অতিদূর তুষারের দেশে ।। হুজাইফা মাহমুদ

পৃথিবীতে অল্প যে কয়টি অত্যাশ্চর্য ঘটনা নিয়মিত ঘটে, তার মাঝে একটি হলো তুষারপাত বা স্নো ফল। অকল্পনীয় সুন্দর একটা ব্যাপার বটে। বিশেষ করে আমরা যারা ভূমণ্ডলের ভৌগলিক মারপ্যাঁচের শিকার হয়ে আজীবন এর থেকে দূরে পড়ে আছি, তাদের জন্য এটা আরও বিশেষ একটি ঘটনা। আকাশ থেকে পতিত হয়েছে এমন অন্তত এক টুকরো বরফ হলেও দেখা আমার আজীবনের শখ ছিল! আল্লার অশেষ রহমতে সেই শখ যেন একটু বাড়াবাড়ি রকমেই পূরণ হয়ে গেছে। যেসব চিত্র আর মুহূর্ত কখনো কল্পনায়ও আসেনি, বাস্তবতা তাকেও ছাড়িয়ে গেছে!
বলছিলাম, এই গেলো শীতকালে আমার “বরফ দেখা ” অভিযানের কথা। মধ্য জানুয়ারিতে কাশ্মীরে ছিলাম দিন দশেক।সেখানে মন-প্রাণ ভরে বরফ দেখেছি, বটে। উঁচু পাহাড়গুলোর সবটাই বরফাবৃত ছিল। কিন্তু স্নো ফল তেমন দেখা হয়নি। এই দশ দিনের ভেতর মাত্র দুই দিন হয়েছিল, তাও খুবই স্বল্প। আমার বন্ধুরা যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন আমার কাছে, সে তুলনায় তা একেবারেই নস্যি। আমি কিছুটা মন খারাপ করেই ফিরে এসেছিলাম। এই শীতকালে হিমালয়ান এলাকাগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে স্বল্প তুষারপাত হয়েছে। এ নিয়ে দেখলাম কাশ্মীরের লোকজনও বেশ চিন্তিত। কেননা, স্বাভাবিক তুষারপাত না হওয়া মানে ফল-ফলাদি ও ফসলের ভাল ফলন না হওয়া। পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে পানির সঙ্কট তৈরি হওয়া। বরফের গ্লেসিয়ার গলে যেসব নদী-নালা প্রবাহিত হয়েছে, সেগুলোর প্রবাহ ব্যাহত হওয়া, এছাড়াও আরও নানান সমস্যা আছে। সেসব কথা থাক, আপাতত।
আমার তুষারপাত দেখার অতৃপ্ত ইচ্ছা আমাকে খুঁচিয়েই চলেছে। নেটের ওয়েদার ফোরকাস্টে নিয়মিত চোখ রাখছি। অবশেষে দেখা গেলো ফেব্রুয়ারির ১১ থেকে ১৩ তারিখ, এই তিন দিন হিমালয়ের ২০০০ মিটারি এলাকাগুলোতে তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় আশি ভাগ। আমি তখনই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। আর ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়। কাশ্মীর থেকে ফিরেছি পনের দিনও হয়নি, তাই সেটা প্রথমেই বাদ। বাকি রইল উত্তরখন্ড আর হিমাচল। দ্য হিমালয়ান ক্লাব নামে একটা গ্রুপ আছে ফেইসবুকে। সেখানে রিকমেন্ডেশন চাইলাম। সবচে বেশি যে নামগুলো পেয়েছি, সেগুলো হলো:-মানালি, পার্বতী, নারকুন্ডা, সাংলা, চিতকুল, কাল্পা, স্পিতি ইত্যাদি। এর মাঝে চিতকুলের একজনের সাথে বিস্তারিত আলাপ হলো। এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি চিতকুল যাবো, তা না হলে আরেকটু সামনে গিয়ে কাল্পা ভিলেজ।
 
এগারো তারিখের আগে আগেই যেন পৌঁছানো যায়, এমন সময়ে আমি রওয়ানা করেছি। শিমলা থেকে ভোর চারটায় রিকংপিওগামি বাসে চড়ে বসলাম। এটা হিমাচলের কিন্নৌর জেলায় অবস্থিত। বিশাল, অতিকায় দানবীয় হিমালয়ান পাহাড় আর জঙ্গলের পেট চিরে একটানা দুপুর পর্যন্ত বাস চললো। দুপুর আড়াইটায় রাকচাম নামক একটি নির্জন জায়গায় নেমে পড়লাম। চারপাশে বিশাল পাথুরে পাহাড়। মাঝখানে সবুজ পানির নদী। এর উপর অত্যাধুনিক একটি পাওয়ার হাউজ। এই রাকচাম থেকে আরও বিশ কিলোমিটার ভেতরে, এবং আরও তিন হাজার ফিট উপরে একটি গ্রাম অবস্থিত, তার নাম চিৎকুল।ভারতের সর্বশেষ গ্রাম। এরপর থেকে তিব্বত শুরু। রাকচাম থেকে লোকাল বাস যায়। আমি সেগুলোর অপেক্ষায় বসে আছি।কিছুক্ষণ পর একজন এসে জানালো, চিৎকুলের শেষ বাসটি আরও ঘণ্টাখানেক আগেই চলে গেছে। এখন আর সেখানে যাওয়ার কোন উপায় নেই। বেশ হতাশ হলাম। আমার দ্বিতীয় গন্তব্য ঠিক করাই ছিল, কাল্পা। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করলাম।এবং খুব সহজে তা পেয়েও গেলাম। রাকচাম থেকে বাসে রিকংপিও, সেখান থেকে আরও এক বাসে কাল্পা। সহজ রাস্তা।
আমি যখন কাল্পায় পৌঁছাই, তখন বিকেল হয়ে এসেছে প্রায়। প্রচণ্ড শীত। আবহাওয়া কেমন নিথর আর থমথমে। আকাশে ঘন হয়ে মেঘ জমছে। বাতাস বন্ধ। চারদিকে অদ্ভুত শুনশান নিরবতা। গ্রামটা সমূদ্র পৃষ্ঠ থেকে বারো হাজার ফিট উপরে অবস্থিত। একদম মুখের সামনে যে দৈত্যটি দাঁড়িয়ে আছে, তার নাম কিন্নর কৈলাস। বাইশ হাজার ফিট উঁচু। আগাগোড়া শ্বেতশুভ্র বরফে আবৃত। একদম গায়ে গা লাগিয়ে আরেকটি দৈত্য দাঁড়িয়ে আছে, তার নাম মনে নাই। হিন্দু ও কিন্নৌরি বৌদ্ধ, উভয়ের কাছেই এটা পবিত্র পাহাড়, তীর্থস্থান। বাস থেকে নেমে এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলাম। অদ্ভুত ব্যাপার। একটা মানুষও চোখে পড়ছে না কোথাও! চারদিকে পত্র-পল্লবহীন আপেলের বাগান। পাহাড়ের ঢালুতে, চূড়ায়, পেটে, সবখানে আপেলের বাগান।খানিকটা নিচে তাকালে ঘর-বাড়ি দেখা যায় বটে, তবে জন-মানবহীন।দু তলা তিন তলা বেশ কিছু বিল্ডিং আছে, অমুক-তমুক হোটেল নামে। আমি প্রতিটি হোটেলের দরোজা পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছি, এবং নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছি। একটা হোটেলও খোলা নেই।বিশাল বিশাল তালা ঝুলানো সবক’টায়। একান্ত নিরাশ হয়ে আপেল বাগানের পাশে স্বচ্ছ একটি নালার পাশে বসে আছি। এ কোন ভূতুড়ে এলাকায় এসে পড়লামরে বাবা! একে তো আমি সম্পূর্ণ একা, নি:সঙ্গ এক পরিব্রাজক, অপরদিকে মাথাগুঁজার ঠাঁই পাবো কি না কোথাও, তার নাই কোন নিশ্চয়তা! অবশ্য পরিবেশ-পরিস্থিতি সব মিলিয়ে ব্যাপরাটা বেশ রোমাঞ্চকরও লাগছিল! আকুল হয়ে ভাবছি, এখন আমার কী উপায় হবে, কোথায় থাকবো, কোথায় খাবো? তখন সহসা এক লোকের আবির্ভাব ঘটলো। বাগানে কাজ করতে এসেছেন। তিনি আমার অবস্থা শুনে বললেন, এই ভয়াবহ শীতকালে জ্বীন ভূতও তো এখানে বেড়াতে আসে না, আপনি কি মনে করে আসলেন? তারপর বললেন, গোটা শীতকাল সব হোটেল বন্ধ থাকে। পর্যটক আসে না, হোটেল খোলা রেখে লাভ কী? একটা মাত্র হোটেল আজকেই খুলেছে, সেখানে গিয়ে দেখেন।
একমাত্র হোটেলের ঠিকানা নিয়ে গেলাম সেখানে। কাছেই। দেখলাম, তারা এখনও সেটিং করছেন সবকিছু। এই মুহূর্তে কাউকে জায়গা দেয়ার ইচ্ছা এবং অবস্থা কোনটাই নাই তাদের। কিন্তু আমার বেহাল অবস্থা দেখে তাদের মনেও দয়ার উদ্রেক হলো, যদিও এই দয়া রুমের ভাড়া কমাতে একটুও সাহায্য করেনি, বরং সুযোগে একটু বেশিই নিয়েছে। একটা রুম কোনরকম গোছগাছ করে থাকার উপযুক্ত করে দেয়া হলো আমার জন্য। খাবারের কোন হোটেল খোলা নেই। ব্যবস্থা হলে এখানেই হবে, এবং সেটা চড়া মূল্যে কিনে খেতে হবে, নতুবা উপোস থাকতে হবে।
 
দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি ছিল। ঝটপট বরফের চেয়েও শীতলতর পানি দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে বাইরে থেকে একটা চক্কর দিয়ে আসলাম।ফাঁকে আবহাওয়ার খবর নিলাম হোটেলওয়ালার কাছ থেকে। সে বললো, আবহাওয়া দেখে তো মনে হচ্ছে ভয়াবহ তুষারপাত হবে। আজ রাতে, কিংবা কাল সকাল থেকে। সন্ধ্যার পরপরই খুশি মনে হোটেল রুমে ফিরে গেলাম, এবং মুহূর্তেই স্বস্তিকর নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লাম। মাঝরাতে একবার ঘুম ভাঙলো, অকারণে। জানালা দিয়ে তাকালাম। রাস্তার সামান্য আলো দিয়ে দেখা গেলো, তুষারের শাদা চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। দারুণ আনন্দ আর উত্তেজনায় মন ভরে গেলো! যখন জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেখলাম এখন আর তুষারপাত হচ্ছে না, তখন বেশ মন খারাপ হলো! সকালে আর যদি না হয়!
 
আমার সে আশঙ্কা অমূলক ছিল। রাত্রে খুব সামান্যই হয়েছে। মূল পর্ব শুরু হয়েছে সকাল নয়টা থেকে। আমি তখন রুমের বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিলাম। সহসা ঘন মেঘ এসে ঢেকে ফেললো পুরো গ্রামটিকে। কিচ্ছু দেখা যায় না। সামনে যে দানবীয় দৃষ্টিরোধকারী কৈলাশ পর্বত ছিল, সেটাও বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে! এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝড়ো বৃষ্টির মতো তুষারপাত। আমি এক লাফে রাস্তায় নেমে আসলাম। গায়ে চাপানো বিশাল এক ওভার কোট। একটা অদ্ভুত বিষয় দেখা গেলো।যখন তুষারপাত হয়, তখন তুলনামূলক ঠাণ্ডা কম লাগার কথা। তাপমাত্রা শূন্যর উপরে থাকে, এবং উষ্ণতার ভাব থাকে। কিন্তু এখানের ব্যাপারটা অন্যরকম। তাপমাত্রা ঠিকই এক ডিগ্রী সেলসিয়াস, কিন্তু ফিলিং লাইক মাইনাস ছয় ডিগ্রী। ঠাণ্ডায় হাড়-মাংস জমে যাওয়ার অবস্থা। আমার হাতে চামড়ার গ্লাভস। পায়ে মোটা উলের মোজা, তার উপর চামড়ার মোজা। এই এলাকার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি বটে। কিন্তু যখন ছবি তুলার জন্য হাত থেকে মোজা খুলেছি তখন হাতের রক্ত জমাট বেঁধে অচল হয়ে যায়। মোবাইলের টাচ কাজ করতে চায় না। গায়ে ঘষে ঘষে সামান্য গরম করে তারপর ছবি তুলে ঝটপট আবার হাত ঢুকিয়ে ফেলতে হয় দস্তানার ভেতর।
পাগলের মতো ঝরছে তুষার, আর ঘন, চলিষ্ণু মেঘের নিচে হারিয়ে গেছে পুরো গ্রামটি। মেঘ আর তুষারের ভেতর দিয়ে আমি হাঁটছি। জীবনের এই এক আশ্চর্য সময় অতিক্রম করছি যেন। স্বর্গোদ্যানের মতো বিস্ময়কর সুন্দর একটি পাহাড়ি গ্রামে আমি একমাত্র পর্যটক। এই ভাবনা আমাকে আরও বেশি রোমাঞ্চিত করে তুললো। হাঁটতে হাঁটতে তিন কিলোমিটার দূরে “রোঘি” নামক একটা গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হলাম। এটাকে মানুষের গ্রাম না বলে আপেলদের গ্রাম বলাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। কেননা, অল্প যে কয়টা ঘর-বাড়ি আছে, সেগুলোও বাগানের ভেতরেই নির্মিত হয়েছে। বাগান প্রধান এই গ্রামে যাওয়ার পথে একটা জায়গা পড়ে, সুইসাইড পয়েন্ট। নেটে দেখেছি, এখানে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ ছবি-টবি তুলেন। কিন্তু আমি সেটাকে এড়িয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম। কেননা, এই মুহূর্তে এই বিশেষ পয়েন্টের প্রতি আগ্রহ দেখাতে গেলে নামে ও কাজে সংযোগ ঘটে যাওয়ার সমূহ শঙ্কা বিদ্যমান। তুষারের কারণে এইসব পাথুরে জায়গাগুলো অকল্পনীয় পিচ্ছিল হয়ে আছে। মুহূর্তের অসাবধানতায় সকল রোমাঞ্চ একটি মর্মান্তিক সমাপ্তিতে পরিণত হতে পারে। রোঘিতে গিয়ে দেখালম কয়েকজন লোক বসে বসে চা খাচ্ছে আর গপশপ করছে।আমিও খুব সহজেই তাদের সাথে মিশে গেলাম।
 
টানা আড়াই দিন একটানা তুষারপাত হলো। আর পুরোটা সময় আমি উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি চারপাশে। মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবীটাকেই কেউ অলৌকিক এক শ্বেতশুভ্র চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। এক ইঞ্চি জায়গাও বাদ রাখেনি। যতই দেখি বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। আপেলের পত্র-পল্লবহীন গাছগুলোকেও ঢেকে দিয়েছে তুষারের চাদর। একটা সময় আমার সকল সাধ-আহ্লাদ শেষ হয়ে সে জায়গায় এখন নয়া দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তুষারপাতের কারণে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই নির্জন গ্রাম থেকে আমি বেরোব কিভাবে? গাড়ি চলার মতো কোন অবস্থাই নেই। চার-পাঁচ ফিট বরফের নিচে চলে গেছে সব কিছু। হোটেলের বাসস্থান আর খাবার-দাবারের চড়া মূল্যের কারণে আমার পকেটের অবস্থাও নাজেহাল। শেষে না আবার কি কেলেঙ্কারি ঘটে যায়, আল্লা মালুম!
 
তৃতীয় দিন সকালে বরফ গলা শুরু হলো। হোটেলওয়ালা লোকটা বুদ্ধি দিলো, এখান থেকে দুই-তিন কিলোমিটার সামনে হেঁটে গেলে গাড়ি-ঘোড়া কিছু একটা পেয়ে যেতে পারেন। ওইখানে সরকারি লোকেরা এসে রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তার কথামতো তাই করলাম। হাঁটা শুরু করলাম। প্রথমে একা। কিছুদূর পর থেকে সঙ্গী হলেন স্থানীয় এক মধ্য বয়স্ক লোক। দু’জন মিলে গল্প করতে করতে, তুষারাবৃত পথ অতিক্রম করে চলে এলাম নিরাপদ জায়গায়।
 
আক্ষরিকভাবে আমার ভ্রমণ কাহিনী এখানেই শেষ। কিন্তু এই তিন দিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ আমার জীবনে যে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার সঞ্চার ঘটিয়েছে, তা কখনোই শেষ হবার নয়। পৃথিবীর এই লীলাময় রূপ আর অপার সৌন্দর্যের ভিন্ন একটি দিক আমি অনুভব করতে পেরেছিলাম। এও এক অসাধারণ উপলব্ধি। যারা হিমাচলে যাবেন, তারা অবশ্যই কাল্পা নামক ছোট্ট এই পাহাড়ি বালিকাটির কাছেও একবার যাবেন। যার চারদিকে আপেল বাগান, আর বাগানের চারপাশে বহমান স্বচ্ছ ঝর্ণার নালা।বিশেষ করে কাল্পা বা কিন্নৌর অঞ্চলে যাওয়ার পথে আপনাকে এমন সব থ্রিলিং আর অ্যাডভ্যাঞ্চারাস রোড পাড়ি দিতে হবে যে, দেখলে ভয়ে দমবন্ধ হয়ে আসে। এর মাঝে এমন একটা রোড অতিক্রম করতে হয়, যা ন্যাশনাল জিওগ্রাফির জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় ভয়ঙ্করতম রোড।
একটি বিশেষ অনুরোধ: আমরা যেখানেই ভ্রমণে যাই না কেন, দেশে বা বিদেশে, এটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো, আমার কারণে যেন সেখানকার পরিবেশ, জীবজগৎ, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পরিবেশ দূষণ থেকে সকলেই বেঁচে থাকি। হ্যাপি ট্র্যাভেলিং!
শেয়ার