‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে’ : এক বিদ্রোহী কবির অচেনা বেদনাগুচ্ছ | সেঁজুতি জাহান

“গুণবান যদি পরজন, গুণহীন স্বজন, তথাপি নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ পরঃ পরঃ সদা”

মধুসূদন তাঁর ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’ এই প্রবাদসম সত্যটি উচ্চারণ করেছেন। মধুসূদনের ইংরেজ-অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতিতে এমন আপ্তবাক্য উচ্চারণ করা খুবই ন্যায্য।

গুণবান পরের চেয়ে গুণহীন স্বজন শ্রেয় সন্দেহ নেই, কিন্তু খোদ ‘গুণহীন’ই তো মানবের পক্ষে একটা ‘অপর’ ব্যাপার, যা যাবতীয় উচ্চম্মন্যতা ও বিদ্বেষের জনক। গুণহীন স্বজনসৃষ্ট নিকৃষ্ট ‘অপরায়নের’ উৎকৃষ্ট ও বীভৎস উদাহরণ তো মহাভারতেই পাওয়া যায়। পঞ্চপাণ্ডবের আপন চাচাতো ভাই কৌরব-সন্তানদের আজন্ম লক্ষ্য ছিল পাণ্ডবদের ক্ষতি করা। তারা তো পাণ্ডবদের স্বজনই ছিল। তবু কেন গুণহীন কৌরবদের সেই আজন্ম প্রচেষ্টা?

এই ক্ষতির প্রবণতা কি স্রেফ গুণহীনতা থেকে উৎসারিত নয়?

প্রেম, ভালোবাসা, মহানুভবতা মানব জীবনে সব থেকে বড়ো গুণ, যা না থাকলে কোনো আপনই আপন হয় না।

এইসব গুণের অনুপস্থিতি মানেই পর বা ‘অপর’ ভাবনা।

বাংলায় ‘অকালকুষ্মাণ্ড’ বলে একটি শব্দ আছে যার উদ্ভব ঘটেছে মহাভারত থেকে।

ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারীর সন্তান হয় না, অন্যদিকে কুন্তীর একের পর এক পাণ্ডব সন্তানের জন্ম হয়েই চলছে। এমতাবস্থায় গান্ধারী হিংসায়, ক্রোধে নিজের গর্ভপাত ঘটান। তখন গান্ধারীর পেট থেকে একটি বিশাল কুমড়ার মতো বল বের হয়ে যায়। সেটা ফেটে বের হয় ১০১-টি সন্তান, যারা মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের মূল খলনায়ক হিসেবে চিরনিন্দিত।

সেই ‘অকালকুষ্মাণ্ড’ বা অকালের কুমড়া কৌরবপুত্র দুঃশাসন, দুর্যোধনদের আজন্ম অপকর্ম, হিংসা, বিদ্বেষ আর ষড়যন্ত্রের শিকার পাণ্ডবপুত্ররা।

‘অকালকুষ্মাণ্ড’ শব্দের বর্তমান ব্যবহারিক অর্থ অপদার্থ। অর্থাৎ যাদের মধ্যে গুণ বা কর্মতৎপরতা নাই। পুরাণ অনুসারে দুঃশাসন দুর্যোধনরা যে শ্রম ও মেধা কেবল পাণ্ডবদের ক্ষতিসাধনে লাগিয়েছে সেই শ্রম যদি শাস্ত্র ও ধর্ম রক্ষার কাজে ব্যয় করতো, তাহলে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের মতো এতো কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি হতে পারতো না। কৌরবদের সকল অপকর্মের নেপথ্যে ছিল গুণহীনতা আর অপ্রেম।

প্রেমহীনতাই গুণহীনতা —  এমনটাই বিশ্বাস ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি জন্মের শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কবিতাটি ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশের ১০০ বছর পূর্ণ করেছে।

তাতে কী হয়েছে?

শতবর্ষী গাছ বা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো স্থাপনা প্রাজ্ঞকালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। কিন্তু কোনো কবিতা যে শতবর্ষ পার করেও তার জন্মলগ্নের সেই একই সমাজ ও রাজনীতির প্রেম-অপ্রেমের একেবারে নির্যাসটুকু দুরন্ত প্রজ্ঞার সঙ্গে পূর্ণ প্রাসঙ্গিকতায় ধরে রাখতে পারে, এমন দৃষ্টান্ত কেবল ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতেই সম্ভব।

‘দ্রোহের কবিতা বিদ্রোহী’ সন্দেহ নাই, কিন্তু এই দ্রোহ তো এসেছে মানব ইতিহাসের প্রেমহীনতা আর জুলুম থেকে।

‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য’ —  পঙক্তিটিকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রাণ বলা যায়।

পুরাণ অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী। মর্ত্যলোকে কংসকে বধ করার জন্য বিষ্ণু অষ্টমাবতার হয়ে ভগবান কৃষ্ণরূপে আবির্ভূত হন। ওদিকে সুদামার অভিশাপে লক্ষ্মী বা রাধা (কামার্ত পতির দিকে ধাবমান অর্থে রাধা নামে পরিচিত) কৃষ্ণ-বিরহ ভোগ করার জন্য ধরাধামে আসেন।

কৃষ্ণের বাঁশির সুরে রাধা হন বিচলিত, এই সুর-জাত প্রেমের ডাক স্বর্গীয়। রাধা-কৃষ্ণের প্রেম জীবাত্মা-পরমাত্মার প্রেম। ফলে বিদ্রোহী কবির এক সত্তায় রয়েছে স্বর্গ-জাত প্রেমের ধারা, সেই প্রেমের সুরকে যারা অবহেলা করে, তারাই বিদ্বেষ আর জুলুমের আগুন জ্বালিয়ে ও তাপিয়ে পৃথিবীকে করে তোলে অস্থির ও অকল্যাণকর, সেই অপ্রেমের স্রষ্টা কংসদেরকে বধ করার জন্য কবির অন্য সত্তায় কবি রণ-তূর্যকে ধারণ করেন।

যুগে যুগে প্রেমের ভাষা ও সুর যারা বোঝে না; হিংসা, ঘৃণা, বৈষম্যের ঘানিকে যারা যত্ন করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেই কবির অবস্থান।

এই অবস্থান এমনকি কখনো কখনো পক্ষপাতদুষ্ট ভগবান বা ঈশ্বরের বিপক্ষেও।

ঈশ্বরের সৃষ্টি যদি সবাই হয়, তাহলে এক ঈশ্বরের পৃথিবীতে কেন এতো বৈষম্য?

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় অপ্রেমজনিত সকল প্রকার অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়ন, অসাম্যের প্রতি তীক্ষ্ণভাবে ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। প্রেমহীন সমাজ, ইতিহাসের জুলুমকে চিহ্নিত করতে তিনি ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্র ও ঘটনাকে।

যেকোনো জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গেলে নিরীহ প্রেম নয়, বরং প্রবল বলশালী শক্তি ও ক্ষমতার প্রয়োজন। ফলে কবি তাঁর রাজনীতি-সচেতন মনন ও কাব্য-শক্তির ধার বোঝাতে কবিতায় সংযোজন করেছেন নটরাজ, ধূর্জটি, জমদগ্নি, কৃষ্ণ, পিনাকপাণি, দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র, ভীম, পরশুরাম, বিষ্ণু, বাসুকি,বলরাম,অর্ফিয়াস, জিব্রাইল, ইস্রাফিল চরিত্রগুলোকে।

এমন অনেক চরিত্র আছে যে চরিত্রগুলো মূলত একটি চরিত্রই, কিন্তু স্থান-ভেদে তাদের বীরোচিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন নাম হয়েছে। কবি সেইসব বীরদের বিভিন্ন নামের ঘটনাগুলোকে তাঁর কবিতা-শক্তির বাহক করেছেন।

যেমন: মহাদেব শিবের ‘পিনাকপাণি’, ‘ধূর্জটি’ বা ‘নটরাজ’ নামগুলো কেবল নামের বৈচিত্র সাধনের জন্যই নেননি, নিয়েছেন নামগুলোর কার্য-ক্ষমতার প্রেক্ষাপটগুলো।

‘পিনাকপাণি’ বা মহাদেবের হাতে অসুরদের রাজা তারকাসুর ও তার শক্তিমত্ত তিন পুত্র তরকাক্ষ, কমলাক্ষ এবং বিদ্যুৎমালী বধ হয়। এই বধ হবার পেছনে মহাদেব বা ‘পিনাকপাণি’র হাতে শক্তিশালী পিনাক নামের ধনুকের ভূমিকা রয়েছে। এই ধনুক অসুর বধের ক্ষেত্রে বা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত, কিন্তু এটা আসলে মহাদেব শিবের কাছে থাকা একটি বাদ্যযন্ত্র।

অর্থাৎ অকল্যাণ বা জুলুমের ক্ষেত্রে একই বস্তুকে অস্ত্র রূপে এবং কল্যাণ বা প্রেমের ক্ষেত্রে বাদ্যযন্ত্র রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। হলিউডের খুব বিখ্যাত পরিচালক রবার্ট রড্রিজ পরিচালিত ‘ডেসপারেডো’ সিনেমায় এন্টোনিও বেনদারেসকেও প্রায় কাছাকাছি একটি যন্ত্র ও অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। এমনিতে বেনদারেস একজন গিটারিস্ট, কিন্তু খারাপ ও অত্যাচারীর ক্ষেত্রে তার গিটারের ব্যাগ থেকে বের হয় গুলি।

এরকম কোমল-কঠোরের দ্বৈত সত্তাই ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূল উপজীব্য।

আবার প্রাচীন গ্রিক পুরাণের চরিত্র ‘অর্ফিয়াস’কে কবি গ্রহণ করেছেন অর্ফিয়াসের প্রেম-শক্তির জন্য। অর্থাৎ গ্রিক পুরাণে অর্ফিয়াস হচ্ছে এমন এক সুরের দেবতা যিনি জড়ের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করতে পারতেন। অর্থাৎ পাথরে ফুল ফোটানোর ক্ষমতা রাখতেন। প্রেম তো আসলে পাথরে ফুল ফোটাবার নিগূঢ় শক্তির নামই।

নর্স পুরাণের চরিত্র ‘থর’ বা বজ্রদেবতা কবির ভেতরের ক্রোধ প্রকাশের জন্য নির্বাচন করেছেন।

এখন কথা হল, এইসব কবি কেন করেছেন?

নজরুল গবেষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী’ কবিতা সম্পর্কে বলছেন:

“প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লব, ভারতের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, তুরস্কের কামাল পাশার আবির্ভাব, বাংলা সাহিত্যের এসব পটভূমি নজরুলকে বিদ্রোহীর মতো কবিতা লেখার জন্য প্রভাবিত করেছে।”

(কাজী নজরুল ইসলাম : জীবন ও সাহিত্য)

কিন্তু রফিকুল ইসলাম এটা বললে কী হবে?

‘বিজলী’তে প্রকাশের পরপরই মোহিতলাল মজুমদার দাবি করেছিলেন তাঁর ‘আমি’ শীর্ষক লেখা গদ্যের ভাব নিয়ে কবি ‘বিদ্রোহী’ লিখেছিলেন। মুসলিম সাহিত্য-সমিতির সহকারী সম্পাদক ও কবি-বন্ধু কমরেড মোজাফফর আহমদ তা নাকচ করেন। তিনি মনে করেন ভাব নয়, বরং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য বড়োজোর এমন ‘আমি’ সর্বস্ব কিছু একটা লেখা যায় বলে ভাবতে পারেন কবি।

দ্রোহের প্রভাবের কথা যদি আসে তাহলে তুলনামূলক ক্ষেত্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতের গুরুত্ব দেওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত। তিনি মনে করেন আমেরিকার জাতীয় কবি হুইটম্যানের ‘one’s self I sing’ কবিতা দ্বারা কবি প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারেন।

তাও যদি হয়, তাহলেও তো একথা বলা যায় যে, একজন স্কুল পালানো ছেলের দখলে কেবল বাংলা ভাষার সাহিত্যই ছিল না, প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবার সুবাদে ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কেও তাঁর যথেষ্ট জ্ঞান ছিল।

আবার লেটো গানের সূত্রে কেবল ভারতীয় পুরাণেই তাঁর দখল ছিল না, স্কুল পালানো কবি বাঙালি পল্টনের মৌলভীর কণ্ঠে ফারসি কবিতা শুনে ফারসি ভাষা শেখেন, ফারসি সাহিত্য ও ইতিহাস পাঠ করেন এবং ফারসি ভাষার রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কেও বিস্তর পড়াশোনা করে ফেলেন।

এতো এতো প্রস্তুতির পর তিনিই একমাত্র কবি, যিনি মাত্র এক রাতের মধ্যে ১৪৮ লাইনের একটি কবিতা লিখে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। বর্তমানে কবিতাটির ১৪১টি পঙক্তি পঠিত হয়।

দ্রুত ও তাৎক্ষণিকভাবে লিখতে পারতেন, কিন্তু কবির প্রজ্ঞা ও প্রস্তুতি মোটেও হালকা বা খেলো ছিল না।

তাঁর কবিতায় বিধৃত ‘আমি’র ভাব-প্রকাশ ও প্রাচীন পুরাণের বীরোচিত চরিত্রগুলো বরং সমকালকে গভীরভাবে ব্যক্ত করতে পেরেছে। বলা হয়ে থাকে, যে ‘বিজলী’ পত্রিকা সপ্তাহে একটি কপিও বিক্রি হতো না সেই পত্রিকা এই কবিতা ছাপার ফলে একদিনে ত্রিশ হাজারেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।

যে ‘অপর’ বা ব্রিটিশ সরকারের জুলুমের বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী সবারই সোচ্চার হয়ে ওঠার কথা, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি যেখানে গোটা ভারতবর্ষের আত্মার কথা হয়ে ওঠার কথা, সেই কবিতাটিই কবির কাছের বা স্বজনদের কাছে বিষ-বৃক্ষ হিসেবে ধরা দিল।

কবিতাটি প্রকাশের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নানা মহলের কবি সাহিত্যিকদের ব্যাঙ্গাত্মক, প্যারোডি কবিতা ও লেখা ছাপানোর ধুম পড়ে গেল।

গোলাম মোস্তফা তখন ব্যঙ্গ করে ‘নিয়ন্ত্রিত’ কবিতা লেখেন:

”ওগো বীর!

সংযত কর, সংহত কর, উন্নত তব শির!

‘বিদ্রোহী’ শুনে হাসি পায়!

বাঁধন-হারার কাঁদন কাঁদিয়া বিদ্রোহী হতে সাধ যায়?

সেকি সাজেরে পাগল সাজে তোর?

আপনার পায়ে দাঁড়াবার মতো কতটুকু আছে জোর?”

‘ইসলাম দর্শন’ পত্রিকায় কার্তিক ১৩২৯ সংখ্যায় মুনশী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দিন আহমদ ‘লোকটি মুসলমান না শয়তান’ শিরোনামে একটি গদ্য লেখা প্রকাশ করেন। তিনি নজরুলকে নরাধম, খোদাদ্রোহী, নাস্তিক, শয়তানের পূর্ণাবতার, ফেরাউন এবং নমরুদ বলে অভিহিত করেন।

অথচ, যে কবিতাটি পরাক্রমশালী রবীন্দ্র-যুগের মোহজাল ছিন্ন করে দিয়েছিলে সেই যুগের স্রষ্টা খোদ রবীন্দ্রনাথই এই কবিতার চিত্ত উজাড় করা প্রশংসা করেছিলেন। কেননা, তিনি নিজেও গুণবান ছিলেন।

শেষে এসে শুরুর কথাতেই ফিরে যাই, স্বজনই হোক আর ‘অপর’ই হোক, যেকোনো ‘গুণহীন’ই ‘পরঃ পরঃ সদা’।

জুলুমের বিপক্ষে চির সোচ্চার যে কবির অবস্থান, সেই কবিকেই পেতে হয় ‘নমরুদ’ ‘ফেরাউন’দের মতো জালিমের খেতাব। এর ফলে এ কথা বলা অমূলক নয় যে, এই অঞ্চলে বরাবরই অবুঝের অপ্রেম ধ্বনিত হয় সর্বত্র।

১০০ বছর বয়সের মাহাত্ম্য ছাপিয়ে কোটি বছরের বোধের মহীরুহ হয়ে থাক কাজী নজরুল ইসলামের এই ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি।


সেঁজুতি জাহান

কবি, প্রাবন্ধিক

শেয়ার