অ্যালেন গিন্সবার্গের চিঠি
৬/১৮/৮৯ সি/ও নারোপা ২১৩০ অ্যারাপাহো আভে
বোল্ডার, কলোরাডো ৮০৩০২
প্রিয় মিসেস অ্যাশবি,
আমি মনে করি না দেবত্ত্ব ধারণাটা কোনোভাবে জেন দর্শনবাদীদের কাছে গ্রহণযোগ্য। সাধারণ ইশ্বর সংক্রান্ত শব্দ ব্যবহার বৌদ্ধ ধর্মের পরিচায়ক নয়, যতদূর আমার জানা বৌদ্ধ ধর্মের মূল ভাবনাটাই নন থেইস্টিক। জেন দর্শনের প্রাথমিক পদ্ধতি হল উপবেশন, অর্থাৎ এর দ্বারা মনঃসংযোগের অভ্যাস ও অভিজ্ঞতা অর্জন। দেবত্ব সংক্রান্ত ধারণাগুলো আসলেই অতিরিক্ত অর্থপূর্ণ অজস্র শব্দের মত আমাদের সংজ্ঞায় গেঁথে রয়েছে, এতে গভীর মানসিক পরিজ্ঞান-যা ধৈর্যশীল, কখনো বা একঘেয়ে একাগ্রতা অভ্যাসে অনুভূত হয়, নেই, যতদূর বুঝি। নারোপা বহুদিন থেকে বৌদ্ধ-খ্রিষ্টীয় সম্মেলন বজায় রেখেছে, হারমেটিক, মনাস্টিক আর মিস্টিক পরিভাষায় বিভিন্ন ভাবধারা, আলাপ আলোচনা, প্রার্থনা স্তোত্র তাদের কাছে কিছু রয়েছে টেপ করা, আর কিছু লিখিত আকারে। আমি মনে করি এই বিষয়ে সেখানে বিশদে পড়াশুনোর সুযোগ রয়েছে। আমি আরো মনে করি চোগিয়াম ত্রুংপার লেখা “Cutting Thru Spiritual Materialism” (Shambhala, Boston) আপনার বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে পারে।
আমার “ফার্স্ট ব্লুজ” ফোকওয়ে রেকর্ডসে আছে, যেটা বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত। নারোপাতে আপনি “ব্জ্রধাতু টেপ” থেকে আমার আর অন্যদের রেকর্ড করা পাঠ গুলো পেতে পারেন।আর হাউল পাবেন এখনো খুব সম্ভবত ফ্যান্টাসিতেই, ১০ অ্যান্ড পার্কার, বারকলে।
আর আপনার রচনার জার্মান ফিলসফি আর টারমিনোলজি, অথবা ক্রোল ও অ্যাজটেকের মিলমিশ(বিভ্রান্তি?) ঠিক হজম হলো না!
ভালো থাকবেন।
অ্যালেন গিন্সবার্গ
ছবি: জনৈকা মিসেস অ্যাশবিকে লেখা অ্যালেন গিন্সবার্গের চিঠি।
ইরোটিক পাণ্ডুলিপির অংশ
ওর ট্যাটু তারপর আবার হিংস্রভাবে চুলের মুঠোতে ওকে ধরলাম। “দেখলি?আমার ট্যাটু?” আমার নরম প্রশ্নের উত্তরে শুধু মাথা হেলিয়ে হ্যাঁ বলল রেগি। “এবার আমার পাখি, আমার নীল কালো তীব্র সুখের পাখি, আয়, আমি চাই তুই আমার ওটার ওপর বোস, তোর যোনির মধ্যে ওটা ঢুকিয়ে নে।“
আমাকে ব্যথা দেওয়ার জন্য চড় কষালো ও , কিন্তু আমি অনুভূতিহীন।
“ওটার ওপর বোস রেগি… পুড়িয়ে ফেল নিজেকে।“
আবার চড় কষালো, তারপর আবার। কিন্তু প্রতিবার একটু একটু করে ওর সাহস আর প্রতিরোধ কমে আসছিলো, প্রতি চড়ে আসলে শিউরে উঠছিলো ও ,আমি নই।
শুধু স্থির হয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আবার ওকে চুলের মুঠো ধরে টানতেই কি যেন বলে উঠল,বুঝলাম না, চাইলাম না। শুধু ওকে টেনে আমার ট্যাটু দেখিয়ে দিলাম। রেগি নীচু করলো নিজেকে, আমার উরুর ওপর, তারপর আমার লিঙ্গের ওপর নিজেকে যেন পিষতে শুরু করলো।
“আস্তে” ফিসফিস করে ওর কানের মধ্যে কথাটা বললাম, আর ঠিক কুকুরের উত্তেজনার মত আমার উরু আমার লিঙ্গ ওকে পিষতে থাকলো।
যেন আমি নই, অন্য কেউ, অন্য কাউকে দেখছি এমন ভাবে দেখতে থাকলাম, শুধু দেখতেই থাকলাম।
“এবার চেটে নে” নির্দেশ দিলাম ওকে। আমার দিকে পলকমাত্র না ফেলে ও জিভ এগিয়ে দিলো, আমার ত্বক কেঁপে উঠলো সে জিভের ছোঁয়ায় , সরে যেতে চাইলো।
“কিসের স্বাদ তোর জিভে?”
“আমার স্বাদ” গুঙিয়ে উঠলো ও, ভাসমান অর্ধ চেতনায়।
ছবি: ইরোটিক পাণ্ডুলিপি