অলিভ উইন্ডব্রেকার । উম্মে ফারহানা


এই পর্যন্ত লিখ্যা আমি একটু থমকাই, আমার মনে হইতে থাকে মিতু নামের যে মেয়েটারে আমি লিটফেস্টের খাবারের দোকান আর সিটি ব্যাংকের লাউঞ্জের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখতেছি আর দেখাইতে চাইতেছি তার সঙ্গে আমার কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মিল পাওয়া যাইতেছে। আমি ভিড়ের মধ্যে একলা হইয়া গেলে অসহায় বোধ করতাম আগে।

 

মিতু
চায়ের  কাপ হাতে নিয়ে খাবারের জায়গার আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করতে থাকে মিতু। এখানে কিছুটা হলেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। ফোন চালু রাখা দরকার তার। আরেকটা টিউশনি পাওয়ার কথা চলছে, ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে মিস হয়ে যেতে পারে।

একা একা একটা উৎসবের এলাকায় ঘুরতে তার সামান্য অস্বস্তি হচ্ছে, যদিও এটা ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে সে প্রাণপণে। এমনভাবে হাঁটছে যেন জায়গাটা তার খুব চেনা, এখানে তার অনেক বন্ধুবান্ধব আছে। আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। দুই একজন পরিচিত মানুষের আসবার কথা আছে, তারা এখানে এসেছে নাকি আসেনি সেটা সে নিশ্চিত হতে পারছে না। ফোনে নেটওয়ার্ক না পাবার ঘটনাটি কি শুধু তার সঙ্গেই ঘটছে কিনা তাও সে বুঝতে পারছে না। ফোনের সেটের সমস্যা নাকি জিপির সেটা যাচাই করার উপায়ও নেই। তার সিমকার্ড একটাই।
বোকার মতন এদিক-সেদিক তাকাতে তাকাতে উদ্দেশহীন হাঁটাহাঁটি করে সে, যদি চেনা কাউকে পাওয়া যায়, কিছুক্ষণ কথা বলা যায় তাহলে। এমন সময় সে দেখে অলিভ রঙের উইন্ডব্রেকার পরা একজন মাঝবয়সী মানুষও তার মতন একা একা এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেখে মনে হয় না সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে কিংবা দলছুট হয়ে পড়েছে, একটু পরেই বন্ধুদের গ্রুপে যোগ দেবে। বিশ-তিরিশ সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে সে নিশ্চিত হয়, এই লোকটিও তার মতনই সঙ্গীবিহীন।

লেখক
এই পর্যন্ত লিখ্যা আমি একটু থমকাই, আমার মনে হইতে থাকে মিতু নামের যে মেয়েটারে আমি লিটফেস্টের খাবারের দোকান আর সিটি ব্যাংকের লাউঞ্জের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখতেছি আর দেখাইতে চাইতেছি তার সঙ্গে আমার কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মিল পাওয়া যাইতেছে। আমি ভিড়ের মধ্যে একলা হইয়া গেলে অসহায় বোধ করতাম আগে। যদিও এখন পর্যন্ত মিতুর বয়স কত, কীসে পড়ে, কী পইরা আছে, লম্বা না খাটো, কালো না ফর্সা, চুল কোঁকড়ানো নাকি স্ট্রেইট কিছুই বলি নাই। জায়গাটা যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ সেটাও জানাই নাই। কিন্তু আসলে আমি তারে দেখতেছি আমার কম বয়সের চেহারায়। আজ থাইকা প্রায় বিশ-পঁচিশ বছর আগে, আমি যেমন ছিলাম, মিতুরেও দেখতে পাইতেছি তেমন। ফার্স্ট ইয়ার বা সেকেন্ড ইয়ারে পড়া একটা মেয়ে লিটফেস্টের প্রাঙ্গণে একা চা বা কফি খাওয়ার সময় একজন মাঝবয়সী অপরিচিত মানুষের সঙ্গে তার চোখাচোখি হবে, হইতেই থাকবে, হইতেই থাকবে কিন্তু কোন কথাবার্তা হবে না, এমন একটা গল্প ফাঁদতে চাইতেছিলাম। যে গল্পের মধ্যে বিবাহ-পরকীয়া-যৌনতা-প্রতিশোধ-বিরহ-বিচ্ছেদ কিছুই থাকবে না। মিতু নামের অল্পবয়সী একটা মেয়ের একলা কাটানো একটা বিকালের গল্প থাকবে। মেয়েটার বিপন্নতা, একাকীত্ব (যা সে মোটেই উপভোগ করতেছে না) এবং এক ধরনের অস্থিরতা থাকবে। ধূসর শীতের বিকালে তার দেখা হইয়া যাবে অলিভ রঙের উইন্ডব্রেকার পরা এক ভদ্রলোকের সঙ্গে, নাম না জানা এই লোকই আসলে গল্পের নায়ক।

ইদানিং আমার গল্প লেখা হইতেছে খুব কম। গল্পের তুলনায় নন-ফিকশন আর অনুবাদ লোকে চায় বেশি। গল্প লিখ্যা ট্যাকাটুকাও খুব বেশি পাওয়া যায় না। অনুবাদ করতে আমার তত একটা ভালো লাগে না। কিন্তু লিখ্যা জীবন ধারণ করতে হইলে অত চুজি হওয়া যায় না, তাই আমি বড় বড় সব অনুবাদের কাজ হাতে নিছি। ম্যালাদিন পর আমার কাছে একজন একটা গল্প চাইছেন। তাই আমি মিতু নামের তরুণী এক মেয়ের একলা কাটানো একটা বিকালের গল্প লিখতে চেষ্টা করতেছি। গল্পটা কী নিয়া লিখতে হবে সেইটা সম্পাদক বলেন নাই, শুধু বলছেন, “আপা, আপনার গল্পই নিতে চাচ্ছি, বিষয় যে কোন কিছু হতে পারে, দেড় হাজার থেকে দুই হাজার শব্দের মধ্যে হলেই হবে”। আমি খুশি হইয়া গেছি এহেন উন্মুক্ত প্রস্তাব শুইনা। আজকাল কে আর এতো স্বাধীনতা দেয় লেখার সময়? কেউ বলে ধর্ম আনা যাবে না, কেউ বলে রাজনীতি এড়ায়া চলো। আরে বাবা, ধর্ম আর রাজনীতির বাইরে সাহিত্য কে কবে করছে? বা করতে পারছে? আবার প্রেম নিয়া লিখলেও ঝামেলা আছে। এত শরীর কেন? কিংবা এত পুতুপুতু কেন? যেমন এই যে এখন অলিভ উইনডব্রেকার লিখতে গিয়া আমি মিতুর বদলে এই পুরুষ চরিত্রটার দিকে নজর দিতেছি বেশি। তার একটা চেহারা দেখানোর চেষ্টা করতেছি— এইটাও এক ধরনের সেক্সিজম হয়তো। ঝামেলা হইলো, তত্ত্ব নিয়া বেশি ভাবলে স্বতস্ফূর্ততা নষ্ট হইয়া যায়। চরিত্রের চেহারা আগে দেইখা নেওয়া জরুরি কি না তা নিয়াও তর্ক হইতে পারে। হুমায়ুন আহমেদ কোথাও লেখেন নাই মিসির আলির মাথার চুল সম্পর্কে। তাই নাটকের নির্দেশক যখন আবুল হায়াতকে কাস্ট করছেন তখন হুমায়ুন আহমেদের মনে হইছে, অসম্ভব! মিসির আলি টাকমাথা হইতে পারে না!


ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন বের করে মিতু দেখে দুইটা মেসেজ এসেছে। ইদানিং কেউ আর মেসেজ পাঠায় না, বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন আসে শুধু। ফোনের লক খুলে সে দেখে বিকাশ থেকে এসেছে কিনা। তার রুমমেটের কাছে সে সাতশ’ পঞ্চাশ টাকা পায়, রুমমেটকে আসবার আগে বলে এসেছিলো টাকাটা বিকাশে ক্যাশ ইন করে দিতে। মেসেজ খুলে দেখে পাঁচশ টাকা এসেছে। দুইশ টাকা কম দেখে মিতুর একটু মেজাজ খারাপ হয়।

 

মিতু
অমিতাভ ঘোষের একটা সেশনে ঠেলেঠুলে ঢুকে পড়লো মিতু। ঘোষবাবু বললেন তিনি সী অব পপিজের অন্যতম প্রধান চরিত্র দিতিকে মনশ্চক্ষে দেখতে পেয়েছিলেন। সেশন শেষে বাইরে এসে আবার চা খাওয়ার জায়গায় এসে সে দেখে অলিভ উইন্ডব্রেকার তখনো এলোমেলো ঘুরছে। তখন পর্যন্ত কারো সঙ্গে কথা বলতে বা হাসি বিনিময় করতে দেখা গেলো না তাকে। মিতু ভাবে, লোকটা কি গোয়েন্দা টাইপের কেউ? সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশ? কিংবা কারো বডিগার্ড? এই উৎসবে কি এমন কেউ এসেছে যার বডিগার্ড প্রয়োজন হতে পারে? আমাদের দেশে কি বড় শিল্পীদের বডিগার্ড থাকে? মিতুর সঙ্গে লোকটির চোখাচোখি হয়। এবারে সে আর লুকাবার চেষ্টা করে না যে সে লোকটিকে দেখছে। লোকটিও অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকে তার দিকে। সে লোকটিকে আগাপাশতলা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। জলপাই সবুজ উইন্ডব্রেকারের সঙ্গে লোকটা পরেছে নীল রঙের ডেনিম আর পায়ে এক জোড়া সুন্দর জুতা। ডিক্যাথলন হবে, মিতু চিনতে পারে। তার শেষ প্রেমিকের শু-ফেটিশ ছিল। লোকটার মাথাভরা ঝাঁকড়া চুল, কিছু রুপালি স্ট্রিক তাতে অস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পৌষের বিকেলে মিইয়ে আসা আলোতেও মিতু পরিষ্কার দেখতে পায় মোটা কালো ফ্রেমের আড়ালে লোকটার খানিক বিষণ্ণ চোখ। নাকি বিষণ্ণতাটুকু তার অনুমান? তার তাকিয়ে থাকার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে অলিভ উইন্ডব্রেকার এবারে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে একটা সিগারেট ধরায়।     

লেখক
আমার মূল চরিত্র মিতু কেন ঢাকা লিটফেস্টের ভিড়ে একা ঘুইরা বেড়াইতেছে তার একটা বিশ্বাসযোগ্য কারণ খুঁইজা বের করতে হবে। তার আর্থিক অবস্থা খুব ভালো না, বোঝাই যাইতেছে আমার মতই গরীব সে, টিউশনির চিন্তায় আছে, তাইলে টাকা খরচ কইরা সে সেইখানে ঢুকছেই বা কেন? সে যদি কোন মফস্বল শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হইয়া থাকে কিংবা ঢাকার বাসিন্দা না হইয়া থাকে, তাইলে তো বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়া বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে তার টিকেট কাইটা যাওয়ার কথাই না। কিন্তু আমি খুব জোরালো সিদ্ধান্ত নিছি এইবারে আমি প্রেমের গল্প লিখবো না। মিতু কোনো সাহসিনী হুমায়ূন আহমেদের নায়িকার মতন অলিভ উইন্ডব্রেকারের সামনে গিয়া “এক্সকিউজ মি, আপনার কাছে লাইটার হবে?” বইলা আগুন চায়া নিয়া নিজের পার্স থাইকা সিগারেট বাইর কইরা ধরাইতে পারে, তাতে লোকটার সঙ্গে তার আলাপ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হইতে পারে। লোকটা তার উইন্ডব্রেকার, ডিক্যাথলনের জুতা আর হালফ্যাশানের ডেনিম প্যান্ট স্বত্ত্বেও খুবই ট্র্যাডিশনাল হইয়া বলতে পারে, “মেয়েদের ধূমপান করা উচিৎ না”, মিতু তখন নবীন নারীবাদীদের মতন ঘাড় ত্যাড়া কইরা তর্ক করার বদলে “ঠিক আছে, ফেলে দিচ্ছি” বইলা দুই টান দেওয়া আস্ত সিগারেট ফালায় দিয়া ভুবনভোলানো হাসি দিতে পারে, এইভাবে তাদের মধ্যে অদম্য যোগাযোগ তৈরি হইয়া যাইতে পারে। কিন্তু এই জিনিস লিখলে সুমনার মতন পাঠকেরা বলবে আত্মজৈবনিক উপাদান ছাড়া কিছুই আমি লিখতে পারি না, আমার গল্প রিপিটেটিভ, বোরিং এবং প্যানপ্যানানি-ঘ্যানঘ্যানানি। সুমনা হইলো আমার বান্ধবী, আমার কঠিনতম সমালোচক। আমি অন্যের জীবনের গল্প লিখ্যা ভোয়ারিস্টিক প্লেজার পাই, এই কথা বইলা সে আমাকে ধরাশায়ী করতে পারে নাই, তাই ইদানিং সে বলে আমি নিজের চরিত্রের বিভিন্ন ডাইমেনশন, নিজের জীবনের নানান তুচ্ছ ঘটনা ফুলাইয়া ফাঁপাইয়া গল্প বানাইয়া বেচি। কেননা আমার ইমাজিনেশন বলতে কিছু নাই। সুমনাকে ইমপ্রেস করার জন্য যে আমার এলিয়েন আর স্পেইস থাইকা আসা রোবট নিয়া গল্প লিখতে হবে, এমন না ব্যাপারটা, জাস্ট আপনাদের সঙ্গে আমার লেখক হিসাবে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম আর কি! 

মিতু
ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন বের করে মিতু দেখে দুইটা মেসেজ এসেছে। ইদানিং কেউ আর মেসেজ পাঠায় না, বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন আসে শুধু। ফোনের লক খুলে সে দেখে বিকাশ থেকে এসেছে কিনা। তার রুমমেটের কাছে সে সাতশ’ পঞ্চাশ টাকা পায়, রুমমেটকে আসবার আগে বলে এসেছিলো টাকাটা বিকাশে ক্যাশ ইন করে দিতে। মেসেজ খুলে দেখে পাঁচশ টাকা এসেছে। দুইশ টাকা কম দেখে মিতুর একটু মেজাজ খারাপ হয়। ফোনটা ব্যাগে রেখে চোখ তুলে সে দেখে অলিভ উইন্ডব্রেকার যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে চার-পাঁচজনের একটা দল হই-হুল্লোড় করে কফি খাচ্ছে। মিতুর সামান্য আশাভঙ্গ হয়। অলিভ উইন্ডব্রেকারকে দেখতে দেখতে সময়টা ভালই কেটে যাচ্ছিলো। এখন অপেক্ষা করাটা বোরিং হয়ে যাবে। তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায় দামি পারফিউমের গন্ধ ছড়ানো কয়েকজন অভিজাত নারী। তাদের মধ্যে কয়েকজনের গায়ে পিঠখোলা স্লিভলেস ব্লাউজ, দেখেই শীতের একটা শিরশিরানো অনুভূতি হয় তার ভেতরে। ওদের শীত লাগছে না কেন? শারীরবৃত্তীয় কারণটা কী? ওরা আগে ইউরোপ আমেরিকায় থাকতেন, এদেশের পৌষের শীত তাই তাঁদের গায়ে লাগে না- এটা একটা যুক্তি হতে পারে। কিন্তু টিল্ডা সুইনটনকে সে দেখতে পেয়েছে এক ঝলক, তার পরণেও লম্বা ওভারকোট। এদিক-ওদিক তাকিয়ে অলিভ উইন্ডব্রেকারকে খোঁজে সে, বিশ সেকেন্ডের ব্যবধানে কত দূরেই আর যাবে লোকটা? এতক্ষণ খুব বেশি শীত তার লাগছিলো না। সন্ধ্যা নেমেছে বলেই কিনা, অথবা সুসজ্জিত সুরভিত নারীদের খোলা বাহু আর পিঠ দেখেই কিনা, অথবা অলিভ উইন্ডব্রেকার দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেছে বলেই কিনা- মিতুর প্রচণ্ড শীত করতে থাকে। বিকাশে আসা টাকাটার ভরসায় তার মনে হয়, এখন এক মগ দামি কফি খাওয়া যেতেই পারে, শীতটা অন্তত কিছু কম লাগবে। পার্সটা সামান্য খুলে দেখে সবুজ রঙের নোট উঁকি দিচ্ছে, ভালোমতো দেখে সে নিশ্চিত হয় ওটা বিশ টাকা নয়। তারপর সোজা হেঁটে ভিড় ঠেলে কফির স্টলের দিকে এগোয়। গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে পার্স আর ব্যাগ সামলে চেইঞ্জ নিতে গিয়ে তার হাত থেকে পড়ে যায় অনেক খুচরো টাকা। তুলতে গিয়ে সে ডিক্যথলনের জুতা পরা এক জোড়া পা দেখেও উপরের দিকে আর তাকায় না। হাতে কফির মগ থাকতে তো উষ্ণতার জন্য কোন পুরুষের দিকে তাকাবার প্রয়োজন নেই।     

        
লেখক
কিন্তু ভালোমত ভাইবা দেখলাম, আমি মিতুকে প্রেম থাইকা বঞ্চিত করতে চাই না। সুমনার মতন সমালোচককে খুশি করার জন্যে তো আর আমি গল্প লিখি না। প্রেম দেওয়ার অসীম ক্ষমতা যখন আমার হাতে আছে, আমি কেন অলিভ উইন্ডব্রেকারের সঙ্গে মিতুর প্রেম হওয়াইয়া দিব না? আমি কি ঈশ্বরের মতন কৃপণ?   


উম্মে ফারহানা

জন্ম ১৯৮৪ সালে ময়মনসিংহ শহরে। লেখাপড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশায় শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চারটি। দীপাবলি (২০১৬), ফওজিয়ার আম্মা আর অন্যরা (২০২২), টক টু মি (২০২৩) এবং রাত্রিশেষের গান (২০২৪), শেষেরটি উপন্যাস, বাকিগুলো গল্প সংকলন। অলিভ উইন্ডব্রেকার তাঁর অগ্রন্তথিত গল্পগুলোর মধ্যে একটি, সমকালের সাহিত্য পাতা কালের খেয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৩ সালে।

শেয়ার