায় গামছা পাকিয়ে ছুঁড়ে মারে… আবার ছোঁড়ে… আবার ছোঁড়ে… আবার…
পঞ্চম ছোবলটি দিতে যাওয়ার মুহূর্তে, সবুজাভ ধোঁয়াটে এক বস্তুপিণ্ডকে, পর্দার উপর দিয়ে ফিন্ফিনিয়ে উড়ে আসতে দেখা গেলো, এবং আছলাম, পায়ের মাংসের সহজাত রিফ্লেক্সে, বাথরুমের বাইরে, পাঁচ হাত পিছনে উল্টে গিয়ে পড়লো।
মেঝেতে আছলাম পড়লো হুড়মুড়িয়ে। পড়ে থাকলো। ত্রিভঙ্গে। পাঁচ সেকেন্ড। দশ সেকেন্ড। পনেরো… তারপর মাথা ঘুরিয়ে চারপাশ দেখা শুরু করলো।
ঘাসফড়িং কই? উড়ে গেছে কি?
আছলাম প্যাচানো গামছা হাতে উঠে দাঁড়ায়। আবার সাহস সঞ্চয় করে ও টেলিফোন বেজে ওঠে—
“হ্যালো আছলাম!”
“বাসন্তী, ভাল আছো?”
“ভাল আছি মানে?”
“স্যরি। কিছু না। তুমি এখন কই?”
“এই যে রাস্তায়। লেট হবে না। সময় মতো পৌঁছাবো।”
“ওকে।”
“আপনার কাজ-টাজ পড়ে যায় নাই তো?”
“না। নাঃ… আসো।”
“আচ্ছা।”
কেন আসছে বাসন্তী? কোন্ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে আজ আছলামের ফ্ল্যাটে? ওরা তো কোথাও যায়নি! আছলামের মাথায় নির্ণিত যেই বাসন্তী, আর বাসন্তী ওর মনের মধ্যে যে আছলামকে দাঁড় করিয়েছে— কী চায় তারা বাসন্তী আর আছলামের কাছে?
নিতান্ত অসহায় একটা আক্রোশ— মাথার ভিতর আগুনের মতো লক্লক্ করছে।
হাতের গামছাটি পাক দিয়ে ধরে আছলাম। ক্ষীপ্রপায়ে বাথরুমে ঢোকে। এক ঝটকায় পর্দা সরায়।
কিন্তু, ঘাসফড়িং পর্দার পেছনে নাই। বাথটাবেও নাই।
আছলাম একশত-ষাট ডিগ্রি ডানে ঘোরে, এবং বেসিনের কাছে…
ওহঃ… ওহঃ… ওই যে… ওই তো…
ঝুলন্ত ইলেক্ট্রিক তার বেয়ে… কিল্বিলিয়ে উপরে উঠতে চাচ্ছে… পোকা… ঘাসফড়িং… ঘাসফড়িংটিই…
আল্লাহ!
বিদ্যুৎবেগে গামছা প্রয়োগ করে আছলাম— ইলেক্ট্রিক তার বরাবর। বেসিনের পাশে রাখা সেন্টের শিশি ছিট্কে আয়নায় বাড়ি খায়। এবং ঘাসফড়িংটি মেঝেতে এসে পড়ে। পড়ে, থেমে, আছলামের ডিরেকশনে পা টেনে টেনে আগুয়ান হয়।
“পাইছি তোরে”— প্রথমে মনে মনে, অতঃপর সশব্দে, আছলাম বলে; “রেডি হও”।
হাতের গামছা মুঠি করে ঘাড়ের পেছনে টেনে ধরে আছলাম। চোয়াল শক্ত। দম বন্ধ। চোখ বিস্ফারিত।
চেক মেট্…
কিন্তু, পোকাটাকে যখন এক বাড়িতে ভর্তা করতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে, আছলাম তার হাতের কব্জিতে কেমন যেন একটা অসাড়তা অনুভব করে।
কী হচ্ছে?
মুঠি শক্ত করে আবার জ্বলে উঠতে চায়। কিন্তু পারে না।
কপাল থেকে এক বিন্দু ঘাম মেঝেতে এসে পড়ে; এবং— পৌরুষহীন, হাবা একখানা প্রশ্ন এসে ভর করে আছলামের মনে— “আচ্ছা, পোকাটা কি কামড়াইছে আমারে?”
প্রশ্নটির জলীয় কষ আছলামের পা ও পাছার মাংস শিথিল করে তোলে। আছলাম সোজা হয়ে দাঁড়ায় ও ঘাসফড়িঙটির দিকে ভুরু কুচকে তাকিয়ে থাকে।
পা বোধ হয় ভেঙে গেছে একটা। লেংচে লেংচে আগাতে চাচ্ছে। তবে, আছলামের ডিরেকশনে ঠিক নয়। ওর নড়াচড়ায় নির্দিষ্ট কোনো ডিরেকশন নেই।
৩.
হাতের গামছাটি মেঝের উপর, পা-ভাঙা ঘাসফড়িঙটির গায়ে বিছিয়ে দেয় আছলাম। তারপর দুই হাতে পুটলির মতো বানিয়ে তুলে আনে। মেঝে চেক্ করে দেখে, পোকাটা ওখানে রয়ে গেল কি না; নাহ্।
বুকের সাথে সমকোণে প্রসারিত দুই হাতে, পেটিকাবদ্ধ ঘাসফড়িঙটি ধরে, নগ্নগাত্র আছলাম, চওড়া রোদে নিমজ্জিত একুশতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ায় এবং পুটলির এক মাথা খুলে মেলে দেয় রেলিঙের বাইরে, রোদের ভিতরে।
সবুজ ঘাসফড়িং— রোদে পিছলে, বাতাসে ভেসে, ঘুরে ঘুরে, ঝরাপাতার মতো নিচে পড়ছে, একুশতলা থেকে।
অনেকটা উচ্চতা। একমনে তাকিয়ে থাকে আছলাম। ভাল লাগে দৃশ্যটি। সুন্দর লাগে। খুব ধীরে, গভীর করে পৃথিবীর দিকে যাচ্ছে পোকাখানি।
কিন্তু, উড়ছে না তো!
আছলাম লক্ষ্য করে পোকাটা উড়ছে না। ডানা মেলছে না। বোঁটাছেড়া পাতার মতো নিচের দিকে পড়ছে কেবল।
ও কি বেঁচে নেই?
একুশতলার বারান্দায়, আছলামের হাতের পুটলি হতে নির্গত ঘাসফড়িং— নীচের দিকে পড়ছে। আছলাম আরো একাগ্র হয়। রেলিং ধরে ঝুঁকে, তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকে। দৃষ্টি সরায় না।
দ্রুত ছোট হয়ে আসছে— ঘোলাটে হয়ে আসছে— কিন্তু উড়ছে না। পড়ছে কেবল… পড়ছে… পড়ছে…
চোখ সরায় না আছলাম।
এই মাত্র মাটিতে এসে থামলো। খুব অস্পষ্টভাবে দেখা যায়— অনেক নিচে— ধূসর পেভ্মেন্টের গায়ে— আরো অন্যান্য নিস্পন্দ দাগের মতো— একটি ঘাসফড়িং।
নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে আছলাম।
সময় শ্লথ হয়ে গেছে…
পাঁচ সেকেন্ড… দশ… পনেরো…
ও কি বেঁচে নেই?
অনেক্ষণ পর, পেভমেন্টের গায়ে, অন্যান্য নিস্পন্দ দাগের সমাবেশে, একটি বিশেষ দাগকে নড়েচড়ে উঠতে দেখা গেলো। উড়তে শুরু করলো সে। হাওয়ায় ভেসে ভেসে পার্শ্ববর্তী আমগাছের অবয়বের ভিতর মিলিয়ে গেলো।
বাসন্তী’র আসবার সময় হয়ে গেছে।
আছলাম ঘড়ি দেখে। বাথরুমে ঢোকে। শাওয়ার ছেড়ে সারা গায়ে সাবান মাখতে আরম্ভ করে।